গণস্বাস্থ্য
কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন
হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব সৈয়দ ইমদাদ
উদ্দিন।
জানাজার আগে ডা. জাফরুল্লাহর একমাত্র ছেলে বারিশ চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা যদি কারও কাছে অন্যায় করে থাকেন, কারও কাছে ঋণী থাকেন, তাহলে আমাদের পরিবারকে জানাবেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুক্তিযুদ্ধের পরও তার যুদ্ধ শেষ হয়নি। তিনি সারাজীবন যুদ্ধ করে গেছেন মানুষের জন্য। তার কাছে সবচেয়ে বড় ছিল দেশ ও দেশের মানুষ।’
আরও পড়ুন: প্রথম টিকা প্রধানমন্ত্রীকে নিতে বললেন ডা. জাফরুল্লাহ
এর আগে আজ সকাল
১০টা ৫ মিনিটে বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর
মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে সবার আগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
পরে বিপ্লবী
কমিউনিস্ট লীগের নেতারা, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির
নেতৃবৃন্দ, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন। শ্রদ্ধা জানানো অধিকাংশ মানুষ শোক বইতে তাদের নানা ধরনের মন্তব্য লেখেন। কেউ
স্মৃতিচারণ করেন, কেউ বিপ্লবী শুভেচ্ছা জানান। কেউ-বা আবার দোয়া কামনার কথা লেখেন শোক
বইতে।
আগামীকাল সকাল
১০টায় লাশ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ
জুমা দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে সেখানে দাফন সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার রাতে
ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মারা যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কয়েক দিন সেখানেই
চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮১
বছর।
ডা. জাফরুল্লাহ
চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ,
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।