এবার এপ্রিলজুড়ে ছিল ঈদের আমেজ। এ মাসের
শুরু থেকেই ঈদ ঘিরে অনেকে পরিবার-পরিজন আগেভাগে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। দ্বিতীয় সপ্তাহ
থেকে পুরোদমে শুরু হয় ঈদযাত্রা। গত ২২ এপ্রিল দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এরপর
আবার কর্মস্থলে যোগ দিতে গ্রাম ছেড়ে শহরে ফেরেন কর্মজীবী মানুষ।
এ ঈদযাত্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে সড়কে দুই হাজার
৫০৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৪৫১ জন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই হাজার ৫২৭ জন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বাস দুর্ঘটনা। বাস দুর্ঘটনায় নিহতও সবচেয়ে বেশি ২৮২ জন।
তবে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে মোটরসাইকেল
দুর্ঘটনা ৫৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি কমেছে। নিহত-আহতের সংখ্যাও আগের মাসের
তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে অটোরিকশার পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪
আজ রোববার সেভ দ্য রোড এক প্রতিবেদনে এ
তথ্য জানিয়েছে। ২২টি জাতীয় দৈনিক, ২০টি টিভি-চ্যানেল, আঞ্চলিক ও স্থানীয় ৮৮টি নিউজ
পোর্টাল, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সেভ দ্য রোডের স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া তথ্যানুসারে
এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেভ দ্য রোড।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ঈদের ছুটির দিনগুলোতে
পদ্মা সেতুসহ সড়ক-মহাসড়কে মোটর বাইক দুর্ঘটনা গত মার্চ মাসের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ
কম ছিল। আহত-নিহতের ঘটনাও ছিল অর্ধেকের চেয়ে কম।
সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩
সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৪
জন ও আহত হয়েছেন ৪৩৫ জন, ৬৪৫টি ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন ও আহত হয়েছেন ৩৬৮
জন।
বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা
বাহন চালানোসহ বিভিন্ন নিয়ম না মানায় ৮০৮টি বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৮২ জন ও আহত
হয়েছেন ৯৪৩।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় মহাসড়কে বাসের ধাক্কায়ইজিবাইক যাত্রী নিহত
দায়িত্বে অবহেলা, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের
দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ বাহন নসিমন-করিমন এবং অন্যান্য ৩ চাকার বিভিন্ন
ধরনের বাহনে ৬২২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৯ জন ও আহত হয়েছেন ৭৮১ জন।
সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ
রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা ও লায়ন ইমাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে এ প্রতিবেদন
তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
সেভ দ্য রোড-এর অঙ্গীকার ‘পথ দুর্ঘটনা থাকবে
না আর’ স্লোগান সামনে
রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ২০০৭ সালে পথচলা শুরু করে এ সংস্থাটি। এরপর
থেকে সড়ক, রেল, নৌ, আকাশপথ দুর্ঘটনামুক্ত করতে সচেতনতা, গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
হিসেবে কাজ করছে তারা।