আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

এক দিনে দেশে করোনায় মৃত্যু-আক্রান্ত বাড়ল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালানো মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪১ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬৬০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৬৫ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জন।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ জন। এদিন মোট করোনা পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ২৫০ জনের। শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) দেশে করোনায় ৩৬ মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া ১ হাজার ৭১০ জনের করোনা শনাক্তের কথাও জানানো হয়।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ৮৮৬ জন মানুষ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮ হাজার ৩৩৫ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৭৬৭ জনের।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



আগামী ৭ জুন শেষ কর্মদিবস

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গেটস ফাউন্ডেশনের থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। দাতব্য সংস্থাটির কোচেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্বের একসময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা সোমবার তার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন সোমবার এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যেটা আমি হালকাভাবে নিয়েছি।

ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। তারপর থেকে ঐ সংস্থার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলিন্ডা বলেছেন, তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি অনুসারে, তিনি অতিরিক্ত ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবেন। এই অর্থ তিনি নারী এবং চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে ব্যবহার করবেন।

তবে এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

এদিকে বিল গেটস এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলেছেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়া দেখে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সে তার ভবিষ্যতের জনহিতকর কাজে বিশাল প্রভাব ফেলবে।

মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তৎকালীন স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিল-মেলিন্ডা জুটি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। তবে তারা যৌথ জনল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



অবহেলায় পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে মহেশপুর নীলকুঠি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য। কিন্তু এগুলোর বেশির ভাগই অবহেলিত। ফলে কালের বিবর্তনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য গুলো। এমনই এক প্রচীন স্থাপত্য নীলকরদের স্মৃতি বিজড়িত 'নীলকুঠি'। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের ধারে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় মানুষের কাছে কাচারী বাড়ি হিসাবে পরিচিত এই নীলকুঠি। খালিশপুর বাজারের পশ্চিমপাশে ৯ একরের ও বেশি যায়গা নিয়ে নীলকুঠি বাড়ি অবস্থিত।

দালানটি আঠারো শতকে নির্মিত হয়েছিল অনেকের এমনটিই ধারনা করে। এ কুঠি বাড়ি নির্মাণের মূল উদ্যেশ্য ছিল পূর্ব বাংলার কৃষকদের নীল উৎপাদনে উৎসাহী করা ও নীলচাষ দেখাশোনা করা। ইংরেজ মি. ডেভরেল এ কুটিবাড়ি থেকে এই অঞ্চলের নীলচাষ পরিচালনা করতো।

শিল্প বিপ্লবের পথিকৃৎ ছিল ইংল্যান্ড। ঐ সময় ইংল্যান্ডে সাদা কাপড়ের চাহিদা ছিল অত্যাধিক। কাপুড়ের সাদা রং বজায় রাখার জন্য নীলছিল একটি অত্যাবশকীয় উপাদান। ভারতবর্ষ বৃটিশদের উপনিবেশ হওয়ায় বল পূর্বক ইংরেজরা ভারতবর্ষকে নীলচাষের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে। নীলচাষের ফলে জমির উর্বরতা হারাতো তাই চাষিদের নীলচাষে অনীহা ছিল, অধিকাংশ চাষিরা ইংরেজদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যও পেতনা। যারা নীলচাষ করতোনা তাদের নানা ভাবে নির্যাতন করা হত। এই কুঠিরেই কিছু কক্ষ নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত।

পরবর্তীতে ইংরেজরা উপমহাদেশে থেকে বিতাড়িত হলে কুঠির ভবনটি সিও অফিস হিসাবে ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৮৩-৮৪ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল।বর্তমানে কুঠিরটি জরাজীর্ণ, সংস্কারের অভাবে কুঠি বাড়িটি ধ্বংসের দাঁড়প্রান্তে অবস্থান করছে।

৬৫ বছর বয়স্ক স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলী জানান বেশ কয়েক বছর আগে সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা আর আলোর মুখ দেখিনি। কুঠি বাড়ির চার পাশে রয়েছে শত বছরের বড় বড় আম গাছ। পাশে আরো অনেক বাড়ি ঘর ছিল যা বৃটিশদেও গাড়ি রাখাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হত। এছাড়াও ছিল বৈকালীন অবকাশ যাপনের জন্য যায়গা যা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নীলকুটি বাড়িটিও অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

কুটি বাড়ির পশ্চিম পাশে সরকারি হামিদুর রহমান কলেজ ও স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত এবং পূর্ব পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই কুটি বাড়ির যায়গা খাস জমির তালিকাভুক্ত।

স্থানীয়রা জানান ২০১৮-১৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান এখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ইকোপার্ক তৈরি উদ্যোগ নিয়ে ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এাঁও আলোর মুখ দেখিনি।

স্থানীয়দের দাবী কুঠি বাড়িটি এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের সাক্ষ্য দিচ্ছে,ফলে এটি এখন ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে। তাই এটি সংরক্ষণ করার দাবি তাদের।

ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাউদ্দিন মিয়াজী বলেন, প্রাচীন ঐতিয্যে বহনকারী নীলকুঠিটি সংস্কার করে এখানে একটি ইকোপার্ক করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শামীম খান জনী, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি


আরও খবর



মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওকলার তথ্যানুযায়ী মার্চ মাসে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এ সময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলি সেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এ মাসে অবস্থান ঠেকেছে ১১২-তে। এর আগে গত বছরের অর্থাৎ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১১১তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এর পরের মাসেই অবস্থান উন্নতি হয়। ৬ ধাপ এগিয়ে নভেম্বর ১০৫তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।

ডিসেম্বরে আরও ৪ ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে উঠে এলেও চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ, জানুয়ারিতে ফের ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ১০৬তম অবস্থানে উঠে আবারও মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ।

একই সময়ে ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিল ৪৩ দশমিক ৬১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে যেমন উত্থান-পতন হয়েছে, সেই তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র‌্যাংকিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বর ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।

আশপাশের দেশগুলোর অবস্থান কেমন?

ওকলার ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ১৬তম। ডাউনলোড স্পিড ১০৫ দশমিক ৮৫। আর আপলোড স্পিড ৯ দশমিক শূন্য ৮।

পাকিস্তান অবশ্য মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দেশটির অবস্থান ১২৭তম। আর গড় ডাউনলোড স্পিড ১৮ দশমিক ১৮ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ৮ দশমিক ৭২ এমবিপিএস।

ইনডেক্সে ভালো অবস্থানে রয়েছে সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বীপ। মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ৩২তম। মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৮৫ দশমিক ৯৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২০ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচকে অবনতি নিয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তারা হুট করেই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়িয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, গতি বাড়ানো বলেন আর র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেন, এটা এগিয়ে নিতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে কিন্তু আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জায়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেওয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেওয়া সম্ভব হয়। এটা ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের দিতে গেলে খরচটা বেড়ে যায়। সেটা নিয়ে এখন কাজ করা উচিত।

ঢাকাকেন্দ্রিক ক্যাশ সার্ভিস সেন্টার থাকাটাও গতি বাড়ানোর পথে বাধা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকাকেন্দ্রিক। বিটিআরসির নিরাপত্তা পলিসির কারণে এটা বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়নি। ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকার বাইরেও বড় শহরগুলোতে বসানো গেলে এবং সব আইএসপির কাছে এটা রাখা গেলে গতি আরও বাড়ানো যেতো। তারপরও আমরা সাধ্যের মধ্যে গ্রাহককে ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনায় কাজ করছি। ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। সম্প্রতি ইনডেক্স খেয়াল করা হয়নি। সেটা দেখার আগে আমরা কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, রবিবার (৫ মে) ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।

২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।


আরও খবর