আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ছাগলই মতিউরকে চিহ্নিত করেছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গণমাধ্যম এমনকি রাজনীতিবিদরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে চিহ্নিত করতে পারেননি। অথচ একটি বোবাপ্রাণী ছাগল তাকে চিহ্নিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

এমন মতিউর আরও আছে কি না, যাদের ভবিষ্যতে ছাগল বা অন্য কোনো প্রাণী চিহ্নিত করার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন নাছিম। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ায় পেশাজীবী অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সমালোচনাও করেন ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, বিবৃতির মাধ্যমে কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিচ্ছে।

এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার এক ছেলের ছাগল কেনাকে কেন্দ্র করে। একটি খামার থেকে ১৫ লাখ টাকায় তার ছেলে ছাগল কিনেছেন- এমন খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে গণমাধ্যমে খবর বের হয় যে কেবল ছাগল নয়, লাখ লাখ টাকা খরচ করে ওই ছেলে কোরবানির পশু কিনেছেন। এরই জেরে বেরিয়ে আসে মতিউর রহমানের বিপুল অর্থবিত্তের তথ্য।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, সেক্ষেত্রে তারা যেন এ বোবা ছাগলের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলা, বিবৃতি দেওয়া, পক্ষে নিয়ে প্রকারান্তরে দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তিকে রক্ষার নামে তাদের সংস্থার সবার ওপর দায়ভার না চাপায়- সেদিকে সবার সজাগ থাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কোনো রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতি বা অপকর্মের অভিযোগ আসে তখন রাজনীতিবিদরা তার পক্ষ নেন না। বরং রাজনৈতিক পদক্ষেপ ও আইনি বিচারে সোচ্চার হন। এটাই হলো সৎ রাজনীতিবিদদের মহত্ত্ব। কিন্তু যখন কোনো সরকারি বা বেসরকারি, আধা সরকারি কিংবা সংস্থা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিশেষ কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে- তখন ওই গোষ্ঠী বা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজের পক্ষে সাফাই বক্তৃতা, বিবৃতি দেয়। প্রকারান্তরে বিশেষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের দায় কিন্তু ওই সংস্থাগুলো নেয়। পুরো সংস্থার ওপর চলে আসে এ দায়। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক একাধিক কর্মকর্তার দুর্নীতির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দেয় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো দলের বা সংস্থার হোক না কেন- তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।

ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে ঋণখেলাপি কমাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা, দ্রব্যমূল্য বাড়াতে যারা সিন্ডিকেট করে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে এই দুষ্টচক্র, সর্বগ্রাসী, স্বার্থান্বেষী চক্রের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশের সব অর্জন হয়েছে আওয়ামী লীগ ও রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে। কিন্তু এক কুচক্রী মহল, যারা সুদখোর বা বিদেশি প্রভুদের মানে- তারা একটু সুযোগ পেলে রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব কলুষিত করতে চায়। তারা নিজেদের দেশ পরিচালনার সেরা সন্তান হিসেবে প্রমাণ করতে গিয়ে বারবার দেশপ্রেমিক জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।


আরও খবর



২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৪ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরি করা অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য এই সম্পূরক বিল আনা হয়।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। ৪০টির বাজেট অপরিবর্তিত রয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বাজেট হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সম্পূরক বাজেটে ২০টি দাবির বিপরীতে ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন চারজন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে দুটি মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনা হয়। সেগুলো হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন।


আরও খবর



বিজেপি জোট ছাড়ছেন নীতিশ, জল্পনা তুঙ্গে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিশেষ করে তেলেগু দেশাম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডু ও জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডির (ইউ) নীতিশ কুমারের ওপর। মনে করা হচ্ছে, এই দুই নেতার সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই এগিয়ে যাবে সরকার গঠনের পথে। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এসেছে আরেক ঘটনা।

সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের।

এর আগে মঙ্গলবারই খবর মেলে, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে কপাল পুড়তে পারে বিজেপির।

কারণ, সেটি হলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণ হবে না এনডিএর। আর নাইডু-নীতিশের ২৮ আসন নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রহস্যজনক গতিবিধি দেখা গেছে নীতিশ কুমারের। ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি সফর করেছেন নীতিশ।

প্রশ্ন উঠতে পারে, নাইডু-নীতিশকে নিয়ে বিজেপির ভয়ের কারণ কী? ২০১৪ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে একা নির্বাচন করেন নীতিশ। এরপর ২০১৫ সালে লালু যাদবের সঙ্গে মিলে জোট করেন। দুই বছর না যেতেই এনডিএ জোটে যুক্ত হন নীতিশ। এরপর ২০২২ সালে আবারও জোট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এ বছর আবার যুক্ত হন। ফলে তাকে নিয়ে শঙ্কা থাকছেই বিজেপির।

এছাড়া চন্দ্রবাবু নাইডুও এ বিষয়ে এখনো তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সবমিলিয়ে, বিজেপির ভবিষ্যৎ এখন নাইডু-নীতিশের ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

এদিকে সেরকম কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন নীতিশের দলের নেতারা। জেডিইউয়ের এক নেতা জানান, এনডিএ জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেন নীতিশ। এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লিতে যাচ্ছেন।


আরও খবর



ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী-বিশ্বস্ত বন্ধু।

আজ শনিবার (২২ জুন) মোদি ও শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বৈঠক ফলপ্রসু হওয়ার কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

ভারতকে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অনেক গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ। যে সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়।

তিনি বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি উভয় দেশের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ডিজিটাল ও সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত হয়েছে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি।

দুই দেশের ও জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



বিপুল মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার ২১

‘হয় মাদক ছাড়, না হয় ঠাকুরগাঁও ছাড়’: এসপি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

গত বছরের ২৭ জুলাই ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন উত্তম প্রসাদ পাঠক পিপিএম-সেবা। এর আগে তিনি ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদানের প্রথম দিনেই মুখোমুখি হন গণমাধ্যমকর্মীদের। তখন জেলার প্রধান সমস্যাগুলো জানতে চাইলে সাংবাদিকরা এসপিকে জানান, জেলায় মাদকের বিস্তার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এরপর এসপি মাদকের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে বলেন- হয় মাদক ছাড়, না হয়  ঠাকুরগাঁও ছাড়।

ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে দায়িত্ব পালনের এক ১১ পূর্ণ হয়েছে এসপি উত্তম প্রসাদ পাঠকের। এরই মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়ে উঠেছেন তিনি। তার যোগদানের পর জেলার ৭টি থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে। প্রায় প্রতিদিনই প্রতিটি থানাতে কোন না কোন মাদকে জড়িতরা ধরা পড়ছেন।

এই মধ্যে গত পাঁচ দিনে মাদকে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০৩০ গ্রাম শুকনো গাঁজা, ২৪৯ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট, ৯৩ পিচ ইয়াবা ও ১৪ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। এবং পুলিশ কর্তৃক ২২টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি করা হয়। মাদকদ্রব্য ছাড়াও অন্যান্য অপরাধ দমনেও ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন অভিযান, মাদক উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন তথ্য জেলা পুলিশের নিজস্ব ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে নিয়মিত জানিয়ে দিচ্ছেন জেলার মানুষকে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এরই মধ্যে এসপি উত্তম প্রসাদ পাঠক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সারাধণ মানুষের কাছ থেকে।

রোববার (৯ মে) সকালে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক এর দিক-নির্দেশনায় নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (৩ জুন) রাত থেকে শনিবার (৮ জুন) রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৮ জুন) জেলা সদরের রায়পুর ইউনিয়নের মোলানী এলাকা থেকে ১০৫ গ্রাম শুকনো গাঁজা সহ রাকিব (২৩), আউলিয়াপুর কচুবাড়ী বোর্ড অফিস এলাকা থেকে ৪ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট সহ আল আমিন হক (৩৫), জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাটিয়া এলাকা থেকে ১৫ পিচ ইয়াবা ৭০ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ আলী হোসেন (৪৩) জাবরহাট ইউনিয়নের রনশিয়া গ্রাম থেকে ৯ বোতল ফেন্সিডিল ও ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার , রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য ভান্ডারা গ্রাম থেকে ৮ পিচ ইয়াবাসহ মোঃ সজিব (২৮) ও হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের নোনাডাঙ্গী গ্রাম থেকে ১৩৫ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ  জামাল (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।

শুক্রবার (৭ জুন) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৬০ গ্রাম শুকনো গাঁজা, ৬০পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট ও ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৭ জন এবং পুলিশ কর্তৃক ১২টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি, বৃস্প্রতিবার (৬ জুন) রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫লিটার চোলাই মদ, ১১ পিচ ইয়াবা ও ৩১০ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ ৪ জন, মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গীর  বিভিন্ন এলাকায় ১০৪ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট ও ৬০ পিচ ইয়াবাসহ ২ জন এবং পুলিশ কর্তৃক ১০ টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি ও সোমবার (৩ জুন) ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে ১২০ গ্রাম শুকনো গাঁজা ও ৩৩ পিচ ইয়াবাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার  করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০টি মামলা রুজু হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ঠাঁই ঠাকুরগাঁওয়ে হতে পারে না। আমাদের প্রতিটি বিভাগকে মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলাজুড়ে মাদক-বিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। আমরা মানুষের শান্তি ও সেবার জন্য কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, জেলাবাসীর জন্য আমাদের প্রতিদিনের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও অর্জনগুলো প্রতিদিনই তাদের কাছে প্রকাশ করছি। এছাড়া কোন পুলিশ সদস্য যদি অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে বা মাদকসহ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সরকারি স্থাপনা ও জায়গা দখল, বিপাকে প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে এলজিইডির নিজস্ব এলএসডি ফুড গোডাউন এবং এর পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা ধর্মীয় প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে শ্রীরামকাঠি-পাচপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন ও গোডাউন আঙ্গিনার অধিগ্রহনকৃত নিজস্ব ভুমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি ও তার পরিবার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সম্পদ জনস্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া  সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে বারবার নোটিশ দিলেও কর্নপাত করছেন না অভিযুক্ত নারায়ন মিস্ত্রি। এক্ষেত্রে বিপাকে পরেছেন উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) দেখা যায়, শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন, এর গার্ড রুম, বাথরুম, ইয়ার্ড এবং পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে একটি টিনের ঘর নির্মান করে স্বপরিবার নিয়ে বসবাস করছেন নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এলজিইডির প্রতিষ্ঠালগ্নে খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট ও গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল। এজন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত গম/চাল সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য প্রকল্প চলমান উপজেলা সমূহে এলজিইডি ফুডগোডাউন নির্মাণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায়  আশির দশকের দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরের দক্ষিণ পারে একটি এলজিইডি কর্তৃক ফুড গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কর্মসূচির পরিবর্তে দরপত্র প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বিধায় এই গোডাউনটি পরিত্যক্ত ছিল। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসলে উহার যথোপযুক্ত সৎব্যবহারের নিমিত্তে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের নিকট লিজ হিসেবে হস্তান্তর করেন। তখন থেকে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য তাদের সংগ্রহীত উন্নতমানের বীজ উপকরণ ও ঔষধপত্র এই গোডাউনে গুদামজাত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ও নির্দেশনা রয়েছে।

মোঃ জাকির হোসেন মিয়া বলেন, অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই  স্থাপনার চতুর্দিকে বাউন্ডারি স্থাপনা ও সীমানা পিলার থাকা সত্ত্বেও নারায়ন মিস্ত্রি নামক একজন ভূমিদস্যু স্থানীয় আরও কতিপয় ভূমিদস্যুদের যোগসাজশে এই সরকারি স্থাপনা ও এর জায়গা জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাস করছেন এবং সরকারি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। ইতিপূর্বে তাহাকে এই স্থাপনাস্থল থেকে একবার উচ্ছেদ করা হলেও তিনি পুনরায় অবকাঠামোটি দখল করেছেন। এমতাবস্থায় সরকারি স্বার্থ ও  জনগনের কাঙ্ক্ষিত সেবা পূনপ্রতিষ্ঠর লক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি নাজিরপুরের পক্ষ থেকে ভূমিদস্যু নারায়ণ মিস্ত্রিকে সরকারি স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সেচ্ছায় সরকারি স্থাপনা ও জায়গা ছেড়ে না দিলে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য নয়, আমি একজন ধর্মীয় নেতা এবং আচার্য্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, দুই পক্ষই এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর