আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: পানি উন্নয়ন বোর্ডে কন্ট্রোল রুম চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল সম্পর্কিত জরুরি তথ্য সংগ্রহ এবং বিতরণের জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার (২৪ মে) বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রীন রোডের পানি ভবনের লেভেল-২ এবং কক্ষ নম্বর ২১৪ এ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যার কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন দপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।

এতে আরও জানানো হয়, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা থেকে হতে সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস ও জলোচ্ছ্বাস সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের দপ্তর থেকে উপকূলীয় বাঁধ, পোল্ডার ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ সংগ্রহ করা হবে।

সেজন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের ঘূর্ণিঝড়ের সময় জরুরি তথ্য ই-মেইল বা ফোনের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর হচ্ছে ০২-২২২২৩০০৭০, মুঠোফোন নম্বর হচ্ছে ০১৭৬৫৪০৫৫৭৬, ০১৫৫৯৭২৮১৫৮। তথ্য পাঠানোর ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে [email protected], [email protected]

একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই দপ্তরের সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সব ধরণের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।


আরও খবর



নিখোঁজের ৬ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল নারীর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ছয় দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল এক নারীর মরদেহ। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত মদিনা আক্তার (৩৬) জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, আজ সকালে সদর উপজেলার বিন্নাটি এলাকার কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি পুকুরে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, গত ২৯ মে দুপুরে পাকুন্দিয়ার চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি মদিনা আক্তার। পরে স্বজনেরা ওইদিনই পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ছয় দিন পর পুকুরে ভেসে ওঠে তাঁর মরদেহ। ময়নাতদন্তের পর মদিনার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।


আরও খবর



জনগণের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্লাটিনাম জুবিলি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

Image

পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশির ভাগ সময়ই কেটে গেছে লড়াই আর সংগ্রামে। হত্যা, ষড়যন্ত্রসবই দেখেছে দলটি। এরই মধ্যে ৭৪ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয়া দলটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ৭৫ বছরে পা দিল টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা দলটি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ’—ইতিহাসে এ তিন নাম একই সূত্রে গাঁথা।

পাকিস্তানের সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দলটি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপসহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সমগ্র জাতির জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এর পর থেকে তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

একুশ বছর লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে। মাঝে এক মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের আইভী রহমান সহ অনেক নেতাকর্মী নিহত হন ও আহত হন। ২০০১ ও ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আরেক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় দলটি। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এসব একমাত্র শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার স¤প্রসারণ এবং গুণগত মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বর্তমানে প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, মহিলা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকগুলোর ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহু দূর।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় বৈশিক মহামারী কভিড-১৯-এর করালগ্রাস থেকে দেশের আপামর মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশাল অবদান রেখেছে। উদ্বোধন হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল। এছাড়া চলমান রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরসহ দেশের মেগা প্রকল্পগুলো।

১৯৮১ সালের ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই আওয়ামী লীগ আজ দল হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ বছরের অধিক সময় প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশে এর আগে কেউ এত বছর সরকারপ্রধান হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে পারেননি। এর বাইরে ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আজ তার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের স্মৃতি পেছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসেবে বাঙালিকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়।

আওয়ামী লীগের মোট ২৪ বছরের শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন দেশ-বিদেশে আলোচিত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২ হাজার ৭৮২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ছিল ৯৯ মার্কিন ডলার।

বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন হয়েছে। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে সাফল্য এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গি দমনে সাফল্য সারা বিশ্বে আলোচিত। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, গৃহহীনদের গৃহ প্রদান ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকুক আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবিলি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই সাধারণ মানুশের প্রত্যাশা।


আরও খবর



গবাদি পশুর ওপর প্রথম কর নির্ধারণ, গরুপ্রতি গুণতে হবে সাড়ে ১১ হাজার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ওপর কর নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু পালনকারী এবং খামারীকে গরুপ্রতি বছরে কর দিতে হবে ৯৬ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। ইউরোপের অন্যতম কৃষি ও খামার নির্ভর অর্থনীতির দেশ ডেনমার্কে এই সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর উত্তাপ বাড়াতে পশু থেকে নির্গত গ্যাস (কার্বন) বিশেষভাবে দায়ী। তাই পশুপালনকারীকেও এই দায় বহন করতে হবে। প্রতি গরুর জন্যে পালনকারীকে দিতে হবে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার।

দেশটির জোট সরকার চলতি সপ্তাহে কৃষিতে বিশ্বের প্রথম কার্বন নির্গমন কর চালু করতে সম্মত হয়েছে। ২০৩০ সাল থেকে পশুর ওপর নতুন এই কর আদায় কার্যকর হবে। ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক একটি প্রধান দুগ্ধ এবং শুয়োরের মাংস রপ্তানিকারক দেশ। কৃষি নির্ভর অর্থনীতির এই দেশটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের বড় উৎস।

জোট সরকারের এই চুক্তির উদ্দেশ হচ্ছে, ৪০ বিলিয়ন ক্রোন খরচ করে বিশাল এলাকায় বনভূমি এবং জলাশয় পুনরুদ্ধার করা। এই বিনিয়োগ দেশটির জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।

এই বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন মঙ্গলবার (২৫ জুন) বলেন, 'আজকের চুক্তির মাধ্যমে, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্কের পরিবেশগত উন্নয়নে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। বিপুল অঙ্কের কর আমরা পরিবেশ সুরক্ষায় বিনিয়োগ করবো। একই সময়ে, আমরা কৃষিতে (কার্বন) কর নির্ধারক হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ হবো।'

নিউজ ট্যাগ: গবাদি পশু

আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে দুইজনকে খালাশ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে আসামীরা তার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে সামছুল ও তার বাবা সেই জমিতে আলুর বীজ বপণ করছিলেন। সেই সময় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে এসে সামছুল ও তার বাবাকে মারপিট করে আহত করেন।

এসময় সামছুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জয়পুরহাট সদর, পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বাড়িতে আনা হলে সেখানে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



‘পাকিস্তানের দালালরা ভারতের কাছে দেশ বিক্রির কথা বলে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত, দেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্যবাহী নতুন রেললাইন তৈরির বিষয়ে ওঠা সমালোচনার জবাবে এ উক্তি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।

সমালোচনাকারীদের উদেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এই দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।


আরও খবর