আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

লোকসানের আশঙ্কায় বন্ধ রাখার ২০ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমদানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেল ৫টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরের প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুটি ট্রাকে ৩৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, দেশের বাজারে হঠাৎ করে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। লোকসান হওয়ায় গেলো ২০ দিন ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। যদি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাওয়া যায় আমদানি অবহৃতের পাশাপাশি ঈদের আগে আমদানি আরও বাড়বে।

উল্লেখ, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা গেলো ৪ মে তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে গেলো ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েন হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে আর প্রতিকেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ৭ টাকার মতো।

নিউজ ট্যাগ: পেঁয়াজ আমদানি

আরও খবর



ভাঙনের কবলে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি।

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই।

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি আরও বেড়েছে। যা এখন বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষ।

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা ছিল বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তিস্তার পানি সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে এরপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি বাড়ায় তিস্তা অববাহিকার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। বিশেষ করে সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নগুলো বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিতে পারে।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: এগিয়ে দেব, পিছিয়ে হিরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বাচনি কার্যক্রম শেষে এবার চলছে লোকসভার ভোট গণনা। গণনার প্রথম তিন ঘণ্টায় এখনো এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট।

তবে পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ওই রাজ্যের ৪২টি আসনে ৫০৭ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা চলছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইভ আপডেটের (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ৩০ মিনিট) তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৩২টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ওই রাজ্যে ১০টি আসনে বিজেপি।

এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই কেন্দ্রেই। একদিকে ঘাটালে তৃণমূলের প্রার্থী দেব ও বিজেপি প্রার্থী হিরণ। অন্যদিকে, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে টানটান প্রতিযোগিতা চলছে জুন মালিয়া এবং অগ্নিমিত্রা পালের। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে ঘাটালে দেবের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৪২৫। হিরণ পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৫৩৩ ভোট। প্রায় ২১ হাজার ভোটে এগিয়ে দেব। মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্রা ১৫৭৩ ভোটের ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছেন জুনকে। ঝাড়গ্রামেও ২১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোট পর্ব। শেষ হয় ১ জুন। আজ একযোগে গোটা ভারতের ৫৪৩ আসনে ফল ঘোষণা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



বিজেপি জোট ছাড়ছেন নীতিশ, জল্পনা তুঙ্গে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিশেষ করে তেলেগু দেশাম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নাইডু ও জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডির (ইউ) নীতিশ কুমারের ওপর। মনে করা হচ্ছে, এই দুই নেতার সমর্থন যেদিকে যাবে, তারাই এগিয়ে যাবে সরকার গঠনের পথে। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এসেছে আরেক ঘটনা।

সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের।

এর আগে মঙ্গলবারই খবর মেলে, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটে ভেড়াতে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা কোনোভাবে সফল হলে কপাল পুড়তে পারে বিজেপির।

কারণ, সেটি হলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের কোটা পূরণ হবে না এনডিএর। আর নাইডু-নীতিশের ২৮ আসন নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রহস্যজনক গতিবিধি দেখা গেছে নীতিশ কুমারের। ফল প্রকাশের পর ইন্ডিয়া জোটে থাকা আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লি সফর করেছেন নীতিশ।

প্রশ্ন উঠতে পারে, নাইডু-নীতিশকে নিয়ে বিজেপির ভয়ের কারণ কী? ২০১৪ সালে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে একা নির্বাচন করেন নীতিশ। এরপর ২০১৫ সালে লালু যাদবের সঙ্গে মিলে জোট করেন। দুই বছর না যেতেই এনডিএ জোটে যুক্ত হন নীতিশ। এরপর ২০২২ সালে আবারও জোট থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এ বছর আবার যুক্ত হন। ফলে তাকে নিয়ে শঙ্কা থাকছেই বিজেপির।

এছাড়া চন্দ্রবাবু নাইডুও এ বিষয়ে এখনো তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সবমিলিয়ে, বিজেপির ভবিষ্যৎ এখন নাইডু-নীতিশের ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

এদিকে সেরকম কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন নীতিশের দলের নেতারা। জেডিইউয়ের এক নেতা জানান, এনডিএ জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেন নীতিশ। এনডিএ জোটের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লিতে যাচ্ছেন।


আরও খবর



দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল (১৭ জুন) দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।

রোবাবার (১৬ জুন) তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম, এক বছর পর আবারও আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আমি আপনাদেরকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাই।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।


আরও খবর