আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে এলআইইউপিসি: আফরোজা কালাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এলআইইউপিসি গত পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ গরীব পরিবারকে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউ হলে এলআইইউপিসি প্রকল্পের উদ্যোগে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ্ আহমদ চৌধুরী, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী (জয়)। বক্তব্য রাখেন- ডিপিএইচই এর সিনিয়র অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মোরশেদ, কারিতাস চট্টগ্রামের প্রকল্প সমন্বয়ক অজয় ব্রায়েন এন্থনি, কমিউনিটি ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি কৌহিনুর আক্তার, কমিউনিটি হাউজিং ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার আক্তার ও ক্লাষ্টার লিডার নুর আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলআইইউপিসির টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন খান।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর ২২টি ওয়ার্ডে পাঁচ লক্ষ জনগনের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এলআইইউপিসি। বিশেষ করে দরিদ্র নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৪০ হাজার পরিবারকে বিভিন্ন ধরণের অনুদান প্রদান করা হয়ছে। এর মধ্যদিয়ে গরীব মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে এবং আমি মনে করি প্রকল্পের এ ধরনের কার্যক্রম মানুষকে দরিদ্র অবস্থা থেকে বের করে আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে তারা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে দরিদ্র বসতি এলাকায় রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, লেট্রিন, গোলসখানা, ডিপ টিউবওয়েল, সড়কবাতিসহ  অবকাঠামো এবং পরীক্ষামূলকভাবে একটি পানি শোধণ ব্যবস্থা নির্মাণ করেছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডকে প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



জনগণের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্লাটিনাম জুবিলি

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

Image

পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এ দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হক।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশির ভাগ সময়ই কেটে গেছে লড়াই আর সংগ্রামে। হত্যা, ষড়যন্ত্রসবই দেখেছে দলটি। এরই মধ্যে ৭৪ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয়া দলটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ৭৫ বছরে পা দিল টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা দলটি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ’—ইতিহাসে এ তিন নাম একই সূত্রে গাঁথা।

পাকিস্তানের সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দলটি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপসহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সমগ্র জাতির জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এর পর থেকে তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

একুশ বছর লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে। মাঝে এক মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের আইভী রহমান সহ অনেক নেতাকর্মী নিহত হন ও আহত হন। ২০০১ ও ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আরেক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় দলটি। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এসব একমাত্র শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার স¤প্রসারণ এবং গুণগত মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বর্তমানে প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, মহিলা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকগুলোর ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহু দূর।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় বৈশিক মহামারী কভিড-১৯-এর করালগ্রাস থেকে দেশের আপামর মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশাল অবদান রেখেছে। উদ্বোধন হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল। এছাড়া চলমান রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরসহ দেশের মেগা প্রকল্পগুলো।

১৯৮১ সালের ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই আওয়ামী লীগ আজ দল হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ বছরের অধিক সময় প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশে এর আগে কেউ এত বছর সরকারপ্রধান হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে পারেননি। এর বাইরে ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আজ তার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের স্মৃতি পেছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসেবে বাঙালিকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়।

আওয়ামী লীগের মোট ২৪ বছরের শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন দেশ-বিদেশে আলোচিত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২ হাজার ৭৮২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ছিল ৯৯ মার্কিন ডলার।

বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন হয়েছে। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে সাফল্য এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গি দমনে সাফল্য সারা বিশ্বে আলোচিত। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, গৃহহীনদের গৃহ প্রদান ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকুক আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবিলি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই সাধারণ মানুশের প্রত্যাশা।


আরও খবর



যাদের জরায়ু নেই তাদের জ্ঞান দেওয়ারও প্রয়োজন নেই: রিচা চড্ডা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কল্কির সাংবাদিক সম্মেলনে কালো বডিকন ড্রেসের সঙ্গে হাই হিলে নজর কেড়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। ভক্তরা দীপিকার লুকের কদর করলেও নিন্দুকেরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হাই হিল পরাকে মোটেই সমর্থন করেননি। সমালোচকরা দীপিকার হাই হিল নিয়ে রীতিমতো যেন বিচারসভা বসিয়ে ফেলেছেন। এই রকম পরিস্থিতিতে দীপিকার পাশে দাঁড়ালেন আরেক অন্তঃসত্ত্বা রিচা চড্ডা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিগ স্ক্রিনে মুক্তি পাবে অশ্বিনী নাগ পরিচালিত বহু প্রতিক্ষীত সিনেমা কল্কি। প্রথমবার এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় জুটি বাঁধছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস ও বলিউডের গ্ল্যাম ডল দীপিকা পাড়ুকোন। এছাড়া, এই সিনেমায় রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়সহ আরও অনেকেই।

শেষ মুহূর্তে সিনেমার প্রচারে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন প্রভাস, অমিতাভ ও দীপিকা। কালো বডিকন ড্রেসে স্পষ্ট ছিল দীপিকার বেবি বাম্প। বলা ভালো প্রেগন্যান্সির ছয় মাস পর প্রথমবার বেবি বাম্প প্রদর্শন করলেন তিনি। সেই সঙ্গে নজর কেড়েছিল দীপিকার পেন্সিল হিল। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকরা একেবারে বিচারসভা বসিয়ে দিয়েছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই রকম হিল পরা উচিত নয় বলেও দীপিকার সমালোচনা করেছেন অনেকে। দীপিকাকে নিয়ে নেটিজেনদের সমালোচনার জবাব কড়াভাবে দিয়েছেন রিচা চড্ডা।

দীপিকা বা রণবীর এই প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি। কিন্তু, রিচা চড্ডা একেবারে চাঁচা-ছোলা ভাষায় জবাব দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নো ইউট্রাস নো জ্ঞান। অর্থাৎ যাদের জরায়ু নেই তাদের জ্ঞান দেওয়ারও প্রয়োজন নেই

প্রসঙ্গত, দীপিকার হিল পরা নিয়ে একজন নেটিজেন একটি রিল শেয়ার করেন। সেখানে দীপিকাকে সমর্থন করে তিনি লেখেন, দীপিকা বাচ্চা মেয়ে নয় যে ড্রেসিং সেন্স নিয়ে ওর কারও মতামত লাগবে। দীপিকা নিজের ভালোটা বোঝেন কোন জিনিস তাকে আরাম দেবে। তাই তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শের প্রয়োজন নেই। ওই রিল ভিডিওর নীচেই রিচ চড্ডার মন্তব্য, নো ইউট্রাস নো জ্ঞান

গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় কল্কির প্রচারে হাই হিলসহ কালো বডিকন ড্রেসে যেন প্রেগন্যান্সি গ্লো ফুটে উঠেছিল। তবে, ছয় মাসের গর্ভবতী এই ধরনের হাই হিল পরায় প্রচুর সমালোচিতও হয়েছেন দীপিকা। কেউ লিখেছেন, গর্ভাবস্থায় এমন হাই হিল সত্যিই বিপজ্জনক। কারও মতে, যতই সুন্দর দেখতে হোক না কেন, এই সময়ে এমন হাই হিল পরা একেবারে উচিত নয়। কেউ লিখেছেন, গর্ভাবস্থায় কে এমন হাই হিল পরে?

কিছুদিন আগেও অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সেই সময় গর্ভবতী স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন রণবীর সিং।


আরও খবর



রাশিয়ায় চার ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে রাশিয়াতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের চার শিক্ষার্থী। রাশিয়ার নভগোরোদ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করতেন তারা।

রাশিয়ায় মহারাষ্ট্রের এই চার তরুণেরই মৃত্যু হলো একসাথে। নদীতে তলিয়ে যাওয়া বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনের মরদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার বিবরণে জানা যাচ্ছে ভলখভ নদীর ধারে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন এই তরুণেরা। হঠাৎই নদীতে পড়ে যান তাদের একজন। তাকে বাঁচাতে নদীতে লাফ দেন বাকিরা। সেই বন্ধুকে তো বাঁচানো গেলই না, উল্টো বাকিরাও তলিয়ে গেল স্রোতে।

ঘটনাটি নজরে আসতেই স্থানীয় উদ্ধারকারী দল নদীতে নামে। একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে বাকি চার জন তলিয়ে যান। তাদের মধ্যে দু’জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ঈদকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র‍্যাব ডিজি।

মো. হারুন অর রশিদ বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রীক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে। প্রতিটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটি দলকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয় আমরা নজর রাখছি।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই। তবে কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যেকোনো গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরেও যদি এমন কিছু হয়ও আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোনো ঘটনা প্রতিহত করতে র‍্যাবের প্রস্তুতি রয়েছে। র‍্যাব বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিণত হয়েছে। জলে-স্থলে-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।


আরও খবর