আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কালুরঘাট সেতু সংস্কারে সময় লাগবে আট মাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু সংস্কারে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে রেলওয়ে। ৪৩ কোটি টাকায় আট মাসের মধ্যে সেতুটি ভারী ট্রেন ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালুতে প্রধান বাধা এখন কালুরঘাট সেতু। এ সেতুর উপর দিয়ে ১৫ এক্সেল লোডের ইঞ্জিনের ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে পরামর্শক টিমের তিনটি প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কালুরঘাট সেতুর সংস্কারে গত এপ্রিল মাসে টেন্ডার করা হয়। গত ১৮ মে টেন্ডার উম্মুক্ত করা হয়।

যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করবে। যদিও সেপ্টেম্বরে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনের কথা। সে হিসেবে ট্রেন চলাচল ও সেতুর মূল কাঠামো সংস্কারে তিন মাস সময় পাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

সেতুটির কাজের মধ্যে অনেককিছু পরিবর্তন করা হবে। এছাড়াও আলাদাভাবে পথচারী পারাপারে ডেডিকেটেড ওয়াকওয়ে করা হবে। যেটি শহর অংশ থেকে পারাপারে ডান পাশে করা হবে।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেলপথ সংযোগ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। যদিও গত ১৬ মে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজার সফরে গিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে পর্যটন নগরী পর্যন্ত ঢাকা থেকে ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনের ঘোষণা দেন। প্রকল্পের ১৫ শতাংশ কাজ বাকি থাকায় এবং ২০ কিলোমিটার রেলপথ বসানোর কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনের বিষয়টি জটিলতার মধ্যে পড়ে। তাছাড়া সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু করতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু।

কালুরঘাট পুরনো সেতুর পরিবর্তে নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বিলম্বিত হওয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক দল শিক্ষককে পরামর্শক নিয়োগ করে রেলওয়ে। বুয়েটের পরামর্শে নতুন সেতু নির্মাণ পর্যন্ত বিদ্যমান সেতু দিয়ে ভারী ট্রেন চলাচলের জন্য অন্তত ৬০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা হলে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। রোববার সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে যোগ্য দরদাতা নির্বাচিত করে চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, আগামী আট মাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি সংস্কার করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আপাতত সেতুর স্প্যান ও রেলপথ সংস্কারের কাজটি অগ্রাধিকার দেবে ম্যাক্স। আমরা সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেলওয়ে। সড়ক যোগাযোগের পথ, ওয়াকওয়েসহ অন্যান্য কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

কালুরঘাট সেতু সংস্কারে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পরামর্শক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল কাজ করেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদনে সেতুর স্পেনগুলো পুরানো হয়ে গেছে বলে জানান। এছাড়াও সেতুর স্পেন, পাটাতনসহ সব অংশের চিত্রে দেখা গেছে, সেতুর মূল ১৯টি স্পেনের মধ্যে ৮টির অবস্থা খুবই খারাপ। এগুলো অনেকটা ক্ষয়ে গেছে। সেতু সংস্কার কাজ শুরু হলে ট্রেন চলাচল উপযোগী করতে সময় লাগবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে পুরোপুরি সংস্কার শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগতে পারে। সেতু সংস্কারকালে দুটি ফেরী চালু করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে।

এর আগে রেলওয়ে চলতি জুনে সেতু মেরামতের প্রয়োজনে কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্ব এবং আসন্ন কোরবানির ঈদের কারণে সেতু দিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে না। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সেতু এলাকায় আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। ঈদের পর যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সেতু সংস্কারের মূল কাজ শুরু করা হবে। বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলী নদীর সেতুসংলগ্ন অংশে এরই মধ্যে ফেরি চলাচলের জেটি নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

প্রসঙ্গত, কালুরঘাট রেল সেতুটি ১৯৩১ সালে চালু করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে রেলের পাশাপাশি সড়কও চালু করা হয়। জরাজীর্ণ এ সেতুতে ট্রেনের বর্তমান গতি থাকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন চালু হলে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। বিকল্প সেতু না হওয়ায় কালুরঘাট সেতু সংস্কার করেই কমপক্ষে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালাতে হবে। বুয়েটের সুপারিশ অনুসারে সেতুটি সংস্কার করা হলে কমপক্ষে ১০ বছর ঝুঁকি ছাড়া ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে গতি ফেরাতে আগামীতে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুর ১টার মধ্যে সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া অপর এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




সুন্দরবনে যাতে আর আগুন না লাগে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শয়েরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে কাঠমান্ডু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর

দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু; ১৬৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, ১৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে চীনের বেইজিং।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।

নিউজ ট্যাগ: বায়ুদূষণ

আরও খবর



গরমে তালের শাঁসের যত উপকারিতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও সমাধান করে এই ফল।

জানেন কি, তালের শাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন এই ফল কোন কোন রোগ সারায়-

১. এই ফল শরীরে শক্তি জোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলেই শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।

২. শরীরকে আর্দ্র রাখতেও তালের শাঁস বিশেষ উপকারী। তবে গরমে এই ফল বেশি খেলে আবার পেট গরম হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

৩. পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, পেট গরমভাব ও জ্বালাপোড়া কমায় এই ফল। এই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দূর করে।

৪. বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ভুগছেন লিভারের সমস্যায়। জানেন কি তালের শাঁস লিভারের সুরক্ষায় কাজ করে। লিভারের উপর এটি পাতলা আস্তরণের মতো কাজ করে।

৫. গরমে হাত পায়ে চুলকানি কিংবা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে। এ সমস্যারও সমাধান করে তালের শাঁস। তাই গরমে দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখুন তালের শাঁস।

নিউজ ট্যাগ: তালের শাঁস

আরও খবর



রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি, একটা কথাই বলেছি, আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও। চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করবো না। রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাস্ত করব না। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও। তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখবো।

আজ রোববার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের  নব-নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আর বানু এনডিসি প্রমুখ।

ডা. সামন্ত লাল সেন নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায়, একটু ভাল ব্যবহার। একটু ভাল করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা৷ এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। আমি মনে করি, সেই স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছ। আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ৪১তম বিসিএস স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১০৩  জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৭১ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ১৫৩ জন যোগদান করেন।


আরও খবর