আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কবি সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। জননী সাহসিকা হিসেবে খ্যাত এই কবি ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।

সুফিয়া কামাল আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।

কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ২০ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনের সুফিয়া কামাল ভবনে (১০ বি/১, সেগুনবাগিচা, ঢাকা) কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকমণ্ডলী এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।

তিনি বলেন, কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।

সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক অনুকরণীয় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন অগ্রদূত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, কালজয়ী কবি বেগম সুফিয়া কামালের জীবন ও দর্শন এবং সাহিত্যকর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পাঠকের হৃদয় আলোকিত করবে।

তিনি বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিজ্ঞা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সঞ্চারিত হয় ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তাঁর দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রীনিবাসের নাম রোকেয়া হল রাখা হয়। তিনি ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলেন। শিশু সংগঠন কচি-কাঁচার মেলার তিনি প্রতিষ্ঠাতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের জননী সাহসিকা উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য বেগম সুফিয়া কামাল হল নির্মাণ করে।

বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সুফিয়া কামালের ছিল আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে তার প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন এবং তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।

সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলো এবং একাত্তরের ডায়েরি তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।

সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পদক, বেগম রোকেয়া পদক, সোভিয়েত লেনিন পদক ও জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার।


আরও খবর



এবার প্রকাশ্যে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন রাজধানীর ব্যস্ত স্থানে প্রকাশ্যে হামলার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ জুন) কোপেনহেগেনে এক ব্যক্তি এই হামলা চালায় বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের কুলতোরভেটে (পাবলিক স্কয়ার) প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনকে এক ব্যক্তি সজোরে ধাক্কা মারেন। পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেটে ফ্রেডেরিকসেন হামলার ঘটনায় হতবাক’ হয়ে পড়েছেন। শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি চত্বরে এমন হামলা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন এটিকে ঘৃণ্য কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তারা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করছে। তবে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হয়নি। হামলার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

দুই প্রত্যক্ষদর্শী ম্যারি আদ্রিয়ান ও আনা রাভন স্থানীয় সংবাদপত্র বিটিকে বলেছেন, তারা হামলাটি প্রত্যক্ষ করেছেন। বিপরীত দিক থেকে এক ব্যক্তি এসে প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে জোরে একটা ধাক্কা দেয়। যার ফলে সে পাশে পড়ে যায়। এটি একটি শক্তিশালী ধাক্কা’ হলেও প্রধানমন্ত্রী মাটিতে পড়ে যাননি।

হামলার পর দেশটির পরিবেশমন্ত্রী ম্যাগনাস হিউনিক বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ, নির্বাচনী প্রচারণা যাই হোক না কেন, একে অপরের দেখাশোনা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমাদের সুন্দর, নিরাপদ এবং মুক্ত দেশে এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে না। এটি কুৎসিত এবং অগ্রহণযোগ্য। আসুন আমরা দেখাই যে, ডেনমার্ক অনেক ভালো।

ডেনমার্কের মধ্য-বামপন্থী সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ফ্রেডেরিকসেন ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া, আছেন সিসিইউতে

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে আবার। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এর আগে গত ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। সেসময় তার চিকিৎসায় নিয়োজিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন পর ২ মে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফেরেন তিনি।

এর আগে ৩০ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বাসায় ফেরেন তিনি।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।


আরও খবর



আনোয়ারায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সড়কের পাশে নালা থেকে অজ্ঞাত(২৫) যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বারশত ইউনিয়নের পারকি গ্রামের দুধকুমড়া এলাকায় যাত্রী ছাউনির পাশে নালা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনা আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী। পাউবোর তথ্য মতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ী, মন্ডলীভোগ, হাসপাতাল রোড, তাঁতিকোন, বৌলা, চরেরবন্দ, মোগলপাড়া, ঢাকাইয়া বাড়ি, লেবারপাড়া, পাটনীড়া, কুমনা, শ্যামপাড়াসহ আবাসিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বসবাসরত মানুষজন। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রাথমিক সব ব্যবস্থা রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

ছাতকসহ পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই ছাতকের বহু গ্রামীণ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

ছাতক পৌর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আমান বলেন, ২২ এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। আমার ২ মেয়ের কেউ সাঁতার জানে না। কী হবে এখনো জানি না।

বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামি আহমেদ বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদেই আছি। কিন্তু আমাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছি বিপাকে। আমাদের মতো তারাও না খেয়ে আছে।

ছাতক উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিসহ অবস্থায় দিন পার করছে। উপজেলার ইছামতি-ছনবাড়ীবাজার, শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-সুনামগঞ্জ, ছাতক-দোয়ারাবাজার  সড়কের বিভিন্ন নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ছাতক পৌরসভারসহ নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, দক্ষিণ খুরমা, ভাতগাঁও, দোলারবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় সকলকে মানবীয় কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আর্মেনিয়ার ওপর চটল ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে আর্মেনিয়া। আজ শুক্রবার (২১ জুন) এই স্বীকৃতি দেয় দেশটি। এতে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। খবর এএফপি।

আর্মেনিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের সামরিকবাহিনীর আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সদস্যদের বন্দি বানানোর নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে দেশশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে, আর্মেনিয়ার ঘোষণার পরপরই এক বিবৃতিতে ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আর্মেনিয়ার স্বীকৃতিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর তিরস্কারের জন্য রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।


আরও খবর