চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় দুই
হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচ লাখের
নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জার্মানি,
যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৬৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ লাখ ৭৪ হাজার।
শনিবার (৭ মে)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ১ হাজার ৯৪৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে সাড়ে তিন শতাধিক।
এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৩ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ২৬ জন এবং মারা গেছেন ২৪৮ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮১২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ১১৬ জন এবং মারা গেছেন ২৯১ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৬ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ২২৪ জন এবং মারা গেছেন ১১০
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ১৩৯ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫২৬ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন।
ইতালিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৪৭ জন এবং মারা গেছেন ১২৫ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৯০ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৩৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
৫ হাজার ৫৪১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ৭১৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৬ জনের। গত একদিনে
অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায়
গত একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪৮
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৪ লাখ ৬৪
হাজার ৭৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ২০৬ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭০৫ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত
হয়েছেন ১৯ হাজার ৭২৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৩ জনের।
করোনায় আক্রান্তের
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের
সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত
হয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৭ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন
৪ কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার ২৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১১৩ জন এবং মারা গেছেন
৩০ জন। একই সময়ে কানাডায় নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৬২ জন এবং মারা
গেছেন ৪৩ জন। গ্রিসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৩০ জন এবং মারা গেছেন
৩৪ জন।
এছাড়া করোনায়
আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ২৫ জন, ইরানে ১২ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৪ জন,
আয়ারল্যান্ডে ২৩ জন, নিউজিল্যান্ডে ২৩ জন, চিলিতে ১৭ জন, গুয়েতেমালায় ৩০ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায়
১৭ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।