কুমিল্লার দেবীদ্বার
উপজেলার ফতেহাবাদ, ধলাহাস ও মরিচাকান্দা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামড়ে সাবেক
ইউপি সদস্য, শিশু-বৃদ্ধ, নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান,
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার ফতেহাবাদ, ধলাহাস
ও মরিচাকান্দা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দুটি কুকুর এলোপাতাড়ি লোকজনকে কামড়াতে থাকে।
কুকুরের কামড়ে নারী-শিশু ও পথচারী আহত হতে থাকলে স্থানীয়রা একটি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে
ফেললেও অপর কুকুরটিকে ধরতে পারেননি।
কুকুরের কামড়ে
আহত হন ধলাহাস গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলী হোসেন। আরো আহত হন একই গ্রামের জুলহাসের
ছেলে মো. শাহিন, অলিউল্লাহর স্ত্রী তাহেরা বেগম, মৃত দুধ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম,
আব্দুর রহমানের স্ত্রী সাহেরা বেগমসহ ৩০ জন।
এদিকে আহতদের
চিকিৎসায় র্যাবিক্স-ভিসি দেওয়া হলেও মূল ভ্যাকসিন র্যাবিক্স আইজি সরবরাহ না থাকায়
দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। জেলা
স্বাস্থ্য বিভাগে ভ্যাকসিন র্যাবিক্স আইজি সরবরাহ না থাকায় আক্রান্তরা স্থানীয় ওষুধের
দোকান থেকে তা সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিয়েছেন।
দেবীদ্বার উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ৩০ জনের মধ্যে
অধিকাংশই শিশু, নারী ও শ্রমজীবী।
গত ২৯ অক্টোবর
থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে
জলাতঙ্ক রোধে তিন হাজার ৫০০ কুকুরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা থাকলেও প্রায় এক হাজার
৭০০ কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান,
মানুষকে কামড়ানো ওই দুটি কুকুর ভ্যাকসিনের আওতায় ছিল না। কারণ কুকুরের গায়ে লাল রং
ছিল না।
এ ব্যাপারে উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, 'হাসপাতালে র্যাবিক্স-ভিসি
ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকলেও জলাতঙ্ক প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইজি ভ্যাকসিনের সংকট থাকায় আহতদের
বাইরের দোকান থেকে তা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অনেক রোগী বাইরের দোকানে ভ্যাকসিন না পাওয়ায়
ইনসেপ্টা ফার্মার বিক্রয় প্রতিনিধিকে আমরাও ফোন করে দেবীদ্বারে জরুরি ভিত্তিতে আইজি
ভ্যাক্সিন সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। '