আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে বন্যা: মৎস্য খাতে ৫৪ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জুন ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলায় ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। বন্যায় প্রাণিসম্পদের সাড়ে ১১ লাখ টাকা এবং মৎস্য বিভাগের ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। কুড়িগ্রামে বেসরকারিভাবে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়ালেও জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে ৪৯টি ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ২৩২ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম, ৯টি উপজেলায় একটি করে মনিটরিং টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে ১৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জুন) সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের খুটু মিয়া বলেন, আমি অন্যের পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। এবারও কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষ করছি। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে গেছে। এতে আমার দেড় থেকে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।  ওই ইউনিয়নের মিলপাড়া গ্রামের কাজিয়াল বলেন, বাড়িতে বন্যার পানি উঠায় গবাদিপশুগুলোকে নিয়ে উঁচু সড়কে এসেছি। আমাদের সঙ্গে সঙ্গে গরুগুলোরও খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন রাস্তায় থাকা লাগবে। বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলে তারপর বাড়ি যাব।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, রোববার সকালের তথ্য অনুযায়ী জেলার ৪৯ ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ২৩২ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তবে সব উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে তথ্য না আসায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা দেড় লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ৭৪২টি পুকুরের ৭০৫ জন মৎস্য চাষির ১১৫ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যায় প্রায় অর্ধশতাধিক মুরগি মারা গেছে। এছাড়া গো-চারণভূমি, খড় ও দানাদার শস্য তলিয়ে যাওয়ায় ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৮টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ১০ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কর্মকর্তারা পরামর্শ দেওয়াসহ তথ্য সংগ্রহ করছেন।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ জানান, বন্যার্তদের সহযোগিতায় মেডিকেল টিমের সদস্যরা বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নাগেশ্বরীতে বেড়িবাঁধের ৫০ মিটার ওয়াস আউট হয়ে গেছে। এ ছাড়া দুধকুমর নদীর কালীগঞ্জ, বামনডাঙ্গা ও ধাউরারকুটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই এলাকায় ৪৮ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু করা হবে। বন্যার পানি আরও তিন দিন বাড়বে। এরপর কমতে শুরু করবে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে জেলা প্রশাসক দপ্তরে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা এবং ৪০৭ মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। এছাড়া আরও ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুড়িগ্রাম

আরও খবর



বাসে যবিপ্রবি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

লোকাল বাসে বহিরাগত কর্তৃক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভার্সিটির সকালের বাস মিস করায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ধর্মতলা থেকে চৌগাছাগামী লোকাল বাসে ওঠে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে চূড়ামনকাঠি থেকে মাসুদ নামের একটি ছেলে বাসে ওঠে। বাসে সিট খালি না থাকায় ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকে মাসুদ। বাসে ভিড় থাকার সুযোগে ওই নারী শিক্ষার্থীর শরীরে স্পর্শ করতে থাকে মাসুদ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ছেলেটিকে সরে যেতে বললে, কথা না শুনে পুনরায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে মাসুদ। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করলে তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

একপর্যায়ে বাসটি ক্যাম্পাসের গেটে আসলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে নেমে পড়েন মাসুদ। তবে বিষয়টি ক্যাম্পাসে জানাজানি হবার পূর্বেই ছেলেটি পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঘটনাটি সহপাঠীদের জানালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এদিকে বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

বিষয়টি জানতে পেরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ঘটনায় বিস্তারিত যবিপ্রবি উপাচার্য সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে, তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে এবং পুনরায় যেন এ রকম কার্যকলাপ না ঘটে সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হবে। আমরা যশোর বাস মালিক সমিতির সঙ্গেও আলোচনা করব যেন তারা এসব বিষয়ে এরপর থেকে আরও সচেতন থাকে।


আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



বিএমডিসি ছাড়া 'ভুল চিকিৎসা' বলার অধিকার কারো নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।

চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো।

এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।


আরও খবর



মির্জাপুরে রাজশাহী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ১০ যাত্রী আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কে মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া রেলস্টেশনে হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

এ সময় যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় অন্তত ১০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।

গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে মহেড়া রেলস্টেশন মাস্টার সোহেল খান জানিয়েছেন। ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর রাজশাহীর উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, ওই স্থানে বিকেল পাঁচটার সময় ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রসিংয়ের জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থামানো হয়। বগির কয়েকজন যাত্রী নীচে নেমে হাইড্রোলিক ব্রেকের স্থানে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে স্টেশনের ও ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

মহেড়া রেলস্টেশন মাস্টার সোহেল খান বলেন, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানোর সময় গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগে। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক জানতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে লাফিয়ে নীচে নামার কারণে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতে সংখ্যা ১০ জনের মতো হবে।

এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মির্জাপুর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা বিলম্বে ছাড়ে।


আরও খবর