আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

Image

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিয়ের দাওয়াত ‌খেয়ে ফেরার পথে তিস্তা নদীতে নৌকা ডুবে আড়াই বছরের এক কন্যাশিশু মারা গেছে। উলিপুরের সাদুয়া দামারহাট এলাকায় তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ‌্যার পর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামারহাট এলাকায় এ ঘটনা‌ ঘটে। নিহত শিশুর নাম আয়শা খাতুন। সে বজরা গ্রামের বাসিন্দা জয়নালের মেয়ে।

জানা গেছে, ডুবে যাওয়া নৌকায় ২৬ জন বরযাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। নিখোঁজ ছিলেন ৮ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

উলিপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আব্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা ঘটনাস্থলেই আছি। এখন পর্যন্ত এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলেই আছি। ঠিক কতজন নিখোঁজ তা বলা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা বলছেন ৫ থেকে ৮ জন নিখোঁজ থাকতে পারেন।

বজরা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধ্যা ৭টার দিকে। যতটুকু শুনেছি তারা দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। তবে কতজন নিখোঁজ সেই তথ্য আমার জানা নেই।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।

রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, এক শিশু নিহত হয়েছে এটা নিশ্চিত। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।


আরও খবর



মেহেরপুরে পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর শহরের গড়পুকুরে গোসল করতে নেমে তৌফিক হোসেন (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তৌফিক হোসেন মেহেরপুর ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ও শহরের নতুনপাড়ার তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

তৌফিকের বন্ধু রিফাত আলী জানান, সে, তৌফিক, মিতুল, অয়ন ও তানিম স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়। তারা স্কুলে না গিয়ে শহরের মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখা শেষে সকাল ১০টার পর শহরের গড়পুকুরে গোসল করতে নামে তারা। গোসলের এক পর্যায়ে পা ফসকে গভীর পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে তৌফিক ও রিফাত। রিফাতকে অন্য বন্ধুরা উদ্ধার করতে পারলেও তৌফিককে কোনভাবেই উদ্ধার করতে পারেনি। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। সেই সাথে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের। টানা এক ঘন্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা তৌফিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে নেওয়া হয় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌউদ কবীর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কনী মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। কোন অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধস, ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় শিশু। বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছেন। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- রোহিঙ্গা মো. হারেস (২), মোছা. ফুতুনি (৩৪), মো. কালাম, মোছা. সেলিনা খাতুন, আবু মেহের, জয়নব বিবি, মো. হোসেন আহমদ (৩০), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও স্থানীয় শিশু আবদুল করিম (১২)।

পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে থাইংখালি ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ধসে কাঁটাতারের বাইরে শাহ আলমের বাড়িতে এসে পড়ে। এ সময় আব্দুল করিম নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর



সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান এমপি। তিনি বুধবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১ শ' মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। এরমধ্যে সিলেট অঞ্চল অন্যতম। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আমাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখছেন। ঈদের দিন আমকে ফোন করে বন্যার খবর জানান। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতিনিয়ত তিনি এর খোঁজ খবর রাখছেন।

সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি কর্পোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



সিলেটে বন্যায় মৎস্য খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার মৎস্য চাষী ও খামারিরা। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ উপজেলায় ঢলের পানিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর মাছের ঘের। সৃষ্ট বন্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় শত-শত পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়। কোন কোন পুকুরের চিহ্ন ও দেখা যায়নি। আর বেশিরভাগ পুকুর বিশাল জলারাশির নিচে ঢাকা পড়ে যায়। খামারীরা শেষ চেষ্টা হিসেবে জাল ও নেট দিয়ে মাছগুলো আগলের রাখার শেষ চেষ্টা করলেও পানির তোড়ের কাছে তারা হার মানে না।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার ৩৮২ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৮ হাজার ২৫৮টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৮ শত ৪৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৫৬ দশমিক ৮৫ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১৬ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর।

জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ৯০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৭৫০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ১৪ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৫ কোটি ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ৪২ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৫১০ হেক্টর।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৯ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২৯টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১০৫ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৭ লাখ ২৫ হাজার মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ৩৫ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ২০ দশমিক ৪৫ হেক্টর।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ হাজার ৭০০ মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ১০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৩৫০ মেট্রিক টন মাছ ও ২২ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৬ কোটি ৯৮ লাখ, পোনার মূল্য ৬০ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩১০ হেক্টর।

জৈন্তাপুর উপজেলার ১ হাজার ৯৫৩ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ৭৫টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ২১ দশমিক ৬০ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩৩৬ দশমিক ০৩ হেক্টর।

কানাইঘাট উপজেলার ২ হাজার ৮০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৩ হাজার ৩০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১১০ মেট্রিক টন মাছ ও ৬ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ, পোনার মূল্য ১৮ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৪০৭ হেক্টর।

জৈন্তাপুর এলাকার এক মাছ চাষী বলেন, পুকুরে মাছ চাষের জন্য ঋণ নিয়েছি। বন্যার শুরুতে পুকুরের চারদিকে ঘের দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বন্যার তোড়ে সব মাছ ভেসে গেছে। একই উপজেলার আরেক মাছ চাষী বলেন, নির্ঘম রাত কাটিয়েও রক্ষা করতে পারিনি স্বপ্নের খামারটি। চোখের সামনেই ভেসে গেছে মাছ।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কাতল, রুই ও অন্যান্য জাতের মাছ ছিল। আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মাছের পাশাপাশি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি ভেসেও সকল পোনা চলে গেছে। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। মৎস্য চাষীদের অনেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। এখন মাছ ভেসে যাওয়ায় একদিকে সংসার চালানোর চিন্তা, অন্যদিকে ঋণ শোধের চিন্তা। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে মৎস্য ঋণ মওকুফ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে আগামী দিনে নতুনভাবে মৎস্য চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান মৎস্য চাষীরা।

সিলেট জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সীমা রাণী বিশ্বাস আলাপকালে জানান, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে দেশি মাছের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে খামারিদের সহায়তা করা হবে।


আরও খবর



অল্প বৃষ্টিতেই ডুবল ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ক ও মার্কেট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকার ড্রেনেজের বেহাল দশা। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও বাজারে পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষাকাল আসতে না আসতেই শহরের এ অবস্থায় নাজেহাল পৌরবাসী।

তবে ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি নিস্কাশনে না হওয়ায় অনেক মার্কেটের দোকানপাটের ভেতর ঢুকছে পানি। এতে আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্টসহ ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজের এমন বেহাল দশা থাকলেও ব্যবস্থায় উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার (১২ জুন) মধ্যরাতে ও সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলি সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ময়লা পানির ভ্যাপসা গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

জলাবদ্ধতা সৃষ্ট শহরের বেশকটি এলাকা ঘুরে জলজটে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা পানিতে ডুবলেও খোঁজ নিতে আসেন না কোনো কাউন্সিলর, এমনকি মেয়রও। শহরবাসী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে নিচ্ছেন না কোনো ব্যবস্থা।

জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে শহরের নরেশ চৌহান সড়ক, নর্থ সার্কুলার রোড, গোয়ালপাড়া, কলেজপাড়া, কালিবাড়ি, শাহপাড়া, মুসলিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ড্রেনেজগুলোর বেহাল দশার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রনি বলেন, এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। রাস্তাটিও নিচু। ড্রেন অপরিষ্কার থাকে। বৃষ্টি হলে শহরে কোথাও পানি জমুক আর না জমুক, এই এলাকায় পানি জমবেই।

নরেশ চৌহান সড়কের ব্যবসায়ী উজ্জল, মুকুলসহ অনেকে জানান প্রথম শ্রেণির পৌরসভার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আর কি বলার থাকবে। পানি ঢুকে ব্যবসায়ীক সামগ্রীসহ জিনিসপত্র ক্ষতি হচ্ছে এ দায় কে নিবে। পৌর মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা দাবি করি ব্যবস্থায় উদ্যোগ নিন, না হলে সড়কে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মকসেদ বলেন, কালিবাড়ি রোডের ড্রেনটি পরিস্কার করতে মেয়র ও কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সংস্কার না করায় ড্রেনগুলো উপচে পড়ছে। তাই আগের মতো পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যাচ্ছে।

হাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ময়নুল জানান, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বেহাল দশার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাড়িতে হাঁটু পানি জমে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। র্দীঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় শহরবাসী ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যাটির সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তাই শহরবাসীর জন্য প্রয়োজন আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

প্যানেল মেয়র সুদাম সরকার জানান, এই মেয়রের সময়কালে কাউন্সিলররাও রীতিমত বিরক্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি কোন ভূমিকা রাখছেন না। সে কারনে রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, প্রকল্প আসলে প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর