আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন ম্রুণাল ঠাকুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

২০২২সালের সর্বোচ্চ আয়কারী তেলেগু চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম সীতা রামম। এই সিনেমাটিতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুর। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে তার আরও একটি জনপ্রিয় সিনেমা হাই নান্না। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭২ কোটি রুপির বেশি আয় করে বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করেছে। এই বছরও বেশকিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। চলুন ছবিতে ছবিতে এই অভিনেত্রী সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেই-

১৯৯২ সালের ১ আগস্ট মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। কলেজের পর আর পড়াশুনা করেননি। কারণ সেই সময়েই কর্মজীবন শুরু করেন টেলিভিশনে। ২০১৮ সালে তাবরেজ নুরানি পরিচালিত লাভ সোনিয়া চলচ্চিত্র দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।

এরপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে সেগুলো ব্যবসায়িক সফল্য পায়নি। হানু রাঘবপুদি পরিচালিত প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র সীতা রামম সিনেমাটি তার জীবনের মোর ঘুরিয়ে দেয়। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে আয় করে ৯৮.১ কোটি রুপি।

গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনয় করা আরও একটি সফল চলচ্চিত্র হাই নান্না  জনপ্রিয়তা অর্জনের পর চলতি পছর বেশ কয়েকটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই অভিনেত্রী। যেগুলো মুক্তি পাবে এবছরই। তাই বলাই যায়, তিনি ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন।


আরও খবর



ঢাকায় বস্তি থাকবে না, দিনমজুররাও থাকবে ফ্ল্যাটে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকায় কোনো কাঁচা বস্তি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকবে না। সুন্দর পরিবেশে সবাই বসবাস করবে। সেই ব্যবস্থা করে দেবো। এই পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করি।

পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের স্থানে ১০তলা বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট, শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ (শনিবার) সকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। যে বস্তিতে যেরকম ভাড়া সেরকম ভাড়াই দেবে। কিন্তু তারা ফ্ল্যাটে থাকবে। শুধু বড়লোকেরাই ফ্ল্যাটে থাকবে সেটা হতে পারে না, আমাদের রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দিন মজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে। স্বল্প ভাড়া, কেউ যদি প্রতিদিন ভাড়া দিতে চায়, সেই ব্যবস্থা আছে। কেউ যদি সাত দিনের ভাড়া দিতে চায়, সে ব্যবস্থা আছে। কেউ মাসের ভাড়া দিতে চাইলে সে ব্যবস্থাও হবে। আমরা ইতিমধ্যে ৩০০ পরিবার তুলেছি।

পরিবেশ রক্ষার গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের এক টুকরো জমি আছে তারা একটা ফুলের গাছ, একটা ফলের গাছ হলেও লাগান। যাদের গ্রামের বাড়ি আছে সেখানে যেন অনাবাদি জমি না থাকে সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস,  ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইব্‌রাহিম।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের যুবসমাজ লেখাপড়া করে কাজ পায় না, সেখানে আমরা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছি। যারা কম্পিউটার শিখবে, ডিজিটাল সিস্টেম শিখবে। তারা ছাড়াও অন্য সকলে এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবে। কোম্পানির আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি যাতে কোম্পানি খুলতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। একটা কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি। যে ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে আমাদের তরুণরা অন্তত দুই লাখ টাকা নিতে পারে। এককভাবে বা কয়েকজনের মিলে যাতে বিভিন্ন ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।

পাস করে চাকরির সন্ধানে না ছোটার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজেই নিজের বস হবেন, নিজের চাকরি দেবেন, নিজে উদ্যোক্তা হবেন, নিজের চাকরি দিতে পারবেন, সেভাবে তরুণদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে আমরা কম্পিউটার ট্রেনিং এবং ইনকিউবেটর সেন্টার করে দিচ্ছি। স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দিচ্ছি। ট্রেনিংয়ের সাথে সাথে সব ধরনের সুযোগ আমরা করে দিচ্ছি। শুধু দেশে নয়, বিদেশে কাজ করতে গেলেও উপযুক্ত ট্রেনিং নিয়ে যাওয়া ভালো। দালাল ধরে টাকা খরচ করে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরার চেয়ে নিজের দেশে থেকে কাজ করা অনেক লাভবান। এ ব্যাপারে মানুষকে একটু উজ্জীবিত  করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজকে লেখাপড়া করতে হবে। মাদক, নেশা, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। একটা মাদকাসক্ত সন্তান যদি থাকে তাহলে সেই পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। তোমরা বাবা-মাকে কষ্ট দাও কেন? নিজেকে কষ্ট দাও কেন? যারা মাদক সেবন করে তারা পরবর্তীতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে যায়। নিজেদের ঘর সংসার হয় না, কিছু হয় না। জনগণকে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

আসন্ন ঈদুল আজহায় যেখানে সেখানে পশু কোরবানি না করার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে পশু কোরবানির জন্য আরও আধুনিক ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে সিটি করপোরেশনগুলোকে। শুধু সিটি করপোরেশন নয়, দেশব্যাপী আধুনিক ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যেন শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। পানির যাতে অপচয় না হয়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর জলাশয় ভরাট করা যাবে না, এটি ভরাট করে বহুতল ভবন  নির্মাণ করাও যাবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশ যত উন্নত হচ্ছে মানুষের কাজকর্ম ততো বাড়ছে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। এরইমধ্যে রাজধানীবাসীর যাতায়াতের জন্য ঢাকাতে একটি মেট্রো রেলপথ তৈরি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মেট্রো রেলপথ নির্মাণ করা হবে। কিছু ওপর দিয়ে যাবে, আবার কিছু পাতাল দিয়ে যাবে। সেইভাবেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ভারত সফর শেষে দেশে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

তার আগে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এ ছাড়া এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন ও তিনটি নবায়নকৃতসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



সিলেটে বন্যার্তদের পাশে প্রবাসী কল্যান প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

শনিবার (১লা জুন) দুপুর থেকে তিনি বন্যা দূর্গত কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ  জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট, জৈন্তাপুর, চারিকাটা ও দরবস্ত  ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যা কবলিত  মানুষের মাঝে এাণ সহায়তা বিতরণ করেন।

এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্যায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে সফর শেষে সরাসরি আপনাদের কাছে এসেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের রাজনীতি করে। যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি আশা ও ভরসার স্থান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০২২ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের মানুষের পাশে ছুটে এসেছিলেন। নিজের চোখে মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দেখে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা করছে, আমি সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ত্রান মন্ত্রীর সাথে কথা বলে সিলেটের বানবাসী মানুষের জন্য আরও সহায়তা আনার ব্যবস্থা করবো।

এসময় প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বানবাসী মানুষ তাদের কথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী নিজেও রাস্তাঘাটে দাঁড়িয়ে বানবাসী মানুষের কথা গুরুত্বের সাথে শোনেন। সেই সাথে বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা দেন।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো: নাসির উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ও জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম লিয়াকত আলী, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয়  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: চোরাচালানের পর মিলছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িত গডফাদার, প্রভাবশালী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও কিছু সংখ্যক বড় বড় ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসছে। এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনও তার পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জড়িত খুনিদের রক্ষা করতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে তথ্য পেয়েছেন। এই তথ্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসায়ী এবং মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণকে এমপি আনার হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত খুনি ও রাজনৈতিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একের পর এক নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকার একাধিক নেতা ও এমপি আনারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম মিন্টুর নির্বাচনি আসন হরিনাকুন্ড উপজেলা। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন একজন ক্ষমতাধর বড় ব্যবসায়ী। এই আসনে মিন্টুর পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর নির্বাচন করলেও তার জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোটকথা এলাকাবাসির তথ্য অনুযায়ী, মিন্টুর এই আসন হাতছাড়া। তাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঝিনাইদহ-৪ আসনে নির্বাচন করা। এ নিয়ে তিনি সামনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্ষমতাসীন একাধিক এমপি ও দলীয় নেতাকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা প্রদান করে আসছেন। ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও এমপি আনার ও মিন্টুর মধ্যে বিরোধ ছিল। এমপি আনার বেঁচে থাকলে মিন্টুর এমপি হওয়া কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। মিন্টু এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে এলাকার একাধিক নেতা জানিয়েছেন। কালীগঞ্জ এলাকার এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত সিবিআই নেতাসহ একাধিক ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেন্সে গত ১৩ মে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ঐ সকল জড়িত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রভাবশালী এমপি ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাসেই তারা এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বুধবার (১২ জুন) এমপি আনারের কন্যা ডরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এ সময় তার পিতা এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের রক্ষায় তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রভাবশালীদের তৎপরতা এবং তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাসহ বিস্তারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি কন্যা ডরিনকে আশ্বাস দেন যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধীকে তিল পরিমাণ ছাড় দেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমপি আনার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, তার পিতার হত্যাকারীদের বাঁচাতে কিংবা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে। এমন তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। এজন্য তার সন্দেহ যে পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ফলাফল আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এমনকি অনেকে নিখোঁজও হয়েছেন। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই বিচার হয়নি। এমনকি নিখোঁজ কাউকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কালীগঞ্জ এলাকায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ও কাজী কামালসহ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান যে, এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন আগের সব খুনের ঘটনার মতো ধামাচাপা না পড়ে।


আরও খবর



আচরণ বিধি লঙ্ঘন: নিক্সন চৌধুরীকে শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরীকে (নিক্সন) কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সোমবার (২৭ মে) তাকে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান এতে উল্লেখ করেছেন, আপনি মজিবুর রহমান চৌধুরী, মাননীয় সংসদ সদস্য ২১৪ ফরিদপুর-০৪। সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম আনারস প্রতীক কর্তৃক তার (মো. শহিদুল ইসলাম) বিপক্ষে আপনার একটি অডিও/ভিডিও ক্লিপের বক্তব্য হোয়াটসঅ্যাপে অবহিত করেছেন এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতেও প্রচার হয়েছে।

এছাড়া, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৪ উপলক্ষে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীক কর্তৃক আপনার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ সংক্রান্ত আচরণ বিধি লঙ্ঘন বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

যেহেতু, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি-২ এর উপবিধি (১৪) অনুযায়ী আপনি সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। উল্লেখ, বিধি-২২ এর উপবিধি (১) ও (২) অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

সেহেতু, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি-২২ এর উপবিধি (১) ও (২) এবং বিধি ১৮ অনুযায়ী এবং অন্যান্য প্রাপ্ত নথিসমুহে, আপনার কর্তৃক আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এই অবস্থায়, আপনি সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও কেন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন? তার সুনির্দিষ্ট লিখিত ব্যাখ্যা, আগামী ২৮ মে বিকেল ৪টার মধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসার, ভাঙ্গা সদরপুর ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হবে।


আরও খবর