আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে মালদ্বীপ। তবে নতুন আইন কবে থেকে কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।

বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং অন্তহীন সাদা বালির সৈকতের জন্য পরিচিত ভারত মহাসাগরের দ্বীপ-রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় রোববার (২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়।

মন্ত্রিসভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশটির আইন সংশোধন করা হবে এবং তদারকির জন্য একটি মন্ত্রিপরিষদ উপকমিটি গঠন করা হবে বলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার খবরের পরে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থাকে মালদ্বীপ ভ্রমণ এড়াতে এবং সেখানে থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের চলে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ঘোষণা করেছেন, ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়নের জন্য একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির (ইউএনআরডাব্লিউএ) সাথে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই ও বোনদের সহায়তা করার জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।

মুইজ্জু ফালাস্থিনা একু ধিভেহিন’ স্লোগানের অধীনে দেশব্যাপী একটি সমাবেশও পরিচালনা করবেন। যার অর্থ ফিলিস্তিনের সাথে সংহতিতে মালদ্বীপবাসী’।

রাফায় বাস্তুচ্যুত একটি শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনায় মালদ্বীপের নিন্দা জানানোর কয়েকদিন পর এই খবর এলো।


আরও খবর



বিএসএমএমইউয়ে মরণোত্তর দেহদান ও অঙ্গীকারকারীদের সম্মাননা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানবজীবন সত্যিই মহান। এ জীবন হতে পারে কত সুন্দর। মৃত্যুর পরেও এ জীবন আলো ছড়াতে পারে অন্যের জীবনে। হতে পারে অন্যের জীবনী শক্তি, প্রাণের হৃৎস্পন্দন। মরেও অমর হয়ে যায় এই মানবজীবন। এমনই সুন্দর, আলোকিত, অমৃতময় জীবনের অধিকারী গুণী ও মহৎ ব্যক্তিদের মিলন মেলা বসেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের আয়োজনে মরণোত্তর দেহদানকারী ও দেহদানের অঙ্গীকারকারী প্রায় অর্ধশত মহৎ ব্যক্তিদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে আলোকিত মানুষকে নিজ হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্মাননা প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, আজকের দিনে আমি সত্যিই অভিভূত ও আবেগাপ্লুত। এটা আমার জন্য একটি সুন্দর ও মহৎ দিন। আজ আমি এখানে কিছু মহামানবকে দেখছি। আপনারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষার কার্যে আপনারা মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক কর্নিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দান করেছেন। তাই আজ আমার মনে পড়ছে স্বামী বিবেকানন্দের সেই অমর বাণী জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। মানুষ হিসেবে আপনাদের স্থান অনেক ঊর্ধ্বে। আপনারা সাদা মনের মানুষ। আপনাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা অসীম। মানুষের জন্য শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে যারা কাজ করে যায় আপনারা সেই সুন্দর শ্রেণির মানুষ। আপনাদেরকে পেয়ে আমরা সম্মানিত ও গৌরব বোধ করছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, মারা যাওয়ার পরে অনেক মহৎ ব্যক্তি মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এনাটমি বিভাগে দান করে গেছেন। এই দেহটি পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা শিক্ষা এবং গবেষণার কার্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার কর্নিয়া দান করে গেছেন, যেই কর্নিয়াগুলো আবার পরে অন্য মানুষের চোখে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। সেই সব মহৎ ব্যক্তির স্মরণেই আজকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে এমনও অনেক মহৎ ব্যক্তি আছেন যারা দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। সেই সব ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদক প্রাপ্ত  মনোরঞ্জন ঘোষাল, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব কৃষ্ণ দাস গুপ্ত (মনু গুপ্ত), রয়েছেন জাতীয় পতাকার অন্যতম মূল নকশাকার প্রয়াত স্বর্গীয় শিবনারায়ণ দাস, রয়েছেন সাংবাদিক ও আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাদেরকে ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আজকের এই আয়োজন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানুর সভাপতিত্বে ও  সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আক্তার সুমির সঞ্চালনায় মহতী এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্যাহ, এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিন, ডা. লতিফা নিশাত, ডা. শাফিনাজ গাজী, ডা. মহিউদ্দিন মাসুমসহ এনাটমি বিভাগের রেসিডেন্টবৃন্দ।


আরও খবর



অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্য বিক্রি, লাজফার্মাকে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান লাজফার্মায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্যপণ্য বিক্রয়, আমদানির পক্ষে সঠিক প্রমাণ দেখাতে না পারাসহ নানা অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম।

অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্য বিক্রি, লাজফার্মাকে লাখ টাকা জরিমানা

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের মোড়কে উৎপাদন-মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছিল না। এছাড়া পণ্যের ওজন-পরিমাণ নেই এবং ক্রয়ের কোনো রশিদ দেখাতে পারেনি।

ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্য বিক্রি হচ্ছিল। তারা আমদানির পক্ষে সঠিক প্রমাণ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তথ্য জানাতে পারেননি। এসব অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ও নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে উচ্চশিক্ষিত নারীর ১৪ গরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কোরবানির বাজার বিবিরহাটে রাখা হয়েছে উচ্চ শিক্ষিত নারীর ১৪ গরু। মানুষের ভিড়ের মধ্য নজর কাড়ছে তার গরুগুলো।

সালমা খাতুন নিজের পালিত ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রামের গরুর বাজারে। নারী হলেও গরু পালনে এগিয়ে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কলসি গ্রামে। দেখে মনে হচ্ছে না সে স্বাভাবিক কোনো খামারি। দেশের সাধারণত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। তিনি পরম মমতায় গরুগুলোকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন এবং ক্রেতাদের সাথে গরু নিয়ে দরদাম করছেন। বাজারে পুরুষ বিক্রেতার মধ্যে তিনি একমাত্র নারী বিক্রেতা। সালমা খাতুন জানালেন তার সংগ্রামী জীবনের কথা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করা সালমা খাতুন বলেন, ‌আমি চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে আমের ব্যবসা করি। ২০১৯ সালে শখের বসে গরু পালন করছি। এরপর  সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসাকে বড় করেন। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইচ্ছাশক্তির কারণে পরর ইউসিবি ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।   নিজের পালিত গরু বিক্রি করতে চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে এসেছেন। গত ২০২২ সালে এই বাজারে এসেছিলাম, তখনও সব বিক্রি করে গেছিলাম। এবারের কোরবানির বাজারে তিনি ১৪টি গরু এনেছেন।

তিনি বলেন, আমার এখানে ১ লাখ ১২ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামের গরু আছে। আমরা বাজারে গরুগুলো এনেছি গত বৃহস্পতিবার। সবকিছু বিক্রি হয়ে যেতে পারবো আশা করছি।

 এসময় ক্রেতারা জানান, 'নারী হলেও গরুর খামার করা সাহসী ব্যাপার। তিনি অনেক দূর থেকে এসেছেন। তার সাহস আছে। ওনার দেখাই অনেক নারীও এই পেশায় আসবে। একজন খামারি হিসেবে তিনি সফল হবেন।'

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ফের আদালতে ধাক্কা খেলেন কেজরিওয়াল, জামিন স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির হাইকোর্ট তার জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এতে করে নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েও আপাতত জেল থেকে বের হওয়া হচ্ছে না তার। শুক্রবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেয়। শুক্রবার দিল্লির তিহাড় জেল থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু তার আগেই জামিনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর সেখানেই আপাতত নিম্ন আদালতের জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নিম্ন আদালতে কেজরিওয়ালের জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন ও বিচারপতি রবীন্দর দুদেজার ভ্য়াকেশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে ট্রায়াল কোর্টের জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলার শুনানি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই রায়ে (জামিন) স্থগিতাদেশ থাকবে।

হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আদালতের কাছে রিলিজ অর্ডার এসে পৌঁছয়নি। কোন শর্তে কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছেন, তাও জানা নেই।

এদিকে ইডির পক্ষ থেরকও এদিন আদালতে দাবি করা হয়েছে, রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানির সময় ইডির আইনজীবী বা সলিসিটর জেনারেলকে গতকাল বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ইডির পক্ষ থেকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে দাবি করা হয়েছিল, অন্তত ৪৮ ঘণ্টার জন্য জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। তবে সেই আবেদন মানেনি আদালত।

অন্যদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির দাবি, এর আগে এই মামলার শুনানি হয়েছে। ৭ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলেছে। তখন বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন ইডির আইনজীবীরা। তবে যাই হোক, দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ফলে নিম্ন আদালতে জামিন পেলেও, জেল থেকে আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দিল্লির সরকার একটি মদ নীতি গ্রহণ করে। এরমাধ্যমে শহরটিতে মদ বিক্রি আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে অভিযোগ উঠে এই নীতি ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কিন্তু লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। ওই সময় জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দিল্লিতে দলের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তবে লোকসভায় তার দলের কোনও প্রার্থীই জয় পাননি।


আরও খবর



সাধারণ মানুষ আমার প্রাণশক্তি, বিচ্ছিন্ন হতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। যেহেতু আমার জীবন ঝুঁকিতে থাকে, সেজন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা নিয়োজিত থাকে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই সেদিকটা সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে এসএসএফকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হতে গুলি-বোমা লাগে না। এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। কেননা সাধারণ মানুষই আমার প্রাণ শক্তি।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসএফের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং ক্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। দেশ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিলো। তবে এতো বড় গুরু দায়িত্ব নিতে হবে সে প্রস্তুতি কখনোই ছিলো না। তখন দেশের দুরাবস্থা সহ্য করার মতো ছিলো না।

যতোক্ষণ নিঃশ্বাস আছে ততোক্ষণ মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার চেষ্টা করে যাবো, এমন অঙ্গিকার করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ঝুঁকি জেনেই দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর থেকে শত বাধা পেয়েও পিছিয়ে যাইনি। দেশের জন্য কাজ করছি।

এদিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান ও টেকসই করতে পেরেছি। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অপরদিকে, সম্প্রতি কক্সাবাজারে মায়ানমার সীমান্তে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কখনও কখনও ছুটে আসছে গুলিও। কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ইতিমধ্যে জাতিসংঘে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের যে কোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাবো না, তবে আক্রান্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের ঘোষণা অনুসারে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। যা একই বছর ১৯ জুন থেকে কার্যকর হয়।

পূর্বের ঘোষণা অনুসারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন  প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করেন। পরে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ১৯৯১ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নামকরণ করা হয়।

যদিও প্রাথমিকভাবে শুধু রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দিতে এসএসএফ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকারপ্রধানকেও এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং এ সংস্থাটিকে তখন থেকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের অধিকার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর সংস্থাটি বর্তমানে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদেরও সর্বস্থানে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।

এসএসএফ রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায়ও নিয়োজিত। সংস্থাটি বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশ ও দেশের বাইরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তায় যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা ও সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও তারা অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।


আরও খবর