আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

মিস পাকিস্তান হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কপোতাক্ষী

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল ২০২৩ মুকুট জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা। সে পাকিস্তান প্রবাসী মনির আহাম্মেদের মেয়ে। মনির আহাম্মেদদের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের পৌর শহরের মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়পাড়ায়।

পাকিস্তানের জিও টিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ৩১ মে পাকিস্তানের লাহোরে বিলাসবহুল গ্র্যান্ড পাম হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী ছিলেন কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা।

আরও পড়ুন: কোহলিকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে তামান্না

প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, কানাডাভিত্তিক মিস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংস্থাটি।

এ বছর মিস পাকিস্তান গ্লোবাল জিতেছেন ওয়ার্দা মুনিব রাও, মিস ট্রান্স পাকিস্তান জিতেছেন আলিনা খান, মিস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড জিতেছেন শাফিনা শাহ (যুক্তরাজ্য), মিস পাকিস্তান ইউনিভার্স জিতেছেন বিনিশ জর্জ এবং মিসেস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড মুকুট জিতেছেন ফাতিমা ফাখার।

মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা চিকিৎসা পেশা থেকে আসেন বিনোদন জগতে। শুরুতে ক্যারিয়ার নিয়ে ছিলেন অনিশ্চয়তায়। তবে বাবার সাপোর্ট অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে তাকে। ২০২২ সালের মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল ড. শাফাক আক্তার তার অনুপ্রেরণা বলে জানান কপোতাক্ষী।

আরও পড়ুন: 'বিগ বস'-এ আসছেন মিয়া খলিফা

বিখ্যাত আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন কপোতাক্ষী। বর্তমানে কাজ করছেন করাচির লিয়াকত ন্যাশনাল হাসপাতালে।

কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা নামটি বাবার রাখা। কপোত মানে কবুতর, অক্ষী মানে চোখ আর চঞ্চলা মানে ছটফটে বা দুষ্টু। এক চঞ্চল কবুতরের চোখ নামেই যেন তাকে এগিয়ে নেয় আরো একধাপ।

কপোতাক্ষীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা করাচিতে মুসলিম পরিবারে। মায়ের অকাল মৃত্যুর পর বাবার আদর-যত্নেই বড় হয়েছেন। মা যখন শয্যাশায়ী তখন বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বিনোদন শিল্পে সুনামের সঙ্গে থাকার পাশাপাশি একজন দক্ষ নিউরো সার্জন হওয়া।

আরও পড়ুন: এবার শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে মামলা!

কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারার বাবা মনির আহাম্মেদ পেশায় সাংবাদিক। তিনি করাচির দ্য ডেইলি নিউজের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। কাজ করেছেন বিবিসিতে। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক। বর্তমানে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ১৯৭০ সালে পড়াশোনার জন্য পাকিস্তানের করাচি যান মনির আহাম্মেদ। পরে সেখানেই থেকে যান তিনি।


আরও খবর



হিতকরীর অনন্য উদ্যোগ ‘ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

মায়ানী গ্রামের আফিয়া খাতুন। ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বহু কষ্ট করে গত সপ্তাহে খুজে নিলেন উপজেলার আবুতোরাবস্থ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েলকে। তাকে জড়িয়ে ধরে জানালেন নিজের অসুবিধার কথা। বললেন ছেলেরা কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। একজন আরেকজনের কাছে চলে যেতে বলেন। আজকে ৮ মাস প্রেসার বাত ব্যথায় নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি, হাঁটার শক্তিও নেই যে সরকারি ডাক্তারখানায় যাব, চিকিৎসা নেব, কেউ টাকা দেয় না যে ওষুধ কিনে খাবো!

তার শারীরিক অবস্থা দেখে হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল ইসলাম রয়েল সিদ্ধান্ত নেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে যাবেন তাঁর বাড়িতে। পরামর্শ নিলেন ওই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদের। তাঁর শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও রাজি হলেন সেবা দিতে। তারা এই ক্যাম্পেইনের নাম দিলেন ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি

এবার তাঁরা চান আরেকটু বড় পরিসরে। প্রস্তুতি নিলেন ১০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসাপত্র, চেকাপ ও ওষুধ প্রদান করার। এর মাঝে বাঁচাই করতে গিয়ে দুইটি ইউনিয়নে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন। মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে এতগুলো রোগীকে ভালো করে ফলোআপ করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় হিতকরীর স্থায়ী কমিটির সমন্বয়ক আলতাফ হোসেন জানালেন ডা. জয়নাল আবেদিনের কথা। বিষয়টা জানালে তিনি সদিচ্ছা প্রকাশ করেন।

তাঁরা দুইটি টিমে ভাগ হয়ে দুই ইউনিয়নে দিনব্যাপী রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন। ডা. জয়নাল আবেদিন মঘাদিয়া ইউনিয়নে ১০ জন চলাচলে অক্ষম বৃদ্ধ বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন। এবং মায়ানি ইউনিয়নে ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদ ১৪ জন ও সাহেরখালী ইউনিয়নের ১ জনসহ মোট ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন কথাগুলো বললেন হিতকরী-র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কমিটির পরিচালক শহিদুল ইসলাম রয়েল।

জানতে চাইলে হিতকরীর সভাপতি জহির উদ্দিন রনি বলেন, আমরা চাই দানবীরদের প্রতিটি টাকা মানুষের কাজে লাগুক। যেসব পদক্ষেপ নিলে আর্ত পীড়িত মানুষ দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হয়, আয়োজনে তা সীমিত হলেও হিতকরী নীতিগতভাবে সেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। রোগিদের প্রাথমিকভাবে এক মাসের ঔষধ দেয়া হয়। ইনশাআল্লাহ স্লিপের বাকি ঔষধগুলোও পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা হবে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মায়ানী মঘাদিয়া ইউনিয়নের আমাদের দুই গর্ব ডা. জয়নাল আবেদিন ও ডা. নুর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদকে।

হিতকরীর নির্বাহী পরিচালক নুরুচ্ছালাম ভূঁইয়া ফোরকান বলেন, স্বয়ং ডাক্তার নিজেই রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দেবে- এটি অনেক রোগীর জন্য সারপ্রাইজ ছিল। একজন বৃদ্ধা মাকে আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি ফেলতে দেখে আমরাও আবেগাপ্লুত হয়েছি। অনেক রোগী হাত তুলে দোয়া করেছেন ডাক্তারের জন্য, সংগঠকদের জন্য, যারা নাম গোপনে অর্থায়ন করেছেন তাঁদের জন্য। এই আয়োজনে সম্পৃক্ত সবাইকে আল্লাহ যেন এর সর্বোত্তম বিনিময় দেন সেই দোয়া করি।

নিউজ ট্যাগ: ডাক্তার

আরও খবর



যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৫ বিভাগসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে দুপুর ১টার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (১৯ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং দিনাজপুর, নোয়াখালী ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, অতিবৃষ্টির প্রভাবে দেশের উত্তর এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব অঞ্চলে অতিভারি বর্ষণের কথা বলা হয়েছে। এতে করে নদ-নদীর পানি বেড়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।


আরও খবর



নীলফামারীতে অতিরিক্ত গবাদী পশুর সংখ্যা এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীর ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গবাদী পশু আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫১ হাজার ৭২৮, সৈয়দপুরে ৪০ হাজার ২৫৫, ডোমারে ৪২ হাজার ৮০৬টি, ডিমলায় ৪৩ হাজার ৫০১, জলঢাকায় ৫২ হাজার ২২৮ ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৮৩টি গবাদী পশু রয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় ৩০ হাজার ৯৭২ খামারীসহ কৃষকের বাড়ীতে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার নীলফামারীতে গবাদী পশুর সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১ টি। অপরদিকে, জেলায় কোরবানীর ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯ টি। চাহিদার চেয়ে এবার এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি পশু অতিরিক্ত (বেশী) রয়েছে।

সুত্র জানায়, খড়, ঘাস, খৈল, চালের কুড়া ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারীসহ কৃষকরা। প্রস্ততকৃত গবাদী পশু সর্বক্ষনিক দেখা শুনা করছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ওষুধের অপব্যবহার, রাশায়নিক খাবার বর্জনসহ খামারীদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এছাড়াও কোরবানীর অনুপযোগি পশু ক্রয় বিক্রয় না করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে যাচাই টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা শহরের হাজি মহসিন সড়ক সংলগ্ন মোস্তাফিজার রহমান মুক্তি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩০টি গরু দেশীয় পদ্ধাতিতে খড়-ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। এবারে আমাদের দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানীর হাট পরিপূর্ণ হবে। প্রচুর গরু রয়েছে কৃষক ও খামারীদের কাছে। আশা করি, এসব পশু ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বেচাকেনা হবে।

রামনগর ইউনিয়নের বাহলীপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, এবার কোরবানীর জন্য দেশী জাতের ১২ টি গরু পালন করেছি। তবে খাদ্যের চড়া দাম (খড়, ঘাস, ভূষি) ও খামারে কাজের লোকের হাজিরা বেশী (প্রতিদিন ৭০০টাকা হাজিরা)। একটি গরুর পিছনে যে টাকা ব্যয় হয় তা পুশিয়ে নিতে কৃষক ও খামারীদের হিমশিম খেতে হবে।

ওই ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো. অলিয়র রহমান, হামিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর চেয়ে এবার গরুর দাম অনেক বেশী হবে। বাজারে এমনিতেই ৭০০ টাকা মাংসের কেজি। ফের খাওয়ার খরচ নিয়ে টানাটানি। তারপরেও গত বারের চেয়ে এবার দ্বিগুন দামে বিক্রিসহ প্রচুর গরু কেনা বেচা হবে। এতে কৃষক, খামারী, ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী (ফরিয়া দালাল) উভয় লাভবান হবে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল মালেক জানান, এবার সদরে প্রস্ততকৃত গবাদী পশুর সংখ্যা ৫১ হাজার ৭২৮টি। আশা করি, এই ঈদে গবাদী পশুর সংকট পড়বেনা। এতে খামারী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, এবার কোরবানীর ঈদে দেশীয় পদ্ধাতিতে খৈইল, ঘাস ভূষি ও চালের কুড়া খাইয়ে গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গরু প্রস্তত করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় একলাখ ৩৩ হাজার ৯২টি গবাদী পশু অতিরিক্ত রয়েছে। আশা করি ঈদুল আজহায় কোরবানীর পশুর ঘাটতি হবেনা।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর



জয়ের হাসি হাসলেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করেছিল বিজেপির। কিন্তু এ আসনে হেরে গেলেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী জুন মালিয়ার কাছে হারলেন অগ্নিমিত্রা পাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোটের গণনা শুরু হতেই দেখা যায় অগ্নিমিত্রা পাল কিছুটা এগিয়ে। অনেকে মনে করেছিল, হয়ত এ যাত্রায় মেদিনীপুর থেকে গেল বিজেপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুন মালিয়ার কাছে হারতে হয় অগ্নিমিত্রাকে। বিজেপি হারতে হয় তৃণমূলের কাছে। ৩২ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেখানে হেরে যান দিলীপ। কীর্তি আজাদের কাছে হারতে হয় তাকে। ফলে একদিকে সাংসদ পদ খুইয়ে দিলীপ এই মুহূর্তে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী।

জুন মালিয়া একা নন। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক তারকারা কর্মীরাই এদিন জয়ী হয়েছেন। রচনা ব্যানার্জি (হুগলি), ইউসুফ পাঠান (বহরমপুর), দীপক অধিকারী দেব (ঘাটাল), সায়নী ঘোষও (যাদবপুর) বিজয়ের হাসি হেসেছেন।


আরও খবর



কিশোরগঞ্জে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় গভীর রাতে ৯ মাসের শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার উপজেলার দশদ্রুণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রোববার তাড়াইল থানায় মামলা করেন।

এদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর গ্রামের লোকজন অভিযুক্ত মো. আনুকে (২৫) ধরে নেওয়ার জন্য রোববার দুপুরে তার গ্রামে হামলা চালায়। পরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্ত আনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দশদ্রুণ গ্রামের নূরুল আমিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলার পংপাচিহা গ্রামের একটি পরিবার পার্শ্ববর্তী দশদ্রুণ গ্রামে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছে। ওই পরিবারের মেয়ে ৯ মাসের শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। শনিবার রাতে পেশাদার চোর আনু ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে। পরে শিশুর গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে।

অন্যদিকে, রোববার ভুক্তভোগীর গ্রামের (পংপাচিহা) লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে আনুকে ধরতে দশদ্রুণ গ্রামে হামলা চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা হামলা চালায় দশদ্রুণবাসী। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ বলেন, অভিযুক্ত আনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অন্তত ৮টি চুরি ও মাদকের মামলা রয়েছে। একাধিকবার জেলেও খেটেছেন।


আরও খবর