![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/35c795ed7dd011eb212732d5cb7c38b8.jpeg)
‘মিস পাকিস্তান
ইউনিভার্সাল ২০২৩’ মুকুট জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কপোতাক্ষী
চঞ্চলা ধারা। সে পাকিস্তান প্রবাসী মনির আহাম্মেদের মেয়ে। মনির আহাম্মেদদের বাড়ি ঝিনাইদহের
কোটচাঁদপুরের পৌর শহরের মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়পাড়ায়।
পাকিস্তানের জিও টিভির প্রতিবেদনে জানা
যায়, গত ৩১ মে পাকিস্তানের লাহোরে বিলাসবহুল গ্র্যান্ড পাম হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে
বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী ছিলেন
কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা।
আরও পড়ুন: কোহলিকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে তামান্না
প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, কানাডাভিত্তিক
মিস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার
আয়োজন করে সংস্থাটি।
এ বছর মিস পাকিস্তান গ্লোবাল জিতেছেন ওয়ার্দা
মুনিব রাও, মিস ট্রান্স পাকিস্তান জিতেছেন আলিনা খান, মিস পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড জিতেছেন
শাফিনা শাহ (যুক্তরাজ্য), মিস পাকিস্তান ইউনিভার্স জিতেছেন বিনিশ জর্জ এবং মিসেস পাকিস্তান
ওয়ার্ল্ড মুকুট জিতেছেন ফাতিমা ফাখার।
মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল কপোতাক্ষী চঞ্চলা
ধারা চিকিৎসা পেশা থেকে আসেন বিনোদন জগতে। শুরুতে ক্যারিয়ার নিয়ে ছিলেন অনিশ্চয়তায়।
তবে বাবার সাপোর্ট অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে তাকে। ২০২২ সালের মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সাল
ড. শাফাক আক্তার তার অনুপ্রেরণা বলে জানান কপোতাক্ষী।
আরও পড়ুন: 'বিগ বস'-এ আসছেন মিয়া খলিফা
বিখ্যাত আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক
সম্পন্ন করেছেন কপোতাক্ষী। বর্তমানে কাজ করছেন করাচির লিয়াকত ন্যাশনাল হাসপাতালে।
কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারা নামটি বাবার রাখা।
কপোত মানে কবুতর, অক্ষী মানে চোখ আর চঞ্চলা মানে ছটফটে বা দুষ্টু। এক চঞ্চল কবুতরের
চোখ— নামেই যেন তাকে
এগিয়ে নেয় আরো একধাপ।
কপোতাক্ষীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা করাচিতে মুসলিম
পরিবারে। মায়ের অকাল মৃত্যুর পর বাবার আদর-যত্নেই বড় হয়েছেন। মা যখন শয্যাশায়ী তখন
বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বিনোদন শিল্পে সুনামের সঙ্গে থাকার পাশাপাশি
একজন দক্ষ নিউরো সার্জন হওয়া।
আরও পড়ুন: এবার শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে মামলা!
কপোতাক্ষী চঞ্চলা ধারার বাবা মনির আহাম্মেদ
পেশায় সাংবাদিক। তিনি করাচির দ্য ডেইলি নিউজের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। কাজ করেছেন বিবিসিতে।
২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক। বর্তমানে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যাপনা করছেন। ১৯৭০ সালে পড়াশোনার জন্য পাকিস্তানের করাচি যান মনির আহাম্মেদ। পরে
সেখানেই থেকে যান তিনি।