আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, এদেশের জনগণ বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের এদেশে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি করার সুযোগ আর দেবে না। এদেশে গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করে অপরাজনীতি করাও আর সম্ভবপর হবে না।

বিএনপিকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ কাদের সাথে আছে তা পরখ করে দেখুন। ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এদেশের মানুষ আবারও ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।

শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী অংশিকের স্থানীয় সরকারের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে এপর্যন্ত নির্বাচিত সাবেক-বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার ও মেয়র কাউন্সিলররা অংশগ্রহণ করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর একদিনও সময় দেবে না। এভাবে সময় না দেওয়ার মধ্যে আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। তারা যতই সময় দিবেনা বলে, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেই।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের বাজেট ছিলো ৬১ হাজার কোটি টাকা। এবার আমাদের বাজেট হলো ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। বাজেটের আকার তাদের চেয়ে সাড়ে ১১ গুণ বড়। এখন গ্রামে শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাম হবে শহর ছিলো গত নির্বাচনে আমাদের স্লোগান। সমগ্র বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। এখন দেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশের চিত্রের সাথে ১৫ বছর আগের চিত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা হলেন সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে পৌঁছানোর আসল মাইক। মানুষ আপনাদের কথা শুনে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আপনারা সেতু বন্ধন রচনা করেন। তাই সাধারণ জনগণের মাঝে আজকে যে দেশটি পরিবর্তন হয়ে গেছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, এই পরিবর্তন জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে এবং তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কারণে সম্ভব হয়েছে। আপনারা হাঁটে, মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানের আড্ডায় যখন কথা বলেন, তখন সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো বলতে হবে। দেশ পরিবর্তনের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এখন গ্রাম আর শহরের মধ্যে পার্থক্য যে নাই সেটি মানুষকে বলতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকারকে জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী করেছেন বলেই চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও শক্তিশালী হয়েছেন। গ্রাম আদালতও এখন কার্যকর। গ্রাম আদালত এখন আইনদ্বারা বিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান, এরকম আগে ছিলো না। আগে গ্রাম আদালত কিছুদিন থাকলেও পরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেটি আমাদের সরকার আবার চালু করেছে। এভাবে স্থানীয় সরকারকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শক্তিশালী করেছেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, মোকারম হোসেন, মহিলা মেম্বার জেরিন আকতার, ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ আজাদ প্রমুখ।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর



শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা আছে যেখানে অনেক জীবাণু জমে থাকে। অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় সেই অঙ্গে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে থাকে, আর একারণেই সেই স্থানকে সবচেয়ে অপরিষ্কার বলা হয়। এর মানে এই নয় যে সেই স্থান পরিষ্কার করা হয় না। কিন্তু তারপরও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারণে সেটিই শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান বলে মনে করা হয়।

অনেকের কাছেই মনে হতে পারে শরীরের সবচেয়ে নোংরা স্থান হলো আমাদের পা। এর কারণ হিসেবে বলতে পারেন সারাদিনে পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলোময়লা জমে। কেউ হয়তো বলতে পারেন, মূত্রনালীর মুখ হলো শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার জায়গা। কেউ বলতে পারেন পায়ুদ্বারের কথা। কিন্তু এসব স্থান নয়, ব্যাকটেরিয়ার হিসাব করা হলে এর থেকেও অপরিষ্কার স্থান শরীরে রয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অংশে অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় বেশি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। আর সেই স্থানটি হলো আমাদের নাভি। নাভিকেই শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান বলা হয়ে থাকে। এখানে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে তাই নিয়মিত নাভির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান হওয়ায় নাভি নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। শরীর থেকে কিংবা পোশাক থেকে নাভিতে ময়লা জমতে থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণও। নাভি মূলত মানব শরীরের একটি ক্ষতস্থান। শিশুর জন্ম হলে মায়ের শরীর থেকে তাকে আলাদা করার জন্যই এই ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শিশু গর্ভে থাকার সময় এই নাভির মাধ্যমেই পুষ্টি পেয়ে থাকে।

নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করা হলে বের হতে পারে দুর্গন্ধ। যে কারণে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে নাভি পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। সেটি হলো, নাভিতে যখন তখন হাত দেওয়া উচিত নয়। কখনো হাত দেওয়া হলে সেই হাত না ধুয়ে কোনোকিছু খাওয়া কিংবা ধরা উচিত নয়। আবার নাভিতেও অপরিষ্কার হাত দেওয়া উচিত নয়।


আরও খবর



স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম: শাবিপ্রবি উপাচার্য

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক সফলতার অবদান রাখছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তারা এখন নাসা জয় করেছে। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

বুধবার (১৫ মে) জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে সিলেট বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ।    

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যৎ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। এজন্য তাদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে সময়ের সাথে টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে তাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞানের চর্চার তৃষ্ণা বৃদ্ধি করতে হবে।  

অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা শিশুদের বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চায় উৎসাহিত করুন। শিক্ষার্থীদের ওপর জোরপুর্বক পড়াশোনা চাপিয়ে দিবেন না। তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন এক অভিজ্ঞতার সঞ্চার করবে যাতে তারা ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে উৎসাহিত হবে।


আরও খবর



ঝিনাইদহে উপ-নির্বাচনে লড়বেন হিরো আলম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এবার উপ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে ভোট করবেন। আজ সকালে তিনি এ কথা জানান।

হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।’

ঝিনাইদহবাসী তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচার চালাতে যাচ্ছি। আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা আমাকে বলেছে তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সব সময় থাকব।’

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচন। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত।


আরও খবর