আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

নতুন গানের ঘোষণা ব্ল্যাকপিঙ্ক জেনির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ব্ল্যাকপঙ্কি সদস্য জেনি `ইউ এন্ড মি শিরোনামের একটি পোস্টার প্রকাশ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার গায়িকা ব্ল্যাক পিঙ্ক সদস্য জেনির নতুন গান ইউ এন্ড মি আজ (৬ অক্টোবর) কোরিয়ান সময় দুপুর ১টায় বিভিন্ন মিউজিক সাইটে উন্মোচন করা হবে। খবর কোরিয়াবুর।

জেনির একক ইউ এন্ড মির পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে ভক্তদের কাছ থেকে দুর্দান্ত সাড়া মিলছে। মাইক্রোব্লগিং সাইটে প্রায় ৯ লাখ আশি হাজারের মতো এক্স হয়েছে গায়িকাকে ঘিরে। এক্সে ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন জেনি।

ইউ এ্ন্ড মি শিরোনামের নতুন এই একক গানটি তিনি ব্ল্যাকপিঙ্ক ওয়ার্ল্ড ট্যুরের সময় পারফর্ম করছিলেন যা তখন বিশ্বজুড়ে ভক্তদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পায়। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গানটি প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

পোস্টারটি প্রকাশ হওয়ামাত্র ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন অনুরাগী লিখেছেন, কে পপের রানিকে, পপকে বাঁচাতে ফিরে এসেছেন

আরেকজন লিখেছেন, আমরা তোমাকে ভালোবাসি জেনি। অপর একজন মন্তব্য করেছেন, ইউ এন্ড মির অফিসিয়াল রিলিজের জন্য অপেক্ষা করছি।

গায়িকার নতুন একক গান মুক্তির ঘোষণার পোস্টারে তাকে একটি ছোট লাল পোশাকে বেণি করা হেয়ার স্টাইলে দেখা গেছে।

পোর্টাল অনুসারে এজেন্সি ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছে, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গানটি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা পিঙ্ক ওয়ার্ল্ড ট্যুরের শুরু থেকে আগ্রহের সাথে আমাদের অনুসরণ এবং সমর্থন করেছেন।

গানটির লেখক ড্যানি চুং, টুডি ২৪ এবং ভিন্স। ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের অলিম্পিক জিমনেসটিক এরেনিয়া ডোমে ব্ল্যাকপিঙ্ক-এর ওয়ার্ল্ড ট্যুরের উদ্বোধনী কনসার্টে সময় ইউ এন্ড মি গানটি প্রথম পরিবেশন করেন জেনি। সাম্প্রতিক সময়ে কোচল্লো এবং বিএসটি হাইড পার্ক অনুষ্ঠানে গানটির রিমিক্স সংস্করনেও পারফর্ম করেছিলেন জেনি।

ওয়েবসাইট কোরিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বছরের শুরুর দিকে জেনি তার ইউটিউব চ্যানেলে গানটির বিহাইন্ড দ্য সনি-এর একটি কপি আপলোড করেছেন, যাতে তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে তিন-চার বছর আগে থেকেই জেনি ইউ এন্ড মি নিয়ে কাজ করছিলেন এবং তার একক আত্মপ্রকাশের তালিকায় গানটিকে রেখেছিলেন গায়িকা।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪২টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) সাতটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।

পাঁচটি আসন পেয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)- সিপিআই (এম), ওয়াইএসআরসিপি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আম আদমি পার্টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি), জনসেনা পার্টি (জেএনপি) ও ভিসিকে দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর তথ্যমতে, ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স–এনডিএ জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬টি। অপর দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২০১টি। যে আসনটির ফল এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটিতে এগিয়ে আছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিএসপি। এই দলটিও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছে। আসনটি তারা পেলে বিরোধী এই জোটের আসন সংখ্যা হবে ২০২টি।

এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। এবার বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে ক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।

লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে। তবে জোটসঙ্গীদের মধ্যে বেশি আসন পাওয়া দলগুলো বিরোধী শিবিরে গেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।


আরও খবর



বেনজীর-মতিউরের নামে মামলা এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও সদ্য সরিয়ে দেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আর সময় নেবে না। এরই মধ্যে দুজনের নামে বিপুল সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এর ভিত্তিতে এ সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাদের পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হবে। দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তিন দফায় বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যের বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ওই সব সম্পদ তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এজন্য তাদের অর্থসম্পদকে অপরাধলব্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একইভাবে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে; যা তাঁর বৈধ আয়ের চেয়ে অস্বাভাবিক। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাকরিজীবনে তিনি বৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন গাণিতিক হারে, আর অবৈধ সম্পদ কামিয়েছেন জ্যামিতিক হারে।

বেনজীর ও মতিউর ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে এবং সেগুলো ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ওই সব ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা হবে।

গেল ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানিও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ওই দুই দিনে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা, সাভার, রূপগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ওই সব সম্পত্তি বেনজীর, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে রয়েছে।

বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ৩ মে পর্যন্ত তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশেই ছিলেন। সপরিবারে বেনজীর সিঙ্গাপুর চলে যান গত ৪ মে। এ সময়ের মধ্যে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তারা বিদেশে পাড়ি জমাতে পারতেন না।

এদিকে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। চাকরিকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, জমি, ব্যবসা, শেয়ার, ব্যাংকে জমানো টাকা, ব্যাংকে মেয়াদি আমানতসহ অন্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। অপরাধলব্ধ অর্থ রেখেছেন দুই স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামেও। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, জমি, রিসোর্ট, ফ্ল্যাট, প্লটসহ নানা সম্পদ রয়েছে নামে-বেনামে। অন্য স্থাবর সম্পদও রয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কনিজ, তাঁর মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণব, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তাঁর ছেলে মুশফিকুর রহমান সিফাতের নামে রাখা হয়েছে নানা সম্পদ।

সম্প্রতি মতিউর রহমানের ছেলে ইফাতের ১২ লাখ টাকায় কোরবানির ছাগল কেনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বেরিয়ে আসে আড়ালে থাকা এ সরকারি কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিল বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরালো করতে বাংলাদেশে দুই প্রকল্পে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড গতকাল শুক্রবার এ ঋণের অনুমোদন দেয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। নতুন অর্থায়ন বাংলাদেশকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহায়তা করবেএকটি হচ্ছে আর্থিক খাত ও নগর ব্যবস্থাপনা এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুই কিস্তি ঋণের শেষ কিস্তি হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের গতি বাড়াবে। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতে যেকোনো দুযোর্গ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।


আরও খবর



জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

আগামী ১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।

রবিবার (৩০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসানের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তি তে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মাশরিক হাসান বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম আমাদের দাবি না মানলে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। তাই আগামীকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১ জুলাই থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে। অ্যাকাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না; অনুষদের ডিনবৃন্দ ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কর্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না। কোনও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন না।

গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতির পাশাপাশি ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।


আরও খবর



কাশ্মীরে ওমর আবদুল্লাহ হার মানলেন কারাবন্দি নেতার কাছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভোট গণনার মাঝেই লোকসভা নির্বাচনে হার মেনে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। কারাবন্দি নেতা সাবেক বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রশিদের কাছে হার মেনে নিলেন তিনি। ফলাফলের শেষ খবর অনুযায়ী শেখ আবদুল রশিদের থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন আবদুল্লাহ।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহসভাপতি ওমর আবদুল্লাহ বারামুল্লা আসনে নির্বাচন করেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাবেক বিধায়ক শেখ আবদুল রশিদ। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে রয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছিল, এ আসনে জিততে চলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরুর কিছু সময় পর থেকেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আবদুল রশিদের চেয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ভোটে পিছিয়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক টুইটে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমার মনে হচ্ছে এটা মেনে নেওয়ার সময় এসে গেছে। উত্তর কাশ্মীরে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রশীদের জয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন। তবে, এই জয়ের কারণে তিনি দ্রুত জেল থেকে ছাড়া পাবেন বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি দ্রুতই কাশ্মীরবাসী তাদের নেতাকে পাবেন না। তবে, কাশ্মীরবাসী গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

এ পর্যন্ত যে হিসাব এসেছে তাতে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের ৬ আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স এগিয়ে আছে দুটি আসনে। আর বিজেপি ও স্বতন্ত্র এগিয়ে দুটি করে আসনে।

অনন্তনাগ-রাজৌরিতে হার মেনে নিয়েছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি হার মেনেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী মিয়া আলতাফের কাছে।


আরও খবর