আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানকে হারিয়ে মেয়েদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আগেও পাকিস্তানকে হারানোর নজির ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। এবার প্রথমবারের মতো তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিয়েছে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ (শুক্রবার) চট্টগ্রামের শহীদ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকারীদের ২০ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

এদিন আগে ব্যাট করে টাইগ্রেসরা নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১২০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায়। জবাবে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংস থেমেছে বরাবর ১০০ রানে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন বিসমাহ মারুফ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।

বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল পাকিস্তান। দলীয় মাত্র ৩ রানেই ওপেনার নাতালিয়া পারভেজকে বোল্ড করে দেন টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তার। এরপর ব্যক্তিগত ৯ রানে ওপেনারি সিদরা আমিন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে। পরে মুনিবা আলী ও অধিনায়ক নিদা দারও অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফিরে যান।

নিদাকে বোল্ড করেন রাবেয়া এবং মুনিবা পড়েছেন সোবহানা মোস্তারীর রান আউটের ফাঁদে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার বিসমাহ। কিন্তু সতীর্থদের যাওয়া-আসা দেখে টিকতে পারেননি তিনিও। ফাহিমা খাতুনের বলে বিসমাহ ৩০ রানে উইকেটরক্ষক জ্যোতির হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। শেষদিকে ইরাম জাভেদ ও উম্মে হানি কিছুক্ষণ চেষ্টা করলেও হার এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। ইরাম ১৫ এবং উম্মে হানি করেছেন ১৪ রান।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান। এছাড়া মারুফা ও ফাহিমা খাতুন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল জ্যোতির দল। আজ দিনের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিং করতে নামে পাকিস্তানের মেয়েরা। বিপরীতে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল দুই টাইগ্রেস ওপেনার। তবে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৮ রান করে ফিরে যান শামীমা সুলতানা। এরপর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মুর্শিদা খাতুন। যদিও তাদের সেই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৪ রানের মাথায় ১৬ রান করে ফেরেন সোবহানা।

সঙ্গীকে হারিয়ে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুর্শিদাও, তিনি ফিরে যান ২০ রান করে। ৬৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলীয় ৭১ রানে অধিনায়ক জ্যোতিকেও হারায় বাংলাদেশ। এদিন তার ব্যাটে এসেছে মোটে ১০ রান। এরপর দলের হাল ধরেন স্বর্ণা আক্তার এবং রিতু মনি। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখতে থাকে টাইগ্রেসরা।

স্বর্ণা-রিতুর জুটি ভাঙে ৩৮ রানে। রিতু ১৯ রান করে ফিরে যান। তবে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত ব্যক্তিগত ২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন স্বর্ণা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২০ রান।

পাকিস্তানের হয়ে দিয়ানা বেগ নেন ২টি উইকেট, এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল, উম্মে ই. হানি এবং নাসরা সান্ধু।

নিউজ ট্যাগ: টি-টোয়েন্টি

আরও খবর



ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, দাম পড়বে ১২০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ঘরে বসেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরি করেছে। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।

সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করতে পারে।

গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি। এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান জানান, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন। মালা বলেন, 'জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যে কোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।


আরও খবর



কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সেইসঙ্গে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এ দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না বলে জানা গেছে।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোকপ্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে।

চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সংসদ অধিবেশন

আরও খবর



বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি নেই। সুনির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২২ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। কেউ যাতে কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে এ জন্য ডিএমপির সকল অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান হবে এবং প্রত্যেক জায়গায় আয়োজক আলাদা। প্রত্যেকটা জায়গায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার থাকবেন। তারা পারস্পরিক সমন্বয়ে কাজ করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে এর বেশিরভাগই গুজব ও তুচ্ছ ঘটনা। এগুলো সংগঠিত কিছু নয়, ধর্মীয়ও কিছু নয়। সেগুলোকে যেন শুরুতেই দমন করতে পারি সে জন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যে সকল রাস্তায় শোভাযাত্রা যাবে, সেই সব রাস্তায় আগের দিন থেকেই পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও পুলিশ কমিশনারগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর