আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হামলায় উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহত হয়েছেন। বুধবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের মীরেরকান্দী মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া চর এলাকা পাড়াতলীতে গণসংযোগে যান। সেখানে অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ও সুমনের সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া গুরুতর আহত হন। তিনি অন্যদের সহায়তায় স্থানীয় বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সুমন মিয়া মারা যান।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান নুরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, সুমন মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


আরও খবর



আনার হত্যার মূল মামলা ভারতে, তদন্তও ভারতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

এমপি আনার হত্যার মূল মামলা ভারতে হয়েছে এবং মূল তদন্তও ভারতে হবে। তবে তদন্তে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (১ জুন) দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) ছাত্রলীগ কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত 'আমাদের বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, মূল হত্যাকাণ্ড যেহেতু ভারতে হয়েছে সেহেতু মূল মামলাও ভারতে হয়েছে৷ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে। তাই ভারতই এ হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত করবে। আমাদের দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হলে আমাদের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতো। তারা যদি আমাদের সম্পৃক্ত করে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একজন নেপালে পালিয়ে গেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে আর আমরা বসে থাকবো এমন হতে পারে না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং সহযোগিতাকারী সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। নেপালে একজন পালিয়ে গেছে। তবে সে কোথায় আছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত হচ্ছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে তার শাস্তি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে৷ তার বিষয়ে তদন্ত চলছে৷ তিনি অন্যায় করেছেন না কি নির্দোষ, তিনি কি কর ফাঁকি দিয়েছেন না কি অন্যভাবে অর্থ সম্পদ গড়েছেন, সেটা তদন্ত শেষ হলে সে অনুযায়ী তার বিচার করা হবে।

তদন্ত চলমান অবস্থায় একজন আইজিপি বিদেশ চলে যেতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সে এখনো দেশে আছে নাকি বিদেশ চলে গেছে এটা আমি জানি না।

আইজিপির এমন কর্মকাণ্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না, এটা ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের পুলিশ বাহিনী অনেক কষ্ট করে। জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন, কোভিডসহ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছে। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায় প্রতিষ্ঠান নেয় না।


আরও খবর



শৈলকুপার ‘রসগোল্লা চা’ ফেসবুকেই সুস্বাদু !

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

রসগোল্লা দিয়ে চা! এ যেন স্বাদে টুইটুম্বর। ফেসবুকে যেন ভাইরাল। দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। গত কয়েকদিন ধরে এমন রসগোল্লা চায়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা দেখে অনেকেই ছুটছেন সেই চায়ের দোকানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে হচ্ছেন হতাশ। যেমন আশা করে যাচ্ছেন চায়ের স্বাদ নিতে গিয়েও হতাশ হচ্ছেন চা প্রেমীরা।

জানা যায়, শৈলকুপার কাতলাগাড়ী বাজারে শুভ ইশান হুজাইফা নামের চায়ের দোকানে গত কয়েকদিন যাবত বিক্রি শুরু করেছেন রসগোল্লা দিয়ে চা। দুধ আর চা দিয়ে তার মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন স্থানীয় ভাবে তৈরী একটি রসগোল্লা। এতেই যেন বেড়ে যাচ্ছে স্বাদ। দামও হাকাচ্ছেন ৮০ টাকা। যেখানে চায়ের কোন অস্তিত্ব পাওয়া দুস্কর। সেই সাথে নিন্মমানের রসগোল্লা দিয়ে চা তৈরী করায় যাচ্ছেতাই স্বাদ পাচ্ছেন চা প্রেমীরা। সম্প্রতি ভিউপ্রেমী কিছু ইউটিউবার এই চায়ের সুনাম করে ভিডিও দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতেই সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন চা প্রেমীরা। কিন্তু গিয়ে চায়ের মান নিন্মমানের হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে চা থেকে যাওয়া এক নারী বলেন, ফেসবুকে দেখে স্বামীর সাথে এখানে চা খেতে এলাম। ভাবলাম একটু ঘোরাও হবে চা খাওয়াও হবে। কিন্তু এখানে এসে এই চা খেতে খুব হতাশ হলাম। রসগোল্লাটা খুবই নিন্মমানের। আর চায়ের তেমন স্বাদই নেই। যেন শরবত খাচ্ছি। চায়ের দাম নিচ্ছে ৮০ টাকা।  চায়ের নামের পুরোটা প্রতারণা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আসা রিপন নামের এক যুবক বলেন, ফেসবুকে দেখে বন্ধুদের সাথে চা খেতে এলাম। এসে দেখি দোকানদার তো খুব ব্যস্ত। রসগোল্লা চা দিলেন আধাঘন্টা পরে। কিন্তু চায়ের কোন স্বাদ পেলাম না। নামেই শুনেছি রসগোল্লা চা। এর চেয়ে শরবত খাওয়া ভালো। আর এই দোকানদার এই চায়ের নাম করে দুধ চা বিক্রি করছে। রসগোল্লা চা চাইলে দেরীতে দিচ্ছে। অনেকে ফিরে যাচ্ছে। যারা আসছেন তাদের দুধ চা খেতে হচ্ছে। তারপরও দুধ চা যেন দুধ আর চিনি দিয়ে জালানো। চায়ের কোন স্বাদ নেই।

স্থানীয় যুবক রাইদুল বলেন, এর আগেও এই দোকানে নানা পদের চা বিক্রি করা হতো। কিন্তু বেশিদিন ধরে বিক্রি করেন না ইনি। কিছুদিন চলার পর ক্রেতা আকর্ষণ করতে নতুন নতুন কৌশল নেন চা দোকানী খাইরুল। তাই বলব, যারা দুর-দুরান্ত থেকে চা খেতে আসবেন একটু খোঁজ খবর নিয়ে আসবেন।

এ ব্যাপারে চা দোকানী খাইরুল ইসলাম বলেন, খুব ব্যস্ততা চলছে আমাদের। আগুনের জিনিস। স্বাদ একটু এদিক সেদিক হতেই পারে।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



আইনের ভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি নেই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আইনের ভিত্তিতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাহী আদেশটি একটি আইনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। আমি আইনের বক্তব্যে বলছি, নির্বাহী আদেশটি যে আইনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে, সেই আইনে এখন তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদন আসেনি বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বেনজীর ইস্যুতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়ে সময়ে সম্পদের হিসাব দিয়ে থাকে। নতুন আইনের প্রয়োজন নেই। এখন আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

কিছু কিছু সৎ মানুষের ব্যাপারেও এখন লেখালেখি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রচার করুন। দুর্নীতি নিয়ে স্পেসিফিক তথ্য থাকলে সংবাদ করেন। কিন্তু মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিয়ে কিছু করবেন না।

দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে ফের হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোরেই অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি রয়েছেন।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।

প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা আখতার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ০৫(১২)২০২৩)। পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে আদালত থেকে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ প্রিন্স মামুন বলেন, গত ডিসেম্বরে মাঝরাতে লায়লা ও আমার দু’জনার মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখন উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যা পরবর্তীতে মামলায় গড়ায়। বিষয়টি এখন আইনিভাবে মোকাবিলা করব আমি।’

এছাড়া প্রিন্স মামুন বলেন, যিনি মামলা করেছেন তিনি বলেছিলেন মামলাটি তুলে নেবেন। এ কারণে আমিও আর আদালতে কোনো হাজিরা দেইনি। আর আদালতে হাজিরা না দেওয়ার জন্যই আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’

ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে। কুমিল্লার পুলিশ প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করবে।’

কে এই বহুল আলোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন?

প্রিন্স মামুনের উত্থান মূলত সোশ্যাল মিডিয়া টিকটক’ ও লাইকি’র সুবাদে। বাংলাদেশে এসব অ্যাপ জনপ্রিয়তার পেছনে কিছুটা হলেও মামুনের ভূমিকা আছে। নিজের করা মিউজিক ভিডিও সেখানে পোস্ট দিতেন মামুন। সেখান থেকেই তার পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা।

একটা সময়ে নাচ শিখেছেন মামুন। সেই নাচের ভিডিও অনলাইনে শেয়ার দিতেন। শেয়ার দিতেন অনেক মজার ভিডিও। এভাবেই তার ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অনলাইন থেকে তার জনপ্রিয়তার ঢেউ এসে পড়লো অফলাইনেও। বলা যায়, বাংলাদেশে টিকটকারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টিকটকার মামুন। তার ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যাও অগণিত। এখন তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে শোরুম বা দোকান উদ্বোধন করেন।

প্রিন্স মামুন ও লায়লা আক্তার ফারহাদ টিকটকের আলোচিত নাম। ফেসবুক-ইউটিউবের সামাজিক মাধ্যমে লায়লাকে সঙ্গে করে বিনোদনভিত্তিক কন্টেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন মামুন। এই জুটি নানা সময়ে আলোচনায় থেকেছেন। কখনও ঝগড়া করে, কখনও মামুনের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলে। আবার কখনও মামুনের নামে লায়লা অভিযোগ তুলেছেন শারীরিক অত্যাচারেরও। তবে এবার সব ছাপিয়ে লায়লা মামুনের নামে করলেন বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা!

মামলার এজাহারে লায়লা লিখেছেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

তিনি আরও লিখেছেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমাকে আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।


আরও খবর



হিতকরীর অনন্য উদ্যোগ ‘ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

মায়ানী গ্রামের আফিয়া খাতুন। ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বহু কষ্ট করে গত সপ্তাহে খুজে নিলেন উপজেলার আবুতোরাবস্থ সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েলকে। তাকে জড়িয়ে ধরে জানালেন নিজের অসুবিধার কথা। বললেন ছেলেরা কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। একজন আরেকজনের কাছে চলে যেতে বলেন। আজকে ৮ মাস প্রেসার বাত ব্যথায় নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি, হাঁটার শক্তিও নেই যে সরকারি ডাক্তারখানায় যাব, চিকিৎসা নেব, কেউ টাকা দেয় না যে ওষুধ কিনে খাবো!

তার শারীরিক অবস্থা দেখে হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল ইসলাম রয়েল সিদ্ধান্ত নেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে যাবেন তাঁর বাড়িতে। পরামর্শ নিলেন ওই সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদের। তাঁর শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও রাজি হলেন সেবা দিতে। তারা এই ক্যাম্পেইনের নাম দিলেন ডাক্তার যাবে দাদুর বাড়ি

এবার তাঁরা চান আরেকটু বড় পরিসরে। প্রস্তুতি নিলেন ১০ জন দুঃস্থ রোগীর চিকিৎসাপত্র, চেকাপ ও ওষুধ প্রদান করার। এর মাঝে বাঁচাই করতে গিয়ে দুইটি ইউনিয়নে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন। মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নে এতগুলো রোগীকে ভালো করে ফলোআপ করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় হিতকরীর স্থায়ী কমিটির সমন্বয়ক আলতাফ হোসেন জানালেন ডা. জয়নাল আবেদিনের কথা। বিষয়টা জানালে তিনি সদিচ্ছা প্রকাশ করেন।

তাঁরা দুইটি টিমে ভাগ হয়ে দুই ইউনিয়নে দিনব্যাপী রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন। ডা. জয়নাল আবেদিন মঘাদিয়া ইউনিয়নে ১০ জন চলাচলে অক্ষম বৃদ্ধ বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন। এবং মায়ানি ইউনিয়নে ডা. নূর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদ ১৪ জন ও সাহেরখালী ইউনিয়নের ১ জনসহ মোট ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার স্বাস্থ্যসেবা, কাউন্সেলিং ও ওষুধ লিখে দেন কথাগুলো বললেন হিতকরী-র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কমিটির পরিচালক শহিদুল ইসলাম রয়েল।

জানতে চাইলে হিতকরীর সভাপতি জহির উদ্দিন রনি বলেন, আমরা চাই দানবীরদের প্রতিটি টাকা মানুষের কাজে লাগুক। যেসব পদক্ষেপ নিলে আর্ত পীড়িত মানুষ দীর্ঘমেয়াদে উপকৃত হয়, আয়োজনে তা সীমিত হলেও হিতকরী নীতিগতভাবে সেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। রোগিদের প্রাথমিকভাবে এক মাসের ঔষধ দেয়া হয়। ইনশাআল্লাহ স্লিপের বাকি ঔষধগুলোও পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা হবে। আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মায়ানী মঘাদিয়া ইউনিয়নের আমাদের দুই গর্ব ডা. জয়নাল আবেদিন ও ডা. নুর তমিজ ভূঁইয়া রিয়াদকে।

হিতকরীর নির্বাহী পরিচালক নুরুচ্ছালাম ভূঁইয়া ফোরকান বলেন, স্বয়ং ডাক্তার নিজেই রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দেবে- এটি অনেক রোগীর জন্য সারপ্রাইজ ছিল। একজন বৃদ্ধা মাকে আবেগাপ্লুত হয়ে চোখের পানি ফেলতে দেখে আমরাও আবেগাপ্লুত হয়েছি। অনেক রোগী হাত তুলে দোয়া করেছেন ডাক্তারের জন্য, সংগঠকদের জন্য, যারা নাম গোপনে অর্থায়ন করেছেন তাঁদের জন্য। এই আয়োজনে সম্পৃক্ত সবাইকে আল্লাহ যেন এর সর্বোত্তম বিনিময় দেন সেই দোয়া করি।

নিউজ ট্যাগ: ডাক্তার

আরও খবর