আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সবজির দাম বেশি, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহীতে উৎপাদিত সবজির চড়া মূল্যে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। মাঠে-ঘাটে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উৎপাদন আশানুরূপ হওয়ায় এবার দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন তারা।

চাষিরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন পটল, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, করলা, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙা, পুঁইশাক ও পেঁপে আবাদ লাভজনক হলেও ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যান্য বছর আবাদ করে উৎপাদন খরচ দিয়ে তেমন লাভ হতো না। তবে এবার সব সবজির দাম বেশি পাচ্ছেন তারা।

পবা উপজেলার সাইরপুকুর, দর্শনপাড়া বিল, বিল নেপালপাড়া, বিল ধর্মপুর, বাগধানী, বড়গাছী, পূর্ব পুঠিয়াপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধানের পাশাপাশি উঁচু জমিতে বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেছেন চাষিরা। দাম ভালো পাওয়ায় অনেকে আগাম ফসল তুলছেন।

চাষিদের ভাষ্য, চলতি মৌসুমে যারা তুলনামূলক নিচু জমিতে মরিচসহ বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেছেন, তারা শঙ্কায় ছিলেন। কারণ বৃষ্টি শুরু হলে আবাদ নষ্ট হয়ে যেতো। এবার তা হয়নি। ফলে বিঘাপ্রতি গড়ে ২৫ থেকে ৩০ মণ কাঁচা মরিচ ও শাকসবজি ঘরে তোলার প্রত্যাশা করছেন তারা।

চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে কাঁচা মরিচের মণ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই মরিচের মণ আট হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তবে হঠাৎ কেন দাম বেড়ে গেলো তা বলতে পারছেন না তারা।

তবে আমদানির খবরে কিছুটা কমেছে দাম। এরই মধ্যে বাজারে চাহিদার চেয়ে বেশি থাকায় বর্তমানে মরিচের মণ ছয় হাজার টাকায় নেমেছে। এই দাম স্থিতিশীল থাকলে দ্বিগুণের বেশি লাভ থাকবে বলে জানান চাষিরা।

মরিচের দাম বেশি পাওয়ায় দারুণ খুশি পবার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের সাইরপুকুর গ্রামের কৃষক ইসরাফিল ও তার স্ত্রী মিনা আক্তার। তারা জানান, বর্গা নিয়ে ১৮ শতক জমিতে জিয়া জাতের মরিচ আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুণ লাভ থাকবে তাদের। মরিচের এমন দাম এর আগে দেখেননি তারা।

বড়গাছী ইউনিয়নের দাদপুর পূর্বপাড়া এলাকার চাষি মো. রবিন নওহাটা হাটে গত বৃহস্পতিবার এক মণ পটল ৭৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, গত রবিবারের হাটে পটলের মণ ৯০০ টাকা বিক্রি করেছিলাম। গত বছর বৃষ্টির কারণে পটলের আবাদ ভালো হয়নি এবং বাজারেও দাম তেমন ছিল না। তাই লোকসান গুনতে হয়েছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দামও বেশি পাচ্ছি। ফলে দ্বিগুণ লাভের আশা করছি।

মোহনপুর উপজেলার পটল ব্যবসায়ী সালাম বলেন, বৃহস্পতিবার বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় ৮০০ টাকায় কিনেছি পটলের মণ। এর আগের হাটে আরও বেশি ছিল দাম। কিছুটা কমেছে। এবার মাঠপর্যায়ে সবজির দাম বেশি।

নওহাটা হাঁটের পটল ব্যবসায়ী মোহম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার ভালো মানের পটল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় মণ কিনেছি। গত হাটে (রবিবার) আমদানি কম থাকায় এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় মণ কিনেছি। গত বছর এই সময়ে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা ছিল পটলের মণ। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার প্রত্যেক ফসলে অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।

মৌমাছি ইউনিয়নের হরিহরপাড়া এলাকার কৃষক দুলাল হোসেন নওহাটা হাটে তিন মণ করলা বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার হাটে আমদানি বেশি থাকায় প্রতি মণ করলা ৭২০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত রবিবার এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। এখন দাম কমে গেছে। তবু এই দাম পেয়ে আমরা খুশি। আশা করছি লাভ হবে এবার।

দাদপুর পূর্বপাড়া এলাকার চাষি মো. কামরুল ইসলাম দুই মণ পেঁপে বিক্রি করেছেন এক হাজার ৬০০ টাকায়। তিনি বলেন, এ বছর সব সবজির দাম বেশি। কিন্তু কেন বেশি তা আমরা জানি না। তবে আমরা লাভবান হচ্ছি।

নওহাটা হাটের সততা এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী আয়েন উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঢ্যাঁড়সের মণ কিনেছি এক হাজার ৪০০ টাকা। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতি মণ মুলা কিনেছি এক হাজার ৩০০ টাকা, বেগুনের মণ কিনেছি এক হাজার ৬০০ টাকা, কচুর মণ কিনেছি এক হাজার ৪০০ টাকা, কাঁকরোলের মণ কিনেছি ৫৬০ টাকা, আলুর মণ কিনেছি ৮৮০ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ রয়েছে। সবমিলিয়ে খরচ ধরে আমাদের বিক্রি করতে হবে। তবে লাভ যা হওয়ার কৃষকদেরই হচ্ছে।

দেখা গেছে, বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০, আলুর কেজি ২৫ থেকে ৩০, কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০, করলার কেজি ৫০ থেকে ৬০, পেঁপের কেজি ২৫ থেকে ৩০, লাউ প্রতি পিস ৪০, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৩৫ থেকে ৪০, বরবটির কেজি ৩৫ থেকে ৪০, পটলের কেজি ২৫ থেকে ৩০, ঝিঙার কেজি ৪০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ থেকে ৩৫ ও চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি পুঁইশাকের আঁটি ২৫, লাল শাক ও সবুজ শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫, কলমি শাকের আঁটি ২০, কাঁচাকলার হালি ২০ থেকে ২৫, লেবুর হালি ছয় থেকে আট, দেশি শসার কেজি ৮০, হাইব্রিড শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০, মুলার কেজি ৪০, পেঁয়াজের কেজি ৫০, দেশি রসুনের কেজি ১৬০, ভারতীয় রসুনের কেজি ১০০ ও আদার কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে পবায় ২০০ হেক্টরে করলা, ১৮০ হেক্টরে ঢ্যাঁড়স, ১৭৫ হেক্টরে বেগুন এবং ৭০০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে। মরিচের পাশাপাশি শাকসবজি আবাদ করেছেন চাষিরা। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি তারা। কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছি আমরা। কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় দুই হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ রয়েছে। পাশাপাশি ৬৪৮ হেক্টরে করলা, এক হাজার ৩৪ হেক্টরে পটল, এক হাজার ২৮৬ হেক্টরে বেগুন ও ৪৭৪ হেক্টর জমিতে ঢ্যাঁড়স আবাদ হয়েছে। এ বছর ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।


আরও খবর



অপেক্ষার প্রহর শেষ, কুতুবদিয়া পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাসের এই ঝঞ্ঝার পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ। সুস্থ রয়েছেন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহ-তে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। এখন নোঙর করবে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



গরমে তালের শাঁসের যত উপকারিতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে শরীর ও পেট ঠাণ্ডা রাখে তালের শাঁস। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যারও সমাধান করে এই ফল।

জানেন কি, তালের শাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর তালের শাঁস নানা রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন এই ফল কোন কোন রোগ সারায়-

১. এই ফল শরীরে শক্তি জোগায় ও দৈহিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলেই শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।

২. শরীরকে আর্দ্র রাখতেও তালের শাঁস বিশেষ উপকারী। তবে গরমে এই ফল বেশি খেলে আবার পেট গরম হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

৩. পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, পেট গরমভাব ও জ্বালাপোড়া কমায় এই ফল। এই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দূর করে।

৪. বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ভুগছেন লিভারের সমস্যায়। জানেন কি তালের শাঁস লিভারের সুরক্ষায় কাজ করে। লিভারের উপর এটি পাতলা আস্তরণের মতো কাজ করে।

৫. গরমে হাত পায়ে চুলকানি কিংবা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে। এ সমস্যারও সমাধান করে তালের শাঁস। তাই গরমে দৈনিক খাদ্যতালিকায় রাখুন তালের শাঁস।

নিউজ ট্যাগ: তালের শাঁস

আরও খবর



রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি, একটা কথাই বলেছি, আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও। চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করবো না। রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাস্ত করব না। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও। তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখবো।

আজ রোববার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের  নব-নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আর বানু এনডিসি প্রমুখ।

ডা. সামন্ত লাল সেন নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায়, একটু ভাল ব্যবহার। একটু ভাল করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা৷ এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। আমি মনে করি, সেই স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছ। আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ৪১তম বিসিএস স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১০৩  জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৭১ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ১৫৩ জন যোগদান করেন।


আরও খবর