আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সিন্ডিকেটের ফাঁদে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে চামড়ার দাম। সরকার নির্ধারিত ন্যায্য দাম পাননি কেউ। হাতেগোনা কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা সামান্য লাভের মুখ দেখলেও কোরবানির চামড়ায় দায় সারা দরে কিনতে সব আয়োজন করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

ফলে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৭ টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ জুন) সরেজমিনে চামড়া কেনাবেচার স্থানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত লবণযুক্ত চামড়ার দামের অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে লোকসানে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর এ রকম সিন্ডিকেটের ফাঁদে রংপুরে একদিকে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার আমদানি। অন্যদিকে ন্যায্য দাম না পেয়ে চামড়া মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়া দাম নির্ধারণ শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকায় সিন্ডিকেট বলয় এবারও ভাঙতে পারেননি সাধারণ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা।

রংপুর নগরীর চামড়া কেনাবেচার সবচেয়ে বৃহৎ এলাকা চামড়াপট্টিতে দেখা গেছে, পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নেন আড়তদারসহ বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তারা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া বিক্রি হয়নি।

এদিকে সাধারণ মানুষ এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার জন্য প্রসিদ্ধ রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর টার্মিনাল রোডের চামড়াপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীরাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এবারও সস্তায় চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গরুর চামড়ায় দাম মিললেও ছাগলের চামড়া ফ্রি-তে দিতে হয়েছে। চামড়ার দাম কম দিতে নানা অজুহাতের ফাঁদ গল্প শুনতে হয়েছে তাদের।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, এবার প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকায়। মৌসুমি চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া কিনে আনার পর আড়তদারদের কাছে চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে করে হতাশ তারা।

রাশেদুন্নবী জুয়েল নামের একজন জানান, তাদের গরুর দাম ছিল ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। কোনো ক্রেতাই এর থেকে দাম বেশি বলেনি। উপায় না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। এতে করে আমার ক্ষতি না হলেও সাধারণ গরীব-মিসকিনেরতো ঠিকই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কোরবানির পশুর চামড়ার টাকায় তো তাদের হক রয়েছে।

চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, প্রতি বর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া এক হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি ওই হিসেবে গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে প্রতি পিস চামড়া কিনতে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি না হওয়ায় তাকে মোটা অঙ্কের লোকসান মেনে নিতে হয়েছে।

একই কথা জানিয়েছেন নগরীর সিও বাজার এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী। তিনিও গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে সস্তা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে আড়তদারদের দাবি, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা তুলতে না পারা, পুঁজি সংকটসহ লবণের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন কারণে সরকার নির্ধারিত দামে তারা চামড়া কিনতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ১৫-২০ জন ফড়িয়া ও অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং হাতেগোনা ৬-১০ জন ব্যবসায়ী চামড়া কিনলেও এ বছর বেশির ভাগকেই চামড়া কেনাবেচায় দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চার-পাঁচজন ছাড়া চামড়া কেনার মতো বড় কোনো ব্যবসায়ী ও আড়তদার ছিল না এ এলাকায়। অথচ এক সময় চামড়াপট্টি এলাকায় শতাধিকের বেশি চামড়ার গুদাম ছিল।

রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, সিন্ডিকেট করে কী লাভ? এমনিতেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। ট্যানারি ছাড়া স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের বিকল্প কোনো উপায় নেই। এখন আমদানিও কম। লবণের দাম তো বেড়েই চলেছে। এত কিছুর মাঝেও ট্যানারি মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর ধরে ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছি। আমাদের ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ বড় বড় ট্যানারি মালিকেরা চামড়া ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে তা অন্যখাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, চামড়া কিনে কোথায় বিক্রি করা হবে, এ নিয়েই চিন্তিত বড় ব্যবসায়ীরা। এখন চামড়ার দাম নেই। তার মধ্যে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।


আরও খবর



দুই বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৬৪৮ কোটি টাকা: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই বছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে বোর্ড মিটিং শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে এই সেতুর সুফল ভোগ করছি। গত দুই বছরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ ও ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। যেখান থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকারও বেশি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অর্থ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৯শ ৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুন ৭ম ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩শ ১৪ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থবিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

পদ্মাসেতুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। দুই বছর আগে আজকের এই দিনে আমাদের অনেক প্রতীক্ষিত সেতু পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। নিজের টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।


আরও খবর



উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-কানাডা

রাত পেরোলেই পর্দা উঠছে কোপা আমেরিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের শুরু থেকেই চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর তার মধ্যে কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহরণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ অথবা ইউরো কাপ। এতে করে ক্রীড়াপ্রেমীরা খুব ব্যস্ত সময়ই পার করছে। এর মধ্যেই আগামীকাল ভোর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই। অনেকের কাছে ফুটবল শুধু একটি খেলাই নয়, এটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ-অনুভূতি। প্রিয় দল জিতলে যেমন উল্লাসে মেতে উঠে তেমনিভাবে প্রিয় দল হারলে চোখ থেকে বেয়ে পড়ে বেদনার অশ্রু। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আসলে ফুটবল নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে কয়েক গুণ। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে, অনেকে বাড়ির আঙিনায় টানান প্রিয় দলের পতাকা। টং দোকানের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, সবখানে হয় ফুটবল কেন্দ্রিক আলোচনা।

চলছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ইউরো। এর মধ্যে আগামীকাল সকালে পর্দা উঠতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা। অনেকের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মতো এই টুর্নামেন্টের অবস্থান। তাই তো ফুটবল ভক্তরাও চাতক পাখির মতো মুখিয়ে থাকে এই টুর্নামেন্টের জন্য। কেননা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দেখা যায় ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো এই বঙ্গ দেশে ছড়িয়ে পড়ে সেই রেশ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে তো ইউরোপ-আমেরিকা থেকে প্রিয় দলকে নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাসে মাতেন লাল-সবুজের এই দেশের মানুষরা। গেল কাতার বিশ্বকাপেও নতুন করে যা জেনেছে গোটা বিশ্ব।

এবারের কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা এই টুর্নামেন্টের ৪৮তম আসর। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কোপা আয়োজন করবে দেশটি। প্রথম বারের মতো ২০১৬ সালে কোপা আয়োজন করে দেশটি। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৬টায় মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও কানাডা। ম্যাচটি আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। শক্তি ও অভিজ্ঞতার দিক নিয়ে কানাডার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচে একবারই মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। তাও সেটা এক যুগের বেশি সময় আগে, ২০১০ সালে। সে ম্যাচে কানাডাকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাই বলাই যায় এই ম্যাচের কানাডাকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন স্কালোনির শিষ্যরা।

১৯১৬ সালে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আমেরিকা শ্রেষ্ঠের এই লড়াই। সেবার আসরটি আয়োজন করে আর্জেন্টিনা। ঐ আসরে স্বাগতিকদের ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতে উরুগুয়ে। ১০৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এই দুই দলের শিরোপার সংখ্যা ১৫টি করে। এছাড়াও  কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছিল আলবিসেলেস্তারা। সেইসঙ্গে এবারের আসরেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার মেসি বাহিনী।

অন্যদিকে গেল আসরে ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও পরিণত হয়ে মার্কিন মুল্লুকে পা রাখেন গেল আসরের রানার আপ ব্রাজিল। তাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের দিকে নজর বোলালে দেখা যায় সেই চিত্র। এছাড়াও চিলি, উরুগুয়ে, পেরু, মেক্সিকোও ছেড়ে কথা বলবে না কাউকে। এছাড়াও এবারের আসরে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়াই করবেন মোট ১৬টি দল। প্রতিটা গ্রুপের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে সেরা আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। এছাড়াও আগামী ১৫ জুলাই ফাইলের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের।

এ-গ্রুপ: আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, পেরু

বি-গ্রুপ: ইকুয়েডর, মেক্সিকো, জ্যামাইকা, ভেনিজুয়েলা

সি-গ্রুপ: যুক্তরাষ্ট্র, পানামা, উরুগুয়ে, বলিভিয়া

ডি-গ্রুপ: ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা, কলম্বিয়া


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জমি ও সড়ক দখলসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ফলে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে সোমবার (৩ জুন) থেকে আর কোনো দর্শনার্থী যেতে পারবেন না। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি করা হয়েছে দখল। বিষয়টি গণমাধ্যে প্রচার হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দিলে বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে এলাকাবাসী বক্তব্য দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশ এনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক। পরে পার্কের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সোমবার থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ বলে জানায় এলাকাবাসী।

সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বিরের জানান, আপাতত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করার যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্ভার সমস্যা সমাধন হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর



যে কারণে বাজেটে নজর থাকবে সাধারণ মানুষের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতির তোয়াক্কা না করে প্রতি বছরই বাড়ছে হুড়হুড় করে বাড়ছে বাজেটের আকার। যার প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঘোষণা হবে বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাজেটের প্রভাব পড়ে।

সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়লেও মানুষের বেতন সে অনুপাতে বাড়ছে না। কিন্তু হিসাবনিকাশ বলছে নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের উপর আবারও বাড়তে পারে করের বোঝা। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির ফলে নতুন করে দারিদ্র্যতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস বলেছেন, যারা গরীব তাদের জন্য এটা কষ্টদায়ক। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে হতদরিদ্রদের ওপর।

মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বিপরীতে কমছে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এর প্রভাব নতুন বাজেটে পড়তে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

আব্দুল বায়েস বলেন, অর্থনীতির এই জটিল হিসাবনিকাশ সাধারণ মানুষরা বোঝেন না। তারা বোঝেন প্রতি বার বাজেট মানেই ব্যয়ের নতুন নতুন খাত তৈরি হওয়া।

বাজেটের আগে বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী বলেন, আমাদের কাছে বাজেট মানেই এক দফায় দাম বৃদ্ধি। বাজেট আসলেই আমাদের চিন্তা করতে হয় কোন খরচ বাদ দিয়ে কোন খরচ মেটাবো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতি বছর বাজেটের পরই জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বেশি চাপে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আসছে বাজেটের পর নতুন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। যে কারণে তাদের চাহিদার তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বাজেটে। তবে কর আরোপ, কর্মসংস্থান, করমুক্ত আয়সীমা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মতো বিষয়গুলোর কারণে বাজেটে নজর থাকে সাধারণ মানুষের।

বিবিসি বাংলাকে ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমলে বাজারে এই ধরনের পণ্যের দাম কমতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, করের শুল্ক সরকার কমালেও অনেক সময় খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব দেখা যায় না নানা কারণে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের সঠিক তদারকি না থাকার কারণে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজেটে কম আয়ের মানুষের আয় ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজ ট্যাগ: বাজেট

আরও খবর



চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে উচ্চশিক্ষিত নারীর ১৪ গরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কোরবানির বাজার বিবিরহাটে রাখা হয়েছে উচ্চ শিক্ষিত নারীর ১৪ গরু। মানুষের ভিড়ের মধ্য নজর কাড়ছে তার গরুগুলো।

সালমা খাতুন নিজের পালিত ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রামের গরুর বাজারে। নারী হলেও গরু পালনে এগিয়ে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কলসি গ্রামে। দেখে মনে হচ্ছে না সে স্বাভাবিক কোনো খামারি। দেশের সাধারণত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। তিনি পরম মমতায় গরুগুলোকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন এবং ক্রেতাদের সাথে গরু নিয়ে দরদাম করছেন। বাজারে পুরুষ বিক্রেতার মধ্যে তিনি একমাত্র নারী বিক্রেতা। সালমা খাতুন জানালেন তার সংগ্রামী জীবনের কথা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করা সালমা খাতুন বলেন, ‌আমি চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে আমের ব্যবসা করি। ২০১৯ সালে শখের বসে গরু পালন করছি। এরপর  সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসাকে বড় করেন। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইচ্ছাশক্তির কারণে পরর ইউসিবি ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।   নিজের পালিত গরু বিক্রি করতে চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে এসেছেন। গত ২০২২ সালে এই বাজারে এসেছিলাম, তখনও সব বিক্রি করে গেছিলাম। এবারের কোরবানির বাজারে তিনি ১৪টি গরু এনেছেন।

তিনি বলেন, আমার এখানে ১ লাখ ১২ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামের গরু আছে। আমরা বাজারে গরুগুলো এনেছি গত বৃহস্পতিবার। সবকিছু বিক্রি হয়ে যেতে পারবো আশা করছি।

 এসময় ক্রেতারা জানান, 'নারী হলেও গরুর খামার করা সাহসী ব্যাপার। তিনি অনেক দূর থেকে এসেছেন। তার সাহস আছে। ওনার দেখাই অনেক নারীও এই পেশায় আসবে। একজন খামারি হিসেবে তিনি সফল হবেন।'

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর