আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাগ্য
পরীক্ষা করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পরে নির্বাচন।
ট্রাই ইউর লাক। আসেন ভাগ্য পরীক্ষা করেন।’জনগণ আপনাদের (বিএনপি) গ্রহণ করলে আমরা
তো ক্যু করে ক্ষমতায় থাকব না; যা আপনারা করেন। জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আছি না হলে নাই।
আওয়ামী লীগ কখনো জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র করে
কোনো লাভ হবে না। এসব বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে
বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী এসব বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী
বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্ণা দেয়। কিন্তু ধর্ণা দিয়েও কাজ হবে না। অর্থনৈতিক
মন্দার ফলে তারা (বিদেশি) নিজেদের নিয়ে এখন ‘চাচা আপন প্রাণ
বাঁচা’ অবস্থায়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বহুবার শেখ
হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে বিএনপি আল্লাহ বাচিয়ে রেখেছেন। বিএনপির বুলেট বোমাতে
অন্তত শেখ হাসিনা ভয় পায় না। আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ভ্যানগার্ড, অগ্রগামী সাহসী শক্তি, তারাও সেই ভয় পাবে না।
আরও পড়ুন: আমাদের দেশে নির্বাচন হবে আমাদের সংবিধানের আওতায়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি এই নৈরাজ্য সন্ত্রাস ষড়ষন্ত্রের
পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে নির্বাচন আসুন।
আপনারা বিদেশিদের ওপর ভরসা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের পথ
পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসেন। গণতন্ত্র চর্চা করেন। জনগণের কাছে যান লাভ হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে
এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক
লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন
আহমেদ তাজ, রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েলসহ আয়োজক সংগঠনগুলোর নেতারা। সঞ্চালক ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক
লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।