আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ভূরুঙ্গামারীতে সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজল ও সা. সম্পাদক রফিকুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
Image

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সিটি প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হলেন মো: আব্দুর রাজ্জাক (কাজল) ও সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম। সিটি প্রেস ক্লাব ভূরুঙ্গামারী শাখায় মোট ১৫ জন সাংবাদিক নিয়ে এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক (কাজল) দৈনিক প্রথম খবর, দৈনিক সূর্যোদয়, দৈনিক তালাশ টাইমস পত্রিকায় ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ, স্বদেশ কন্ঠ প্রতিদিন, দৈনিক মনিং পোস্ট, নববাংলা, জাগ্রত জনতা, আর এম সি নিউজ পত্রিকায় কাজ করে আসছেন।

ক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকরা হলেন মো: সাঈদুর রহমান সহ সভাপতি, মো: শফিকুল ইসলাম সহ সভাপতি, মো: মেহেদী হাসান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মো: রাহিজুল ইসলাম কোষাধক্ষ্য, মো: বাবুল আক্তার সাংগঠনিক সম্পাদক,মোছা: শরিফা আক্তার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,মো: শাহীন আলম দপ্তর সম্পাদক, মো: কফিল উদ্দিন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মো: রাসেল ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, মো: রমজানুল হক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মো: জাকির হোসেন কার্যকরী সদস্য, মো: নাসির উদ্দীন কার্যকরী সদস্য, মো:শাহীন আলম সদস্য।

নবনির্বাচিত সভাপতি সাংবাদিক মো: আব্দুর রাজ্জাক (কাজল) বলেন, নবনির্বাচিত কমিটির সকল সাংবাদিক বৃন্দকে অভিনন্দন ও জেলা সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: নুর মোহাম্মদ চৌধুরী ভাই ও সাধারণ সম্পাদক মো: আ: হালিম মন্ডল গাজী ভাইসহ জেলা সিটি প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিক বৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন,ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কেউ যেন কোনো প্রকার দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, চোরা চালন, অবৈধ ব্যবসা, নারী নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ এ ধরণের কোনো অপরাধ করতে না পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাকে সত্য সুন্দর ন্যায় বিচার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শিক্ষা নগরী গড়ে তুলতে চাই। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা যেন সম্মানের সহিত পালন করতে পারি।


আরও খবর



মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হল হিজাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাজিকিস্তানে হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করে আইন পাস হয়েছে। দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষে আইনটি পাস হয়। এ ছাড়া আইনটির মাধ্যমে ঈদ উদ্‌যাপনেও বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।

এশিয়া প্লাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ জুন) মজলিসি মিলির ১৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিলটি উত্থাপন করা হলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।

আইনে হিজাবকে এলিয়েন পোশাক বলে উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে ঈদ উদ্‌যাপনকে বিদেশি সংস্কৃতি বলা হয়। আর দেশটি তা সমর্থন করতে পারে না বলেও যুক্তি তুলে ধরা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, শিশুরা ঈদ উদ্‌যাপনে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে না। দেশটিতে তা ইদগারদাক নামে পরিচিত। মূলত শিশুরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সড়ক ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে অভিবাদন জানায়।

এর আগে তাজিকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ মজলিসি নমোয়ানদাগন ৮ জুন হিজাব ও ইদগারদাক নিষিদ্ধ করার বিলটি অনুমোদন করে।

মজলিসি মিলি প্রেস সেন্টার বলছে, অধিবেশনে ছুটির দিন, ঐতিহ্য ও আচার-অনুষ্ঠান, সন্তান লালনপালনে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, পিতামাতার দায়িত্ব সংক্রান্ত দেশের আইনের সংশোধনীকে সমর্থন করা হয়েছে।

আইনটি মূলত হিজাব, ইসলামিক হেড স্কার্ফ ও ইসলামিক পোশাকের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী ধরনকে লক্ষ করে প্রণীত। বলা হচ্ছে, এসব পোশাক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাজিকিস্তানে আসতে শুরু করে এবং দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের কর্মকর্তারা এ পোশাক ধারণকারীদের ইসলামিক চরমপন্থিদের সঙ্গে তুলনা করছেন।

তাজিকিস্তান মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এর উত্তরে কিরগিজস্তান, উত্তরে ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন এবং দক্ষিণে আফগানিস্তান। দুশান্‌বে দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

দেশটির ৯৬.৪ শতাংশ অধিবাসী মুসলমান। তাজিকিস্তানে ২০০৯ সালে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর মধ্যে তাজিকিস্তানকে আলাদা করে তুলেছে। তবে তাজিকিস্তানে অন্য যেকোনো ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

বাকিদের মধ্যে অর্থোডক্স, প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও ইহুদি রয়েছে। তাজিকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে নিবন্ধন করতে হয়। এই নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল উপাসনার জন্য একত্রিত হতে পারে না। এর ব্যতিক্রম করলে বড় অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি তাদের উপাসনাস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়।


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রিমুখী গোলাগুলি, নিহত ১

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীদের দুপক্ষ এবং পুলিশের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল। বুধবার (১২ জুন) ভোর ৬ টায় উখিয়ার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।

নিহত আব্দুল মোনাফ (২৬) এই ব্লকের বাসিন্দা আজিম উল্লাহের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল মোনাফ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।

আমির জাফর বলেন, সকালে উখিয়ার ঘোনার পাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৪ ব্লকে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীদের দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আরসা সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।

ত্রিমুখী গোলাগুলির এক পর্যায়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিদেশি একটি পিস্তল। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এডিআইজি বলেন, কি কারণে আরসা সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আমির জাফর।


আরও খবর



আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আসন্ন ঈদে আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না।

সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ঢালী।

এরপর গত ৮ মে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে পশুরহাট

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাবতলী গবাদিপশুর হাট (স্থায়ী হাট), ভাটারা সূতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা এলাকার খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলা, ঢাকা পলিটেকনিক এলাকার খালি জায়গায় হাট বসার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্থায়ী পশুর হাট সারুলিয়ায়। এছাড়া উত্তর শাহজাহানপুর, লেদার টেকনলজি কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশান সংলগ্ন খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার এলাকা, কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা, দনিয়া কলেজ মাঠ যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন এলাকা লালবাগ, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডে হাট বসার কথা রয়েছে।


আরও খবর



শেরপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এর প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলাতে দ্বিতীয় শ্রেণির আদিবাসী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষক ফাহিম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মুখে আধাঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

বাগাছাস ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি সৌহার্দ্য চিরানের সভাপতিত্বে এবং রুবেল নকরেক এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান মি. নবেশ খকসী, শ্রীবরদী উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা, বাগাছাস ছাত্র সংগঠনের নেতা আলবা মৃ, অ্যান্টনী রেমা, সুমন্ত বর্মন, স্বতির্থ চিরানসহ আরো অনেকেই।

এর আগে শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা, গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক ফাহিম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের উত্তর গান্ধিগাঁও গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক আদিবাসী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। একইদিন পুলিশ ধর্ষক কিশোর ফাহিমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।


আরও খবর



ভারতে বিষাক্ত মদ্যপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে বিষাক্ত মদ্যপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েকদিনে বিষাক্ত মদপান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮ জন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তামিলনাড়ু রাজ্যের কাল্লাকুরিচি জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে কাল্লাকুরিচি জেলা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। মৃত ও অসুস্থদের বেশিরভাগই জেলার করুণাপুরম এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, বিষাক্ত চোলাই মদ আরাক বিক্রির অভিযোগে কে গোবিন্দরাজ ওরফে কান্নুকুট্টি নামে এক ব্যক্তিসহ সন্দেহভাজন চারজন অবৈধ মদ বিক্রেতা এবং আরো ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কান্নুকুট্টির কাছ থেকে ২০০ লিটার অবৈধ প্যাকেট আরাক নামের ওই বিষাক্ত মদ জব্দ করা হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্ট দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদনের শুনানি করতে চলেছে।

বিষাক্ত মদ খাওয়ার কারণে এই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, তারা ঠিক কী খেয়েছিল, তা আমরা তদন্ত করছি।

জানা গেছে, রাজ্য সরকার এ ঘটনার পর জেলা পুলিশ প্রধানকে বরখাস্ত করে তার জায়গায় নতুন আরেকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে। জেলা কালেক্টরকেও বদলি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রহিবিশন এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের ডেপুটি সুপার, তিনজন পরিদর্শক ও একাধিক সহ-পরিদর্শককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রতিবছর ভারতে বেআইনি ডিস্টিলারির তৈরি বিষাক্ত মদ পানে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে। অবৈধ ব্যবসায়ীরা মদের শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রায়ই মিথানল মেশায়। যা মূলত একটি অ্যান্টিফ্রিজ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ও খুব বিষাক্ত। মিথানল অল্প পরিমাণেও গ্রহণ করলে অন্ধত্ব, যকৃতের ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।


আরও খবর