আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে কারণে সকালের খাবার বাদ দেবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘুম থেকে ওঠার পরে গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি হলো সকালের খাবার খাওয়া। দিনের শুরুতেই নাস্তা খেয়ে নেওয়া অন্যতম স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। রাতে ঘুমের কারণে মোটামুটি ৬-৮ ঘণ্টার মতো সময় আমাদের পেট খালি থাকে। যে কারণে সকালে ভরপেট খেলেই কেবল দিনটি সঠিকভাবে শুরু হয়। সারাদিন শক্তি পেতে চাইলে সকালে পেটপুরে খেতে হবে।

সকালে স্বাস্থ্যকর ও ভরপুর খাবার খেলে তা শক্তি জোগানোর পাশাপাশি সারাদিনের কাজেও উৎসাহ জোগায়। তাই দিনের শুরুতে কখনোই খাবার বাদ দেবেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালের খাবার ঠিকভাবে খাওয়ার সমস্ত উপকারিতাসমূহ-

হার্টের জন্য ভালো: সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা কেবল আপনার স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না, সেইসঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে হার্ট ভালো রাখতেও কাজ করে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেইসঙ্গে এটি আরও অনেক অসুখ ডেকে আনতে পারে যেমন উচ্চ কোলেস্টেরল, হাইপার টেনশন, স্থুলতা ইত্যাদি। ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে কোনোভাবেই সকালের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। সকালে পেট ভরে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা আপনাকে সারাদিন ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা থেকে দূরে রাখবে। ফলে পরবর্তীতে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না এবং অন্যান্য বেলার খাবারেও সঠিক পুষ্টি বেছে নিতে পারবেন।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের খাবার ঠিকভাবে খেলে তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে সকালের খাবার বাদ দেওয়ার অভ্যাস থাকলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। সকালের খাবার বাদ দিলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস পায় এবং দুপুরের খাবারের পরে আবার তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে ডায়াবেটিস হতে সময় লাগে না।

মস্তিষ্কের জন্য ভালো: নিয়মিত সকালের খাবার খেলে আমাদের মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করা সহজ হয়। ফলে যারা সকালের খাবার বাদ দেন তাদের চেয়ে যারা সকালের খাবার নিয়মিত খান তাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। নিয়মিত সকালের খাবার খেলে মস্তিষ্কের উন্নতি আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

প্রতিদিনের পুষ্টির জোগান দেয়: সকালে পুষ্টিকর খাবার খেলে তা আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ভিটামিন ও খনিজের জোগান দেয়। অন্যদিকে যারা সকালের খাবার এড়িয়ে যান তারা এসব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত থাকেন। সকালের খাবারে যদি প্রোটিন, আস্ত শস্য, ডাল, দুধ, ফল ও প্রচুর শাক-সবজি রাখেন তাহলে তা আপনার দিনটি দুর্দান্তভাবে শুরু করতে সাহায্য করবে।

নিউজ ট্যাগ: সকালের খাবার

আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান ও মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।

বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ক্রমবর্ধমান হারে নিকারাগুয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন। পরে দেশটির উত্তর ওভারল্যান্ড থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তের দিকে যাচ্ছেন তারা। মানবপাচারকারী চক্রের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য এই রুটের প্রচার চালায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর জন্য প্রথমে ব্রাজিল কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশে যাত্রা করছেন। তবে অনেকেই কলম্বিয়া-পানামা সীমান্তের ডারিয়েন গ্যাপ নামে পরিচিত গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বিপজ্জনক যাত্রা এড়াতে নিকারাগুয়ায় যান। পরে সেখান থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে পৌঁছান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসন রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীর মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই অবৈধ অভিবাসীদের ঢল সামলানোই বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির ভোটাররাও বলেছেন, এখন তাদের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় অভিবাসন।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, পোলিং অফিসারকে মারধর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসরিনগরে প্রথম দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাতলপাড় ইউনিয়নের এক ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

বুধবার বেলা ১১টার দিকে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে চশমা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান  শেখ হুমায়ুন ও তার কর্মী সমর্থকরা।

এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার পলাশ সরকার। আহত পোলিং অফিসের নাম মো. ফয়সাল আহমদ। তিনি চাতলপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতলপাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রতনপুর কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ হুমায়ূনের পক্ষের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রের দখল নিতে চায়। সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্র দখল করতে গেলে পোলিং অফিসার প্রথমে বাধা দেন। তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ওই কেন্দ্রের পোলিং অফিসারের ওপর। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল করিম রানা বলেন, কেন্দ্রের ভেতর অবৈতনিক সুবিধা না পেয়ে পোলিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই অন্যায়।

নাসিরনগর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি, এখন নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমে রোদ থেকে বাঁচতে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান-২ এর নগর ভবনের সামনে রিকশা চালকদের হাতে ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির বোতল তুলে দেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৩৫ হাজার রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

শুরুতে ডিএনসিসির লাইসেন্সকৃত রিকশা চালকদের ছাতা দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ছাতার সঙ্গে ১২টি করে খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির বোতলও যোগ হয়েছে।

সহযোগিতায় এগিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, তীব্র এই গরম থেকে নগরীকে বাঁচানো শুধু সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমাজের উচ্চবিত্তদের এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। আমরা ৩৫ হাজার রিকশা চালককে ছাতা দিচ্ছি কিন্তু শহরে আরও রিকশা রয়েছে যারা তীব্র তাপে জীবিকার তাগিদে অসহনীয় কষ্ট করছে। সবাই এগিয়ে আসলে আমরা তাদের পাশেও দাঁড়াতে পারবো।

তীব্র গরম থেকে নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে শহরের বিভিন্ন পার্কে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এই গরমে শহরের মানুষকে কিছুটা প্রশান্তি দিতে ডিএনসিসি ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এবং কাজ করছে। তবে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা শহরের মানুষকে আরও কিছুটা প্রশান্তি দিবে। পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা করে প্রয়োজন। এই উদ্যোগ সফল করার জন্য দেশের সরকারি বেসরকারি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

ডিএনসিসির উদ্যোগে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ পাকিস্তান, আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য: মঈন খান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য। শনিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৫ বছরের একদলীয় শাসন, বাকশালের কারণে দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। তাদের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার নেই। দেশে একদলীয় শাসন চলতে পারে না। কারণ এই শাসনে জনগণ বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সাম্য ফিরে পেতে চায় কিন্তু সরকার মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জনগণ কিছু বলেনি। জনগণ যা বলার সরাসরি বলছে। তাহলে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে কেন? সরকার কি জনগণকে ভয় পায়? ডান বাম সবাই বলছে সরকার এদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।


আরও খবর