আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

১ জুলাই থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তাই এ সময়ের আগেই ঢাকাসহ সারা দেশের মহাসড়ক থেকে লক্কড়-ঝক্কড়, রংচটা, গ্লাস ভাঙা, লাইট ভাঙা, সিট ভাঙা মোটরযান উঠিয়ে নিতে হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআরটিএ রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই রব্বানী বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান তো নিয়মিত হচ্ছে। তবে এটি ১ জুলাই থেকে আরও জোরদার করা হবে।

এর আগে মহাসড়কে লক্কড়-ঝক্কড়, রংচটা, গ্লাস ভাঙা, লাইট ভাঙা, সিট ভাঙা  মোটরযান চলাচল বন্ধে গত ১৯ মে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিআরটিএ।

সেই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যানবাহন ঢাকাসহ মহাসড়কে চলাচলের কারণে প্রায় সড়কে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের ওপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। মোটরযানের চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় বিআরটিএ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।


আরও খবর



ভাড়াটিয়া পরিচয়ে স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভাড়াটিয়া পরিচয়ে স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ভাড়াটিয়া সেজে এ অপরাধ করে আসছিলো চক্রটি। প্রথমে টার্গেট ঠিক করে একটি এলাকায় বাসা ভাড়া নেয় তারা। পরে সখ্যতা গড়ে তোলার একপর্যায়ে নিজেদের স্বর্ণকার পরিচয় দিয়ে বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার পরিষ্কার করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

কমান্ডার আরাফাত আরও জানান, এভাবেই টার্গেটকৃত ব্যক্তির সবকিছু লুটে নিয়ে চলে যায় তারা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের মূলহোতা আলী হাসান সোহেলসহ তার এক নারী সহযোগীকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা তিন চার বছর ধরে এভাবে খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।


আরও খবর



জামালপুরে হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইক চুরির পর চালক লাইজু মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত এ রায় ঘোষণা করেন৷

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মো. মনি তাহেরি, মো. রুবেল মিয়া, মো. জাকির হোসেন ও সোহাগ। এর মধ্যে সোহাগ ও মো. জাকির হোসেন পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইক চুরির পর চালক লাইজু মিয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে আসামিরা। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে রুবেল মিয়া ও মনি তাহেরকে গ্রেপ্তার করে৷ পরে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম আক্কাস বলেন, মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনের উপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতে গুলসান আরা বেগম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আব্দুর রশীদ ওই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলে।

গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয় এবং সোমবার (১০) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান।

তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুদকে দেওয়া সেই অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বোচাপুকুর পোকাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির ২.৮৩ একর জমি রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগমের স্বামীর বাড়ি পোকাতিতে হওয়ার সুবাদে তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের জমি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে। এলাকার নিজস্ব লোকজন নিয়ে স্কুলের কমিটি করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতাগণ ও ছাত্র অভিভাবকগণ অবৈধ স্কুল কমিটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মতিয়র রহমান বিদ্যালয়ের জমিতে ৪২টি কাঁঠাল গাছ, ৪টি আম গাছ, ৩টি ডাব গাছ ও বিভিন্ন বনজ গাছ আছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা বনবিভাগকে না জানিয়ে উক্ত গাছগুলোর মধ্যে কতগুলো গাছ বিক্রি করে দেয়। প্রতিনিয়তই প্রধান শিক্ষিকা সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে আসছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। তিনি ব্যক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছে। তিনি তাঁর লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছে তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। প্রবেশ করলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোন জমি বা হাট লিজ দেওয়ার কোন প্রশ্নেই আসে না। আর সকলের সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আইন অমান্য করার কোন সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটি সভাপতি ও নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, গুলসান আরা বেগম চাকুরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রানি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলা যাবে।


আরও খবর



সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পাননি বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি। এটা বিস্তারিতভাবে না জেনে প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পেরেছি, মার্কিন সরকার অনেক দেশের অনেক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা তাদের জন্য নতুন কিছু না। আমাদের দেশে যাকে দেওয়া হয়েছে, আমাদের কাছে এখনো সেটা সঠিকভাবে আসেনি। আসলে পরে জানতে পারবো, কেন দেওয়া হয়েছে!

এর আগে বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। এতে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা জানান দেশটি।


আরও খবর



বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা (কুরবানির ঈদ) যত ঘনিয়ে আসছে, মসলার বাজার ততই অস্থির হয়ে উঠছে। দুই মাস ধরেই ধাপে ধাপে বাড়ছে বিভিন্ন মসলার দাম। সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম। পাশাপাশি এলাচ, লবঙ্গ ও জিরাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক পণ্যমূল্যের তালিকা পর্যালোচনা করেও মসলার মূল্যবৃদ্ধির চিত্র লক্ষ করা গেছে। টিসিবি বলছে, সাতদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি ও আমদানিকরা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬.৯০ থেকে ৬.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ২.১৩ শতাংশ, দেশি রসুন ২.৪৪ শতাংশ, জিরা ৬.৬৭ শতাংশ, লবঙ্গ ৪.৭৬ শতাংশ এবং ছোট দানার এলাচ ৫.৮৮ শতাংশ।

খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। এ পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগেও ৮০ টাকা ছিল। এছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা আদা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৬০ টাকা, যা সাতদিন আগে ২০০-২৫০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৯০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ৬৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা। সেই একই লবঙ্গ সাতদিন আগেও কেজি ছিল ১৬৫০-১৭০০ টাকা। প্রতি কেজি ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০০ টাকা, যা আগে ৩৭০০-৩৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে মসলার ক্রেতা আনসার আলী বলেন, কুরবানির ঈদ এলেই বিক্রেতারা মসলার দাম বাড়িয়ে দেন। এবার একই কাজ করা হয়েছে। প্রতিবছর একইভাবে ভোক্তার পকেট কাটলেও তদারকি সংস্থা কিছুই করছে না। তাহলে কি তদারকি সংস্থাও ভোক্তার মতো শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি? যদি জিম্মি হয়ে থাকে, তাহলে আমরা ভোক্তারা কোথায় যাব?

একই বাজারের মসলা বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, পাইকারি দোকান থেকে পণ্য কিনে এনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করি। দাম বাড়তি থাকলে আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হয়। বিক্রিও করতে হয় বাড়তি দামে। কিন্তু ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। অভিযান পরিচালনা হলেও আমাদের এসে জরিমানা করে। আমরা অনেক সমস্যায় আছি।

এদিকে কাওরান বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রেতারা জানান, সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি পর্যায়ে খরচ বেড়ে গেছে। যে কারণে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। এখানে কুরবানির ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করা হয়নি।

এদিকে ডিমের বাজারও চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে বেশি বেচাকেনা হয় বাদামি রঙের ডিম। খুচরায় এ ধরনের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। হালি হিসাবে (৪টি) কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর রোজা ও রোজার ঈদ এমনকি কুরবানির ঈদে ব্যবসায়ীরা একেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যেখানে ধর্মীয় উৎসবে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে অন্যান্য দেশ পণ্যের দাম কমায়, আর এ দেশে ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা করতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করে। এটা কোনোভাবেই ঠিক না। আর এগুলো দেখার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে, তারাও বাজারে তদারকি করছে। কিন্তু দাম কোনোভাবে ক্রেতাসহনীয় করা যাচ্ছে না। এজন্য দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে এবং ঈদ ঘিরে বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে তদারকি করা হচ্ছে। এমনকি আসলের নামে ভেজাল পণ্য তৈরি ও সরবরাহ নজরদারি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তদারকি চলমান আছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায়ও আনা হচ্ছে।


আরও খবর