আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামী ২৫ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। পরের দিন ২৬ মে (রোববার) সন্ধ্যায় রেমাল নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আজ বৃহস্পতিবার সর্বশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যাঞলের নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ও পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করছে। আগামী ২৫ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা বলা হলেও আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে এটি ভারতের উড়িশা অথবা বাংলাদেশের উপকূলে যেতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সংস্থা ইসিএআই এবং এনসিইপি ইঙ্গিত দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে।

অপরদিকে আইমডি, এনসিইউএম এবং আইএমডি এমএমই বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চার করে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে। আর ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানা শুরু করতে পারে ২৬ মে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে।

রেমাল একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।

২০২০ সালে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। সেখান থেকেই এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। যখন এই ঘোষণা আসবে তখনই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ নিম্নচাপটিকে ‍ঘূর্ণিঝড় রেমাল হিসেবে অভিহিত করা হবে।


আরও খবর



গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুহারা লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামলা থামানো হবে না।

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, যদি হামলা অব্যাহত থাকে তবে গাজায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র হবে। সেখানকার ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই তীব্র অনাহারের মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে তীব্র অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত। সেখানে প্রায় আট মাস ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায়ই সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী, পুরুষ এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও এসব হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৭৪ জন। গাজায় সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে আরও কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে।


আরও খবর



ছোট ও মাঝারি গরুতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদের অন্যতম আকর্ষণ পশু কেনা। পশু ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে পরিকল্পনার শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য থাকে মাঝারি ও ছোট আকারেরে গরু কোরবানি দেওয়া। অনেকে আবার মাংসের স্বাদের বিবেচনায় দেশীয় গরু কিনতে চান।

সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক মাঝারি কিংবা ছোট গরুর চাহিদা বেশি বাজারে। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে গরু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।

আজ রাজধানীর তেজগাঁও টেকনিক্যাল মাঠের গরুর হাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে এ হাট বসানো হয়েছে। হাটে ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার গরু উঠেছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করছেন। মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না তারা। অনেক ক্রেতা শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। যদিও আজ সকাল থেকে গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শেরপুর থেকে ২২টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী আরশাদ। তিনি বলেন, আমার কাছে মাঝারি ও ছোট গরুর সংখ্যা বেশি ছিল। গতকাল তেমন বিক্রি না হলেও আজ সকালেই ৮টি গরু বিক্রি করেছি। আমি আগামীকালের আশায় থাকতে চাচ্ছি না। মোটামুটি লাভ হলেও গরু ছেড়ে দেব।

মাঝারি সাইজের দুটি গরু কিনেছেন নিজামুল হক। তিনি বলেন, হাজীপাড়া থেকে এখানে এসেছি। প্রথমে ইচ্ছে ছিল বড় আকারের গরু কিনব। পরে আমার অংশীদারদের পরামর্শে ছোট আকারের দুটি গরু ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কিনেছি। দেশি গরু দেখতে ছোট হলেও মাংস ও স্বাদ বেশি। এ কারণে ছোট আকারের গরু কিনলাম। 

তেজগাঁও হাটের ইজারাদার হোসেন খান বলেন, প্রথম দিকে গরু-ছাগল বিক্রির পরিমাণ কম হলেও বর্তমানে পশু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দামও আগের তুলনায় কমেছে। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। চলছেও বেশি। আমরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করছি। 


আরও খবর



ঝড়ের রাতে ঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরেক নাতনি।

সোমবার (২৭ মে) রাত ১টার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন দাদি হামিদুন্নেছা ও নাতি আরাফাত হোসেন। আহত নাতনি হালিমা আক্তার মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে বোরকা পড়া এক যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। দাদি হামিদুন্নেছা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর নাতি আরাফাত হোসেনকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. অরুণ জানান, ওই পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকেন। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ  পাওয়া গেছে।


আরও খবর



বিডি ক্লিনের মত বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর নেই: মেয়র আতিক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (৩ মে) গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকায় ১০০টি স্মার্ট ডাস্টবিন স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে পরিচ্ছন্ন শহর গড়ায় কাজ করছে। মিরপুর প্যারিস খাল, মোহাম্মদপুর রামচন্দ্রপুর খালের ময়লা পরিষ্কারে অংশ নিয়েছে। জানতে পেরেছি বিডি ক্লিন ৮ বছর শেষে ৫৮টি জেলা টিম আর ১৫৭টি উপজেলা টিমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ৪৬০০০ এর বেশি সক্রিয় সদস্য। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করে এতো বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশে আর নেই। বিডি ক্লিন দেশকে ভালোবেসে, শহরকে ভালোবেসে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছে।

মেয়র আরও বলেন, অনেকে শুধু নিজের চিন্তা করে মাঠ, খাল, রাস্তা, বড়-বড় জমি দখল করছে। এমন চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে শুধু নিজেদের না, আমাদের সবাইকে নিয়ে কাজ করার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও চিন্তা করেননি আমার। তিনি চিন্তা করেছেন আমাদের। তাই আমরা আজকে বাংলাদেশ পেয়েছি, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর একটি বাসাও ঢাকায় নেই। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আমার বাসা লাগবে না। আমার বাসা আছে গোপালগঞ্জে। এমন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি এটা আমাদের ও দেশের ভাগ্য।

মেয়র বলেন, শহরকে, দেশকে ভালোবাসলে কেউ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলতে পারে না। সবাই শুধু নিজেকে নিয়ে চিন্তা করছে, দখল দূষণ করছে। আমরা খাল থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রদর্শনী করেছি। জানাতে চেয়েছি মানুষ নির্বিচারে কী ধরনের বর্জ্য ফেলছে। লেপ, তোষক, চেয়ার, টেবিল, কমোডসহ এমন কিছু নেই খালে ও ড্রেনে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাইকে আহ্বান করছি দয়া করে কেউ খালে, ড্রেনে ময়লা ফেলবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলবেন।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র স্মার্ট ডাস্টবিন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর



নীরবে লাগামহীন কাঁচামরিচ-আদা-রসুনের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলার সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে আদমানি কম হওয়াসহ মোকামে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে এমনটাই আশা ব্যবসায়ীদের।

শনিবার (১ জুন) সকালে ফুলবাড়ী পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৫ দিন আগেও যে আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, এখন সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। ১৭০ টাকা কেজির রসুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। ৫৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় আর ৫০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

ফুলবাড়ী পৌর বাজারে বাজার করতে আসা মো. মাহাবুব আলম বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে আদা ১৮০ টাকা কেজি দারে কিনতে পাওয়া গেলেও এখন সেই আদা কিনতে হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। এভাবে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ চলবে কীভাবে।

অপর ক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদ আসছে। সবার মসলা প্রয়োজন হয়। বাজারে এসে দেখা যাচ্ছে আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকলে অনেক ভালো হয়।

ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী বিধান চন্দ্র ও আলমগীর হোসেন বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আদার দাম বাড়ছে। দেশের বাজারে রসুনের আমদানি বর্তমান কম, যার কারণে দাম বাড়ছে। আবার মোকামে দাম বৃদ্ধিসহ আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে মরিচের গাছ ঝলসে যাওয়ায় ফলন কমে গেছে। ফলে আমদানি কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এসব কারণেই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে আসবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্‌ তমাল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও নজরদারি রাখা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর