আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বাজেট: ৩ কোটি ৮০ লাখ কিডনি রোগীর খরচ কমবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে কিডনি রোগে ভোগা মানুষের আনুমানিক সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। এ রোগীদের বেশির ভাগকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। প্রস্তাবিত বাজেটে এ দুটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এ দুটি পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট। এ পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি। অর্থমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।


আরও খবর



বাতিল হচ্ছে ট্রাম্পের অস্ত্রের লাইসেন্স

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত ৩০ মে ৩৪টি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি নেই। তাই নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ ট্রাম্পের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে।

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্র ট্রাম্পের সঙ্গে রাখার যে অনুমতি ছিল, তা ২০২৩ এর এপ্রিলে ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের পর স্থগিত করা হয়।

তিনি ৩টি নিবন্ধনকৃত পিস্তলের মালিক ছিলেন। দুইটি পিস্তল ২০২৩ এর ৩১ মার্চ নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অপর অস্ত্রটি আইনি প্রক্রিয়া অনুসারে ফ্লোরিডায় স্থানান্তর’ করা হয়।

ট্রাম্প এখনও ফ্লোরিডার বাসভবনে পিস্তলটি সংরক্ষণ করে থাকলে, তা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো জবাব পায়নি সিএনএন।

পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নিউইয়র্ক পুলিশের আইন বিভাগ একটি তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যার পর খুব সম্ভবত ট্রাম্পের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’ তবে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ ট্রাম্পের সুরক্ষায় ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে। তাই তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হলেও তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই।


আরও খবর



ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)। বাড়ি ফেরার তাড়ায় লোকজনের ভিড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে লোকজনকে বেশ খানিকটা সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী, কল্যাণপুর, তেজগাঁও, সাতরাস্তা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

দারুস সালাম এলাকায়‌ সরেজমিন দেখা যায়,‌ ঢাকা ঢোকার প্রবেশপথে পবর্তা সিগন্যালে আটকে যাচ্ছি ঈদ যাত্রীকে নামিয়ে আসা ফিরতি বাসসহ সব পরিবহন। পর্বতা সিগন্যাল থেকে দারস সালাম মাজার রোড পর্যন্ত যানজট। দীর্ঘসময় গাড়ি আটকে থাকছে সিগন্যালের কারণে। অন্যদিকে ঈদযাত্রার বাসসহ অন্যান্য পরিবহন একইভাবে টেকনিক্যাল, মাজার রোড ক্রসিং, গাবতলী বাস টার্মিনাল হয়ে পর্বতা সিগন্যাল পার হতে সময় লাগছে অন্তত আধা ঘণ্টা।

ডিএমপি‌র ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুব আলী বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। স্বাভাবিকভাবে আজ অন্যদিনের তুলনায় সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। সকাল থেকে দারুস সালাম, মাজার রোড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদযাত্রার গাড়িগুলোর চাপ রয়েছে রাস্তায়। বেলা যত গড়াচ্ছে যানজট ততই বাড়ছে। ঈদযাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট থাকবে।

এদিকে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে একদিক দিয়ে যানজট পৌঁছেছে বনানী পর্যন্ত। অন্যদিক দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে যানজট তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হয়ে সাতরাস্তা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া রাস্তায়ও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রনি বলেন, আজ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস, যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া মহাখালীতে আন্তঃজেলা একটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। সকাল থেকে বাস টার্মিনাল থেকে ঈদযাত্রার দূরপাল্লার গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে মহাখালী থেকে শুরু করে এর আশপাশ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে রেমালের অজুহাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের পর নিত্যপণ্যের বাজারে এবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের অজুহাত। দাম বেড়ে গেছে সবজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের। তবে সামান্য কমেছে মুরগির দাম। ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা অজুহাত পেলেই দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের, আর কমলে কমে খুবই সামান্য।

শুক্রবার (৩১ মে) কেরানীগঞ্জের আগানগর, জিনজিরা এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে সবজির দাম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে বেড়ে গেছে দাম।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা, কোনো কোনো বাজারে অবশ্য এখনও ২০০ টাকা। আর পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। মূলত ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছেন আড়তদাররা।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, আমদানির ভয়ে দাম কমাচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমে আসবে।’

স্বস্তির খবর নেই ডিম ও গরুর মাংসের বাজারেও। তবে দাম কমেছে সব ধরনের মুরগির। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৭০০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে মুরগির বাজারে। তীব্র গরমের কারণে প্রচুর মুরগি মারা গেলেও এর হার এখন কমে এসেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

তবে ক্রেতাদের দাবি, কোনো একটা কারণ বা অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের। যদিও দাম কমার সময় কমে খুবই সামান্য।

মশিউর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোনো একটি পণ্যের দাম ১০ টাকা বাড়লে, কমার সময় কমে মাত্র ১-২ টাকা। আবার যখন বাড়ে, তখন বাড়ে ৫-১০ টাকা। তাহলে ২ টাকা কমিয়ে লাভ কী!

আদনান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার এখন ব্যবসায়ীদের খেয়াল-খুশিমতো চলে। চাহিদা-যোগানের কোনো ভিত্তি নেই। কোনো একটা ছুতো পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, ইলিশ বাদে স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারে। নতুন করে না বাড়লেও দাম কমেনি। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। এর প্রভাবে মাছের দাম একটুও কমেনি।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাছ বিক্রেতা জয়ন্ত বলেন, মাছের দাম একটু চড়াই। এ সপ্তাহে নতুন করে খুব একটা দাম বাড়েনি। কোনো কোনো মাছের দাম হয়তো ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাছের ঘেরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামনে দাম বাড়তে পারে।’

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। এ মুহূর্তে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। যদিও ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশ ১৫০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকায়।

উত্তাপ ছড়াচ্ছে মসলার বাজারও। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজারে দাম বাড়ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০-২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর আদা কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর



আজ দেশের যেসব জায়গায় পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে এবারও আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে।

রোববার (১৬ জুন) সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা পালন করচ্ছে এসব গ্রামের মানুষ। ঈদ ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এছাড়া শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামেও আজ উদযাপন করা হবে ঈদুল আজহা। 

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে। জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মুসুল্লি এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছেন।

সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠের পীরজাদা আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী জানান, দরবার শরীফ মাঠে রোববার সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিনিই ইমামতি করবেন। এছাড়া সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠে জামাত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা এসব গ্রামে একদিন আগে হয়ে আসছে। ঈদের জামাতসহ সব নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এই তেল আমদানি করতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এজন্য বিপিসির ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে ৫টি প্যাকেজে বিভক্ত করে আন্তর্জাতিক কোটেশন আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তারমধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এবং ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

প্রতি ব্যারেল জেটএ-১ এর দাম পড়বে ১০.৮৮ ডলার। এছাড়া প্রতি ব্যারেল গ্যাস অয়েল ৮.৮৩ মার্কিন ডলার, ফার্নেস অয়েল ৪৬.৭২ ডলার, মোগ্যাস ৯.৮৮ ডলার এবং মেরিন ফুয়েল ৭৬.৮৮ ডলার দিয়ে কেনা হবে। এই দামে গ্যাস অয়েল ১০ লাখ মেট্রিক টন, জেট-এ-১ ২ লাখ মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ১ লাখ মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা হবে।


আরও খবর