আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বানের জলে ভাসছে সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

বানের পানিতে থৈ থৈ সুনামগঞ্জের আশপাশের সব এলাকা। ডুবে আছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। যে সড়ক দাপিয়ে বেড়িয়েছি অটোরিকশা, রিকশাসহ সব মোটরযান আজ সেই রাস্তায় চলছে নৌকা। যাদেরকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তারা ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুররা আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আর যাদের অবস্থা কিছুটা ভালো তারা উঠেছেন আবাসিক হোটেলে। কেউ কেউ আছেন প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের বাসায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার চারটি পৌরসভা এলাকাসহ ৭৮টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৮টি গ্রামের ছয় লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার।

সুনামগঞ্জ জেলার পুরোটাই বন্যাকবলিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর ও ছাতক উপজেলার মানুষ। ছাতক উপজেলার পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করার কারণে সুনামগঞ্জের অনেক হাওর এখন পানিতে টইটুম্বুর। আর এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। ইতিমধ্যে মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৭ হেক্টর জমির সবজিখেত পানিতে নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার কায়েতকান্দা, রাজধরপুর, কাকিয়াম মৌলভীপাড়া, আলমপুর দোয়াদুর রহমান ও দক্ষিণ রূপনগরের মোট পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বন্যায় তলিয়ে আছে সকল উপজেলার স্থানীয় সড়ক। জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর এবং ছাতক উপজেলার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বুধবার (১৯ জুন) এর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দিরাইয়ে সুরমা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে উজান থেকে ব্যাপক পরিমাণে পাহাড়ি ঢল নামছে।

লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লতিফুন্নেছা বলেন, আমার ঘরের ভেতর গলা সমান পানি। ঘরে ছেলে বউ আর এক আট বছরের এক নাতি ছিল। ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টসের চাকরি করে। পানি যখন ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করে আমি আমার নাতি আর বউকে নিয়ে এখানে চলে আসি। সাথে নিয়ে এসেছি দুটি বালিশ আর একটা কম্বল। ঘরে তালা দেওয়ার সময়ও পাইনি।

একই আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, খুব কষ্টে আছি ভাই। তিন দিন ধরে কাজে যাই না। বউ, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে আছে। ১ কেজি চাল আর ২০০ গ্রাম ডাল এনেছিলাম। খেয়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন কেউ দিলে খাই আর না হয় খালি পেটে থাকি। বাচ্চাদের জন্য বিস্কুট নিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার বাচ্চারা ভাত খাবে বলে আবদার করছে।

বড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া রফিকুল বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্য ৯ জন। আমরা দুই আশ্রয়কেন্দ্রে মিলিয়ে থাকছি। দিনের অর্ধেক সময় এখানে বাকি সময় লবজান চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে কাটে। আমাদের দিকে আল্লাহ কবে যে সুনজর দেবেন তা তিনিই ভালো জানেন। আমাদের আর এই কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।

সেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আম্মার বলেন, ২০২২ এর বন্যায় আমরা দেখেছি বন্যা কতটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। আর সেই ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ৫-৭ জনের টিম করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অনেকে আমাদের কাছে ফোন দিয়ে জরুরি ঔষুধ এবং খাবার চাচ্ছেন। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী সুনামগঞ্জ জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।সুনামগঞ্জের বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে সামান্য কমেছে আবার কোন স্থানে বাড়ছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পানি আরও বাড়তে পারে। যদি উজানে বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে।আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।


আরও খবর



আলুর কেজি ৭০ টাকা স্বাভাবিক মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রান্নায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত এই উপকরণটি বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত এই পণ্যটির চড়া দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে, আলুর এ দামকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ মতামত জানান।

বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন কি না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলু-পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে। এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দামের যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখব, সেটি বার বার বলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, যেকোনও প্রাইস নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি, তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে, সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারব না যে, পেঁয়াজের দাম এতো। অন্তত আমি পারব না। সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম জানা নেই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়... তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।

সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করেনি। এটা নিয়ে কোনও কিছু করণীয় আছে কি না সেটি দেখব। আপনার বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে, সেগুলো আমাদের কি না সেটি দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের, তাই সাবানের দাম নির্ধানের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটি দেখে আপনাদের জানাব।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।


আরও খবর



‘সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষায় শিক্ষক ও গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সমুদ্র বিজয়ের বিষয়। সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেরিন সায়েন্স এবং সমুদ্র সম্পদ নিয়ে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষক-গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে চবি সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলনে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্য রাখেন চবি মেরিন সাইন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। সেমিনারে উক্ত ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চবি উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষমাত্রা অর্জনে কাজ করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আফতাব উদ্দিন সভাপতিত্বে সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোঃ সাহাদাত হোসেন এবং প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

৭০০ কোটি মানুষের বসবাসের এই ছোট্ট সবুজ পৃথিবীর তিন-চতুর্তাংশই সমুদ্র। সভ্যতার এই অত্যাধুনিক যুগে বিশাল এই সমুদ্রকে জানতে, সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিকে বেগবান করতে বহুবছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস। এরই ধারাবাহিকতায়, অত্র ইনস্টিটিউটের তরুণ সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ এবং সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে একটি র‍্যালি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

উল্লেখ্য, একুশ শতকে সমুদ্র সম্পর্কিত জ্ঞানকে পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে দিতে, বিশাল সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ আহরণ, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, সমুদ্রের পরিবেশ ও আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা, উপকূলীয় জনসাধারণের উপর জলবায়ুর প্রভাব নিরুপণ এবং সমুদ্র সম্পদের টেকশই ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সাল থেকে সমুদ্র বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর পাঠদান করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।


আরও খবর



ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী হিনা খান। বিষয়টির সত্যতা তিনি তার ইনস্টাগ্রামে নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি তার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে।

চিকিৎসা শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৮ জুন) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি সত্য বলে নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী।

হিনা খান ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, চলমান গুঞ্জন আমার নজরে পড়েছে। যারা আমার ভক্ত, যারা আমাকে ভালোবাসেন সবার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর ভাগ করে নিচ্ছি। আমার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, এখন স্টেজ থ্রিতে রয়েছে। চ্যালেঞ্জিং একটি রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও বলছি, আমি ভালো আছি। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। এরই মধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্যানসার মুক্ত হওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা করার জন্যও আমি প্রস্তুত।

তার পোস্টের পর অনেকে তাকে সাহস দিয়েছেন। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তবে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি হিনা খান। ভারতের একজন চিকিৎসক এক টুইটে জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েক মাস ধরে তাকে তেমন ভাবে ছোট পর্দা বা বড় পর্দার কোনও কাজে দেখা যাচ্ছে না। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান। ২০০৮ সালে ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায় ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান।


আরও খবর



ঈদে ৭ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চালু থাকবে।

বুধবার (১২ জুন) সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুরজ্জামান সায়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (৪ জুন) ত্রি-দেশীয় বুড়িমারী স্থল বন্দরের বোর্ডে ছুটির নোটিশ জারি করে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটির বিষয়ে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সেখানে আগামী ১৫ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার থাকায় আগামী শনিবার (২২ জুন) বুড়িমারী স্থল বন্দরে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব পলাশ বলেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দর দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

এ ব্যাপারে বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে এ স্থল শুল্ক স্টেশন ৭ দিন বন্ধের বিষয়ে চিঠি পেয়েছি।


আরও খবর