রাজধানীর বাজারে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের
মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ চড়া। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই ক্রেতাদের
নাগালের বাইরে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দামও বেড়েছে।
বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে
গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঢাকার
বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে
হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায়
ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।
রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বাজার
ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ
ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও
বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া আলুর দাম উঠেছে ৬৫ টাকা প্রতিকেজি,
যা গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। কমেনি কাঁচা মরিচের দামও, বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে
৩০০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের
মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা
বলা যাচ্ছে না।
বাজারের বেশিরভাগ সবজি চড়া দামে আটকে
রয়েছে। প্রতিকেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কিছু। ওই দামের মধ্যে আছে পটল, ঢ্যাঁড়স,
কাঁচা পেঁপে। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ
৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি। এছাড়া করলা ও বড় তালবেগুনের দাম ১০০ টাকা বা তার চেয়েও
বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।
এদিকে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও পাইকারি
ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
ভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা
থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে
মিলমালিকদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
রাজধানীর কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজারে
খোঁজ নিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে।
জানা গেছে, খুচরা বাজারে জাত ও মানভেদে
প্রতি কেজি দেশি বাসমতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি মানের
বিআর ২৮ ও ২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড ৪৮ টাকায়
বিক্রি হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে এসব চালের দাম কেজিতে মানভেদে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত
কম ছিল।
বাবুবাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা মেসার্স
রশিদ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ জানান, চালের বাজার গত এক দেড় মাস ধরে
স্থিতিশীল ছিল। কারণ এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে সরবরাহও ভালো ছিল। ঈদের পর হঠাৎ
চালের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন কিছু মিলমালিক। এতে বাজারে
চালের সরবরাহ কিছুটা স্থবির।