আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪
শিরোনাম

‘এই আনন্দের দিনে কারও প্রতি ঘৃণা নয়, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দের দিনে কারও প্রতি ঘৃণা নয়, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়। শুধু দেশবাসীর প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আজ শনিবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের পেছনের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুই যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত যোগাযোগব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তিনি যমুনা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে জাপান সফরকালে যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য তিনি জাপান সরকারের সহায়তা চান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩-এ জুন আমি ওই সেতুর উদ্বোধন করি।

পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের শুরুর দিককার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে জাপান সফরকালে আমি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সহযোগিতা চাই। জাপান সরকার দুটি নদীর ওপরই সেতু নির্মাণে রাজি হয়। আমার অনুরোধে ওই মেয়াদেই রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যেহেতু পদ্মা অনেক খরস্রোতা, বিশাল নদী, তাই পদ্মা নদীর সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। ২০০১ সালের মাঝামাঝি পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষার কাজ শেষ করে জাপান। স্থান নির্বাচন করে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। এই সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে আমি মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা সরকারে আসতে পারিনি। ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মাওয়া প্রান্তে সেতু নির্মাণে অনীহা দেখায়। তাঁরা জাপান সরকারকে পুনরায় মানিকগঞ্জের আরিচায় পদ্মা সেতুর জন্য সমীক্ষা করতে বলে। দ্বিতীয়বার সমীক্ষার পর জাপান বর্তমান মাওয়া-জাজিরা প্রান্তকেই বাছাই করে পদ্মা সেতু নির্মাণের রিপোর্ট পেশ করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১-২০০৬ মেয়াদে এই সেতু নির্মাণের বিষয়ে আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালে আবার সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এসে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসি। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ২২ দিনের মাথায় সেতুর নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা এই সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়। কিন্তু কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীর প্ররোচনায় ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে যায়। পরবর্তীকালে অন্য অংশীদারগণও বিশ্বব্যাংকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। তারপর পানি অনেক ঘোলা করা হয়েছে। তথাকথিত নাগরিক সমাজের একশ্রেণির প্রতিনিধি, কতিপয় মিডিয়া, স্বঘোষিত অর্থনীতিবিদগণ সরকারের তীব্র সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে—প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা। কেউ ন্যূনতম অনুসন্ধান পর্যন্ত করলেন না যে, যে প্রকল্প একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে, তাতে কীভাবে দুর্নীতি হতে পারে? দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে জানাল যে, কোনো দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করলেন না। কিন্তু কানাডার আদালতে যখন পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে রায় দিল, তখন সবাই চুপ হয়ে গেলেন। কারও মুখে কোনো কথা নেই। তাঁদের কারণে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী যে মানসিক নির্যাতনের শিকার হলেন, তা নিয়ে সামান্য দুঃখ পর্যন্ত প্রকাশ করলেন না। কিন্তু আমি জানতাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি। আর এ কারণেই এই সেতু নির্মাণে আমার জেদ চাপে।’

সবাই যখন হতাশ, তখন আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেই—বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, এই সেতু নির্মাণে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেই। এই ঘোষণার পর আপনারা দেখেছেন, কিছু কিছু মানুষ কীভাবে নানা নৈরাশ্যবাদী ও হতাশাব্যঞ্জক কথাবার্তা বলেছেন। নিজেদের টাকায় এই সেতু তৈরি করলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, অগ্রগতি স্থবির হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তাঁরা। আজকে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ধসে পড়েনি। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও পারি।’ পদ্মা সেতু তাই আত্মমর্যাদা ও বাঙালির সক্ষমতা প্রমাণের সেতু শুধু নয়, পুরো জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও। বাংলাদেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা। আমি তাদের স্যালুট জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই আনন্দের দিনে কারও প্রতি ঘৃণা নয়, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়। শুধু দেশবাসীর প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আপনারা পাশে ছিলেন বলেই আমি সাহস পেয়েছি এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে। আর পরপার থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছেন এবং আশীর্বাদ করেছেন আমার বাবা, বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা রেণু। আজ আমি শুধু প্রার্থনা করব, ষড়যন্ত্রকারীদের যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন দিনের সফর শেষে, ঢাকা ছাড়লেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। টানা দুইদিন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পৌনে ৪টায় শাহজালাল বিমান বন্দর ছাড়ে, তাকে বহনকারী বিমান। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক এবং মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছে তিনি নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মীদের সাথে বৈঠক করেন। রাতে, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক করেন। সেখানেই ছিলো নৈশভোজের আয়োজন।

বুধবার, তিনি পররাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথেও বৈঠক করেন। যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কন্নোয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



বাঁশখালীতে পুকুরে বিষ দিয়ে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়ায় পশ্চিম হিন্দুপাড়ায় রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ ঢেলে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। সকালে পুকুরে মরা মাছ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পান। চেচুরিয়া জলদাশ পাড়ার মৃত অপুন্দ্র জলদাশের পুত্র তমাল জলদাশ এই পুকুরটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্ত তমাল জলদাশ জানান, বিভিন্ন জন থেকে লোন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সে পশ্চিম হিন্দু পাড়ার এই পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আসছিলেন।গত বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা আমার পুকুরটিতে বিষ ঢেলে দেয়। বিষক্রিয়ায় পুকুরের ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে যায়। মরে যাওয়া মাছের মধ্যে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, গলদা চিংড়ি, মৃগল, কার্পুসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। তিলে তিলে গড়ে তোলা পুকুরের মাছ নিধনের ফলে সর্বস্ব হারিয়ে তমাল জলদাশ এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন। ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের ফলে তার আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মানুষের দায় দেনা কিভাবে পরিশোধ করবেন তানিয়ে বেকায়দায় তমাল।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আনার হত্যা: আ. লীগ নেতা ‘গ্যাস বাবু’ আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার এক নিকটাত্মীয় আটক হয়েছেন। তার নাম কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক বাবু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানান, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভুঁইয়ার নিকটাত্বীয় কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু। আনার হত্যার ঘটনায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতে ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) থেকে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের সদস্যরা ঝিনাইদহে এসেছিলেন। তারা বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে গেছেন। তবে কোন মামলায়, কোন বিষয়ে নিয়ে তা আমি নিশ্চিত বলতে পারছি না।


আরও খবর
গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় আট মাস ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা। এবার উপত্যকার শেষ নিরাপদ অঞ্চল রাফাহ সীমান্তে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির এ অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় হবে আজ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে রায় দেবেন আদালত। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদন জানায়। এতে ফিলিস্তিনের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের জরুরি ব্যবস্থা চাওয়া হয়।

এর আগে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই মামলার অংশ হিসেবে রাফাহ ইসরায়েলি অভিযান বন্ধে নির্দেশনা চেয়েছে দেশটি। এর আগে গত শুক্রবার ( ১৭ মে) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আদালতের কার্যালয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।

শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইসরায়েল জানায়, নিজেদের রক্ষায় ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ধরনের আবেদন জাতিসংঘের জাতিগত নিধন সনদের সঙ্গে ঠাট্টা। তাই আবেদন নাকচ করে দেওয়ার দাবি জানান ইসরায়েলের আইনজীবীরা।

ইসরায়েল আরও বলে, এটি বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি আবেদন। রাফায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। ইসরায়েল বিষয়টি ভালোভাবে জানে। কিন্তু হামাস এসব মানুষের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সেখানে আস্তানা গেড়েছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। হামাসের সন্ত্রাসীদের নির্মূলে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।


আরও খবর



উপকূলের আরো কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, সাগর উত্তাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর ও নদ-নদীর পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১১ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৯.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ)-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮, মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৯৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বগোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর
সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪