আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

এইচআইভির টিকা নিয়ে আশার কথা শোনালেন গবেষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী দল, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা আবিষ্কারে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া এইচআইভির প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছে মার্কিন ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান মডার্না

১৯৮১ সালে এইচআইভি রোগটি আবিষ্কারের পর থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছেন তিন কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রতি বছর মারা যাচ্ছে কমপক্ষে ৬ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে এইচআইভি রোগী আছে তিন কোটি ৮০ লাখের মতো। এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যকারী প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এই যখন অবস্থা, তখন আশার কথা শোনালেন গবেষকরা।

মার্কিন ও ব্রিটিশ দুদল বিজ্ঞানী ঘোষণা দিয়েছেন, তারা করোনার টিকার ওপর ভিত্তি করে এইচআইভির ভ্যাকসিনও আবিষ্কার করতে সফল হবেন।

এদের মধ্যে আছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী দল, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা আবিষ্কারে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া এইচআইভির প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছে মার্কিন ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান মডার্না।

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা এ মাসেই যুক্তরাজ্য, কেনিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুইয়ের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১০১ জন এইচআইভি-নেগেটিভ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে যাচ্ছে।

আর মডার্নার টিকাটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে এ বছরের শেষের দিকে। দুটি গবেষক দলই সফলতার ব্যাপারে আশাবাদী। তারা বলছেন, করোনার মতো এইচআইভির টিকা তৈরিতেও তারা সফল হবেন। 

নিউজ ট্যাগ: এইচআইভি

আরও খবর



পুঁজি ছাড়াই ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিক বেনজীর

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুধু ক্ষমতার জোরই পুঁজি’। জনশ্রুতি রয়েছে, পাঁচতারকা মানের ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিক হতে এক পয়সাও লগ্নি করতে হয়নি সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদকে। গাজীপুরের বারইপাড়া মৌজার নীলজানি গ্রামে গড়ে তোলা এ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারটির ওয়েবসাইটে এর জমির পরিমাণ ৩৫ একর (১০৫ বিঘা) বলা হলেও এলাকাবাসীর দাবি, রিসোর্টের জায়গা ৫০ একরের কম না।

গাজীপুরের বন বিভাগের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, বনের প্রায় পৌনে ৭ একর জমি দখল করে রিসোর্টটি দাঁড় করানো হয়েছে। গতকাল শনিবার ভাওয়াল রিসোর্ট এলাকা ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের শীর্ষ পদে থাকার সময় কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। কীভাবে প্রভাববলয় ব্যবহার করে এত সম্পদ অর্জন করেছেন, তা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই গাজীপুরের রিসোর্টটির মালিক বনে গেছেন বেনজীর। শুরুতে ১৯ একর জমি নিয়ে রিসোর্টটির কাজ শুরু হলেও সাবেক আইজিপি (তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের-ডিএমপি কমিশনার) বেনজীরের ক্ষমতার জোরে প্রায় ৫০ একর জায়গা দখল করে নেন রিসোর্ট মালিকরা।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট, ম্যাক্স ভ্যালিসহ সাতটি রিসোর্টের অবৈধ দখল করা জমি উদ্ধার করলেও ভাওয়াল রিসোর্টের জমি উদ্ধারে এতদিন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিল না বন বিভাগ। এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভাওয়াল রিসোর্টের করা এক মামলায় এ জমির বিষয়ে একটি স্টে অর্ডার ছিল। এ কারণে বন বিভাগ চাইলেও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে ২০১৭ সালেই জেলা জজ আদালতের স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে আপিল করে। গত বৃহস্পতিবার এর রায় হয়েছে। আদালত আপিলটি গ্রহণ করে স্টে অর্ডারটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই। তবে প্রক্রিয়া শুরু করতে কয়েক দিন লাগতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের গাজীপুরের এক কর্মী জানান, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের মালিকানায় সাবেক অতিরিক্ত আইজি বজলুল করিম, মেজর কবিরসহ বহু পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পরও বন বিভাগ দখলে থাকা জমি উদ্ধার করেছে। ম্যাক্স ভ্যালির মালিকানায় আছে একটি নামকরা টিভি চ্যানেলের। বন বিভাগ তাদের থেকেও অবৈধ দখলকৃত জমি উদ্ধার করেছে। কিন্তু এ জায়গায় (ভাওয়াল রিসোর্টে) এসে হোঁচট খাচ্ছিলাম। প্রকৃতপক্ষে বন বিভাগের কতটা জমি দখল করে রেখেছে, তা পরিমাপের জন্য বন বিভাগ বা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কেউ এ রিসোর্টটিতে প্রবেশ করতে পারছিল না। আদালতের রায় পক্ষে আসায় এখন কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।

শুধু বন বিভাগ নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধার জমিও দখল করে করা হয়েছে ভাওয়াল রিসোর্ট। এর মূল প্রবেশপথের এক একরের বেশি জমি কাপাসিয়া-শ্রীপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. সিরাজুল হক এবং তাঁর মায়ের। প্রবীণ এ মুক্তিযোদ্ধা নিজের জমি উদ্ধারে নানাজনের কাছে দিয়েছেন ধরনা। তবে প্রভাবশালী বেনজীরের কারণে তারা ২০১৩ সালের পর থেকে ওই জমির ধারেকাছেও ভিড়তে পারেননি। বেনজীরের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর চাউর হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছেন ডা. সিরাজুল। জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

এলাকাবাসী জানান, ভাওয়াল রিসোর্টের মূল উদ্যোক্তা দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প গ্রুপ পারটেক্স। ব্যবসায়িক গ্রুপটির উদ্যোক্তা প্রয়াত এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজীজ রাসেল বর্তমানে এটির মালিকানায় রয়েছেন। ২০১৩ সালে গাজীপুর সদরের বারইপাড়া মৌজার নীলজানি গ্রামের কয়েকজনের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কিনে এর সঙ্গে আরও কিছু সরকারি খাসজমি দখল করে নেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, ভাওয়াল রিসোর্টটির মালিক পক্ষ ২০১০ সাল থেকে এ এলাকার জমি কেনা শুরু করে। তৎকালীন গাজীপুরের এসপি (বর্তমানে রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি) আব্দুল বাতেন ভাওয়াল রিসোর্টের পক্ষে কাজ করেছেন। জমি দখল থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের ক্ষমতা প্রদর্শনে সব সহায়তা দেন বলে জানান তারা। তবে গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মী যোগাযোগ করলে ডিআইজি আব্দুল বাতেন এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এখন নানাজন নানা কথা বলবে। প্রকৃতপক্ষে আমার ভাই আব্দুর রাজ্জাকের (সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা) ভাওয়াল রিসোর্টের সঙ্গে কয়েক বিঘা জমি ছিল। সেই সূত্রে আমি একবার ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। ভাওয়াল রিসোর্টের সঙ্গে কখনোই আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না।’

তবে স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাদল মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, এসপি বাতেন এ জমি কেনাবেচায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে কখনও শুনিনি। ভাওয়াল রিসোর্টের মূল জমিটির মালিক ছিলেন তিন ভাই– রাধা বলম, গোপী বলম ও চাঁদ বলম। তারা ভারতে চলে গেছেন। তাদের কাছ থেকে আমির উদ্দিন ও দত্তর মুন্সী জমি কিনে নিয়েছিলেন। তবে বাঘের বাজারের হাবিবুর রহমান নামে একজন মিথ্যা দলিল করে জমি দখল করে নেন। স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মীমাংসা হওয়ার পর আমির উদ্দিন ও দত্তর মুন্সীদের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়েছিলেন রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল মঞ্জুর আলম। এক ছাত্রের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে এ জমি কিনেছিলেন তিনি। এর পর মঞ্জুর আলমের কাছ থেকে পারটেক্স গ্রুপ জমি কিনে নেয়। পরে রফিক মাস্টারসহ অনেকে জমি বিক্রি করেছেন। এখানে বেনজীর  আহমেদের কোনো জমি ছিল না। শুনেছি, এই রিসোর্টের মালিকানায় তিনিও আছেন। তবে কীভাবে মালিক হয়েছেন, তা জানি না। ভাওয়াল রিসোর্ট তাদের দখলে থাকা জমির পরিমাণ ৩৫ একর দাবি করলেও বাদল মিয়ার দাবি, এর পরিমাণ ৫০-৬০ বিঘার বেশি হবে না।

তবে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক রাজ্জাক জানান, তিনি সরাসরি ভাওয়াল রিসোর্টের কাছে জমি বিক্রি করেননি। তিনি জমি বিক্রি করেছেন রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মঞ্জুর আলমের কাছে। ভাওয়াল রিসোর্টের পক্ষে জমির দালালি ও দখলে কাজ করেছেন– স্থানীয় কয়েকজনের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ঠিক না।

এলাকাবাসী জানান, তৎকালীন এসপি বাতেনের পর ২০১৭ সালে হঠাৎ ভাওয়াল রিসোর্টের সঙ্গে যুক্ত হন বেনজীর। ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু জমির দখল ছাড়তে রাসেলদের চাপ প্রয়োগ করেন তিনি। এক পর্যায়ে বেনজীরকে এর অংশীদার করে দিয়ে আপসরফা করে নেন রাসেল।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বেনজীর আহমেদের মোবাইলে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ভাওয়াল রিসোর্টের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিসোর্টির মালিক শওকত আজীজ রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করা হয়।

ভাওয়াল রিসোর্টের মূল প্রবেশপথের জমিটি মুক্তিযোদ্ধা ডা. সিরাজুল হক ও তাঁর মায়ের জমি দখল করে গড়ে তোলা। এ ব্যাপারে ডা. সিরাজুল হকের ভাই বজলুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ভাইয়ের জমি উদ্ধারে আজ রোববার গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে এই জমি কেনা। স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহর কাছে জমিটি বর্গা দেওয়া ছিল। ২০১৩ সালে হঠাৎ জমিটি দখল করে নেয় ভাওয়াল রিসোর্ট। পরে জানতে পারি, এর সঙ্গে পুলিশের বড় কর্তারা জড়িত। ফলে ভয়ে আমরা ওই জমির ধারেকাছেও যেতে পারিনি। এখন বেনজীরের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে দেখে আমরাও কিছুটা সাহস পাচ্ছি।

শফিউল্লাহর কাছে জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডা. সিরাজুল হকদের জমিটি একসময় নিচু ছিল। আমিই বর্গা নিয়ে চাষ করতাম। ভাওয়াল রিসোর্টের লোকজন জমি ভরাট করে এখানে রিসোর্ট বানায়। এক পর্যায়ে রাস্তায় ওঠার জন্য তাদের জমি ছিল না। তখন এ জমিটি দখল করে নেয়। তারা জানত, এটা এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের জমি। তার পরও তারা তা গ্রাহ্য করেনি। সিরাজুল হক জমির আশপাশেও যেতে পারতেন না। নানা জনের কাছে ধরনা দিয়ে জমি উদ্ধার করতে না পেরে ন্যায্যমূল্যে তা কিনে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধ রিসোর্টের মালিকরা রাখেননি। তবে প্রতিবছর এ জমির সরকারি খাজনা আমি দিয়ে এসেছি। ১৪৩১ বাংলা সনের খাজনাও আমি দিয়েছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, ২০১৭ সালে ভাওয়াল রিসোর্টের অধীনে সব মিলে জমি ছিল ১৯ একর। বেনজীর যুক্ত হওয়ার পর আশপাশের আরও জমি জবরদখল করে এর আয়তন বাড়িয়ে নেন। এখন রিসোর্টের অধীনে জমির পরিমাণ ৫০ একরের কম হবে না। এলাকাবাসী আরও জানান, এলাকায় বেনজীর যখন আসতেন, তখন মেম্বারবাড়ি, নলজানি রাইস মিলসহ পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হতো। ভয়ে তখন কেউ রাস্তায় উঠত না। এর পর যাদের জমি দখল করা হয়েছিল, তারাও ভয়ে ওই এলাকায় যেতেন না।


আরও খবর



৩৬ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে টানা ৩৬ ঘণ্টা থাকার পর ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে গেলে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন।

রোববার (২৬ মে) বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলের দিকে প্রবেশ করলে উত্তাল হয়ে পড়ে পদ্মা নদী। তাই নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি-এর দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল ছিল। যার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। নদী স্বাভাবিক হলে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনো সিরিয়াল নেই।

লঞ্চ বন্ধ রাখার বিষয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ-এর ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. শিমুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ চালানোর ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় ২য় ধাপে চারটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত ফলাফলে দোয়াত কলম প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হালিম ৭১৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ২৫৩৪০ ভোট পেয়েছেন।

কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত ফলাফলে আনারস প্রতীকে ৬০৯১০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোর্শেদ পিটার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২২৭০ ভোট।

দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ৯৭২৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই।

এছাড়াও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল।

এর আগে সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে কুষ্টিয়ায় চার উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলে বিকালে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করে প্রশাসন।

কুষ্টিয়ার চারটি উপজেলায় ৪৪টি ইউনিয়নের ৪১৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ৩০৬০। মোট ভোটার ১১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৬৪ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৬জন।

নির্বাচনে জেলার ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন অংশগ্রহণ করে।


আরও খবর



ইসরায়েলে বৃষ্টির মতো রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের অন্তত ৯টি সামরিক স্থাপনায় একযোগে আবারো মুহুর্মুহু রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় ওই হামলার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর মাঠ পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডার নিহত হন। বৃহস্পতিবার ওই হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় গত অক্টোবরের পর বৃহস্পতিবারই সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

এক বিবৃতিতে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠী বলেছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ছয়টি অবস্থানে মুহুর্মুহু কাতিউশা ও ফালাক রকেট ছুড়েছে। হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম আল-মানার টেলিভিশন একযোগে ১০০টিরও বেশি রকেট ছোড়ার খবর দিয়েছে।

হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর, একটি গোয়েন্দা সদরদপ্তর ও একটি সামরিক ব্যারাকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ইসরায়েলে একযোগে অন্তত ৩০টি ‌অ্যাটাক ড্রোন ছোড়া হয়েছে; যা ইসরায়েল-হামাসের গত আট মাসের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর।

গত অক্টোবরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিনই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারের প্রাণহানির পর উভয়পক্ষের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

বুধবার হিজবুল্লাহ বলেছিল, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিশোধে ওইদিন অন্তত ৮ বার হামলা চালিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়া হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সাইরেন বেজে উঠে। ৪০টি রকেট এসেছে লেবানন থেকে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কানে দেখানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ফুটেজ।

এতে দেখা যায়, ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের আকাশে রকেট। এর মধ্যে লেবানন সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে সাফেদ শহরে আঘাত করে রকেট। ইসরায়েলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে বলা হচ্ছে, এই হামলায় দুজন আহত হয়েছে। আগুন লেগেছে কয়েকটি জায়গায়। তবে বেশি ক্ষতি হয়নি।

প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, বেশিরভাগ রকেটই প্রতিহত করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোনও শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর পর থেকে গাজায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শিশু। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই লেবানন সীমান্তে বেড়ে গেছে উত্তেজনা। এর আগেও ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এবার আবারো হামলা চালানো হলো।


আরও খবর



আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন: তৌহিদকে সমর্থন দিয়ে সরে গেলেন মান্নান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

সকল জল্পনা কল্পনা শেষে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ৯ টায় নগরীর সার্সন রোডস্থ স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির বাস ভবনে এক বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ১ মে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করার জন্য এর আগে বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন এম এ মান্নান চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায় এম এ মান্নান চৌধুরী নিজের প্রার্থীতা প্রত্যার করলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যাহার না করায় নির্বাচনের ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক থাকবে।

জানা যায়, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরীকে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সরাসরি সমর্থন দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। অপরদিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির অনুসারী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক এবং জনগণের সমর্থীত প্রার্থী হিসেবে পরিচিত বর্তমান দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, কেউ এ মুহূর্তে এসে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যার করলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যাহার না করায় নির্বাচনের ব্যালটে তাঁর নাম ও প্রতীক থাকবে।


আরও খবর