আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের ছুটি শেষে কাজে যোগদান করার দিনে লে-অফ ঘোষণার নোটিশে গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।এ সময় শতাধিক শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে।

মঙ্গলবার (২৫জুন) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর এলাকার বি কে বাড়ি এলাকায় অবস্থিত অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

কারখানা শ্রমিকেরা জানান, ঈদের আগে ১৫ জুন কারখানা ছুটি হয়। আজকে খোলার দিনে এসে দেখি গেট বন্ধ। সামনে লে-অফ ঘোষণার নোটিশ। আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা কারখানা খোলার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় কমপক্ষে পাঁচজন শ্রমিক আহত হয় বলেও দাবি করেন তারা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারশনের গাজীপুর জেলার সভাপতি মো. হারুন সরকার জানান, এভাবে লে-অফ ঘোষণা করা যায় না। আগে শ্রমিকদের জানাতে হয়। দেনা পাওনা পরিশোধ করতে হয়।

অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেডের জিএম এস এম খোরশেদুর রহমান বলেন, ঈদের আগে একটি শিপমেন্ট বাতিল হয়েছে। এখন অর্ডারও নেই। তাই লে-অফ ঘোষণা করেছি। ৭ জুলাই দেনা- পাওনা পরিশোধ করব। আমরা কোনো শ্রমিকের ওপর হামলা করিনি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পরিদর্শক মঞ্জুরুল হক বলেন, শ্রমিকদের ওপর হামলা হয়নি। সাত জুলাই শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



বাজেট: শিল্প খাতে বরাদ্দ কমেছে ৫১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প খাতে ৫১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে ২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের বাজেটে ছিল ৩ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে শিল্প পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতকে গতিশীল করতে উৎপাদন প্রযুক্তি এবং পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন, নতুন পণ্য উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি এবং বেসরকারি খাতের শিল্প উদ্যোগকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছি। ইউরিয়া সারের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কারখানা এবং ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু করা হয়েছে।

কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এ খাতের উন্নয়নে সরকার সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, পুনঃঅর্থায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ও রফতানিমুখী ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের লক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ২০০ একর জমিতে অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত মোট ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এসব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমেও রফতানি সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। রফতানি পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণে স্থানীয় শিল্পের সুষম বিকাশ, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ, পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ প্রণয়ন করেছি এবং রফতানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এছাড়া ই-কমার্স/ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে।


আরও খবর



চলচ্চিত্র নির্মাণে ১৪ কোটি টাকা অনুদান দিল সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ২০ জনকে ১৪ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) ঘোষণা করা হয়েছে অনুদান পাওয়া এ বছর ২০টি সিনেমা ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার নাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় দুটি সিনেমা অনুদান পেয়েছে। একটি পাকিস্তানে বন্দিজীবন’। এটি পরিচালনা ও প্রযোজক সাজেদুল ইসলাম। অন্যটি ছোঁয়া’, এর পরিচালক ও প্রযোজক রাকিবুল হাসান। দুটি সিনেমাই ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে।

শিশুতোষ শাখায়ও একইভাবে দুটি সিনেমা অনুদান পেয়েছে। অদ–ভুত’ নামে সিনেমাটির প্রযোজক রাইদ মোরশেদ। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন তাওকীর ইসলাম। প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলনবিলের মানিক’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন নিয়ামুল মুক্তা। দুটি সিনেমাই ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে।

প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পেয়েছে নো ম্যাডস অব দ্য নর্থ’। এর পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন পিপলু আর খান। অন্যটি কালের যাত্রা’। তথ্যচিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন রাসেল রানা দোজা।

এবার সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে ১৪টি সিনেমা। প্রতিটি সিনেমা ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে। পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে মিহিন গাথা’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছে মির্জা শবনব ফেরদৌসী। ঠিকানা’ সিনেমার জন্য পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর। অন্যদিকে ফজলে হাসান শিশির সুরাইয়া’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন রবিউল আলম রবি।

‘জয়া’ সিনেমার জন্য পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন গোলাম মোস্তফা। লোভ’ সিনেমার প্রযোজক পিংকি আক্তার, সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সঞ্জয় সমাদ্দার। এটির প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন পিংকি আক্তার। পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে সখী রঙ্গমালা’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন এন রাশেদ চৌধুরী।

সাধারণ শাখায় আরও অনুদান পেয়েছে শেলী কাদের প্রযোজিত জাত’। এটি নির্মাণ করবেন নারগিস আক্তার। আরেকটি সিনেমা ময়নার চার’–এর প্রযাজক সুমন পারভেজ, পরিচালক এ জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, কালবেলা’ নামে নির্মিতব্য আরেকটি সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক ইব্রাহীম খলিল মিশুক (মিশুক মনি)।

এই তালিকায় আরও আছে মনোজ প্রামাণিক প্রযোজিত সেয়ানা’, এটি পরিচালনা করার কথা ইকবাল হাসান খানের। আছে আজিরন’ নামে আরও একটি সিনেমা, এটির প্রযোজক ও পরিচালক গীতালি হাসান। এ ছাড়া আছে পোস্টমর্টেম’। ছবিটির প্রযোজক মো. নিজাম উদ্দিন, পরিচালক, আরিফ সিদ্দিকী, হা ঘরে’ নামে আরেকটি সিনেমাও আছে তালিকায়। ছবিটির প্রযোজক নূর মনির, পরিচালনা করবেন নাসরুল্লাহ মানসুর।সাধারণ শাখায় মনোনীত আরেকটি সিনেমা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। সিনেমাটির প্রযোজক ও পরিচালক দেওয়ান নজরুল।

এ ছাড়া ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজককে অনুদান প্রদানের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় অনুদান পেয়েছে দুটি সিনেমা। এগুলো হলো অপরাজিত ৭১’। এরপর প্রযোজক ও পরিচালক মঈন উদ্দিন পাঠান। আরেকটি সিনেমা হলো জলদাসী’। এটির প্রযোজক ও পরিচালক মো. আবদুল খালেক (খালেক সাদমান)। দুটি সিনেমাই ২০ লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছে।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের শিশুতোষ শাখায় ২০ টাকা অনুদান পাচ্ছে ডালিমকুমার ও তালপুকুরের কিচ্ছা’। এটি প্রযোজক ও পরিচালক সামির আহমেদ।

এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এগুলো হলো জুয়েইরিযাহ মউ–এর মৌতালি পিঠার ঘ্রাণ’, এস এম কামরুল আহসানের ফিনিক্স পাখি’ ও মোহাম্মদ মামুন ছোবহানীর আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু’। তিনটি সিনেমাই ২০ লাখ করে টাকা অনুদান পাচ্ছে।


আরও খবর



১৯৭১ ইস্যুতে ইমরানকে ‘মুখ বন্ধ রাখার’ পরামর্শ পাকিস্তানি মন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে ইমরান খানকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, এ ইস্যুতে বেশিদূর কথাবার্তা চললে দেশের রাজনীতিতে উদ্বেগ উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।

কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া খান নাকি শেখ মুজিবুর রহমান তা জানার জন্য প্রত্যেক পাকিস্তানির উচিত হামুদ উর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি পড়া।

১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান খোয়ানোর পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার। এই কমিশনের মূল দায়িত্ব ছিল, কেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব সৃষ্টি হলো এবং এই যুদ্ধ হলো তার কারণ অনুসন্ধান করা।

হামুদ উর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে আজ পর্যন্ত সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা জেলে রয়েছেন ইমরান খান। কারাগারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাই পোস্টটি তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। জানা গেছে, ইমরানের এক্স একাউন্টটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়া টিম।

জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ পাকিস্তানের জন্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি এবং ইমরান খানও এ সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। কিন্তু তারপরও তিনি ইস্যুটি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ এবং আহ্বান থাকবে, তিনি যদি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চান, তাহলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।


আরও খবর



দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, তাদেরকে নিয়েই চলব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদেরকে নিয়েই চলব। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

রবিবার (২ জুন) গণভবনে আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, জার্মানিতে ৬ বছর নির্বাসনে থাকাকালীন জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। সারা দিন কান্নাকাটি করত। ইন্দিরা গান্ধীও অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতি এখন মুছে গেছে। মানুষের সামনে সঠিক ইতিহাস উঠে এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সবাই সেটা জানতেন; কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না।

তিনি বলেন, তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই স্যাটেলাইটের সমালোচনা করছেন। তারা আসলে কিছু ভালো না-লাগা গ্রুপ। আবার কিছু তৈরি হয়ে গেলে খুব মজা করে তারা ব্যবহার করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে স্বামীর কর্মস্থল ইতালি যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ভিসা পেতাম না। তারপর করাচি গিয়ে ভিসা করে যেতে হতো। এখান থেকে কোথাও যাওয়া যেত না। সবকিছুই হতো করাচিকেন্দ্রিক।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেয়া যায় না।’

নিজে নিজের কাজ করায় কোনো লজ্জা নেই মন্তব্য করে প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, করোনার সময় আমি আর রেহানা নিজেরাই ঘর মোছা, কাপড় কাচা, রান্নাসহ সব কাজ নিজেরা করেছি। কাজ করতে কখনও লজ্জাবোধ করি না।’


আরও খবর



তিল ধারণের ঠাঁই নেই ট্রেনে, দরজায় ঝুলে বাড়ি ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র দুইদিন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ট্রেনে জায়গা সংকুলান না হলেও যে কোনো মূল্যে বাড়ি ফিরতে চান সবাই। উপায় না পেয়ে দরজায় ঝুলেও ট্রেনের সঙ্গে স্টেশন ছাড়ছেন অনেকে।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস। ট্রেন থামার পর যাত্রীরা একে একে আসতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় বগি। এরপরও আসতে থাকেন যাত্রীরা। বগিতে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের টয়লেটের সামনে, দুই বগির মাঝখানে ও দরজায় অবস্থান নেন অনেকেই।

ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে দরজায় ঝুলতে থাকেন অনেকেই। সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যায় একতা এক্সপ্রেস। এসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের দরজায় ঝুলে থাকতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। কেউ কেউ দরজায় ঝুলে থাকার জায়গাও না পেয়ে নিরাশ হয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন পরের ট্রেনের জন্য।

এমনই একজন মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, যদি ঝুলে যাওয়ার একটু জায়গা পেতাম তাও ট্রেনে উঠে পড়তাম। এখন কী করবো ভাবছি, বাড়ি তো যেতেই হবে। আগে তো মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠেও বাড়ি যেত। কিন্তু এবার নিরাপত্তাকর্মীরা ট্রেনের ছাদে অবস্থান নেওয়ায় কোনো যাত্রী ছাদে উঠতে পারেননি।


আরও খবর