আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক দীপিকা পাড়ুকোন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ১৭ মে শুরু হচ্ছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবের ৯ বিচারকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডের তারকা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উৎসবটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা শাখার বিচারকদের তালিকায় রয়েছে বলিউড অভিনেত্রীর নাম।

এবারের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় বিচারকদের প্রধান ৬২ বছর বয়সী ফরাসি অভিনেতা ভানসেন্ত লান্দন। তিনি ২০১৫ সালে ৬৮তম কান উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন।

ভানসেন্ত লান্দনের নেতৃত্বে দীপিকাসহ আটজন বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন। বাকিরা হলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী-নির্মাতা রেবেকা হল, সুইডিশ অভিনেত্রী নুমি রাপেস, ইতালিয়ান অভিনেত্রী-নির্মাতা জাজমিন ত্রিঙ্কা, ইরানি পরিচালক আসগর ফারহাদি, ফরাসি পরিচালক লাজ লি, আমেরিকান পরিচালক জেফ নিকোলস এবং নরওয়ের পরিচালক ইওয়াকিম ত্রিয়ের।

স্বর্ণপামসহ সামনের সারির পুরস্কারগুলো কারা জিতবে, সেই বিচারকাজের গুরুদায়িত্ব পালন করবেন এই বিচারকরা। এছাড়া বিচারক জাজমিন ত্রিঙ্কা পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি মারসেল! নির্বাচিত হয়েছে স্পেশাল স্ক্রিনিং শাখায়।

উল্লেখ্য, ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে ২০০৫ সালে কান উৎসবে মূল প্রতিযোগিতা শাখায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন নন্দিতা দাস। এরপর ২০১৩ সালে কানের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় বিচারক হন বিদ্যা বালান। এবার এই তালিকায় যোগ হলো দীপিকার নাম। আগামী ১৭ মে শুরু হয়ে এবারের কান উৎসব চলবে ২৮ মে পর্যন্ত। এ বছর মূল প্রতিযোগিতা শাখায় নির্বাচিত হয়েছে ২১টি সিনেমা।


আরও খবর



কাবার চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন শায়খ আব্দুল ওয়াহাব আল শাইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

নতুন করে পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি। গতকাল সোমবার (২৪ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পবিত্র কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) ইন্তেকাল করেন পবিত্র কাবাঘরের চাবি রক্ষক ড. শায়খ সালেহ আল শাইবা। তার ইন্তেকালের পর কাবাঘরের নতুন অভিভাবক মনোনীত করা হয়েছে ৭৮ বছর বয়সী শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে।

তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিখ্যাত সাহাবি উসমান বিন তালহা রা.-এর ১১০তম উত্তরসূরি।

শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে পবিত্র কাবার চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বিশিষ্ট ব্যক্তি, অভিজাত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতির অনুসরণে তার হাতে কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এখন থেকে তিনিই পবিত্র এই ঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।

কাবার চাবির দায়িত্ব গ্রহণের সময় শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি তার উপর রাখা আস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পবিত্র কাবা ঘরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং মুসলিম বিশ্বের সেবায় তার পূর্বসূরিদের মতো অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। আল-শাইবা পরিবার বংশ পরম্পরায় পবিত্র কাবা রক্ষার সম্মানিত দায়িত্ব পালন করছে। যা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে তাদের সম্মানিত করেছে।

প্রসঙ্গত, জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ সা. নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন।

এসময় তিনি বলে দেন, এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।

সেই ধারা এখনো চলমান। উসমান ইবনে তালহা রা.-এর বংশধরেরা পর্যায়ক্রমে চাবি বহন করে আসছেন। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।

এ পর্যন্ত অসংখ্যবার কাবার তালা-চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। কাবাঘরের চাবি একটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ নির্মাণ কারখানায় বানানো হয়। কাবাঘরের চাবি কখনো হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি এই চাবি চুরি করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে কাবাঘরের চাবি ফেরত নেয়া হয়। আব্বাসী, আইয়ুবী, মামলুক ও ওসমানিয়া যুগে কয়েকবার কাবাঘর মেরামত করা হয়েছে। তখন প্রয়োজনমতো নতুন তালা-চাবিও বানানো হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর সর্বশেষ কাবাঘরের চাবি পরিবর্তন করা হয়। এখনো ওই তালা-চাবি ব্যবহার করা হচ্ছে।


আরও খবর



কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন হলেন সোনিয়া গান্ধী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

দলীয় সংসদ সদসদ্যদের সর্বসম্মতিক্রমে এই পদে নির্বাচিত হন তিনি। রোববার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী শনিবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন।

শনিবার সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে কংগ্রেস চেয়ারপারসন হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম ঘোষণা করেন দলটির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এরপর সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা। মূলত দলীয় সংসদ সদস্যদের সর্বসম্মতিতেই এই পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন সোনিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৯৯ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর থেকে টানা ২৫ বছর লোকসভার সংসদ সদস্য হওয়ার পর এই প্রথমবার রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সংসদে গেছেন তিনি।

শনিবার চেয়ারপারসন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, সোনিয়া গান্ধীজি পুনরায় সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়া আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের।

উল্লেখ্য, এদিন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সোনিয়ার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কে সি বেণুগোপাল, কার্তি চিদম্বরম, রাজীব শুক্লা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেন, শশী থারুর, অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেসের সকল সংসদ সদস্যরা।

এদিকে শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করে প্রস্তাব পাস হয়েছে। বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভায় মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়। অর্থাৎ ৫৫ জন সংসদ সদস্য প্রয়োজন পড়ে।

২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে ন্যূনতম সেই সংখ্যাও জোগাড় করতে পারেনি কংগ্রেস। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার কংগ্রেসের হাতে ৯৯ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। ফলে ১০ বছর পর বিরোধী দলনেতা পাচ্ছে কংগ্রেস। অবশ্য সেই পদে রাহুলের নাম প্রস্তাব করা হলেও তিনি আদৌ এই দায়িত্ব নেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসন: উৎকণ্ঠা ও খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিনবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমার আগ্রাসনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টেকনাফ থেকে কোনো নৌযান সেন্টমার্টিনে যেতে পারছে না। সেখান থেকে আসতেও পারছে না। নৌযান দেখলেই মিয়ানমার থেকে ছুটে আসে গুলি। সাত দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। পরপর তিন দফা গুলির ঘটনার পর এমন অবস্থায় সেন্টমার্টিনের ১০ হাজারের মতো অধিবাসী খাদ্য ও নিত্যপণ্য নিয়ে সংকটে পড়েছেন। তাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠাও বিরাজ করছে।

আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা। এদিকে, টেকনাফে আটকা পড়েছেন প্রায় চার শতাধিক বাসিন্দা। এটি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের অভাব দেখা দিতে পারে দ্বীপে। শুধু তাই নয়, যদি কোনো রোগব্যাধি হয়, তাহলে বিনা চিকিৎসায় দ্বীপেই মৃত্যুবরণ করতে হবে বাসিন্দাদের।

এদিকে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে যারা দিনে এনে দিনে খায় বেশি সমস্যায় পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুত করা খাদ্যপণ্য শেষ হতে চলেছে, তেমনি সেই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সমাধান না হলে দ্বীপবাসী খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যায় বাড়তে পারেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।

গত ১১ জুন টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে সাগরের ঘোলচর এলাকায় একটি স্পিডবোটকে নৌযান নিয়ে ধাওয়া করে গুলি করা হয়। মিয়ানমারের সৈন্যরাই গুলি চালিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির বলেছেন, প্রথম যেদিন এই ঘটনা ঘটে, সেদিনই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ১১ জুনের ঘটনার পর কূটনৈতিক চ্যানেলে আবারও প্রতিবাদ জানাবো। তবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, সেটা তো আমরা বুঝতেই পারছি। ওই এলাকা এখন কাদের নিয়ন্ত্রণে সেটিও পরিষ্কার নয়। তবে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

সেন্টমার্টিন স্পিড বোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, আগের গুলির ঘটনার পর আমরা নদীতে যাইনি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরত আসা অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছিল আমাদের একটি স্পিডবোট।সাগরের ঘোলচর এলাকায় পৌঁছালে মিয়ানমার সীমান্তের একটি ট্রলার থেকে ওই স্পিডবোট লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে স্পিডবোটটি কোনোরকমে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আগে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, কারা এটি করছে। কিন্তু আজকে যখন ছোট ছোট নৌযান নিয়ে আমাদের স্পিডবোটে গুলি করা হয় তখন সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাহাজ ছিল। ফলে আমরা ধারণা করছি, জান্তার সৈন্যরাই এটা করছে।’

তিনি বলেন, ‌টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীর মোহনার শেষে নাইক্ষ্যংডিয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় মিয়ানমারের প্রান্ত থেকে বোটগুলো লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। আমরা এখন সেন্টমার্টিনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। কারণ, ওই এলাকায় আমাদের বিজিবি বা কোস্টগার্ডের কোনো টহল নেই। তারা উপকূলে চলে এসেছে। ফলে জান্তা সৈন্যরা চাইলে যেকোনো সময় আমাদের সেন্টমার্টিনেও চলে আসতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। এ কারণে সাত দিন ধরে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন।’

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত খাদ্য রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিনই টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে নানা ধরনের নিত্যপণ্য আসে। কিন্তু সাত দিন হলো কিছুই আসছে না। এখন সেন্টমার্টিনে কাঁচামাল কিছুই নেই। চাল-ডাল দিয়ে কোনোভাবে দিন চলছে। আবার যা আছে, তার দামও ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে আমরা অনেক কষ্টে আছি। এভাবে আর দুই-একদিন হয়ত চলা যাবে। এরপর আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নিতে বলছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। গত ৫ জুন টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৮ জুন সেন্টমার্টিনে ইট-বালু ও খাদ্যসামগ্রী বহনের ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার আবারও গুলি চালানো হয়।’

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, আমাদের বিকল্প রুট ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। কেউ কেউ ইনানী থেকে যাওয়ার কথাও বলছেন। কিন্তু এভাবে তো সেখানে পৌঁছানো কঠিন। সাগরের ঢেউ এবং পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই রুটটি ঝুঁকিপূর্ণ। খবরচও অনেক বেশি হবে। আর আমরা তো মিয়ানমারে যাচ্ছি না। তাহলে আমাদের দেশের সীমান্তের মধ্যে ঢুকে তারা কেন গুলি করবে? সরকারের পক্ষ থেকে তো এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা নাহলে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা সংকটে পড়বেন।’

দ্বীপের মুদির দোকানি আমিনুল ইসলাম বলেন, ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে টেকনাফ থেকে কোনো ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আনতে পারেনি। এর ফলে দোকানে থাকা সবকিছু শেষের পথে। শুধু চাল ছাড়া কোনো মালামাল নেই। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপের মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে।’

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি এখনও সুরাহা না হওয়ায় দ্বীপে খাদ্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এটি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের অভাব দেখা দিতে পারে দ্বীপে। শুধু তাই নয়, আমাদের যদি কোনো রোগব্যাধি হয়, তাহলে বিনাচিকিৎসায় আমাদের এখানে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এই পরিস্থিতি তো দিনের পর দিন চলতে পারে না। আমি নিজে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বিকালে হেলিকপ্টার যোগে বিজিবি মহাপরিচালক সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসেছিলেন। কিন্ত এ ব্যাপারে কী ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে পারিনি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে গুলির ঘটনায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আপৎকালীন রুট হিসেবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমে জেটি ঘাট চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে নৌযান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ৯ জুন কক্সবাজারের ডিসি অফিসেও বৈঠক হয়েছে। আমরা নৌযান মালিকদের ডেকে বলেছি, বিকল্প রুট দিয়ে আপাতত খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে।’


আরও খবর



বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, বিস্ফোরণে নিহত ১

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী জাহাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলের ড্রামবাহী একটি জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে তেলের ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের মসজিদ, বাসাবাড়ি সংলগ্ন থানা এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মেঘনা ডিপোর ডিএস জিয়াউর রহমান জানান, জাহাজে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিলেন। জাহাজের ভেতরে চারজন ছিল। তারা ভেতরে রান্না করছিলেন। সেখান থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। প্রায় সব ড্রাম বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মুহম্মদ ফখর উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আমরা ডাম্পিংয়ের কাজ করছি।


আরও খবর



কোম্পানীগঞ্জে বাইরং নদীর বালু লুট, ভাঙ্গনের কবলে তীরবর্তী ফসলি জমি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাইরং নদীতে ইজারা ছাড়াই চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী অনেক ফসলি জমি। বালুখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

কোম্পানীগঞ্জের শিমুলতলা ও ছাতকের রাজেন্দ্রপুর এলাকাস্থ বাইরং নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্টিল বডি নৌকায় বালু তোলা হচ্ছে। আর এই বালু কোম্পানীগঞ্জের আমবাড়ি, ইছাকলস এবং ছাতকের বিভিন্ন স্পটে স্তুপ করে রাখা হয়। প্রভাবশালী ও একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অবৈধ এ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।

কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের রশিদ আহমদ, এনাম খান ও জুয়েল আহমদ জানান, কোনো প্রকার ইজারা ছাড়াই এ বছরের ২২ মে থেকে এ নদী হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

অভিযোগে প্রকাশ ৪০-৫০ জনের একটি বালুখেকো সিন্ডিকেট বাইরং নদী থেকে নির্বিঘ্নে বালু লুট করতে নিয়োগ করেছেন কয়েকজন লাইনম্যান। এই লাইনম্যানদের মাধ্যমে দুই উপজেলা প্রশাসনকে তারা মেইনটেইন করে থাকেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, এই এলাকায় বাইরং নদী থেকে হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক স্টীলবডি নৌকায় বালু তোলা হয়ে থাকে। এতে ভয়াবহ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে নদী তীর ও আশপাশের বহু কৃষি জমি নদীতে বিলীন হতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন জানান, বালু সিন্ডিকেটের এই ধ্বংসাত্মক কাজে এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব প্রপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে নদীতে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। তবে বালু উত্তোলনকারীদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে নিয়ম মেনেই তারা বালু তুলছেন।

এ বিষয়ে চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়ার দাবি, তিনি জেলা প্রশাসন থেকে উজানের পিয়াইন নদীর বালু মহাল লিজ নিয়েছেন। নিয়ম মেনে লীজকৃত জায়গা থেকেই তারা বালু তুলছেন। বাইরং নদী থেকে বালু তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

কোম্পানীগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, উপজেলার বাইরং নদী, বালুমহাল ইজারার বিষয়টি তার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হলে উপজেলা প্রশাসনসহ অধস্তন ভূ-প্রশাসনকে আদেশক্রমে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। বাইরং নদী নামে বালুমহাল ইজারা দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।

তিনি বলেন, ইজারা ছাড়া কোনোভাবেই নদী থেকে বালু তোলা যাবে না। এরকম হয়ে থাকলে সরেজমিন গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর