আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’? এ নামের অর্থ কী?

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আগামী ২৬ মে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বুধবার (২২ মে) এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বর্তমান প্রেডিকশন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা অঞ্চলের দিকেই। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গতিপথ পরিবর্তন করছে; রাতে একটা গতিপথ থাকছে, আবার সকালে আরেকটা। তাই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এমনই থাকবে। নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তখন গতিপথ স্থির হবে। সেই সময় স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, ২২ মে লঘুচাপ তৈরি হয়ে ২৩ বা ২৪ মে-র মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

তখন এর নাম হবে রেমাল। এ নামটি ওমানের দেয়া। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ বালির কণা।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নেপথ্য

এক সময় ঝড়গুলোকে বিভিন্ন নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হতো। কিন্তু সেসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেয়া, মানুষ বা নৌযানগুলোকে সতর্ক করাও কঠিন মনে হতো।

 নামবিহীন থাকলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি, ধরন সম্পর্কে তথ্য দ্রুত জানা যায় না। এর আঘাত হানার সময় বা তারিখ বের করে পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে হয় আবহাওয়াবিদদের। এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।

যেভাবে নামকরণ করা হতো

গত কয়েক শতাব্দী ধরে আটলান্টিক ঝড়ের নাম দেয়া হয়ে আসছে যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এরপরে আবহাওয়াবিদরা মিলে মেয়েদের নামে ঝড়গুলোর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৩ সালে US Weather Service আনুষ্ঠানিকভাবে Q, U, X, Y, Z ব্যতীত A থেকে W পর্যন্ত আদ্যক্ষরে মেয়েদের নামে ঝড়ের নামকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ নিয়ে ৬০ এবং ৭০ এর দশকে নারীদের প্রতিবাদের মুখে অবশেষে ১৯৭৮ সালে ছেলেদের নামেও ঝড়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বছরের প্রথম ঝড়ের নাম রাখা হতো A আদ্যাক্ষর দিয়ে, দ্বিতীয় ঝড়ের নাম রাখা হতো B আদ্যাক্ষর দিয়ে, এভাবে চলতে থাকত। আবার জোড় সালের বিজোড় ঝড়গুলোর (মনে করি ২০১৪ সালের ৩য় ঝড়) নাম রাখা হতো ছেলেদের নামে আর বিজোড় সালের বিজোড় ঝড়গুলোর নাম রাখা হতো মেয়েদের নামে। এক বছরে ২১টির বেশি হারিকেন উৎপন্ন হলে (২০০৫ সালে যেমন হয়েছিল), গ্রিক বর্ণমালা অনুযায়ী নামকরণ করা হয়: হারিকেন আলফা, বিটা ইত্যাদি।

নাম কীভাবে ঠিক করা হয়?

এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত শত কেন্দ্র, উপকূলীয় ঘাঁটি ও সমুদ্রে অবস্থিত জাহাজগুলোতে ঝড়ের তথ্য পাঠানোর জন্য যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত ও সহজে উচ্চারণযোগ্য নাম ঠিক করা হয়। পুরনো জটিল পদ্ধতিতে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ দিয়ে নির্ণয়ের চাইতে এই প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ এবং এতে ভুল কম হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের তৈরি তালিকা থেকে আটলান্টিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নারীসুলভ নাম দেওয়া শুরু হয়। তবে এ প্রক্রিয়াকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকরী করে তোলার জন্য আবহাওয়াবিদরা একটি তালিকা থেকে নাম বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেন বলে ডব্লিউএমও'র ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়।

নামকরণের ক্ষেত্রে দেশগুলোকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়, তা হলো- নামটি যেন লিঙ্গ নিরপেক্ষ হয় এবং কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়। এছাড়াও, নামটি হবে সর্বোচ্চ আট অক্ষরের। কোনো সদস্য দেশের অনুভূতিতে আঘাত করে বা তাদের প্রতি অপমানসূচক কোনো নামও রাখা যাবে না। যদিও প্যানেলের হাতে ক্ষমতা থাকে প্রস্তাবিত কোনো নাম প্রত্যাখ্যান করে দেয়ার, তবুও চূড়ান্ত নামকরণের পরে কোনো সদস্য দেশ আপত্তি জানালে তা পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন হতে পারে। আর একবার যে নাম ব্যবহার করা হয়, তার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না কখনো।


আরও খবর



কত আয় করলে কত কর দিতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থাকছে। তবে আগের চেয়ে বেড়ে যাচ্ছে আয়কর।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় ব্যক্তিপর্যায়ে আয়করের প্রস্তাবনায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী, প্রবীণ নাগরিক, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য এবং গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি।

তিনি বলেন, এতে করে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘবের ফলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে এবং করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হয়েছেন। আমি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের করমুক্ত আয়সীমা হবে ৪ লাখ টাকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং যুদ্ধাহত গেজেটেড বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশু বা দত্তক নেওয়া সন্তানের পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা সন্তান প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে বাড়বে।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের আয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর পাঁচ শতাংশ কর বসবে। পরবর্তী চার লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ দিতে হবে। পরবর্তী ২০ লাখ টাকার ওপর ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। আর অবশিষ্ট টাকার ওপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।


আরও খবর



মনটা একটা ট্র্যাপ, কোথায় আটকে যায় জানি না : শোলাঙ্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পরনে বেনারসি শাড়ি, গলায় ভারী গয়না, লম্বা একঢাল চুল, চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। ঠিক এমনভাবেই ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দিয়েছেন শোলাঙ্কি রায়। সম্প্রতি এমন লুকেই দেখা গিয়েছে তাকে।

দেবালয় ভট্টাচার্যের নতুন সিরিজ বোকাবাক্সতে বন্দি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। সেখানেই নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে শোলাঙ্কি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে শুটিং করতে গিয়ে তেমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি বলেন,আমার সমস্যা একটাই, খুব একটা ভয় পাই না, টেনশন করি বেশি। তবে আমাদের মনটাই একটা ট্র্যাপ, আমরা কোথায় কখন আটকা পড়ে যাই জানি না। তাই আমি চাইব না কখনও আটকা পড়ে যেতে।

টেলিভিশনে একটানা কাজ করতে করতে অনেক সময় আটকা পড়ার বিষরে এ অভিনেত্রী বলেন, আসলে আমি বন্দিদশা বলব না, তবে ছোট পর্দায় কাজের ধরনটা এমন যে অনেকটা সময় দিতে হয়। একটা কাজ মানে এক থেকে দেড় বছর সময় দিতে হয়। অন্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না। একঘেয়েমি চলে আসে। গত ১০ বছর ধরে এই মাধ্যমটাতে কাজ করছি আমি। তাই এখন অনেক বেশি সিনেমা, ওয়েব শো করতে চাইছি। খুব শীঘ্রই টিভির পর্দায় ফেরার পরিকল্পনাও নেই আপাতত।

মুম্বাইয়ে কাজ করার বিষয়ে বলেন, নতুন জায়গা। এই শহরটা ছোটবেলা থেকেই আমার ভাল লাগত। এখানে ছোট থেকেই থাকতে চাইতাম। কলকাতায় আমাকে লোকে চেনে, বহু বছর কাজ করেছি, এখানে তুলনামূলক নতুন। অডিশন দিচ্ছি । কলকাতায় সে ভাবে অডিশন দিতেই হয়নি। এই অডিশন দেওয়াটাও একটা শিল্প, সেটা আমি মুম্বাইয়ে শিখছি। আমার তো ভাল লাগে অডিশন শুট করতে। জায়গাটা বড়, প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। সিরিয়ালের প্রস্তাব এসেছিল, তবে রাজি হইনি।

২০২২ সালে শোলাঙ্কির বাবা বেবি ও মুক্তি পাওয়া ছবির বিষয়ে বলেন,এই ছবিটা দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছিল। যদিও বাবা বেবি ও ছবির পর প্রস্তাব পাইনি, তার পর শহরের উষ্ণতম দিনে ছবিটা হল। আসলে টেলিভিশন করছিলাম বলে প্রস্তাব আসেনি। ধারাবাহিক করলে অনেক পরিচালকই ছবিতে নেওয়ার কথা ভাবেন না।

উল্লেখ্য, শোলাঙ্কি রায় কালারস বাংলার ধারাবাহিক নাটক কথা দিলাম -এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে টেলিভিশনে অভিষেক করেন। এছাড়াও তিনি স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ইচ্ছে নদী -এ বিক্রম চ্যাটার্জির বিপরীতে মেঘলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জমি ও সড়ক দখলসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ফলে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে সোমবার (৩ জুন) থেকে আর কোনো দর্শনার্থী যেতে পারবেন না। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি করা হয়েছে দখল। বিষয়টি গণমাধ্যে প্রচার হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দিলে বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে এলাকাবাসী বক্তব্য দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশ এনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক। পরে পার্কের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সোমবার থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ বলে জানায় এলাকাবাসী।

সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বিরের জানান, আপাতত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করার যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্ভার সমস্যা সমাধন হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর



অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যর তথ্য ফাঁস হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ৩টি পদে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ কমিটি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে। শুক্রবার সকাল ১০টায় কেতকিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় শরিফুল ইসলাম, জামিল রহমান ও আনারুল ইসলাম বলেন, কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ৩টি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর  অফিস সহায়ক পদে ৮ জন, পরিছন্নতা কর্মী পদে ৫ জন এবং আয়া পদে ২ জন আবেদন করে। এতে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রধান শিক্ষক আসাদুল্লাহ চৌধুরী লাবু এবং সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ওই ৩টি পদের জন্য একাধিক ব্যক্তির কাছে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বে টাকা প্রদানকারী ৮ জন প্রার্থী নিয়োগ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ কমিটি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে। আয়া পদে পরীক্ষা দিতে  আসা লিপা বেগম জানায়- আমার কাছে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষক ৫ লক্ষ টাকা নেয়, পরে একই পদে আমার শশুরের সঙ্গে গোপন আলোচনা করে আমার ননদের কাছে ৮ লাখ টাকা নিয়ে তাকে আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করে। আমার শ্বশুর আমাকে নিয়োগ পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য ব্যাপক মারপিট করে আমার স্বামী এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

নিয়োগ কমিটি ও ডোমার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি জানান, একাধিক প্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর



পানির নিচে ঢাকার সড়ক অলি-গলি, তীব্র ভোগান্তি পথে পথে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মাঝ জ্যৈষ্ঠে দিনব্যাপী এমন বৃষ্টি প্রত্যাশা করেনি রাজধানীবাসী। যদিও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীতেও বৃষ্টি হবে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। সে অনুযায়ী ভোররাত থেকে বিরতিহীনভাবে বৃষ্টি ঝরছে রাজধানীতে। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। ডুবে গেছে বহু সড়ক ও অলি-গলি। সেইসঙ্গে তৈরি হয়েছে গণপরিবহন সংকট।

রাজধানীর বাড্ডা, গ্রিনরোড, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি ২৭, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর, মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তা, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, মোহাম্মদপুর, ইসিবি, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়ক এবং এসব সড়কের আশপাশের অলি-গলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

রাস্তাঘাটে পানি জমায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা বিড়ম্বনায় পড়েছেন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে ভ্যান দিয়ে সড়ক পারাপার হতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।

একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে জলাবদ্ধতা- দুইয়ের যোগফল হিসেবে রাজধানীর সব সড়কেই কমে গেছে গণপরিবহন। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন ঢাকার রিকশা ও সিএনজিচালকরা।

গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমার বাসা মোহাম্মদপুরে। সকালে অফিসে আসার সময় ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। বৃষ্টির কারণে অনেক রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সড়কে বাস কম। অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে রিকশাচালকরা। প্রথমে বাসা থেকে বের হয়ে ডাবল ভাড়ায় রিকশায় চড়ে মোড়ে এসেছি। পরে বাস না পেয়ে সিএনজিতে চড়ে বেশ কয়েকটি ডুবো রাস্তা পেরিয়ে গুলশানের অফিসে এসেছি। সিএনজি ভাড়া হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। সেই ভাড়া আমার কাছ থেকে নিয়েছে ৪০০ টাকা।

বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রয়োজনে কাজে বের হওয়া এমন বহু মানুষ। মূল সড়ক ছাড়া অলিগলিতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গণপরিবহনে উঠতে পোহাতে হচ্ছে তীব্র ভোগান্তি।

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ থেকে কারওয়ান বাজার, এরপর হাতিরঝিল হয়ে বাড্ডা এলাকায় আসা সুজন আহমেদ নামে একজন বলেন, যে রাস্তা দিয়ে সিএনজিতে চড়ে এসেছি তার বেশিরভাগ সড়কেই জলাবদ্ধতা দেখেছি। পথে পথে মানুষের ভোগান্তি। পানির কারণে যানবাহন যাওয়ার পর ঢেউ আছড়ে পড়ছে ফুটপাতে। বাস না পেয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় সিএনজি করে আসলাম।

এদিকে কোথাও জলাবদ্ধতা হলে, পানি জমে থাকলে হটলাইনে যোগাযোগ করার (১৬১০৬) আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। তারা জানিয়েছে, জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কুইক রেসপন্স টিম।

সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় এই টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন।

তিনি জানান, ডিএনসিসির ১০টি কুইক রেসপন্স টিম এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। কোথাও পানি জমে থাকলে ডিএনসিসির হটলাইন ১৬১০৬ নম্বরে ফোন করুন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর