আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে রেমাল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলীতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি এ উপকূল অতিক্রম করেন। এ সময় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তাণ্ডবলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ করেছে। টানা বর্ষণে পনিবন্দী হয় গ্রামের পর গ্রাম। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এখানকার বাসিন্দাদের। পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপসানালয়, মাছের ঘের। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে উপজেলা ৩ হাজার ৭শ ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩১৩২ ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৫০ বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। এছাড়া প্রায় শতাধিক গ্রাম ৪ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘেরে। ৮০ হেক্টর ফসলি জমি ও ৩৫০ হেক্টর সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২৭ লাখ গ্রাহক। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

আজ সরেজমিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দেখা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা উপজেলা প্রশাসন কেটে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও। ৭২ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এ উপজেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও রান্না বান্নার কাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরড়ে পারতেছে না।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এই এলাকার প্রায় ৩শ এর বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানকার জেলে পরিবারগুলো এখনও খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। তাদের পরিস্থিতি এখন মানবেতর।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এ উপজেলা সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। ৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রেসহ ব্যক্তিগত ভবণে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ও কয়েক হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছিলো। তাদের জন্য শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন বিদ্যুত বিভাগের সাথে কথা হয়েছে তার বলছেন লাইনে কাজ চলছে। তবে রাতের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হতে পারে।

হাফিজুর রহমান, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



আধা ঘণ্টা মেট্রোরেল বন্ধে অফিসগামী যাত্রীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিনের শুরুতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল আধাঘণ্টা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরে ৯টার দিকে স্বাভাবিক হয় চলাচল।

সকালে মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে মতিঝিলগামী একটি ট্রেন বন্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর এ সময় উত্তরাগামী ট্রেনটি মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে আটকে ছিল। এ সময় প্লাটফর্ম থেকে ঘোষণা করা হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচলে দেরি হচ্ছে। এদিকে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

এদিকে সকালে মেট্রোরেলের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনিবার্য কারণবশত অদ্য ৩০ মে মেট্রোরেল ১৫ মিনিট Headway-তে (বিরতির সময়) চলাচল করবে। পরবর্তীতে নির্ধারিত Headway চালু হলে জানানো হবে। এতে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায় সকাল থেকেই। পরে সোয়া ১০টার দিকে আবার পূর্ব নির্ধারিত বিরতিতেই স্টেশনগুলোতে আসতে শুরু করে মেট্রোরেল।

মেট্রোরেলের এ ধরনের বিভ্রাট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। নির্ধারিত সময় নিয়ে বের হয়েও মাঝে মাঝেই মেট্রোর বিভিন্ন ত্রুটির কারণে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

বর্তমানে মেট্রোরেল চলছে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখী ট্রেনের পিক আওয়ার হচ্ছে সকাল ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। আবার বিকেল ৩টা ১৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পিক আওয়ার হিসেবে গণ্য হয়। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে উত্তরা রুটের পিক আওয়ার শুরু হয় সকাল ৮টা ১ মিনিট থেকে ১২টা ৮ মিনিট এবং বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।

পিক আওয়ারে প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।

নিউজ ট্যাগ: মেট্রোরেল

আরও খবর



৩৬ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে টানা ৩৬ ঘণ্টা থাকার পর ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে গেলে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন।

রোববার (২৬ মে) বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলের দিকে প্রবেশ করলে উত্তাল হয়ে পড়ে পদ্মা নদী। তাই নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি-এর দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল ছিল। যার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। নদী স্বাভাবিক হলে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনো সিরিয়াল নেই।

লঞ্চ বন্ধ রাখার বিষয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ-এর ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. শিমুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ চালানোর ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে।


আরও খবর



দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, আর প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। এর আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

এদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী র আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হলে এটি হবে দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

বড় অঙ্কের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের যোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার। আর চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে করা এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪.৬ শতাংশ; আগের দুবছর অবশ্য বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ করে। সংকোচনমুখী এ বাজেট উত্থাপনে ঘোষণা আসতে পারে আগামী এক বছর আরও বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। কারণ এবার সরকারি লক্ষ্যমাত্রাই ৬ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে সাড়ে ৬ শতাংশ। যদিও বর্তমানে মূল্যস্ফীতি চড়ে আছে প্রায় ১০ শতাংশে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে ৬.৭৫ শতাংশে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের সরাসরি উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণসহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয় করা হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যয় সংকোচনের নামে চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩২৬টি প্রকল্প কমানো হলেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে ফের সুযোগ দেয়া হতে পারে কালো টাকা সাদা করার। এ ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগ দেয়া হতে পারে এক বছরের জন্য।

জনগণের উন্নয়নে এ ব্যয় বরাদ্দের বিপরীতে সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি, ভর্তুকি প্রণোদনায় ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার মতো অনুন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হতে পারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উন্নয়নের চেয়ে অনুন্নয়ন খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে যাচ্ছে সরকার।

এদিকে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়িয়ে ব্যক্তির শ্রেণির করকাঠামোত পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে এনবিআর। এতে কর আদায়ের স্তর বাড়ানো হতে পারে বেশি আয় করাদের কাছে। বাড়তে পারে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্কের পরিমাণ।

ধনী-গরিবের আয় বৈষম্যে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থায় যেন ভেসে না যায় নিম্ন আয়ের মানুষ, সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫ লাখ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মা ও শিশু সহায়তা ভাতা ২০০ টাকা, ৮০ বছরের বেশি বয়ষ্ক নাগরিকের ভাতা ৩০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে উত্থাপিত বাজেটে।

এবারের বাজেটে নতুন করে যোগ হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নানা রকমের পরামর্শ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, গতবছর বাজেট প্রণয়নের সময় সরকার আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেনি; এজন্য সরকারের ওপর তেমন চাপও ছিল না। সরকার তার ইচ্ছেমতোই বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে এবার কিন্তু আইএমএফের পরামর্শ ও বিভিন্ন শর্ত মেনেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

সরকারের আগের বছরগুলোতে নেয়া ঋণের প্রভাব আসন্ন বাজেটে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারকে ১ লাখ কোটি টাকার ওপর শুধু সুদই পরিশোধ করতে হবে এ বছর। ঋণ পরিশোধ করে নানাভাবে সরকার রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করবে বলে মত তাদের।


আরও খবর



সিলেটে বন্যার পদধ্বনি: বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুইদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। টিানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেট জেলার সবকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০। এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী সারীনদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

বৈরী আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাড়িতে পানি ঢুকার সম্ভাবনা দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান না করে অবশ্যই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া।

পাহাড়ি, টিলা এলাকায় ও এর পাদদেশে বসবাসকারীদের কেও অতি সত্ত্বর পাহাড় ধস ও মাটি ধসজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নৌকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, আমাদের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায় মূলত উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাততো আমাদের দেশেও ছিল। তাছাড়া প্রাক বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আর বৃষ্টি হলে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াটাও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অপরদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু প্রাক বর্ষাকাল চলছে তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হবে। গত ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৪৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন  বলেন, আগামী তিনদিন সিলেটে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



বজ্রপাতে দেশের ৬ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বজ্রপাতে দেশের ৬ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দিনের বিভিন্ন সময় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নওগাঁয় তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন, নাটোরে দুজন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন, দিনাজপুরে একজন, সন্দ্বীপে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা ও পত্নীতলা উপজেলায় দুই কৃষক ও একজন নারীসহ তিনজন মারা গেছেন। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে বজ্রপাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও বদলগাছীতে বজ্রপাতে আরও দুজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, মান্দা উপজেলার শামসুল আলম (৩৪) ভোলাম গ্রামের ফইমদ্দিন মণ্ডলের ছেলে ও পত্নীতলা উপজেলার উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের বিশা মণ্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৫০) ও গাহন গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী মনিকা (৩৫)।

আহতরা হলেন, বদলগাছীর গাবনা গ্রামের অবির উদ্দিন ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন ফকির (৫৫) ও আমিন আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল খালেক ফকির (৩৫)।

নিহতের বাবা ফইমুদ্দিন জানান, তার ছেলে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের একটি মাঠে ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।

পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান বহন করে বাড়ির উঠানে এসে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যান। অন্য স্থানে গৃহবধূ মনিকা বাড়ির সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বদলগাছীতে শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে আহত দুই ব্যক্তি কাজের উদ্দেশ্যে মাঠে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেন। এমতাবস্থায়, ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তারা গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলায় শিশুসহ দুজন ও ভোলাহাটে একজন মারা যান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা মহল্লার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিন পাঁকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮) টিউবওয়েলের পানি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

ভোলাহাট থানার ওসি সুমন কুমার বলেন, ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুরের ইসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০) বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়, পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গায় উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের সাদ্দাক আলীর স্ত্রী আবেরা বেগম (৪০) ও নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছার কোমরপুর শাহ পাড়ার লুৎফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০)।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান, দুপুরে আবেরা বেগম বৃষ্টির সময় হাঁস আনতে মাঠে যান। এ সময় তিনি বজ্রপাতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, পীরগাছা শাহ পাড়া এলাকায় বারনই নদীতে জাল ফেলে কামরুল ইসলাম মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে লিপি আকতার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার রনশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিপি রনশিয়া গ্রামের ফিরোজ জামানের স্ত্রী।

জাবরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, দুপুরে ঝড়-বৃষ্টি আসছে দেখে লিপি আক্তার বাড়ির পাশে শুকাতে দেওয়া ভুট্টা গাছ তুলতে যান। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আলম। তিনি বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বজ্রপাতে মো. রাফি (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। রাফি সন্দ্বীপের গাছুয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাদিয়ার গো মধ্যের বাড়ির মো. জামালউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বজ্রপাতের সময় রাফি অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে চরের মাঠে ফুটবল খেলছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাছুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহেল মেম্বার।

তিনি বলেন, নিহত রাফি স্থানীয় খান সাহেব নুরানী হাফেজীয়া মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছেলেকে হারিয়ে রাফির বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে জুয়েল নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামাইল সরকারপাড়া গ্রামের লালঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল মিয়া (১৯) নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামাইল সরকারপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় আফতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল হক এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার আফতাবগঞ্জ-লালঘাট পাকা সড়কের দামাইল সরকারপাড়া নামক স্থানে সড়কের উপর ধান-ভূট্টা শুকাতে দেয়। আকাশ মেঘলা হলে এইসব উঠানোর সময় হঠাৎ বজ্রপাতে জুয়েল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় জুয়েল মিয়া।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর