আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম
দিল্লিতে রেকর্ড বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু, অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি বেনজীর আহমেদের চার ফ্ল্যাটে প্রবেশে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ নাগরিকদের লেবানন ছাড়তে ৭ দেশের নির্দেশনা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিষিদ্ধ পাক প্রোমোটারের সঙ্গে মাধুরী দীক্ষিত! এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডাস্টবিন ও স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লায় সয়লাব ১ জুলাই থেকে ঢাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ সিলেট বোর্ডের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১১ আগস্টের পর বৃষ্টিতে এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ মাটির নিচে রাশিয়ার গোপন ঘাঁটি, আছে হেলিপ্যাড-রেলপথও

কলাপাড়ায় ২৬ হাজার ৮ শ' ৮০ পিচ বিয়ারের চালান জব্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২৬ হাজার ৮ শ' ৮০ পিচ ক্যান বিক্রি নিষিদ্ধ চাইনিজ বিয়ার সহ ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। যা দেশ স্বাধীনের পর দক্ষিণাঞ্চলে এটাই প্রথমবারের মতো বৃহৎ বিয়ারের চালান বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। জব্দকৃত এসব বিয়ারের বাজার (অবৈধ) মূল্য ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।

শুক্রবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাপাড়া থেকে ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোল প্লাজা থেকে একটি কার্গোভ্যানসহ এসব মাদক জব্দ করা হয়।

আটককৃত বাসিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রাব্বি পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাইনিজ ওরিয়েন্টাল পার্লে কর্মরত। এছাড়া রুবেল মুন্সী জব্দকৃত কার্গোভ্যানের চালক।

আটক চায়না ওরিয়েন্টাল পার্লর দোভাষী বাসিরুল ইসলাম ওরফে রাসেল জানান, নির্মাণাধীন পটুয়াখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চিনা নাগরিক ওমর ফারুক তাদের এই বিয়ার পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কার্গোভ্যানে কি মজুত করা ছিল তা তিনি জানতেন না।

একই কথা জানান গাড়ি চালক রুবেলও। তিনি বলেন, চায়নিজদের মালামাল প্রায় সময়ই ঢাকাতে পরিবহণ করতেন। তবে কি মালামাল থাকে তা জানেন না তিনি।

পটুয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান, গোয়েন্দা নজরদারীতে বৃহৎ এই মাদকের চালান জব্দ করতে সক্ষম হই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। তার নির্দেশেই আমরা কাজ করেছি।

তিনি বলেন, চায়না থেকে নৌ-পথে এসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটি দিয়ে সিংথাও নামের এই বিয়ার খালাস হয়েছে। পরে কার্গোযোগে সড়ক পথে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। এই চালানে এখনো পর্যন্ত এক চায়না নাগরিকের সংশ্লিষ্টতার কথা বলছে আটককৃতরা। তবে মামলা শেষে অধিকতর তদন্ত করা হবে।


আরও খবর



চসিকের ১৯৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৯৮১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এবারের বাজেট নিজস্ব উৎস থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের নন্দনকাননে থিয়েটার ইন্সটিটিউটে আয়োজিত বাজেট অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চসিকের ১ হাজার ৬৬১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন মেয়র। ওই অর্থবছরে ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। চসিকের ইতিহাসে এবার বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে রেকর্ড ৮৮ শতাংশ।

বাজেট ঘোষণার সময় মেয়র রেজাউল করিম চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক এবং স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের আলোকে, নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা করেন তিনি।

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বাজেট অধিবেশনে  সভাপতিত্ব করেন। বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। এ সময় প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাজেট ২০২৪-২৫: রাজস্ব আদায়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কয়েক বছর ধরেই কমেছে অর্থের যোগান। তাই ব্যহত হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম। পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও ঋণ পরিশোধসহ নানামুখী চাপে সরকার। টানাপোড়েনের এই সময়ে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি করা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই বাজেটে আবারও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করছে সরকার। নতুন বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘাড়েই চাপছে সিংহভাগ দায়িত্ব।

এদিকে, সার্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় কমেছে উৎপাদন। স্বাভাবিকভাবেই কমেছে অভ্যন্তরীণ আয়। তাই চলতি অর্থবছরের বাজেটেও ধরা হয় বড় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য। তবে, দশ মাসের হিসাব বলছে, ঘাটতি ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় আগামী বাজেটে কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে দরকার ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। প্রশ্ন হচ্ছে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে করণীয় কী?

এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশাসনকে যদি সমৃদ্ধ করা যায়, তাহলে আইন, নিয়ম-নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তা জোরদার করা যায়। কর আদায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সেক্ষেত্রে কর রাজস্ব জিডিপির ২-৩ শতাংশ বাড়ানো যায়। কর ফাঁকি হচ্ছে কি না তা দেখা দরকার।

নতুন বাজেটে কর বিন্যাস করবে সরকার। বিপুল সংখ্যাক পণ্যে বসবে শুল্ক। এমপিদের গাড়ী আমদানিতে শুল্কারোপের চিন্তা আছে। একই সঙ্গে আবগারি শুল্কেও আসছে পরিবর্তন। মূলত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করাই উদ্দেশ্য।

অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খালি লক্ষ্য দিলে হবে না। লক্ষ্যের সাথে কেন-কীভাবে বাড়বে, কোন কোন জায়গায় হস্তক্ষেপ করা হবে, অটোমেশনটা কীভাবে হবে। আমরা সবসময় বলি, রাজস্ব বিভাগ এবং কর প্রশাসন ও কর নীতি আলাদা করতে হবে। এটা দরকার আছে। কিন্তু এনবিআর এটি জীবনেও করবে না। সরকার থেকে তাদের চাপ দিতে হবে।

সরকারও মনে করে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প নেই। কারণ, ঋণ করলে বাড়ছে দায়, অন্যদিকে কাঙ্খিত মাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে না সহায়তাও।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ৮ শতাংশের কম কর-জিডিপি নিয়ে একটা দেশের অর্থনীতি কি এগিয়ে যেতে পারে? যতটা কর আদায় হয়, তার প্রায় সমপরিমাণ ছাড় আছে কিন্তু, মানে লাখ-কোটি টাকার উপরে। আমরা যদি ছাড় দিতে থাকি তাহলে আমাদের রাজস্ব আয়-জিডিপি বৃদ্ধি কঠিন হয়ে পড়বে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, স্বস্তির জন্য একক নির্ভরতা বাদ দিয়ে করজাল বৃদ্ধি, রাজস্ব আদায়ের নামে হয়রানি বন্ধ এবং কর ফাঁকির প্রবণতা কমানোর বিকল্প নেই।


আরও খবর



ভারতে চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চোরাই পথে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে। এরই মধ্যে যশোরের সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এ ছাড়াও সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এ তথ্য জানিয়েছেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত এ সতর্কতা জারি থাকবে বলে তিনি জানান।

এদিকে সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য প্রশাসনেরও নজরদারি রয়েছে। তবে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবার পাচারের শঙ্কা রয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পাচারের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। তবে দেশের সম্পদের পাচার ঠেকাতে প্রতি বছর বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তজুড়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। এ বছরও পাচার রোধে বিজিবির সদর দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে। এরপরই ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি কোরবানির দিন থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত সীমান্তের বিশেষ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই মধ্যে সব পয়েন্টে বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এ ছাড়া পাচার প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছে বিজিবি।

চামড়া ক্রেতা মশিয়ার রহমান জানান, ৭০০ টাকায় কেনা চামড়া বিক্রির সময় ৫০০ টাকা বলছে। আর ছাগলের চামড়ার দাম ৫০ টাকা। এরকম দাম থাকলে চামড়া পাচার হতে পারে মন্তব্য করেন তিনি।

চামড়া বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে নানা অজুহাত দেখিয়ে সেই দাম দেওয়া হচ্ছে না। এবার লোকসান গুনতে হবে।

ঢাকা থেকে বেনাপোলে চামড়া কিনতে আসা ব্যবসায়ী বলেন, এবার কোরবানির পশুর চামড়ার সরবরাহ কম। আবার মানও ভালো না। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনতে পারছেন না।

যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই সতর্কতা কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার পাশাপাশি পুলিশও কাজ করছে। সীমান্ত অভিমুখে প্রবেশের সময় চালকদের জিজ্ঞাসাবাদসহ ও যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।


আরও খবর



সীতাকুন্ডে জাতীয় ভিটামিন‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়েও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত হয়েছে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪।

 শনিবার সকালে জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারীস্থ হোসাইনীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একটি শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আল মামুন। বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ ইফতেখার আহমেদের সভাপতিত্বে ও সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরিফুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার, সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ,  সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি সেকান্দর হোসাইন।

সীতাকুন্ড উপজেলার মোট ২৪০টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ৬১ হাজার ২১০ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল ভিটামিন ক্যাসপুল খাওয়ানো হয়। তন্মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ৪৭০ জন শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫১ হাজার ৭৪০ জন শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ ও ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস.এম আল মামুন বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর অন্য কোন খাবার দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খারার দিতে হবে। ভিটামিন ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



অবশেষে কারামুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ফিরলেন নিজ দেশে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবশেষে যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সোমবার (২৪ জুন) তিনি কারামুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তিনি নিজ দেশে ফিরতে পারলেন। তবে এখানেই যুক্তরাষ্ট্র তার পিছু ছাড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্স-এ বার্তা দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উইকিলিকস। তাতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত সুরক্ষিত বেলমার্শ কারাগার থেকে অ্যাসাঞ্জ মুক্ত হয়ে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে ছুটে যান। সেখানে তার জন্য ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল।

বিবিসি একটি ভিডিওর বরাত দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, জিনস ও নীল শার্ট পরা অ্যাসাঞ্জ বিমানবন্দরের পথে রয়েছেন। তবে স্বাধীনভাবে ভিডিওটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলেও জানায় বিবিসি।

অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করা ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করে বীরের খেতাব পান। এতে চরম ক্ষিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র তাকে শাস্তি দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করা হয়। এগুলোর তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ। অপরদিকে অ্যাসাঞ্জ ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আইনি লড়াই অব্যাহত রাখেন। তাকে নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিও চলেও। তবু বেলমার্শ কারাগারে ১ হাজার ৯০১ দিন আটক ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে তার দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

এরই মধ্যে খবর আসে, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জ সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছেছেন। ফৌজদারি অপরাধের দোষ স্বীকার করায় অ্যাসাঞ্জকে কারামুক্ত করা হয়েছে। তাকে নিজে দেশে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়। সমঝোতা চুক্তির শর্ত মতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে থাকতে হবে না। এমনকি যুক্তরাজ্যের কারাগারে থাকার সময়কালকে তার সাজা ভোগের সময় হিসেবেও বিবেচনা করা হবে।

২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ। ওই সময় পশ্চিমাবিরোধীরা তাকে বীরের খেতাব দেয়। তার পক্ষে দেশে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু তাতেও টলেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করা হবে না। যেকোনো মূল্যে তাকে শাস্তি পেতে হবে।

মুক্তির শর্ত অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জকে বুধবার সকালে ইউএস নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সাইপানের একটি আদালতে হাজির হতে হবে। সেখানে তাকে ইতিমধ্যে ঘোষিত ৬২ মাসের সাজা দেওয়া হবে।

অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। অল্প সময়ে এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী লোকদের গোপন নথি ও ভিডিও বেনামে প্রকাশ করতো প্রতিষ্ঠানটি। তাই একটি অনলাইন হুইসেলব্লোয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে খ্যাতি পায় উইকিলিকস।


আরও খবর