আজঃ শনিবার ২২ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কলকাতার সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহের অংশ।

তবে এই দেহাংশ যে আনোয়ারুল আজিম আনারের তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি কলকাতায় যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতায় যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা কলকাতা স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটি সংসদ সদস্য আনারের কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তাছাড়া কলকাতা সিআইডি বা পুলিশ আমাদের এখনও অফিসিয়ালি নিশ্চিত করেনি।

আমরা এই মুহূর্তে ঘটনা তদন্তের স্বার্থে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি খালে তল্লাশীর কাজ পরিদর্শনে রয়েছি। এর মধ্যে আমরা এই তথ্য পেয়েছি। আমরা এখন ঘটনাস্থলের (সঞ্জিভা গার্ডেন) দিকে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারব।

তিনি আরো বলেন, মরদেহ বা দেহাংশ উদ্ধার হলেও সেটি যে সংসদ সদস্য আনারের তা আগাম বলার সুযোগ নেই। ডিএনএ টেস্ট করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে ডিবি সূত্র বলছে, ভারতের সিআইডি সেপটিক ট্যাংক-এ তল্লাশি করে আশানুরূপ ফল পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদ হাওলাদার বলেছিল প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশ কমোডে ফেলা হয়েছে।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছে ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের গোয়েন্দা প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিনের শুরুতে নিউটাউনের ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে কথা বলেন হারুন অর রশীদ।


আরও খবর



বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তা‌নদের বিও হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ ও ২৬ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের (ক্রোক) নির্দেশ দেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার পুঁজিবাজারের ইলেকট্রনিক্স শেয়ার সংরক্ষণাগার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের নামে সব বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) (ফ্রিজ) রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই আদে‌শ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ অবরুদ্ধ হিসাবসমূহে জমা করা যাবে না বা কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।

আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের বিও হিসাব রয়েছে। সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব রয়েছে।

বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের সংশ্লিষ্ট আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৫টি ব্রোকারেজ হাউজে ৬টি বিও হিসাব পরবর্তী আদেশ না দেওয়া র্পন্ত অবরুদ্ধ কার নির্দেশ দেওয়া হলো। আদালতের আদেশ মোতাবেক ওই হিসাবগুলোর ওপর অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।

এর আগে গত ২৩ মে ৮৩টি দলিলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। সেই সঙ্গে ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও তার সিকিউরিটিজের (শেয়ার) টাকা ফ্রিজ করা হয়।


আরও খবর



মোংলায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের মোংলায় এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) দুপুরে তাদেরকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে বুধবার সকালে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বোন। ভুক্তভোগী ও তার বোন মোংলা পৌর শহরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলো- মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে সুমন (২৯), বাশার মোসাল্লির ছেলে মিজানুর মোসাল্লি (৩৬) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।

এই মামলায় মোট সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলো- মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে জামাল (৪৫), লুৎফরের ছেলে আওয়াল (৩৫)।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, চিংড়ি ঘেরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ৭ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের ও সকল আইনানুক প্রক্রিয়া শেষে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বাগজোলা খালে এমপি আনারের দেহাংশ পাওয়া কঠিন, বলছেন স্থানীয়রা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কলকাতায় গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রায় ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার (২২ মে) এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসে। ঘটনা তদন্তের ভার যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (সিআইডি) হাতে।

তদন্তে নেমেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় জিহাদ হাওলাদার নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবককে। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার অধীন দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। তার পিতার নাম জয়নাল হাওলাদার।

জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে এমপি আনারকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ফ্ল্যাটের মধ্যেই শরীর থেকে সব মাংস আলাদা করে পলিথিনের ব্যাগে ঢোকানো হয়। হাড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরা হয়। তারপর সেগুলো ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয় এবং কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ভাঙরের কৃষ্ণমাটি ও জিরানগাছার বাগজোলা খালে ফেলে দেওয়া হয়।

বাগজোলা খাল সম্পর্কে যা জানা যায়

কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল বরাহনগর বিধানসভা এলাকার ডানলপের কাছ থেকে শুরু হয়ে কুলটির ঘুসি ঘাটার কাছে গিয়ে বিদ্যাধরী নদীতে মিশেছে এই বাগজোলা খাল। কোথাও এই খালের দুইধারে গড়ে উঠেছে বসতি। আবার কোথাও দুপাশেই ঘন জঙ্গল। পশ্চিম থেকে পূর্বে দিকে প্রবাহিত হওয়া প্রায় ৪০ কিলোমিটার এই জলপথের দুটি অংশ রয়েছে। এর সঙ্গে আরও সাত থেকে আটটি খাল এসে মিশেছে।

ওইসব শাখা খাল দিয়ে কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সব পানি বাগজোলা খালে এসে পড়ে। এই খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এর দুপাশে থাকা জঙ্গলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর বাস। আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাংশ এই খালে ফেলা হলে তা খুঁজে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

মোজাফফর হোসেন নামে এক বাসিন্দা বলেন, এই খালে মরদেহ পাওয়া কঠিন। এই অঞ্চলে প্রচুর শিয়াল, বনবিড়াল রয়েছে। আর যদি পানিতে ফেলা হয়, তাহলে খালের যে স্রোত, তাতে দেহাংশ পাওয়া খুব মুশকিল।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, দেহাংশ খালের পানিতে ফেলা হলে পানির টানেই চলে যাবে। সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে না।


আরও খবর



রাখাইনে সংঘাত : বাংলাদেশে ফের রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে গত নভেম্বর থেকে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরকান আর্মির (এএ) যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা সেই রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে ফের বাংলাদেশে আসার প্রবণতা উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা বিভিন্ন উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনের শীর্ষ নির্বাহী এবং বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমানও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, কয়েকজন রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং শিবিরের রোহিঙ্গাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমি নিশ্চিত এ খবর সত্য।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি সেনা ছাউনি এবং পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা ঘটায় রোহিঙ্গাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এই হামলার জবাবে রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

ভয়াবহ সেই অভিযানে সেনা সদস্যদের হাতে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে থাকেন রোহিঙ্গারা। সেবার ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে।

বর্তমানে এই রোহিঙ্গাদের টেকনাফের কুতুপালং ইউনিয়নের শরণার্থী শিবিরে রাখা হয়েছে। ঢাকার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থকে আশ্রয় দিতে পারবে না বাংলাদেশ। চীনের মধ্যস্থতায় আশ্রিত এই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

তবে বিভিন্ন কারণে এই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে স্থবির অবস্থা চলছে; আর এর মধ্যেই রাখাইনে তীব্র সংঘাত শুরু হয়েছে আরাকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে। সেই সংঘাতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা আরাকান আর্মি রাখাইনের একের পর এক শহর-গ্রামের দখল নিচ্ছে। গত সপ্তাহে রাখাইনের দুই সীমান্তবর্তী শহর বুথিডং এবং মংডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি।

এই দুই শহরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা থাকেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, দুই পক্ষের যুদ্ধের জেরে মংডু ও বুথিডংয়ে আটকা পড়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।

রয়টার্সকে মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে ইউএনএইচসিআর আমাদের একটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে ইউএনএইচসিআর বলেছেরাখাইনের পরিস্থিতি উত্তরোত্তর অবনতি ঘটছে। সেখানে আরও রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুতির পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা অসহায়। তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন।

এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউএনএইচসিআরের চিঠির কেনো জবাব এখনও দেয়নি শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশন।

এ ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকারের অবস্থান জানতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে আর আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে যে নীতি নিয়েছিল বাংলাদেশ, তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।


আরও খবর



ভাড়াটিয়া পরিচয়ে স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভাড়াটিয়া পরিচয়ে স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ভাড়াটিয়া সেজে এ অপরাধ করে আসছিলো চক্রটি। প্রথমে টার্গেট ঠিক করে একটি এলাকায় বাসা ভাড়া নেয় তারা। পরে সখ্যতা গড়ে তোলার একপর্যায়ে নিজেদের স্বর্ণকার পরিচয় দিয়ে বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার পরিষ্কার করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

কমান্ডার আরাফাত আরও জানান, এভাবেই টার্গেটকৃত ব্যক্তির সবকিছু লুটে নিয়ে চলে যায় তারা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের মূলহোতা আলী হাসান সোহেলসহ তার এক নারী সহযোগীকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা তিন চার বছর ধরে এভাবে খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।


আরও খবর