আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম
হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ৭ শতাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড় ও সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে অবদান রাখার অঙ্গীকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পেরুতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় দেশে ফিরে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন তাসকিন আমিরাতে ১০ মিনিটে জুমার খুতবা ও নামাজ শেষ করার নির্দেশনা বাজারে প্রতিটি পণ্যের দামেই আগুন, ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত চিপস নিয়ে ফেরা হলো না দুই শিশুর, পুকুরে মিললো মৃতদেহ

কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধের কথা ভাবছে সুইডেন ও ডেনমার্ক

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ৩১ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের নামে পবিত্র কোরআনসহ অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেন ও ডেনমার্ক। মূলত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক উদ্বেগের কারণে এই পদক্ষেপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশ দুটি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক উদ্বেগের কারণে পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ডেনমার্ক।

আরও পড়ুন: নাইজারে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা

ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থীদের উপকার করে এবং নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে। আর তাই দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভসহ কিছু পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করার আইনি উপায় খতিয়ে দেখছে কোপেনহেগেন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৪৪

এছাড়া সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তাদের দেশেও একই ধরনের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এমন কিছু বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করতে চায় যেখানে অন্যান্য দেশ, সংস্কৃতি ও ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে এবং যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগসহ ডেনমার্কের জন্য উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

আরও পড়ুন: কানাডায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৬

কিন্তু ডেনমার্ক সরকার বাকস্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে যে কোনও পরিবর্তন অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার কাঠামোর মধ্যে করা উচিত বলে জোর দিয়েছে।

এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, ডেনমার্কের মতো সুইডেনেও ইতোমধ্যেই একই প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে তিনি ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ক্রিস্টারসন।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি শিবিরে সংঘর্ষে ফাতাহ কমান্ডারসহ নিহত ৬

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, আমরা ইতোমধ্যেই (পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো বন্ধ করতে) আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি..আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সুইডেন ও বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা বিবেচনা করার জন্য এটি করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


আরও খবর



বেনজীর-আজিজ আওয়ামী লীগের কেউ না: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেনজীর ও আজিজ আওয়ামী লীগের কেউ না। তাদের দুর্নীতির বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ আমাদের দলের লোক নয়। সিনিয়রিটি নিয়ে সে আইজিপি হয়েছে। আজিজ আহমেদও আমাদের দলের লোক নয়। সেনাপ্রধান হয়েছেন নিজ যোগ্যতায়, সিনিয়রিটি নিয়ে। আমরা তাকে বানাইনি। যখন কোনো অপরাধ করে সরকারের কাছে খবর আসে, তার বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনা সরকারের আছে।

এসময় সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনা, র‌্যাব বা প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ৮ জনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈন উদ্দিনকে কে সেনাপ্রধান বানিয়েছে? বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক আইজিপি শামসুল হুদা, এসপি কহিনুর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল ভুলে গেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র মামলায় দশ বছর, অর্থপাচারে আজ পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বিদেশে একজন সৎ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় সাজা স্থগিত করে বাসায় বসে চিকিৎসা নিতে পারছেন। আজ সেই বিএনপি দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে দুর্বৃত্তের জন্মদাতা। আমাদের দলের নেতৃত্বে কোনো দুর্নীতি থাকলে তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসেন। আজ বিএনপি তাদের দুর্নীতিবাজ পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ভালো লোক সাজানোর চেষ্টা করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, টিআইবি আর সুজন, ফখরুল-গয়েশ্বর যে সুরে কথা বলে, তারাও সেই সুরে কথা বলে। টিআইবি আর সুজন কি বিএনপির বি টিম? একই সুরে কথা বলে। কোনো পার্থক্য নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করছেন। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ আমূল পরিবর্তন। শেখ হাসিনা যেটা করেছেন সেটা হলো উন্নয়ন। যার কোনো তুলনা নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেল- বাংলাদেশের যে দিকে তাকাই শুধু উন্নয়ন।

বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, কষ্টে থাকলে জানাবেন, অপকর্ম করবেন না। আমাদের নিজের দুর্বলতার খবর শত্রু জানলে নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



রাখাইনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে মারধর, নির্যাতনে নিহত ৫০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ।

১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।

মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানিনা যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।

ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারাদিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।


আরও খবর



অ্যালকোহল পানে প্রতিবছর প্রাণ হারান ২৬ লাখ মানুষ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বে অ্যালকোহল পানের কারণে প্রতিবছর ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও গত কয়েক বছরে মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। তবে এখনো এটি অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

অ্যালকোহল ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ডব্লিউএইচওর সর্বশেষ এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ২০টি মৃত্যুর ঘটনার প্রায় একটির জন্য দায়ী অ্যালকোহল। এসব মৃত্যুর ঘটনার পেছনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অ্যালকোহলসংশ্লিষ্ট নৃশংসতা, নির্যাতন, নানা রোগ ও অসুস্থতার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা বিশ্বে ওই বছর মোট মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আর মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় তিনচতুর্থাংশই ছিলেন পুরুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। এর ফলে দুঃখজনকভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।

এদিকে ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে অ্যালকোহল পান ও অ্যালকোহল পানজনিত ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে অ্যালকোহল পানের কারণে স্বাস্থ্য ও সমাজের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এখনো অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, বিশেষ করে তরুণেরা বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

২০১৯ সালে অ্যালকোহল পান মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি (১৩ শতাংশ) মারা গেছেন ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ। অ্যালকোহল পানের কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানে প্রাণ হারানো মানুষের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। তাদের মধ্যে চার লাখ ৭৪ হাজার জন হৃদ্‌রোগ, চার লাখ ১০ হাজার ক্যানসার এবং ৭ লাখ ২৪ হাজার জন আঘাতের কারণে মারা গেছেন। এছাড়া অ্যালকোহলের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত  হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে; যা গড়ে ৯ দশমিক ২ লিটার। এরপরই রয়েছে আমেরিকার দেশগুলো। সেখানে মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের গড়ে ৭ দশমিক ৫ লিটার। সবচেয়ে কম অ্যালকোহল পান করা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

লোকসানের আশঙ্কায় বন্ধ রাখার ২০ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমদানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেল ৫টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরের প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুটি ট্রাকে ৩৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, দেশের বাজারে হঠাৎ করে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। লোকসান হওয়ায় গেলো ২০ দিন ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। যদি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাওয়া যায় আমদানি অবহৃতের পাশাপাশি ঈদের আগে আমদানি আরও বাড়বে।

উল্লেখ, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা গেলো ৪ মে তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে গেলো ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েন হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে আর প্রতিকেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ৭ টাকার মতো।

নিউজ ট্যাগ: পেঁয়াজ আমদানি

আরও খবর