আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নূরুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লোহাকুচি সীমান্তের মালগাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহ ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। নিহত নূরুল ইসলাম উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের মৃত মইনউদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, বুধবার ভোরে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় নূরুল ইসলামসহ ৫-৬ জন সীমান্তের ৯১৯ নম্বর মেইন পিলার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে ফেরার পথে কোচবিহার জেলার ৭৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ওয়েস্ট ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় নূরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তবে তার বাকি সঙ্গীরা পালিয়ে যান। পরে নূরুল ইসলামের মরদেহ ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। লাশ ফেরত আনতে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



বাঁশখালীতে পুকুরে বিষ দিয়ে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়ায় পশ্চিম হিন্দুপাড়ায় রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ ঢেলে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। সকালে পুকুরে মরা মাছ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পান। চেচুরিয়া জলদাশ পাড়ার মৃত অপুন্দ্র জলদাশের পুত্র তমাল জলদাশ এই পুকুরটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্ত তমাল জলদাশ জানান, বিভিন্ন জন থেকে লোন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সে পশ্চিম হিন্দু পাড়ার এই পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আসছিলেন।গত বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা আমার পুকুরটিতে বিষ ঢেলে দেয়। বিষক্রিয়ায় পুকুরের ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে যায়। মরে যাওয়া মাছের মধ্যে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, গলদা চিংড়ি, মৃগল, কার্পুসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। তিলে তিলে গড়ে তোলা পুকুরের মাছ নিধনের ফলে সর্বস্ব হারিয়ে তমাল জলদাশ এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন। ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের ফলে তার আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মানুষের দায় দেনা কিভাবে পরিশোধ করবেন তানিয়ে বেকায়দায় তমাল।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ইসরায়েলে বৃষ্টির মতো রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের অন্তত ৯টি সামরিক স্থাপনায় একযোগে আবারো মুহুর্মুহু রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় ওই হামলার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর মাঠ পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডার নিহত হন। বৃহস্পতিবার ওই হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় গত অক্টোবরের পর বৃহস্পতিবারই সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

এক বিবৃতিতে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠী বলেছে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ছয়টি অবস্থানে মুহুর্মুহু কাতিউশা ও ফালাক রকেট ছুড়েছে। হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম আল-মানার টেলিভিশন একযোগে ১০০টিরও বেশি রকেট ছোড়ার খবর দিয়েছে।

হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর, একটি গোয়েন্দা সদরদপ্তর ও একটি সামরিক ব্যারাকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ইসরায়েলে একযোগে অন্তত ৩০টি ‌অ্যাটাক ড্রোন ছোড়া হয়েছে; যা ইসরায়েল-হামাসের গত আট মাসের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহর।

গত অক্টোবরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিনই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারের প্রাণহানির পর উভয়পক্ষের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

বুধবার হিজবুল্লাহ বলেছিল, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিশোধে ওইদিন অন্তত ৮ বার হামলা চালিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়া হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সাইরেন বেজে উঠে। ৪০টি রকেট এসেছে লেবানন থেকে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কানে দেখানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ফুটেজ।

এতে দেখা যায়, ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের আকাশে রকেট। এর মধ্যে লেবানন সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে সাফেদ শহরে আঘাত করে রকেট। ইসরায়েলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে বলা হচ্ছে, এই হামলায় দুজন আহত হয়েছে। আগুন লেগেছে কয়েকটি জায়গায়। তবে বেশি ক্ষতি হয়নি।

প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, বেশিরভাগ রকেটই প্রতিহত করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোনও শনাক্ত করে ধ্বংস করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর পর থেকে গাজায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শিশু। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই লেবানন সীমান্তে বেড়ে গেছে উত্তেজনা। এর আগেও ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এবার আবারো হামলা চালানো হলো।


আরও খবর



বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবারও বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। এছাড়াও দাম বেড়েছে কাঁচামরিচ, আদা রসুনসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের। তবে চাল, ডাল ও আটা-ময়দার দাম আগের মতোই রয়েছে। রাজধানীর মহাখালী, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচামরিচ ও সবজির দাম বাড়তি। গরমে মুরগি মারা যাওয়ায় বেড়েছে ডিমের দাম। আর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি বলে দর বেড়েছে।

গত বছরের মে মাসে বাড়তে শুরু করে আলুর দর। এরপর আমদানির আলু আসার পর পণ্যটির দর কিছুটা কমে। এবার মৌসুমেও আলুর দর তেমন কমেনি।

আলু ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, হিমাগারের গেটে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে। এরপর পরিবহন খরচ ও ঘাটতি আছে। সব হিসাবনিকাশ করে ৫৫ টাকার কমে বেচলে লাভ থাকে না। খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে এক মাস ধরে কাঁচামরিচের বাজার চড়া। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে। মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। সেই হিসাবে এক মাসে দর বেড়েছে দ্বিগুণের মতো।

দাম বাড়ায় সপ্তাহখানেক আগে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এক সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৩০০ টন কাঁচামরিচ আমদানিও হয়। তবে বাজারে এখনও পণ্যটির দর কমেনি।

এদিকে ডিমের বাজারও চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে বেশি বেচাকেনা হয় বাদামি রঙের ডিম। খুচরায় এ ধরনের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। হালি হিসাবে (৪টি) কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া সাদা রঙের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।

ডিমের দর বাড়ার জন্য করপোরেটদের দায়ী করছেন ছোট খামারিরা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বড় প্রতিষ্ঠান ও ঢাকার বড় পাইকাররা সিন্ডিকেট করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল করছে। এতে ছোট খামারিরা হুমকির মুখে পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানির অনুমতি থাকলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে কম। ফলে দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এতে দরও বাড়ছে। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।


আরও খবর



ভাঙনের কবলে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি।

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই।

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি, জনমনে স্বস্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে ঢাকায় দেখা গেলো স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ৫টার পর মেঘের গর্জনের সঙ্গে নামে ঝুম বৃষ্টি।

বেশ কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছে মানুষের মনে।

এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে দেশের দুটি বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বিকেলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ১৩ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি। ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিমি/ ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা; ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


আরও খবর