আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

মাল‌য়ে‌শিয়ার শ্রমবাজার বন্ধই থাক‌ছে: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের বিষয়ে কোনো সুখবর দেননি ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম। তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকার বেঁধে দেওয়া সময়ের বিষয়ে কঠোর।

বুধবার (৫ জুন) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন হাইকমিশনার।

হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছি। একটা নির্দিষ্ট ডেটলাইনের মধ্যে বিষয়টি বেঁধে দিয়েছিলাম, যা ৩১ মে ছিল। কারণ, আমরা ১৫টি উৎস দেশের জন্য এ সময়সীমা প্রয়োগের বিষয়ে অভিন্নতা নিশ্চিত করতে চাই। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, ১৫টি উৎস দেশের জন্য প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, আমাদের নতুন করে পুনর্বিবেচনা করতে গেলে ১৫টি উৎস দেশের জন্য এটা করতে হবে। এটার পাশাপাশি ত্রুটিগুলো সমাধান করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন। আমি এ বার্তা কুয়ালালামপুরে পৌঁছে দেব।

মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের পরও গত ২ জুন কর্মীদের নামে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাইকমিশনার বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। মালয়েশিয়া সরকার সময়সীমার ব্যাপারে কঠোর।

মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীরা কাজ না পাওয়ার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার দেখবে। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।


আরও খবর



কক্সবাজারে পাহাড় ধসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের সদর উপজেলায় পাহাড়ধসে এক দম্পতি মারা গেছেন। শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলা পুলিশ লাইনের বাদশা ঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাহাড়ধসে নিহতরা হলেন পুলিশ লাইন বাদশা ঘোনা এলাকার কেন্দ্রীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মাইমুনা আক্তার। মাইমুনা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, আমার এলাকায় পাহাড় ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

তিনি বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিলো। পাহাড় ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়ে ওই দম্পতি মারা যান। স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মৃত্যু হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার শহরে বাদশা ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে ঘুমন্ত স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।


আরও খবর



কাল থেকে চলবে ঈদ স্পেশাল ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার্থে ১০ জোড়া (২০টি) স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামীকাল বুধবার থেকে স্পেশাল ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করবে।

সম্প্রতি রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ই জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরে ৭ দিন চলাচল করবে।

এছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩-১৫ই জুন (৩ দিন) ও ঈদের পরে ২১-২৩শে জুন (৩ দিন) চলাচল করবে।

অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।


আরও খবর



ফোর্বসের সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় প্রথমে দীপিকা!

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সন্তানের আগমন সব মায়ের জন্য সবসময়ই শুভ। অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের ক্ষেত্রেও তাই। একের পর এক ছবিতে সাফল্যের পর সম্প্রতি ২০২৪ সালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হিসেবে নাম উঠে এসেছে তার।

কল্কি ২৮৯৮ এডি-এর প্রধান নায়িকা আলিয়া ভাট, কঙ্গনা রানাউত, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে হারিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দীপিকা। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, তালিকায় কোনো দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রীর নাম নেই।

কে কত টাকা নেন?

IM D b-এর সাহায্যে ফোর্বস দ্বারা সংকলিত একটি তালিকায়, দীপিকা পাড়ুকোন ভারতের ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হিসাবে ঘোষিত হয়েছেন।

জানা গেছে, অভিনেত্রীর বর্তমান পারিশ্রমিক ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা। তালিকায় এরপর রয়েছেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউত৷ এমার্জেন্সি অভিনেত্রী প্রতি সিনেমায় ১৫ কোটি থেকে ২৭ কোটি টাকা নেন। অপর দিকে প্রতি সিনেমায় ১৫ কোটি থেকে ২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস।

চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ। টাইগার ৩ তারকা প্রতি সিনেমার জন্য ১৫ কোটি থেকে ২৫ কোটি টাকা চার্জ করেন। প্রতি ছবি পিছু ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা ধার্য করে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আলিয়া ভাট।

তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন করিনা কাপুর খান, যিনি প্রতি সিনেমার জন্য ৮ কোটি থেকে ১৮ কোটি টাকা চার্জ করেন। শ্রদ্ধা কাপুর, যিনি ফিল্ম প্রতি ৭ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকা নেন এবং বিদ্যা বালন, যিনি প্রতি ছবিতে ৮ কোটি থেকে ১৪ কোটি পারিশ্রমিক পান বলে জানা গিয়েছে।

২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ সর্বাধিক আয়ের অভিনেত্রীর তালিকায় রয়েছেন অনুষ্কা শর্মা এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রব নে বানা দি জোডি তারকা একটি চলচ্চিত্রের জন্য ৮ কোটি থেকে ১২ কোটি চার্জ করেন, অপরদিকে পোন্নিয়ান সেলভান তারকা প্রতি চলচ্চিত্রের জন্য নেন ১০ কোটি টাকা। দীপিকা ও আলিয়ার হাতে আগামীতে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের ছবি রয়েছে। দীপিকাকে এই মাসের শেষের দিকে প্রভাস এবং অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কল্কি ২৮৯৮ এডি-তে দেখা যাবে। এছাড়াও পাইপলাইনে রয়েছে সিংহম ৩ এবং আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র, এমনকি একটি হলিউড চলচ্চিত্রও রয়েছে তালিকায়।

অন্যদিকে, এই বছর আলিয়ার জিগরা মুক্তি পাচ্ছে এবং সঞ্জয় লীলা বনশালীর সঙ্গে আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। রণবীর কাপুর এবং ভিকি কৌশলের সঙ্গে লাভ অ্যান্ড ওয়ার-এও দেখা যাবে তাকে।


আরও খবর



১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এর ফলে নাগরিকরা তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইন যা-ই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করায় বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের অজ্ঞতাসহ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে অর্জিত সম্পদ প্রকাশে ত্রুটি থাকতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের এই ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেয়া এবং অর্থনীতির মূল ধারায় অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর আইনে কর প্রণোদনার ওপর একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।


আরও খবর



সিলেটে বন্যায় মৎস্য খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার মৎস্য চাষী ও খামারিরা। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ উপজেলায় ঢলের পানিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর মাছের ঘের। সৃষ্ট বন্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় শত-শত পুকুর বন্যার পানিতে ভেসে যায়। কোন কোন পুকুরের চিহ্ন ও দেখা যায়নি। আর বেশিরভাগ পুকুর বিশাল জলারাশির নিচে ঢাকা পড়ে যায়। খামারীরা শেষ চেষ্টা হিসেবে জাল ও নেট দিয়ে মাছগুলো আগলের রাখার শেষ চেষ্টা করলেও পানির তোড়ের কাছে তারা হার মানে না।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার ৩৮২ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৮ হাজার ২৫৮টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৮ শত ৪৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৫৬ দশমিক ৮৫ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১৬ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৪৮ হেক্টর।

জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ৯০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৭৫০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ১৪ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৫ কোটি ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ৪২ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৫১০ হেক্টর।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৯ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২৯টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১০৫ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মাছ ও ৭ লাখ ২৫ হাজার মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার, পোনার মূল্য ৩৫ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ২০ দশমিক ৪৫ হেক্টর।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ হাজার ৭০০ মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ১০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ৩৫০ মেট্রিক টন মাছ ও ২২ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৬ কোটি ৯৮ লাখ, পোনার মূল্য ৬০ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩১০ হেক্টর।

জৈন্তাপুর উপজেলার ১ হাজার ৯৫৩ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ২ হাজার ৭৫টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ২১ দশমিক ৬০ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ৭২ লাখ, পোনার মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৩৩৬ দশমিক ০৩ হেক্টর।

কানাইঘাট উপজেলার ২ হাজার ৮০০ জন মৎস্য চাষী ও খামারির ৩ হাজার ৩০০টি পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামারের ১১০ মেট্রিক টন মাছ ও ৬ লাখ মাছের পোনা। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাছের মূল্য ১ কোটি ৫৪ লাখ, পোনার মূল্য ১৮ লাখ ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর, দিঘি ও খামারের আয়তন ৪০৭ হেক্টর।

জৈন্তাপুর এলাকার এক মাছ চাষী বলেন, পুকুরে মাছ চাষের জন্য ঋণ নিয়েছি। বন্যার শুরুতে পুকুরের চারদিকে ঘের দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। বন্যার তোড়ে সব মাছ ভেসে গেছে। একই উপজেলার আরেক মাছ চাষী বলেন, নির্ঘম রাত কাটিয়েও রক্ষা করতে পারিনি স্বপ্নের খামারটি। চোখের সামনেই ভেসে গেছে মাছ।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কাতল, রুই ও অন্যান্য জাতের মাছ ছিল। আকস্মিক সৃষ্ট বন্যায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মাছের পাশাপাশি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি ভেসেও সকল পোনা চলে গেছে। এ অবস্থায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। মৎস্য চাষীদের অনেকে বেশি সুদে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন। এখন মাছ ভেসে যাওয়ায় একদিকে সংসার চালানোর চিন্তা, অন্যদিকে ঋণ শোধের চিন্তা। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে মৎস্য ঋণ মওকুফ ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে আগামী দিনে নতুনভাবে মৎস্য চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান মৎস্য চাষীরা।

সিলেট জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সীমা রাণী বিশ্বাস আলাপকালে জানান, ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে দেশি মাছের সংখ্যা ছিল বেশি। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে খামারিদের সহায়তা করা হবে।


আরও খবর