আজঃ সোমবার ২৪ জুন 20২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদুল আজহার উষ্ণ শুভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে‌ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে মোদির শু‌ভেচ্ছা জানা‌নোর তথ্য রোববার (১৬ জুন) এক বার্তায় জানায় ঢাকায় ভারতীয় হাইক‌মিশন।

হাইক‌মিশন জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে নরেন্দ্র মোদি করেছেন, এই উৎসবটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে অপরিহার্য। তিনি ঈদুল আজহাকে বহু-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। ‌চি‌ঠি‌তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ মানুষ দরকার: আতিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ মানুষ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাব আয়োজিত জয় বাংলা ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আয়োজন সবার মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মেধাবী ও সুস্থ মানুষ দরকার। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা আবশ্যক।

এ সময় তিনি দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি মেয়র ম্যারাথনে নিজে অংশ নিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করেন। তিনি দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার পুরো হাতিরঝিল এক রাউন্ড দৌড়ান।

ম্যারাথন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

ঢাকা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: ঘন ঘন প্রেস ব্রিফিং বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলাসহ তদন্তাধীন মামলায় গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া বন্ধ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির তাদের এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আজ অবধি তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। টক অব দ্য কান্ট্রি’ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ইলেকট্রনিক, প্রেস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়েল টাইম আপডেট প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করছে। সময়ে সময়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে। সাংবাদিক বন্ধুরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। প্রেক্ষিত বিবেচনায় গণমাধ্যমের সামনে কর্তৃপক্ষ উত্তর প্রদান করছে। ছোটোখাটো অনেক বিষয় উঠে আসছে। লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম পছন্দ অনুযায়ী হেডলাইন করছে। ফ্রিল্যান্সার ব্যক্তিরা খণ্ডাংশ উল্লেখ করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করছেন। এ বিষয়ে হরেক-রকম বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র (৩৯ বিএলডি ৪৭০) মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধের তদন্ত চলাকালীন সময়ে পুলিশ- র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার আগেই বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যা অনেক সময় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অমর্যাদাকর ও অঅনুমোদনযোগ্য এবং বিভিন্ন মামলার তদন্ত সম্পর্কে অতি উৎসাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করা হয়ে থাকে। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে একজন অভিযুক্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না যে তিনি প্রকৃত অপরাধী বা তার দ্বারাই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা সংগত নয় যে, তার মর্যাদা ও সম্মানহানি হয় এবং তদন্ত চলাকালে অর্থাৎ পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের আগে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তি বা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে এমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন সমীচীন নয়, যা তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে বিতর্ক বা প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

নোটিশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের আলোকে গণমাধ্যমে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।


আরও খবর



বন্যায় সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না, পানি নেমে যাওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এদিকে গত বন্যায় প্লাবিত হয়ে কৃষিতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও সিলেটের বেশিরভাগ ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাঠে এখনো ফসল আছে ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮২ হেক্টর আউশ ধান, ৮৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬১ হেক্টর বোনা আমন। আউশ ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়। এখানে ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ হেক্টর। সিলেট সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরই প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হওয়া আউশ ধানের মধ্যে বিশ্বনাথে ৮৬১ হেক্টর, গোলাপগঞ্জে ৭৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৫৬০, গোয়াইনঘাটে ৪১৫, জকিগঞ্জে ৩৫০, ওসমানীনগরে ৩১০, বিয়ানীবাজারে ৯০, কানাইঘাটে ৭৫, দক্ষিণ সুরমায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৪০ ও বালাগঞ্জে ৫ হেক্টর রয়েছে। প্লাবিত হওয়া আউশ বীজতলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১৬০ হেক্টর, বিশ্বনাথে ১৫৪, সিলেট সদরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৯৫, দক্ষিণ সুরমায় ৮০, বিয়ানীবাজারে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৮,  কানাইঘাটে ৪২, বালাগঞ্জে ৩৫, ওসমানীনগরে ২৯, কোম্পানীগঞ্জে ২৭, জকিগঞ্জে ২৩ ও গোয়াইনঘাটে ৮ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট ৬ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার ১ হাজার ১২০ হেক্টর, সিলেট সদরে ৭২০, বিয়ানীবাজারে ৫৩০, জকিগঞ্জে ৪৬৫, গোলাপগঞ্জে ৪৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪৮, দক্ষিণ সুরমায় ৪৩৫, বালাগঞ্জে ১৭৫, গোয়াইনঘাটে ১০৫, ওসমানীনগরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৮০, কোম্পানীগঞ্জে ৫২ ও কানাইঘাটে ২৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি প্লাবিত হয়েছে।

সিলেটের প্লাবিত হওয়া বোনা আমনের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৮২ হেক্টর, কানাইঘাটে ৩৬, জকিগঞ্জে ১৮, দক্ষিণ সুরমায় ১১, জৈন্তাপুরে ১০ ও বালাগঞ্জে ৪ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট বোনা আমন আছে ১৬৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের মাসুদ আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগের বন্যায় ৬০শতক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, নিজ শ্রম বাদে ফসল রোপণ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক লোকমান আলী জানান, ধার-দেনা করে ৩০শতক কৃষিজমিতে সবেমাত্র আউশ ধান লাগিয়েছেন, লাগানোর একদিন পর বন্যার পানিতে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পানি নেমে গেলেই এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

 তিনি আরও বলেন, বুধবারের তথ্য অনুযায়ী জেলার মাঠে এখনও ফসল আছে ২০ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৯৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৫ হাজার ৬৬৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬৭ হেক্টর বোনা আমন।


আরও খবর



দোহারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলায় পানিতে ডুবে জান্নাত নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ইউসুসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত জান্নাত ইউসুসপুর এলাকার মো.শরিফ ও ফাতেমা দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

শিশুটির পরিবার জানান, দুপুরে বাড়ির আঙ্গিনার পুকুর পাড়ে শিশুটি খেলা করতে থাকে। খেলা করার এক পর্যায়ে শিশুটির খেলনা পুকুর পাড়ে পড়ে যায়। পরে পুকুর পাড়ে খেলনা আনতে গিয়ে শিশু জান্নাত পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। কোথাও না পেয়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে পানির মধ্যে উপুড় হয়ে থাকা অর্ধেক ডুবন্ত অবস্থায় শিশু জান্নাতকে দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রতিবেশি মো. মানিক হোসেন বলেন, শিশুটি বাড়ির আঙ্গিনায় পুকুরপাড়ে বসে খেলতে গিয়ে পড়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি বাচ্চাটা মারা গেছে। পরিবারের ব্যস্ততার কারণে নজর না রাখায় শিশুটির এমন মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্ষাকাল আসছে, তাই যেসব পরিবারের ছোট ও সাঁতার না জানা শিশু আছে সেসব পরিবারের লোকজনকে আরো বেশি সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে নগরের অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগ পড়েছে নগরবাসী। টানা বৃষ্টির ফলে হাঁটু থেকে বুক পরিমাণ পানিতে তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ এলাকা। এতে গণপরিবহনের সংখ্যা কমেছে। ফলে রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। ভারী বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়ার কারণে নগরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিক প্রকল্পে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। বিশাল টাকা ব্যয় হলেও সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর সকল এলাকা।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, ওয়াসার মোড়, তিন পোলের মাথা, মেহেদীবাগ সিডিএ কলোনি, আগ্রাবাদ, পতেঙ্গা, হালিশহর শুলকবহর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার আকমল আলী রোড সংলগ্ন জেলেপাড়া জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

নগরের প্রধান সড়কগুলো হাঁটু থেকে কোমর পানি, অনেক স্থানে ‍বুক সমান পানিতে ডুবে গেছে। সড়কের অনেক দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যাওয়া বন্ধ ব্যবসা। নগরের ব্যস্ততম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ডুবে গেছে পানিতে। এতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার শঙ্কা বাড়ছে নগরবাসীর।

সুমন নামের এক যাত্রী বলেন, জলাবদ্ধতার থাকায় গাড়িতে বেড়েছে তিনগুণের বেশি। গাড়ি কম থাকায় গন্তব্য পৌঁছাতে রিকশা হচ্ছে একমাত্র ভরসা, কিন্তু বাধ্য হয়ে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।'

রাস্তায় চলাচলকারী নগরবাসী ক্ষোভ ছেড়েছেন দুই সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রতি। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এত টাকা খরচের কোনো সুফল জনগণ পাচ্ছে না।

বাকলিয়ার এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট জয়শ্রী নন্দী বলেন, আমি সকালে কোর্টে যাওয়ার উদ্দেশ্য রাস্তায় বের হয়ে দেখি, পুরো রাস্তা পানি ডুবে গেছে, কিন্তু কাজের তাগিদে আমাকে বের হতে হচ্ছে। তাই সকালে কোমর পানিতে অফিসে যেতে হয়েছে। সারা বছর দেখি খালে কাজ চলছে। কিন্তু এই কাজের কোনো সুফল পেলাম না।

তবে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এরপর বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। রিমালের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টিপাত হবার আভাস দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নগরজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর