আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রামগঞ্জে বসতঘর চাপায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
Image

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চাঙ্গিরগাও গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বসতঘর চাপা পড়ে নিস্পু নামের ৭ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শিশুটির নানী হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)।

আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার ৫নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নে দক্ষিন চাঙ্গিরগাঁও গ্রামের দেবুর বাড়ির পাশে গরুর ব্যাপারী ছাকায়েত উল্যার বাড়ির লুৎফর রহমানের বসতঘরটি ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে। এসময় ঘরের ভিতরে থাকা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫) ও নাতনি নিস্পু (৭) ভেঙে যাওয়া ঘরের নিচে চাপা পড়ে।

প্রতিবেশীরা ঘরের নিচে চাপা পড়া হোসনেয়ারা ও নিস্পুকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার নিস্পুকে মৃত ঘোষণা করে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শারমিন ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গায় একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে। বুধবার (২৬ জুন) বেলা দেড়টার কিছু আগে এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

আগুনের বিষয়ে নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফতুল্লা বাজারের পাশে একটি জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটেছে৷ এ দিন বেলা ১টা ৩২ মিনিটে তারা আগুনের খবর পান। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে৷

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি ও কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচতে বন বিভাগের ছয় নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক মাস ধরে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ও হিংস্র সাপ চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। মূলত বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ বলে পরিচিত হয়ে এলেও ইদানিং দেশের দক্ষিণ, পূর্ব এমনকি মধ্যাঞ্চলেও খোঁজ মিলছে সাপটির। প্রায় দিনই খবর আসছে বিষাক্ত এ সাপে কাটা মানুষের মৃত্যুর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয়টি নির্দেশনা সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ বনবিভাগের পক্ষ থেকে। শুক্রবার (২১ জুন) রাতে পোস্টটি করা হয় বাংলাদেশ বনবিভাগের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে।

তাতে বনবিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পড়তো না। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে সাঁতরে ও ভেসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

রাসেলস ভাইপার স্বভাবগতভাবেই কিছুটা তেজী। এটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, ফলে সাপটি বিপদ অনুভব করে ভয়ে আক্রমণ করে বসে। এই সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত মানুষই দায়ী। যেসব প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন, শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল এরাও রাসেলস ভাইপার খেয়ে থাকে।

এছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে-অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসব শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপারও অত্যধিকহারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

তবে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানায় বন বিভাগ। আর এজন্য রাসেলস ভাইপারের আক্রমণ ও ভয়ানক বিষ থেকে বাঁচতে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

নির্দেশনাগুলো হলো:

যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।

যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।

রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।


আরও খবর



ইসলাম প্রচারের পর কীভাবে কোরবানির প্রচলন শুরু হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মক্কায় প্রতি বছরই কোরবানি দেওয়া হতো। কিন্তু তখন মক্কার বাসিন্দার বিভিন্ন দেবদেবীর নামে সেগুলো কোরবানি দিতেন। ফলে ইসলামের নবী সেই সময় মক্কায় থাকলেও তিনি এই রীতি অনুসরণ করতেন না।

নবুয়ত প্রাপ্তির প্রায় তের বছর পরে মদিনায় হিজরত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানি দেয়ার রীতি চালু হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হালাল সনদ বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন,ইসলামের অনেক বিধিবিধান রাসুল (সাঃ) মদিনায় আসার পর কার্যকর হয়েছে। কারণ তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করার পর মক্কার মানুষের মধ্যে একাত্মবাদ প্রতিষ্ঠা ছিল প্রাথমিক কাজ। আর মদিনায় হিজরত করে আসার পর ইসলামের বিধিবিধান জারি হয়।

হিজরি দ্বিতীয় সনে রোজা এবং ঈদুল ফিতরের প্রবর্তন হয়েছিল। অবশ্য তার আগে থেকেই মদিনার মানুষজন অনেকটা একই আদলে উৎসব এবং রোজা পালন করতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী বলেছেন, হিজরি দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল।

আনাস নামে নবী মুহাম্মদের একজন সাহাবী বা সাথীর বর্ণনা করা একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, মদিনায় যাওয়ার পর নবী দেখলেন যে সেখানকার মানুষ বছরে দুইটি বড় উৎসব পালন করে।

তিনি তখন জানতে চান, সেগুলো কী উৎসব?

এগুলো ছিল নওরোজ এবং মিহিরজান নামে দুটি উৎসব - যেগুলো সেখানকার বাসিন্দাদের ধর্ম এবং গোত্রের রীতি অনুযায়ী একটি শরতে এবং আরেকটি বসন্তকালে উদযাপিত হত।

অধ্যাপক মিয়াজী বলেছেন, তখন ওই দুইটি উৎসবের আদলে মুসলমানদের জন্য বছরে দুইটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং জাতীয় উৎসব পালনের রীতি প্রবর্তন করা হয়।

সেই দুই ঈদের একটি হজের সময় পালন করা হতো, যা ঈদুল আজহা নামে পরিচিত। তবে ইসলাম প্রচারের পর ঠিক কবে আর কীভাবে প্রথম কোরবানি দেয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায় না।

কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন, মদিনায় আসার পর ইসলামের নবী প্রথম দুইটা দুম্বা নিজ হাতে কোরবানি দিয়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, একটা আমার নিজের পক্ষ থেকে আরেকটা আমরা উম্মতের পক্ষ থেকে।

মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন, ইসলামের অনেক কিছুই আগের পয়গম্বরদের রীতি মেনে করা হয়েছে। যেমন প্রথম দিকে বায়তুল মোকাদ্দেসের দিকে সিজদা করা হলেও পরবর্তীতে ইব্রাহিম (আঃ) এর আদর্শ অনুযায়ী কাবার দিকে সিজদা করা হয়। কোরবানির ব্যাপারটিও তেমনি এসেছে।

তিনি বলছেন, ইসলামের কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, আদম (আঃ) থেকে কোরবানি শুরু হয়েছে। তবে সুরা কাওসার ও সুরা হজে কোরবানি করার নির্দেশনা পাওয়া যায়। এই সুরা কাওসার নাজিল হয়েছিল হিজরতের আগেই, রাসুল (সাঃ) মক্কায় থাকার সময়। আর সুরা হজ মক্কা ও মদিনায় মিলিয়ে নাজিল হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

এই দুইটি সুরাতেই কোরবানি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাটোয়ারি বলছেন, এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাসুল (সাঃ) মক্কায় থাকার সময় থেকেই কোরবানির বিষয়টা এসেছে।

তবে তিনি প্রথম কবে কোরবানি দিয়েছেন, সেই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী জানাচ্ছেন, তিরমিজি হাদিসে উল্লেখ আছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বলেছেন, হিজরতের পরে রাসুল (সাঃ) ১০ বছর মদিনায় ছিলেন, ১০ বছরেই কোরবানি করেছেন। আর আনাস ইবনে মালিক বলেছেন, রাসুল (সাঃ) দুইটা শিং ওয়ালা নাদুস-নুদুস দুম্বা জবাই করেছেন আর বলেছেন একটি আমার উম্মতের পক্ষ থেকে একটা আমার পক্ষ থেকে।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, তিনি সবসময়ে দুটা দুম্বা কোরবানি দিতেন, বলেন পাটোয়ারি।

যারা হজ বা ওমরাহ করতে যেতেন, তারা কোরবানির জন্য উট বা দুম্বার মতো পশু সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। এসব পশুকে বলা হতো হাদি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, ষষ্ঠ হিজরিতে বা ৬২৮ খৃষ্টাব্দে যখন রাসুল (সাঃ) ওমরাহের উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন হুদাইবিয়ায় বাধা দেয়া হলে তিনি তাবুতে অবস্থান করেন। হুদাইবিয়ার সন্ধি হলে তিনি সেই সময় নিজের ও পরিবারের জন্য উট কোরবানি দেন।

এ সময় তিনি ৬৩টি উট কোরবানি দেন বলে জানা যায়। সেই সময় ইসলামের বিধিবিধানে উট, মহিষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাওলানা মোঃ আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেছেন, ষষ্ঠ হিজরিতে ওমরাহ করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পশুগুলোকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম ছিল। তখন কোরবানি ছাড়া আরেকটা রীতি ছিল। পশুগুলোর সিনায় কেটে দাগ লাগিয়ে মক্কার দিকে ছেড়ে দেয়া হতো, যাতে বোঝা যেতো যে এগুলো কোরবানির পশু। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর কিছু পশু কোরবানি দেয়া হয়, আর কিছু পশুকে সিনায় দাগ লাগিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

পাটোয়ারি বলছেন, দশম হিজরিতে রাসুল (সাঃ) মক্কা বিজয়ের পর সেই বছর তিনি নিজে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ করেন এবং কোরবানি দেন।

এর আগের বছর সাহাবী আবুবকরের নেতৃত্বে একটি দলকে হজের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই দলের সঙ্গেও কোরবানির জন্য হাদি বা পশু ছিল।


আরও খবর



সেমিতে যেতে ১২.১ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করেছে রশিদ খানের দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। রান রেটে এগিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য ছুঁতে হবে।

স্কোর লেভেল করে যদি চার মারতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সময় পাবে ১২.৩ ওভার। কিংবা স্কোর লেভেল করে যদি ছক্কা মারতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সময় পাবে ১২.৫ ওভার। যদিও সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি নামায় বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হতে দেরি হবে।

এর আগে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। বাদ পড়েছেন জাকের আলী অনিক ও মেহেদী হাসান। এ দিকে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে আফগানরা।

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইব্রাহিম জার্দান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে এ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে তাদের বেঁধে রাখেন টাইগার বোলাররা।

তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদের গতিময় বোলিংয়ে দিশেহারা দুই আফগান ওপেনার। রানের জন্য ছটফট করছিলেন দুজন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান।

তার বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লেতে আফগানদের সংগ্রহ ছিলো কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ২৭ রান।

এই ধারা অব্যাহত থাকে বাকি ওভার গুলোতেও। ২০ ওভারে সর্বমোট ৬৬টি ডট বল করেছেন তাসকিন-সাকিবরা। অর্থাৎ ১১ ওভারে কোনো রান তুলতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।

১১তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইব্রাহিমকে (১৮) ফিরেয়ে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। ওভারটি উইকেট মেডেন করেন রিশাদ। ১৭তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০) এবং গুরবাজকে (৪৩) সাজঘরে ফেরান এই লেগ স্পিনার। ২৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।

সেমিফাইনালে খেলতে শুধু মাত্র জয় পেলেই হবে আফগানদের। এমনকি বৃষ্টিতে খেলা পণ্ড হলেও শেষচারে খেলবে তারা।


আরও খবর



সাকিব টি-টোয়েন্টির জন্য আর যোগ্য নয়: বিরেন্দ্র শেবাগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের হতাশজনক পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের সমর্থকরা। এতে আরও ঘি ঢাললেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার বিরেন্দ্র শেবাগ।

বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার বাজে শট সিলেকশনের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন শেবাগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেট পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরেছে ৪ রানে।

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যক্তিগত ৩ রানে বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হন সাকিব। এতে সাকিবকে তিরস্কার করেছেন শেবাগ।

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েব সাইট ক্রিকবাজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের রান তাড়া করার ক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু, উইকেট স্থায়ী হওয়ার আগেই, নর্কিয়ার দ্রুতগতির বাউন্সারে এমন শট খেলা উচিত হয়নি তার।

সাকিবের উদ্দ্যেশে কিছু পরামর্শ দিয়ে ভারতের সাবেক ওপেনার বলেন, তাকে অভিজ্ঞতার জন্য দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তা (অভিজ্ঞা) দেখতে পারতাম না। অন্তত এই উইকেটে আপনাকে কিছু সময় ব্যয় করতে হতো। এমন নয়, আপনি হেইডেন বা গিলক্রিস্ট, যিনি শর্ট বলের পুল শট খেলতে পারেন, আপনি কেবল বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড়। আপনি নিজের মান অনুযায়ী খেলুন। যখন আপনি হুক বা পুল খেলতে পারবেন না, তখন আপনি যে শটগুলো জানেন কেবল সেগুলোই খেলুন।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডের পরতি ফর্মের দিকে ইঙ্গিত করে শেবাগ বলেন, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত। এ সময় তিনি চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪ বলে ৪ রানের ইনিংসেও সমালোচনা করেন।

শেবাগ বলেন, আমি অনুভব করেছি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের সময় অনেক আগে শেষ হয়েছিল, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। সে অধিনায়ক এবং দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড়। তার পরেও যদি আপনার স্কোর এরকম হয়, তাহলে আপনাকে লজ্জা পাওয়া উচিত। এমনকি তারও উপলব্ধি করা উচিত, সে আর টি-টোয়েন্টির জন্য যোগ্য নয় এবং তার অবসর ঘোষণা করা উচিত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে টাইগারা।

বিশ্বকাপে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার পর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ দল।


আরও খবর