আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ত্বক রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? হতে পারে কিডনির সমস্যা!

প্রকাশিত:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের নানা লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায় শরীরে কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে কিনা। ঠিক তেমনই, কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে তার লক্ষণও ফুটে ওঠে ত্বকে। কিডনির কাজ হল রক্ত থেকে সমস্ত টক্সিন এবং বর্জ্য অপসারণ করা। দেহের বর্জ্য পদার্থ পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি, শরীরে খনিজ লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে কিডনি। কিন্তু অনেক সময় কিডনি রোগের উপসর্গগুলো এতটাই মৃদু হয় যে, অসুখ গভীর না হলে বুঝে ওঠা যায় না। তবে কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে ত্বকেও। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকের কোন কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন আপনি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত...

ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাওয়া: শুষ্ক, রুক্ষ ত্বক কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কারণ কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করার ফলে ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে টক্সিন জমে থেকে ত্বক শুকিয়ে যায়।

পিগমেন্টেশন: ত্বকের অতিরিক্ত দাগছোপ বা পিগমেন্টেশন কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্ত ​​পরিষ্কার হয় না। যে কারণে ত্বকে দাগছোপ বা পিগমেন্টেশন এবং হলদেটে ছোপও দেখা দেয়।

ক্রমাগত চুলকানি: কিডনির সমস্যা থাকলে ত্বকে র‌্যাশ, লালচেভাব এবং চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে। রাতের বেলা চুলকানির সমস্যা আরও বাড়ে। ফলে ত্বকে আঁচড়ের দাগ পড়ে যায়।

ত্বকের রঙের পরিবর্তন: সঠিক ভাবে রক্ত পরিশ্রুত না হওয়ার কারণে ত্বকে টক্সিন জমা হয় এবং ত্বকের রঙের পরিবর্তন হয়। ত্বকের রঙ ধূসর অথবা হলদেটে হতে পারে, আবার অনেক সময় ত্বকে কালো বা সাদা দাগছোপও পড়তে পারে।

নিউজ ট্যাগ: কিডনি

আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্র হত্যার বিচার চেয়ে রাস্তায় এলাকাবাসী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ছেলে নিবির হত্যার বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন মা-বাবা ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৮ জুন) ঠাকুরগাঁও সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)'র সামনে মানববন্ধ করে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন তাঁরা। মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে নিহত নিবির (১২) মা শিল্পী খাতুন, বাবা ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলু, পৌরসভার সংরক্ষিত ১-৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজিরা আক্তার স্বপ্নাসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে নিহত নিবিরের মা বলেন, সাজ্জাত আমার ছেলেকে হত্যা করে প্রকশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাহিম ও সাজ্জাত আমার ছেলেকে কু-প্রস্তাব দিছিলো। এতে সে রাজী না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে রেখে হত্যা করেছে। পুলিশ সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি করেন করেন তিনি।

নিবিরের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে বলৎকার করা হয়েছে। এসিড নিক্ষেপ করে দুই চোখ ও হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সাজ্জাত ও মাহিম যে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাঁর সকল প্রমাণাদি পুলিশের কাছে আছে।পুলিশ মাহিমকে ধরলেও সাজ্জাতকে ধরছে না।

কারণ সাজ্জাত শহরের সিয়াম ফ্যাশন এর মালিকের ছেলে। তাঁরা প্রভাবশালী। এমন একটা অবস্থায় দাড়িয়েছে পুলিশ সাজ্জাতকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করতে পারছে না। এই হত্যা ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা খুবই নীরব। মাহিমকে জেলে আটকে রেখে পুলিশ একটা সাজানো নাটক তৈরি করে বলছে মার্বেল খেলেকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড। আসলে নিবির কোন দিন মার্বেল খেলতো না।

তিনি আরো বলেন, আমি ওমান দেশে থাকায় পুলিশ প্রশাসন আমার পরিবারকে যে নির্যাতন করে তা বলা অসম্ভব। যেদিন ছেলের লাশ উদ্ধার হয় সে রাতে আমার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ। এবং তাঁরা আমার স্ত্রীকে পরকিয়ার বদনাম দিচ্ছে।

পুলিশের মুখে এমন একথা শুনে আমার স্ত্রী আত্নহত্যা করতে গেছিলো। আমি থানায় গেলে থানার তদন্ত অফিসার জিয়ারুল ইসলাম আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ ও অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলেন। পুলিশ আমার আত্মীয়স্বজনদের বলে বেড়াচ্ছে এটা পরকিয়া মামলা। আদালতের লোকজনও বলছে পুলিশ বলছে আপনার স্ত্রী নাকি পরকিয়া করে। আর তদন্ত অফিসার জিয়ারুল ইসলাম আমায় বলছে আপনার স্ত্রী পরকিয়া করে কিনা সেটা খেয়াল করেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এর আগে গত ১৭ মে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিবির হত্যার সঙ্গে জড়িত কিশোর মাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান।

এসপি সেদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্বেল খেলাকে কেন্দ্র করেই স্কুলছাত্র নিবিরকে হত্যা করে একই এলাকার মো: মানিক এর ছেলে মাহিম। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এ হত্যাকান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত নাই।

তবে পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতের বাবা ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলু বলেছিলেন ছেলে নিবির কখনই মার্বেল খেলতো না। সে ফুটবল খেলতো। আর ছেলেকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশে একাই ফেলে যাবে যা সন্দিহান। এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে। সঠিক তদন্তের দাবিও করেন তিনি।

এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল সকালে শহরের মাদরাসা পাড়ায় বাড়ির পাশের গলি থেকে শিশু নিবিরের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ। নিবির সালান্দর কৃস্টপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছিলো পুলিশ।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



মাছ ধরতে টোপ দিতে হয়, কালো টাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গে আ.লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাছ ধরতে আধার (টোপ) দিতে হয়। এটা সেরকম একটা ব্যবস্থা। এতে অন্তত টাকাটা উদ্ধার করা যাবে।

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন এসেছে কালো টাকা নিয়ে। অনেকে বলেন, তাহলে আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। এটা শুধু কালো টাকা নয়, জিনিসের দাম বেড়েছে। এখন সরকারি দামে কেউ জমি বিক্রি করেন না, বেশি দামে করেন। বাড়তি টাকা গুঁজে রাখেন। গুঁজে যাতে না রাখেন, সামান্য কিছু একটা দিয়ে টাকাটা পথে আসুক, জায়গা মতো আসুক। তারপর তো ট্যাক্স দেবেই। আমি ঠাট্টা করে বলি, মাছ ধরতে তো আধার দিতে হয়। সে রকম একটা ব্যবস্থা এটা। অন্তত টাকাটা উদ্ধার হোক। এটা তত্ত্ববধায়ক সরকার শুরু করেছে।

এ ছাড়া বাজেট ঘাটতি নিয়ে অনেকে কথা বলেন। সব সময় আমরা বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশ রাখি। সব দেশেই রাখে, উন্নত দেশেও রাখে। আমেরিকায় খোঁজ নেন কত রাখে?, যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা গ্রুপ আছে, যাদের কিছুই ভালো লাগে না। তারা ভালো না লাগা নিয়েই থাকুক। ওগুলোতে কান দেয়ার দরকার নেই। যখন অস্বাভাবিক সরকার আসে, তখন তারা খুব খুশি হন। আর জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাদের নাকি কিছুই হয় না। মূল্যায়ন হয় না। এখন মূল্যায়নটা করব কীভাবে? তাহলে একটা দাঁড়িপাল্লায় উঠিয়ে ঠিক করে মাপব নাকি? মূল্যায়ন তো দেখেছি সেই তত্ত্ববধায়ক আমলে, কীভাবে তেল মারে! ওই তেল মারা গোষ্ঠী আমাদের দরকার নেই। আমাদের শক্তি জনগণ। জনগণ আমাদের ভোট দেয়, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেভাবেই কাজ করি, যাতে জনগণের কষ্ট না হয়। আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি জনগণ। অনেক জায়গায় অনেকে খেলতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জনগণই আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস করেছেন। তাদের ভোটেই আমরা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় থাকতে পেরেছি।


আরও খবর



১৫ মামলায় পি কে হালদারের দুই সহযোগীর আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী ১৫ মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার তারা ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ জামিন আবেদন দাখিল করেছেন।

শুনানি দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন সার্বিক) আমিনুল ইসলাম।

মামলা থেকে জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২১ সালে বেশকিছু মামলা করে। এর মধ্যে গত ৯ মে হাইকোর্ট থেকে ১৫টি মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী। পরে দুদকের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচাপতি গত ১৩ মে জামিন আদেশ স্থগিত করেন। এরপর গত ২৩ মে আপীল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ ৪ জুনের মধ্যে বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জীকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

জানা যায়, ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন আর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি ও তার স্ত্রী পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যতম আসামি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার।

মামলাগুলোতে প্রায় সাড়ে ৭শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে পিকে হালদার গ্রেপ্তার হয়ে ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন। পি কে হালদারকে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে তার সহযোগী ও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ সহযোগীকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: আরও দুজনের নাম পেয়েছে ডিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় আরও দুজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন— তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি এবং মো. জামাল হোসেন। গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বাড়িই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। আনোয়ারুল খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের বাড়িও একই এলাকায়। তাজ ও জামাল দুজনেই আক্তারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন এবং ওই দুজনসহ পলাতক সাতজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) প্রধানকে এ নির্দেশ দেন।

এমপি আনার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

যে ১০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন—শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা তাকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ–পলিতে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশপাশের বর্জ্য খালে ফেলে দেয়।

আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে, কীভাবে অপহরণ করবে ও টাকাপয়সা আদায় করবে এবং টাকাপয়সা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা ও লাশ গুম করবে। এ ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে তিন আসামি।

মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টি অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলোর তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: চোরাচালানের পর মিলছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িত গডফাদার, প্রভাবশালী, এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও কিছু সংখ্যক বড় বড় ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসছে। এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনও তার পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জড়িত খুনিদের রক্ষা করতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে বলে তথ্য পেয়েছেন। এই তথ্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসায়ী এবং মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণকে এমপি আনার হত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত খুনি ও রাজনৈতিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একের পর এক নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকার একাধিক নেতা ও এমপি আনারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম মিন্টুর নির্বাচনি আসন হরিনাকুন্ড উপজেলা। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন একজন ক্ষমতাধর বড় ব্যবসায়ী। এই আসনে মিন্টুর পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর নির্বাচন করলেও তার জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোটকথা এলাকাবাসির তথ্য অনুযায়ী, মিন্টুর এই আসন হাতছাড়া। তাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ঝিনাইদহ-৪ আসনে নির্বাচন করা। এ নিয়ে তিনি সামনের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্ষমতাসীন একাধিক এমপি ও দলীয় নেতাকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা প্রদান করে আসছেন। ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও এমপি আনার ও মিন্টুর মধ্যে বিরোধ ছিল। এমপি আনার বেঁচে থাকলে মিন্টুর এমপি হওয়া কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। মিন্টু এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে এলাকার একাধিক নেতা জানিয়েছেন। কালীগঞ্জ এলাকার এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত সিবিআই নেতাসহ একাধিক ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেন্সে গত ১৩ মে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ঐ সকল জড়িত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রভাবশালী এমপি ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাসেই তারা এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বুধবার (১২ জুন) এমপি আনারের কন্যা ডরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এ সময় তার পিতা এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের রক্ষায় তাদের পৃষ্ঠপোষক প্রভাবশালীদের তৎপরতা এবং তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাসহ বিস্তারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি কন্যা ডরিনকে আশ্বাস দেন যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপরাধীকে তিল পরিমাণ ছাড় দেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমপি আনার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, তার পিতার হত্যাকারীদের বাঁচাতে কিংবা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিতে বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসছে। এমন তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। এজন্য তার সন্দেহ যে পিতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ফলাফল আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা ও মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এমনকি অনেকে নিখোঁজও হয়েছেন। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের কোনোটিরই বিচার হয়নি। এমনকি নিখোঁজ কাউকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল কালীগঞ্জ এলাকায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ও কাজী কামালসহ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান যে, এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন আগের সব খুনের ঘটনার মতো ধামাচাপা না পড়ে।


আরও খবর