আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৪৬ আসনে প্রার্থী পরিবারের সদস্যরা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দলের প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭টি পরিবারের সদস্যরা অন্তত ৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোনো পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, বাবা-ছেলে, শ্বশুর-জামাতা, ভাই বা নিকটাত্মীয়রা প্রার্থী হয়েছেন। আর ১১টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সন্তানেরা প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন।

সব মিলে বর্তমানে এসব পরিবারে ২৩ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। জাতীয় পার্টিসহ আরও দুটি দলের নেতাদের পরিবারের সদস্যরা আটটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরিবারতন্ত্র ক্রমে তৃণমূলেও বড় আকার নিয়েছে। দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র না থাকা, ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি ও আস্থাহীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্রই রাজনীতিতে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ দেখা যায়। শুধু ক্ষমতাসীন দল নয়, বিরোধীদের ক্ষেত্রেও পরিবারের মধ্যেই রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। এই পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে গণতন্ত্রে অবাধ প্রতিযোগিতার যে বিষয়, তা বাংলাদেশে অনুপস্থিত।

পরিবারের সদস্যরা ভোটে

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন) মাদারীপুর-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাঁর ভাই মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফরিদপুর-৪ আসনে। তাঁদের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির প্রধান (মন্ত্রী পদমর্যাদার)। তিনি চারবারের সংসদ সদস্য। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে প্রার্থিতার বিষয়টি আগামী ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।

দুই ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট-১ এবং শেখ সালাহউদ্দিন (জুয়েল) খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। শেখ হেলালের ছেলে শেখ সারহান নাসের (তন্ময়) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বাগেরহাট-২ আসনে। তিনি এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির। তিনি মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের জামাতা।

বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরাকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমুর খালাতো বোন। দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এবারও ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১ আসনে এবারও দলের প্রার্থী। যশোর-২ আসনে এবার তাঁর জামাতা মো. তৌহিদুজ্জামান দলের প্রার্থী। তিনি পেশায় চিকিৎসক। ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম তোফায়েল আহমেদের আপন বড় ভাই আলী আশরাফের সন্তান।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দা জাকিয়া নূর। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। সাফায়েতুল ও জাকিয়া বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুই সন্তান। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাঁদের বড় ভাই। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এবার মূলত ভাইবোনের লড়াই হবে।

নারায়ণগঞ্জেও দুই ভাই দুই দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এক ভাই সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। তিনি বর্তমানে ওই আসনে সংসদ সদস্য। তাঁর আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। আরেক ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

বাবার আসনে সন্তানেরা

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন বর্তমানে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য। এবার বয়সের কারণে সরাসরি ভোটে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। এই আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাঁর ছেলে মাহাবুব উর রহমান। তিনি দেশে চলচ্চিত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রবীণ নেতা ও দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের রংপুর-৫ আসনে এবার দলের প্রার্থী তাঁর ছেলে রাশেক রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য। তিনি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য।

সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে। তিনি বর্তমানে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।

ঢাকা-৭ আসনে হাজি মোহাম্মদ সেলিমের বড় ছেলে সুলাইমান সেলিম এবার নৌকার প্রার্থী। পারিবারিক ব্যবসার পাশাপাশি বাবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যুক্ত ছিলেন তিনি।

ফরিদপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা কমিটির সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে। তিনি গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই আসনের উপনির্বাচনেও দলের প্রার্থী ছিলেন।

ময়মনসিংহ সদর আসনে এবার নৌকার প্রার্থী মোহিত উর রহমান (শান্ত)। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিতের বাবা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। হবিগঞ্জ-২ আসনে নতুন মুখ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফ। তাঁর বাবা প্রয়াত মো. শরীফ উদ্দিন ছিলেন এখানকার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনটি বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুলের চাচাতো ভাই আলী আসলাম। আলী আসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুন্নাহার বেগম। তিনি মাজহারুল ও আলী আসলামের ফুফাতো বোন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় ক্ষমতার জোরে পরিবারের সদস্যদের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ব্যবসায়ী-আমলারা ক্ষমতার সঙ্গে আছেন, তাই তাঁরাও প্রার্থী হতে পারছেন। পরপর কয়েকটি নির্বাচন ভালো হলে এবং দলগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা হলে এমন ধারা বন্ধ হয়ে যেত।

জাপায় স্বামী-স্ত্রী দুই আসনে

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুর-৩ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য শেরীফা কাদের ঢাকা-১৮ আসনে জাপার প্রার্থী। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে জাপার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার (আসিফ) জি এম কাদেরের ভাতিজা। নীলফামারী-৪ আসনে দলের প্রার্থী জেলা জাপার সভাপতি আদেলুর রহমান জি এম কাদেরের বোনের ছেলে।

জাপার কো-চেয়ারম্যান ও দলের সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসনে এবং তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান (রত্না) বরিশাল-৬ আসনে দলের প্রার্থী। যে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগ জাপাকে ছাড় দিয়েছে, তার মধ্যে এই দুটি আসনও রয়েছে।

টাঙ্গাইলে এবারও তিন ভাই প্রার্থী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও কাদের সিদ্দিকীর ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁদের আরেক ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

চাচা-ভাতিজা, স্বামী-স্ত্রী একই আসনে

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের শরিক জোট থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবার জোটের সমর্থন না পেয়ে তিনি নিজ দল থেকে লড়ছেন। চাচার পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ভাতিজা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। সাইফুদ্দীন নতুন নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সভাপতি।

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবীর ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা আখতার। কক্সবাজার ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন আবদুর রহমান বদি। পরে সাজার বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সেটি এখন বিচারাধীন।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশে নির্বাচন যেন একটি জমিদারি ব্যবস্থা হয়ে গেছে। বাবা, বাবার পরে ছেলে-মেয়ে, না হলে ছেলের বউ-এভাবে চলছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তথ্য পেলেই অভিযান: র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এর আগে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



দু’মাসের মধ্যে ঢাকা-যশোর রেললাইন উদ্বোধন হবে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে নবনির্মিত ঢাকা-যশোর রেললাইন উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে সস্তা পরিবহণ ব্যবস্থা হলো রেল। এটি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দে্য়ারর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে খুলনা হয়ে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত নতুন ট্রেনলাইন চালু হচ্ছে আগামী দুই মাসের মধ্যে।

তিনি বলেন, এই দুটো লাইন চালু হয়ে গেলে ভাঙ্গা, শিবচর- এসব অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া আমরা ডিভিশনগুলো একপেশে করতে চাই না। সমন্বিতভাবে, সব অঞ্চলের লোকজন যাতে পায় সেভাবে আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি।


আরও খবর



লিচুতে অনেক উপকার, তবে যে কারণে আছে ক্ষতির ঝুকি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাজারে এখন ফলের সমাহার। হরেক রকম দেশি ফলের ঘ্রাণে সুরভিত আশপাশ। পাকা আমের সঙ্গে রসালো টসটসে লিচু আমাদেরকে আকৃষ্ট করে। এসব দেশি ফল যেমন মুখরোচক সঙ্গে রয়েছে নানা গুণে সমৃদ্ধ। লিচু আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নয়।

লিচুতে যত উপকার

লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, নানা খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। রয়েছে এনটিঅক্সিডেনট যা আমাদের ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে।

লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি আমাদের রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করে। তাই লিচু সেবনের একটি উপকার হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা।

ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস থেকে আমরা রক্ষা পাই।

মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে

১) রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়। লিচু আমাদের রক্তের গ্লুকোজ কমাতে সহায়তা করে। তাই পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া করতে পারে বিশেষত ইফতারের সময় এমনটি করলে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, যারা ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা লিচু গ্রহণে সাবধান থাকা উচিত। কারণ ওষুধ এমনিতেই রক্তে গ্লুকোজ কমিয়ে রাখে সঙ্গে লিচুও যদি একই কাজ করে তাহলে যেকোনো বিপত্তি ঘটতে পারে। ছোট বাচ্চারা লিচু গ্রহণ করলে কোনও অবস্থাতেই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে এতে।

২) রক্তচাপ পড়ে যাওয়া- মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। লক্ষণ হিসাবে শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, মাতাহ ঘুরানো, বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।

৩) লিচু একটি গরম ফল- গরম ফল হওয়াতে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার ব্যালেন্স নষ্ট হয় ফলে গলা ব্যাথা হওয়া, মুখের ভিতরে ক্ষত হওয়া এমন কি নাক দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে বিশেষ করে আমাদের দেশের বর্তমান আবহাওয়ার কারণে।

৪) লিচু খেলে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে- লিচু একটানা বেশ কয়েকদিন পরিমানের বেশি লিচু খেলে নানা রোগ যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, লুপাস ইত্যাদি রোগ থাকলে তা বেড়ে যেতে পারে অতিমাত্রায় আমাদের ইমিউনিটি বেড়ে যাওয়ার ফলে।

৫) সার্জারির রোগীদের অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ঝুঁকি: রক্তচাপ এবং রক্তের গ্লুকোজের ওপর সরাসরি প্রভাব থাকাতে যাদের সার্জারির প্রয়োজন তারা সার্জারির পূর্বের দুই সপ্তাহ এবং পরের দুই সপ্তাহ লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬) লিচু ওজন বৃদ্ধি করে- প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালোরি রয়েছে। পরিমাণে বেশি লিচু খেলে তাই যে পরিমাণ ক্যালোরি জমা হয় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তাতে আমাদের ওজন বেশ ভালোভাবেই বৃদ্ধি পায়।

৭) অন্যন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি- লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে।


আরও খবর



ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার (১৫ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, বুধবার ইসলামাবাদে ইমরান খান জমি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে অন্য দুই মামলায় জামিন না মেলায় তাকে এখনো কারাগারে থাকতে হবে। জেল থেকে বের হতে পারবেন না তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জমি উপহার নেন। তবে ইমরান খানের দাবি, তিনি কোনো ভুল করেননি। এজন্য তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আরও দুই মামলায় জামিন না মেলায় ইমরান খানকে কারাগারে থাকতে হবে। এর একটি হলো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস এবং অন্যটি হলো ইসলামী আইন লংঘন করে বিয়ে করা।

গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে দুই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন। ২০১৮ সালে বেআইনিভাবে ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ এনে কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে।


আরও খবর