আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আন্তঃদেশীয় মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ শুক্রবার থেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা এবং শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার সময় ঢাকা ও খুলনা থেকে ভারতের কলকাতাগামী এই ট্রেন দুটি বন্ধ থাকবে।

সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২২ জুন (৯ দিন) এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২০ জুন (৫ দিন) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে গত ১২ জুন থেকে ৯ দিনের জন্য চলাচল বন্ধ হয়েছে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেসের।

আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস বা বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। ১৪ জুন রাত ১২টার পর থেকে ঈদের পরের দিন সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।


আরও খবর



দেশে ফিরলেন ১৯ হাজার ৪৩৯ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৪৮

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছেন ১৯ হাজার ৪৩৯ হাজি। হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫১টি ফ্লাইটে সৌদি থেকে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৩টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ এবং মহিলা ১২ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৩৭, মদিনায় ৪, মিনায় ৬ এবং জেদ্দায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।

উল্লেখ্য, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বমোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যান হজ করতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। আর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ২১৮টি ফ্লাইটে সৌদি আরব পৌঁছেছিলেন তারা।

হজ পালনের উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ৯ মে এবং সর্বশেষ ফ্লাইট ছিল ১২ জুন। এরপর ২০ জুন থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে হজের ফিরতি ফ্লাইট দেশে আসা শুরু করে। আগামী ২২ জুলাই হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি দেশে আসবে।


আরও খবর



কেরু থেকে মদ তৈরির ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েব, গোডাউন সিলগালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্ট্রিলারি বিভাগের ১৩ হাজার লিটার ডিনেচার স্পিরিট (মদ তৈরির কাঁচামাল) গায়েবের ঘটনায় গোডাউন সিলগালা করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিনা আক্তার গোডাউনটি সিলগালা করেন।

এছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এর আগে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনের গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৩৫ হাজার ৫০০ বা ১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭০০ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৪ হাজার ৮০০ বা ৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭০০ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি গভীরতার স্পিরিট কম। রেকর্ড অনুযায়ী ও সরেজমিনে মালামালের পরিমাণ গরমিল হওয়ার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

দর্শনা ডিস্টিলারি বিভাগের পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় গরমিল হওয়ার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না মর্মে গত ২ মে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকে লিখিতভাবে জানান। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হয় ও ডি‌নেচার স্পিরিট গোডাউন সিলগালা করা হয়। বর্তমানে গোডাউনটি সিলগালা অবস্থায় আছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে উচ্চশিক্ষিত নারীর ১৪ গরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কোরবানির বাজার বিবিরহাটে রাখা হয়েছে উচ্চ শিক্ষিত নারীর ১৪ গরু। মানুষের ভিড়ের মধ্য নজর কাড়ছে তার গরুগুলো।

সালমা খাতুন নিজের পালিত ১৪টি গরু নিয়ে এসেছেন চট্টগ্রামের গরুর বাজারে। নারী হলেও গরু পালনে এগিয়ে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কলসি গ্রামে। দেখে মনে হচ্ছে না সে স্বাভাবিক কোনো খামারি। দেশের সাধারণত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। তিনি পরম মমতায় গরুগুলোকে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন এবং ক্রেতাদের সাথে গরু নিয়ে দরদাম করছেন। বাজারে পুরুষ বিক্রেতার মধ্যে তিনি একমাত্র নারী বিক্রেতা। সালমা খাতুন জানালেন তার সংগ্রামী জীবনের কথা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী থেকে মাস্টার্স শেষ করা সালমা খাতুন বলেন, ‌আমি চাকরি করতাম। করোনার সময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে আমের ব্যবসা করি। ২০১৯ সালে শখের বসে গরু পালন করছি। এরপর  সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসাকে বড় করেন। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইচ্ছাশক্তির কারণে পরর ইউসিবি ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।   নিজের পালিত গরু বিক্রি করতে চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে এসেছেন। গত ২০২২ সালে এই বাজারে এসেছিলাম, তখনও সব বিক্রি করে গেছিলাম। এবারের কোরবানির বাজারে তিনি ১৪টি গরু এনেছেন।

তিনি বলেন, আমার এখানে ১ লাখ ১২ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দামের গরু আছে। আমরা বাজারে গরুগুলো এনেছি গত বৃহস্পতিবার। সবকিছু বিক্রি হয়ে যেতে পারবো আশা করছি।

 এসময় ক্রেতারা জানান, 'নারী হলেও গরুর খামার করা সাহসী ব্যাপার। তিনি অনেক দূর থেকে এসেছেন। তার সাহস আছে। ওনার দেখাই অনেক নারীও এই পেশায় আসবে। একজন খামারি হিসেবে তিনি সফল হবেন।'

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, প্রকৌশলীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকার ১১টি স্থানে ৩৩ হাজার কেভি লাইনের ওপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। ফলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ও পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক বিপাকে পড়েন। চারদিন থেকে বিদ্যুৎবঞ্চিত ছিলেন তারা।

এরপর বুধবার (২৯ মে) সকালে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলমসহ (৭০) ওই এলাকার দুই শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ পাননি। এ কারণে ঝালকাঠি ওজোপাডিকো অফিসে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম।

এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম দায়িত্বরত ওজোপাডিকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুস সালামকে বলেন, আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে রিজাইন দিয়ে চলে যাবেন।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান, রেমালের চার দিন পার হলেও এখনও কেন তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি?

প্রকৌশলীকে বলেন, আপনার দায়িত্ব কী ঘুস খাওয়া? ঘুষ খাওয়ার জন্য কী দেশ স্বাধীন করেছি? বলার পর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে প্রকৌশলীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অফিস থেকে চলে যান মুক্তিযোদ্ধা।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম বলেন, গত রোববার থেকে একটানা চার দিন অতিবাহিত হলেও আমি বিদ্যুৎ পাইনি। বুধবার রাতে শহরের কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ পেয়েছে, তাহলে আমি কেন পেলাম না। আমি বৃদ্ধ মানুষ, এই গরমে কি বিদ্যুৎ ছাড়া থাকা যায়। তারপর আবার পানির সংকট। কেননা বিদ্যুৎ না থাকলে পানি আসবে কেমনে। পানির জন্য তীব্র গরমে গোসল, খাবার পানি, বাথরুমের পরিচ্ছন্নতার কাজে অনেক কষ্ট করতে হয়।’

এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম বলেন, ঝড়ে ঝালকাঠি শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে গেছে। যার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের লোকসহ স্থানীয় শ্রমিক ভাড়ায় এনে কাজ করাচ্ছি, তারপরও সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন যাদের বিদ্যুৎ লাইন সচল করে দিতে পারব তারা ভালো বলবে, ধন্যবাদ জানাবে। আর যাদের দিতে পারব না তারা খারাপ বলবে। যেহেতু এই ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি সেহেতু এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। দুই-তিন দিনের মধ্যে শহরের সব স্থানেই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হবে।’

জেলার ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মেরামতের জন্য দিন-রাত বিদ্যুৎ অফিসের লোকসহ ভাড়ায় লোক দিয়েও কাজ করানো হচ্ছে। এত পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে যা খুব দ্রুত সম্পূর্ণ করা সম্ভব না, সময় লাগবে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি জেলার সব স্থানে বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে পারব।’


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই ‘তাপপ্রবাহের’ সতর্কতা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকার তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি নিঃসন্দেহে উষ্ণ আবহাওয়া হলেও গত এপ্রিল-মে মাসের তাপপ্রবাহের তুলনায় যেন কিছুই না। ওই সময় দেশের বিভিন্ন অংশ নিয়মিত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। খোদ রাজধানীতেও ৩৭-৩৮ ডিগ্রি ছিল রোজকার তাপমাত্রা।

সেই অভাবনীয় তাপ সহ্য করা মানুষদের সামনে যদি বলা হয়, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে ভয়ানক গরম, তাহলে হাসি তো আসতেই পারে! কারণ এ দেশে অনেকের এয়ারকন্ডিশনের (এসি) তাপমাত্রাই থাকে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ, যুক্তরাজ্যে তার থেকে মাত্র এক ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রাকে বলা হচ্ছে ভয়ংকর তাপপ্রবাহ!

গত সপ্তাহে আবহাওয়া সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের শিরোনাম ছিল, ইউকে ওয়েদার: ফোরটি এইট আওয়ার টোয়েন্টি সিক্স ডিগ্রি সেলসিয়াস হিটওয়েভ টু হিট অ্যান্ড ফাইভ ইংলিশ সিটিস উইল বি দ্য হটেস্ট। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহ আঘাত হানবে এবং ইংল্যান্ডের পাঁচটি শহর থাকবে সবচেয়ে উষ্ণ।

খবরে বলা হয়, জুন মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে একটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ওই সময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকেই, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষজন। সেখানে উঠে এসেছে মজার মজার সব মন্তব্য।

একজন লিখেছেন, ভারতে এটি (২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এসির তাপমাত্রা। আরেকজন বলেছেন, আমার এসির তাপমাত্রা এখন যুক্তরাজ্যের তাপপ্রবাহের স্তরে রয়েছে। তৃতীয় এক ব্যক্তি লিখেছেন, কারও তাপপ্রবাহ, কারও ঘরের তাপমাত্রা।

দুই অঞ্চলের আবহাওয়ার এমন পার্থক্যের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন কেউ কেউ। যুক্তরাজ্যের শীতপ্রধান আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, সেখানে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আরামদায়ক উষ্ণতা অনুভূত হবে, কিন্তু ভারতে প্রচণ্ড ঠান্ডা মনে হতে পারে। একইভাবে, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ভারতে যেমন আনন্দদায়ক, তা যুক্তরাজ্যে একেবারেই অসহনীয়।


আরও খবর