আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বাজেট ২০২৪-২৫: রাজস্ব আদায়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কয়েক বছর ধরেই কমেছে অর্থের যোগান। তাই ব্যহত হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম। পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াও ঋণ পরিশোধসহ নানামুখী চাপে সরকার। টানাপোড়েনের এই সময়ে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি করা ছাড়া বিকল্প নেই। তাই বাজেটে আবারও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করছে সরকার। নতুন বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘাড়েই চাপছে সিংহভাগ দায়িত্ব।

এদিকে, সার্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় কমেছে উৎপাদন। স্বাভাবিকভাবেই কমেছে অভ্যন্তরীণ আয়। তাই চলতি অর্থবছরের বাজেটেও ধরা হয় বড় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য। তবে, দশ মাসের হিসাব বলছে, ঘাটতি ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় আগামী বাজেটে কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে দরকার ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। প্রশ্ন হচ্ছে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে করণীয় কী?

এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশাসনকে যদি সমৃদ্ধ করা যায়, তাহলে আইন, নিয়ম-নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তা জোরদার করা যায়। কর আদায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সেক্ষেত্রে কর রাজস্ব জিডিপির ২-৩ শতাংশ বাড়ানো যায়। কর ফাঁকি হচ্ছে কি না তা দেখা দরকার।

নতুন বাজেটে কর বিন্যাস করবে সরকার। বিপুল সংখ্যাক পণ্যে বসবে শুল্ক। এমপিদের গাড়ী আমদানিতে শুল্কারোপের চিন্তা আছে। একই সঙ্গে আবগারি শুল্কেও আসছে পরিবর্তন। মূলত রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করাই উদ্দেশ্য।

অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খালি লক্ষ্য দিলে হবে না। লক্ষ্যের সাথে কেন-কীভাবে বাড়বে, কোন কোন জায়গায় হস্তক্ষেপ করা হবে, অটোমেশনটা কীভাবে হবে। আমরা সবসময় বলি, রাজস্ব বিভাগ এবং কর প্রশাসন ও কর নীতি আলাদা করতে হবে। এটা দরকার আছে। কিন্তু এনবিআর এটি জীবনেও করবে না। সরকার থেকে তাদের চাপ দিতে হবে।

সরকারও মনে করে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প নেই। কারণ, ঋণ করলে বাড়ছে দায়, অন্যদিকে কাঙ্খিত মাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে না সহায়তাও।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ৮ শতাংশের কম কর-জিডিপি নিয়ে একটা দেশের অর্থনীতি কি এগিয়ে যেতে পারে? যতটা কর আদায় হয়, তার প্রায় সমপরিমাণ ছাড় আছে কিন্তু, মানে লাখ-কোটি টাকার উপরে। আমরা যদি ছাড় দিতে থাকি তাহলে আমাদের রাজস্ব আয়-জিডিপি বৃদ্ধি কঠিন হয়ে পড়বে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, স্বস্তির জন্য একক নির্ভরতা বাদ দিয়ে করজাল বৃদ্ধি, রাজস্ব আদায়ের নামে হয়রানি বন্ধ এবং কর ফাঁকির প্রবণতা কমানোর বিকল্প নেই।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে এ বছর ৫৫০ হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শুরু হয় হজ। ফলে চলতি মৌসুমে অন্তত ৫৫০ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ৩২৩ জনই মিশরীয়, যাদের অধিকাংশই তাপপ্রবাহজনিত কারণে মারা গেছেন।

এছাড়া জর্ডানের মারা গেছেন ৬০ জন। যদিও এর আগে দেশটির ৪১ নাগরিকের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম এএফপির হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫০ ছাড়িয়েছে।

গত বছর হজ মৌসুমে বিভিন্ন দেশের ২৪০ জন মারা যান। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানায়, সোমবার মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এলাকায় তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়।

সৌদি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর ১৮ লাখ মানুষ হজে অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ১৬ লাখই বিদেশি নাগরিক।


আরও খবর



ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের ছেলের মাথা উদ্ধার, দেহ নিখোঁজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সাবেক এক রাষ্ট্রদূতের ছেলের শিরচ্ছেদ করা মাথা উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় দ্রুজে মাঘার শহরে তারা মাথা পাওয়া যায়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার দেহের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম রাবিয়া আরাইদি (৪৩), প্রয়াত নাইম আরাইদির ছেলে, যিনি ২০১২-২০১৪ সালে নরওয়েতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।


আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



বাজেটে কমতে পারে যে সব পণ্যের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার স্লোগানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি হবে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।

আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতির তোয়াক্কা না করে প্রতি বছরই বাড়ছে হুড়হুড় করে বাড়ছে বাজেটের আকার। যার প্রভাব পড়ে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

এবারের বাজেটে যে সকল পণ্যের দাম কমবে বলে জানা যায়, তারমধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা, সব ধরনের ফলসহ ৩০টি পণ্যে করছাড় দেওয়া হচ্ছে।

৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর কর কমানোর পাশাপাশি শিশুখাদ্যেও কমছে করভার। বর্তমানে আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুঁড়া দুধের ওপর করভার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে গুঁড়া দুধের বাল্ক আমদানিকারকদের জন্য মোট করভার ৩৭ শতাংশ।

দেশীয় শিল্পের বিকাশে ২০২৩-২৪ বাজেটে ল্যাপটপ-কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে নতুন ২০২৪-২৫ বাজেটে এ পণ্যটিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

কৃষিজাত পণ্য বিশেষ করে পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মাছের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ককর ও ভ্যাট ছাড় দেওয়া হবে।

সার, বীজ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং আরও কতিপয় শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হতে পারে। তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্রঋণ, রেমিট্যান্স, পোলট্রি ও ফিশারি খাতেও করছাড় কমানো হতে পারে বলেও জানা যায়।


আরও খবর



নীতিশ-নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সদ্যই শেষ হওয়া লোকসভার নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দেশটির নির্বাচন কমিশনে প্রকাশিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মোদির বিজেপি এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ফলে সরকার গঠনে তাকে জোট গড়তে হবে।

আর বিজেপির এই জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কারণে ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) প্রধান নেতা নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের আরেক দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিহারে ১৫টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে নীতিশের দল। সরকার গঠনের জন্য এখন নীতিশকে প্রয়োজন হবে মোদির। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মোদির সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের প্রধান নিজে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মূলত তাদের সঙ্গে যোগ দিতে এই দুজনকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তবে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে তাদের আপাতত অবস্থান পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে মোদির সরকার গঠন নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো শঙ্কা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৩৪টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ঘোষিত ৩৩৪টি আসনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পেয়েছে ৬৬টি আসন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী দল। আর বাকি আসনগুলো পেয়েছে অন্যান্য দলগুলো।

ভারতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে। তবে মোদির বিজেপি এককভাবে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফলে তাদের এখন সরকার গঠন করতে হবে এনডিএ জোটে থাকা অন্যান্য দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে। গত নির্বাচনেও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু সেবার বিজেপি একাই ৩০২টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ফলে তারা চাইলে জোট ছাড়াই সরকার গঠন করতে পারত। কিন্তু এবার তাদের আর সেই সুযোগ নেই।


আরও খবর