আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ব্রেস্ট ফিডিং করানোর সময় মায়েরা যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

নতুন একটি শিশুর সঙ্গে জন্ম হয় একজন নতুন মায়েরও। হঠাৎ এত বড় একটি দায়িত্ব পেয়ে মায়েরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে যান। কী করতে হবে, কী করা যাবে না সবকিছু বুঝে উঠতে পারেন না। নবজাতকের খাবারের একমাত্র মাধ্যম হলো মায়ের বুকের দুধ। তাই এদিকটাতে খেয়াল রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি। একজন নতুন মা যখন তার নবজাতককে ব্রেস্ট ফিডিং করাবেন তখন এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

শিশুকে মায়ের পাশেই রাখুন: জন্মের পরই শিশুকে মায়ের পাশে শুইয়ে দিন। সন্তানের স্পর্শে, গন্ধে দ্রুত বুকে দুধ আসবে। এতে মা ও সন্তানের মধ্যে বোঝাপড়ার সূত্রপাত হবে সহজেই।

নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: প্রথম দিকে যদি মায়ের বসতে অসুবিধা হয় তবে শুয়েই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। নিজে না পারলে এ বিষয়ে ভালো বোঝেন এমন কারও সাহায্য নিন। এই সময়ে মায়ের বুকে কলোষ্ট্রাম নামের আঠালো দুধ আসে। সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এর কোনো বিকল্প হয় না। তবে এই দুধের পরিমাণ থাকে খুব কম। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এসময় নবজাতকের চাহিদা খুব বেশি থাকে না।

বসে খাওয়ান: শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বসে খাওয়ান। সেইসঙ্গে শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। পাশাপাশি কোমর ও পিঠের কাছে বালিশ বা কুশনের দিয়ে রাখুন। এতে ভবিষ্যতে পিঠ ও কোমরের ব্যাথায় কষ্ট পেতে হবে না। মায়ের যে হাতে বাচ্চার কাঁধ ও মাথা থাকবে, সেই হাতের নিচেও বালিশ দিয়ে রাখুন। এতে কষ্ট কম হবে।

খেয়াল রাখুন: দুধ খাওয়ানোর সময় প্রথমে শিশুকে বুকের কাছে তুলে নেবেন। লক্ষ্য করুন শিশুর মাথা, কাঁধ ও শরীর যেন একই সরল রেখায় থাকে। নয়তো শিশু ব্যথা পেতে পারে। শিশুর নাক ও ওপরের ঠোঁট স্তনবৃন্তের ঠিক উল্টো দিকে যেন থাকে সেদিকটায়ও খেয়াল রাখুন।

ব্যথা অনুভব করলে: শিশুকে বুকের কাছে টেনে নিয়ে খাওয়ান। এটি তার জন্য সহজ হবে, আপনিও সহজে নড়াচড়া করতে পারবেন। শিশুকে খাওয়ানোর সময় যদি স্তনবৃন্তে ব্যথা অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে। শিশু যদি ঠিকভাবে দুধ পান করতে না পারে তবে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিয়ে তাকে খাওয়াতে পারেন। এরপরও কোনো সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নিউজ ট্যাগ: ব্রেস্ট ফিডিং

আরও খবর



ওয়াদুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা, সালথা উপজেলা নির্বাচনে বাধা নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ২১ জুন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (১৯ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম সুজন ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গত ১৪ মে ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন চেম্বার আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ওয়াদুদ মাতুব্বর বর্তমানে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। নিজ স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করলে সেখানেও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।

পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ওয়াদুদ মাতুব্বর।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থীর মধ্যে ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াদুদ মাতুব্বর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় আগামী ২১ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



গ্রীষ্মে নতুন রুপে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রকৃতি থেকে কিছুদিন আগেই বিদায় নিয়েছে বসন্ত। ‌ঋতুর পালাবদলে আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বাংলা বর্ষপঞ্জির বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে রুক্ষতার ছাপ। তবে গ্রীষ্ম তার নিষ্প্রাণ রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে মেলে ধরেছে অপার সৌন্দর্য।

তেমনই গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়ে সবুজ প্রকৃতি আর লাল ইটপাথরে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস যেন হরেক রকম ফুলের ফসরা সাজিয়ে বসেছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কনকচূড়া, বাগানবিলাস, জবা, বেলী কাঠগোলাপ, মাধবীলতাসহ রঙ-বেরঙের বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ দ্যুতি ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

গাছঠাসা ফোটা এসব ফুলের মিষ্টি সুবাসে পাগল প্রায় পাখি আর প্রজাপতিরা। রাজ্যের সব ফুল যেন এখানেই জড়ো হয়েছে। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। দেখেই মনে হবে, এ যেন এক স্বপ্নের বাগিচা। সেখানে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের ফুল। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাসের এই নির্মল সৌন্দর্য উপভোগ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে, শহীদ মিনার, মুন্নী সরণি, চৌরঙ্গী এলাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনের সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত হচ্ছে ক্যাম্পাস। জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনের পুকুরপাড়, শহীদ মিনার ও মুরাদ চত্বর এলাকা সেজেছে হলুদ কনকচূড়ার।

এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, শান্তিনিকেতন এলাকা ও মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বেগুনি শোভা ছড়াচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক জারুল।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ সালাম-বরকত হলের পাশে, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রর পাশে , বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ও চৌরঙ্গী এলাকায় শোভা ছড়াচ্ছে সাদা ও গোলাপি রঙের মিশ্রণের ফুল ক্যাশিয়া রেনিজেরা ও ক্যাশিয়া জাভানিকা। ক্যাসিয়া রেনিজেরা ফুল লালন করছে অন্য রকম সৌন্দর্য। শ্বেতশুভ্র ভিনদেশি এ প্রজাতির ফুলগাছের আদি নিবাস জাপান। এর স্নিগ্ধ রূপ ও রং বৈচিত্র থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে  সোনালু, জবা, বেলী, মাধবীলতাসহ অসংখ্য ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রঙিন ফুলের সমাহার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। প্রকৃতির রুক্ষতা ও যান্ত্রিকতার রুদ্ধশ্বাস ভুলিয়ে যা আমাদের দেয় অপার স্বস্তি ও অনাবিল শান্তি। প্রকৃতি আমাদের বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের দৃশ্য মানুষকে প্রকৃতির সংরক্ষণ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আনিকা ইনতিসার বলেন, গ্রীষ্মের এই তাপদাহে চোখ মেলে তাকানোই যখনই দুষ্কর, তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন মন জুড়ানো লাল হলুদ সব ফুল দেখে শান্তি পাচ্ছি। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া তাদের লাল কমলা সংমিশ্রণ সবুজের মাঝে সজ্জিত হয়ে আছে। শহীদ শুভ্র স্নিগ্ধ রূপের জাপানি ক্যাসিয়া রেনিজেরো ও শোভা ছড়াচ্ছে। মৃদু হলুদ রঙের সোনালুর ছায়াতে বৈশাখের গান শুনতে বা কবিতা পড়ার আনন্দ অন্যরকম। রং পুকুরে ফুলের ছবি কিংবা রাস্তার ধারে ধারে দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া নয়নাভিরাম পুষ্পরাজি যেকোন নিমিষেই ক্লান্ত মনকে দুরন্ত করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও গবেষক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় মিলে মোট ৯১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে মাত্রাধিক উৎসব পালন এবং ছাত্রদের অসচেতনতার কারণে গাছের নিচে প্রায়ই পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতলের মতো অপচনশীল বর্জ্য জমা হয়ে থাকে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের প্রকৃতি।

নিউজ ট্যাগ: গ্রীষ্মকাল

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর



দেশে উইলসন ডিজিজের নতুন দুইটি ধরন শনাক্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশে বিরল উইলসন ডিজিজের নতুন দুইটি মিউটেশন বা ধরন শনাক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজি বিভাগ এবং এনাটমি বিভাগের যৌথ গবেষণায় নতুন ধরনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এমনকি এই রোগের চিকিৎসা টার্গেট জিন থেরাপির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত বাংলাদেশি উইলসন্স রোগীদের মধ্যে জেনেটিক পরিবর্তন এবং এর স্নায়বিক উপসর্গ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল এবং এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু। প্রতিবেদন তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, গবেষণায় আমাদের মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ জন, এরমধ্যে পুরুষ ছিল ২৮ জন এবং মহিলা ছিল ২২ জন। তাদের ৬ জন রোগীর মধ্যে ৩টি মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২টিই বাংলাদেশে নতুন। তাদেরকে টার্গেট জিন থেরাপির মাধ্যমে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ত্রিশ হাজার জনে একজন উইলসন ডিজিস রয়েছে। সেই হিসেবে রোগীর সংখ্যা হবে ৬ হাজারের মত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কারও মধ্যে এই রোগটি শনাক্ত হলে তাকে আজীবন চিকিৎসা নিতে হয়। এ মাসে একজন রোগীর দেড় হাজার টাকার মতো ওষুধের প্রয়োজন হয়। সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে সারা জীবন ভালো থাকার সুযোগ রয়েছে। চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেলে রোগের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এসময় ডা. আহসান হাবিব হেলাল বলেন, এই গবেষণায় নিউরোলজি বিভাগের মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার ক্লিনিক এবং অন্তঃবিভাগ থেকে রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোগী থেকে ৩ মিলি লিটার রক্ত সংগ্রহ করে এনাটমি বিভাগের জেনেটিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং এই ল্যাবে জেনেটিক এনালাইসিস করা হয়েছে। রোগীদের বয়স সীমা ছিল ৯ থেকে ৬০ বছরের ভেতরে। অধিকাংশ রোগী পাওয়া গেছে ৯ থেকে ৩০ বছরের ভেতরে এবং এর সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। গবেষণায় প্রথম জেনারেশনের আত্মীয়দের মধ্যে আক্রান্ত ছিল ৭ জন। এই রোগের কারণে স্কুল ছাড়তে হয়েছে ২৬ জন বাচ্চাকে।

রোগীদের উপসর্গ প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক বলেন, আমরা যে রোগীদের পেয়েছি, তাদের ঢোক গিলতে সমস্যা ছিল ২৭ জনের, হাত পায়ের কম্পন ছিল ২৮ জনের, হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া ছিল ২১ জনের, অনিয়ন্ত্রিত ঘাড় মোচড়ানো সমস্যা ছিল ১৪ জনের, অনিয়ন্ত্রিত হাত-পা মোচড়ানোর সমস্যা ছিল ১১ জনের, নৃত্যের মতো অনিয়ন্ত্রিত নড়াচড়া ছিল ৪ জনের।

রোগটি কাদের হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, বাবা-মা দুজনেরই যদি এই রোগের জিন থাকে, তাহলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য আমরা নিকটতাত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ না করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীসহ আরও অনেকে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উইলসন ডিজিজে পারিবারিকভাবে আক্রান্ত হওয়া ৪ জন উপস্থাপন করা হয়।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর