আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চীনের জনপ্রিয় সেই নারী সাংবাদিকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনে মি-টু আন্দোলনের জন্য জনপ্রিয় এক নারী সাংবাদিককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। একইসঙ্গে তার পুরুষ সঙ্গীকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাদের ওই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সোফিয়া হুয়াং জুয়েনকিন এবং শ্রম অধিকারকর্মী ওয়াং জিয়ানবিং। খোলাসা করে না বললেও, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলেই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।  শুক্রবার আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোফিয়া হুয়াং জুয়েনকিন নামে ওই নারী সাংবাদিককে শুক্রবার দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংজু ইন্টারমিডিয়েট কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাজা দেন। এক হাজার দিন আটক থাকার পর তার এই সাজা হলো। অন্যদিকে হুয়াংয়ের সঙ্গে বিচারে থাকা শ্রম অধিকারকর্মী ওয়াং জিয়ানবিংকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

৩৬ বছর বয়সি হুয়াং চীনে মি-টু আন্দোলনের অন্যতম কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি যৌন নিপীড়নের শিকারদের নিয়ে চাঞ্চলকর সব খবর প্রকাশ করেন। অফিসকক্ষে নারী বিদ্বেষ ও যৌন নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়া নিয়েও সোচ্চার ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সময় গুয়াংজু থেকে হুয়াং জুয়েনকিন ও ওয়াং জিয়ানবিংকে আটক করা হয়।

হুয়াং বেইজিংয়ে চীনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম একটিতে প্রথম #MeToo আন্দোলন শুরু করেন। যৌন হয়রানির বিষয়ে রিপোর্ট করার জন্য তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেন।  ২০১৯ সালে হংকংয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময়ও কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। সেসময় তার বিরুদ্ধে ঝামেলা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

হুয়াং ২০১৮ সাল থেকে তার ব্যক্তিগত ব্লগে সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ে লেখালেখি করতেন। এর আগে তিনি চীনা-ভাষার আউটলেট Xinquaibao এবং Southern Metropolis Weekly-তে একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন।

তার সমর্থকরা বলছেন, সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা জন্য তরুণদের নিয়ে নিয়মিত সভা ও ফোরাম আয়োজন করায় তাদের আটক করা হয়েছিল।

হুয়াং জুয়েকিন ও ওয়াং জিয়ানবিংকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস নামে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। গ্রুপটি জানায়, শুক্রবার যে আদালতে তাদের সাজা দেওয়া হয়, সেখানে বেশ বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এবং তাদের সদস্যরা ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক হুয়াং জুয়েকিন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। 


আরও খবর



সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে ‘অল আয়েস অন রাফা’

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরাট এলাকাজুড়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাঁবু, আর সেগুলো দিয়ে লেখা একটি স্লোগান অল আয়েস অন রাফা বা সব চোখ রাফার দিকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি এই ছবিটি কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছবিটি প্রথমবার শেয়ার হয়েছিল মালয়েশিয়া থেকে। এরপর দ্রুতই প্রায় সাড়ে চার কোটি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী তা শেয়ার করেন, যাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের বহু তারকাও রয়েছেন।

মূলত দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ছবিটি ভাইরাল হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ওই হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আরও শত শত মানুষ পুড়ে যাওয়া ও শরীরে বোমার আঘাতের চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা, রাষ্ট্রপ্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন।

রাফার শরণার্থী শিবিরে এই হামলার পরপরই ছবিটি ভাইরাল হয়। বিবিসি অ্যারাবিকের তথ্য অনুযায়ী, ছবিটি প্রথমে মালয়েশিয়ার এক যুবক তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন।

স্লোগানটি নেওয়া হয় মূলত দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্নের একটি উক্তি থেকে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অল আয়েস অন রাফা বা আমাদের সবার চোখ এখন রাফার দিকে। তিনি এর মাধ্যমে রাফায় হামলার পরিকল্পনা করা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে একটি সতর্কবার্তা দেন।

জেনেভায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে পিপারকর্ন জানান, তার শঙ্কা, ইসরায়েলি সেনারা যদি রাফায় ব্যাপক অভিযান চালায়, তাহলে অকল্পনীয় দুর্ভোগ নেমে আসবে।

এরপর থেকে পিপারকর্নের বলা ওই কথাটি অন্য কর্মকর্তা ও অ্যাক্টিভিস্টরা বারবার ব্যবহার করে আসছিলেন রাফায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরোধিতা করতে ও তাদের উদ্বেগ জানাতে।

ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এত ছড়ালো কেন?

অল আয়েস অন রাফা স্লোগানটি ব্যানারে লিখে দেশে দেশে বড় শহরগুলোতে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।

যেসব তারকা এই স্লোগানসহ ছবিটি শেয়ার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পপ তারকা রিকি মার্টিন, তুরস্কের অভিনেত্রী তুবা বায়ুকুস্তান, ভারতের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান, সিরিয়ার অভিনেত্রী কিনদা আলুশ প্রমুখ।

ই-মার্কেটিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কনসালট্যান্ট মাহের নামারি জানান, ছবিটি যখন ব্যাপক আকারে শেয়ার হতে থাকে, তখন ইনস্টাগ্রামের একটি ফিচার অ্যাড ইয়োরস এতে ব্যবহার করা হয়। ফলে মাত্র দুটি ক্লিকেই ব্যবহারকারীরা এতে অংশ নিতে পারে, যা এই প্রচারণায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে খুব সহজে যুক্ত করে নেয়।

কিন্তু নামারি মনে করিয়ে দেন, ঘটনাটি এতটাই হৃদয়বিদারক, যার ফলে অনলাইনে এর সহজলভ্যতা ছবিটিকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তার কথায়, রাফায় হামলা সারাবিশ্বের মানুষকে দুঃখভারাক্রান্ত করেছে।

নামারি বলেন, আরও একটি কারণেও ছবিটি এত বেশি ছড়িয়েছে। তা হলো- এতে কোনো রক্ত, সত্যিকার মানুষ, কোনো নাম বা মর্মান্তিক দৃশ্য নেই। ইনস্টাগ্রামের নিয়ম অনুযায়ী, তাহলে এটি নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়তো।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যায় অভিযুক্তদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে ডিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ আদালতে তোলা হবে। আদালতে তুলে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।

শুক্রবার (২৪ মে) ডিবির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এমপি আনার হত্যায় জড়িত গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। যে পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া যাবে, সে পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আজিম তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।

গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারে, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে।

পরে বুধবার (২২ মে) ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্লাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে। এনডিটিভি বলে, ১২ মে কলকাতায় আসার পর নিখোঁজ হওয়া এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরুর পর বুধবার সকালে তার খুনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এরপর বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এমপি আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তাকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনজন বাংলাদেশ পুলিশের কাছে আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য আনোয়ারুল আজীম দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভারতের পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এমপি আনার সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তিনি ভারতে গেছেন। তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে।


আরও খবর



গাজীপুরে তুরাগ কমিউটার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী তুরাগ এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জয়দেবপুর রেল জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রেনের যাত্রী ও রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধীরাশ্রম স্টেশনে পৌঁছানোর পর ট্রেনের দ্বিতীয় বগিটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকা-জয়দেবপুর রেলরুটের একটি লাইন বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, বিকল্প লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বগি উদ্ধার করার জন্য ঢাকায় রিলিফ ট্রেন আসার খবর দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



‘বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে’

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (২২ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর ঢাকা, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বাগেরহাট, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিন দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনি, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ব্রিটেন থেকে ১০০ টন সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে এখন স্বর্ণকে ঘিরে চলছে যত আলোচনা। তবে গোটা দেশের আলোচনায় এখন হঠাৎই চলে এসেছে টন টন স্বর্ণ। ইংল্যান্ড থেকে ১০০ টনের বেশি স্বর্ণ এল ভারতে!

ইংরেজদের শাসনকালে রাশি রাশি স্বর্ণ নিয়ে ভারত থেকে ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিল। ১৯০ বছরের পরাধীনতায় ভারত ঠিক কত পরিমাণ স্বর্ণ হারিয়েছে, খাতায়-কলমে তার হিসাব নেই। সেই ইংরেজদের দেশ থেকে স্বর্ণ ফিরিয়ে আনার খবর সাধারণ মানুষের মনেও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইংরেজদের নিয়ে যাওয়া স্বর্ণই ভারত ফিরিয়ে আনছে? উত্তর হল, না। ভারতের জমা রাখা স্বর্ণই ভারত ফিরিয়ে আনছে। থাকবে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ভল্টে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০০ মেট্রিক টন স্বর্ণ বিদেশ থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ব্রিটেনের কোথায় জমা ছিল ভারতের স্বর্ণ? ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মাটির নীচে থাকা ন’টি বড় বড় ভল্টে থাক থাক করে সাজানো থাকে স্বর্ণর বার।

শুধু ভারতের নয়, বিভিন্ন দেশের স্বর্ণও ওই ভল্টে জমা রয়েছে। কেউ চাইলেই ওই ভল্টে যেতে পারেন না। একমাত্র ইংল্যান্ডের রাজা বা রানিই ওই ভল্টে যেতে পারেন এবং জমা স্বর্ণ দেখতে পারেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন ভারত স্বর্ণ রাখল ইংল্যান্ডের কাছে? যে ইংরেজরা প্রায় ২০০ বছর শোষণ করেছে, তাদের কাছেই স্বর্ণ রাখার কী প্রয়োজন পড়ল ভারতের? সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে ঘাঁটতে হবে ইতিহাস।

স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের মধ্যে এক ভীতি জন্ম নিয়েছিল। ধারণা হয়েছিল, ভারতের বাজারে যদি কোনও বিদেশি কোম্পনিকে ব্যবসা করতে দেওয়া হয়, তবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতোই অবস্থা ঘটতে পারে। তাই ভারতের বাজার সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে ভারতকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিতে থাকে।

এক দিকে ভারতীয় বাজারে বিদেশি সংস্থার নো এন্ট্রি’, অন্য দিকে বিদেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস আমদানির কারণে ভারতের আর্থিক ভান্ডারে টান পড়তে শুরু করে। রপ্তানির থেকে আমদানির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পায়।

ভারত বিদেশ থেকে মূলত তেল আমদানি করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গেই এই কারবার চালায় ভারত। ১৯৯১ সালের আগে ভারতে প্রয়োজনীয় তেলের বেশির ভাগ জোগান আসত ইরাক থেকে।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ছিল আমেরিকার চোখ রাঙানি। সব মিলিয়ে তেলের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ভারতে তেলের সংকট দেখা দেয়। তেল কিনতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ডলারের। বিদেশে ভারতের টাকা চলে না। কী ভাবে ডলার পাওয়া যাবে তার পথ খুঁজতে থাকে তৎকালীন সরকার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ডলার নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না ভারতের। কিন্তু সেখান থেকে ডলার নিতে গেলে মেনে চলতে হত তাদের দেওয়া শর্ত। অনেকের মতে, আইএমএফ হোক বা বিশ্ব ব্যাংক, নামে সতন্ত্র হলেও তাদের উপর আমেরিকাই ছড়ি ঘোরায়।

ভারত সে সময় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকে। তখনই স্বর্ণ বিদেশি ব্যাংকে রাখার পরিকল্পনা মাথায় আসে সরকারের। তবে আমেরিকার দৃষ্টি এড়িয়ে স্বর্ণ অন্য কোনও বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

শোনা যায়, গোপনে স্বর্ণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অফ জাপানের কাছে জমা রাখে ভারত। তার বিনিময়ে ডলার নেয়। এই পুরো অপারেশনটা ভারত সরকার গোপনে করার চেষ্টা করলেও কয়েকটি সংবাদপত্রে তা ফাঁস হয়ে যায়। বিদেশে জমা রাখা স্বর্ণই ভারতে ফেরানো শুরু হয়েছে।

ভারতের কাছে এখন স্বর্ণ রয়েছে ৮২২ মেট্রিক টন। গত পাঁচ বছরে ভারত ২০৩.৯ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে। তার মধ্যে কিছু মজুত রয়েছে আরবিআইয়ের কাছে। কিছু বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছ।

শুধু ডলারের বিনিময়ে স্বর্ণ বিদেশি ব্যাংকে জমা পড়ত তা-ই নয়। ভারত এমনি সময়েও স্বর্ণ বিদেশে রাখে। কেন ভারত সরকার বিদেশি ব্যাংক স্বর্ণ গচ্ছিত রাখে? দেশের মধ্যে বিভিন্ন অস্থিরতার কথা চিন্তা করেই সরকার দেশ থেকে স্বর্ণ সরিয়ে রাখে।

তা হলে ভারত কেন স্বর্ণ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল? রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশই ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে বিদেশি ব্যাংকে রাশিয়ার জমা রাখা রাশি ক্লোজ়ড’ করা দেওয়া হয়েছে। ভারতও তা-ই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


আরও খবর