আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

একাই ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন সাবেক কৃষি কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি লাভের আশায় অবৈধভাবে ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন লায়েকুজ্জামান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা গত ৬ দিনে ব্যক্তিপর্যায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বাসায় এই তেল মজুত করেন।

অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া এলাকার ওই বাসা থেকে ৫১২ লিটার তেলসহ তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি বলেন, লালমাটিয়ার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামান। এর পাশেই তার শ্বশুরের বাসাটিও তিনি দেখাশোনা করতেন। সেই বাসাতেই তিনি ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরের নেতৃত্বে একটি টিম ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সেই তেল জব্দসহ লায়েকুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লায়েকুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিপর্যায়ে তেলগুলো কিনে মজুত করে রেখেছেন। তার কাছে এসব তেল কেনার রশিদ দেখতে চাইলে তিনি কৃষি মার্কেটের সূর্য এন্টারপ্রাইজের একটি রশিদ দেখান। পরে রশিদটি যাচাই করে দেখা গেছে সেখান থেকে ১৫৯ টাকা দরে মাত্র ৪০ লিটার তেল কিনেছেন। বাকিগুলো তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। আর সূর্য এন্টারপ্রাইজের ওই রশিদের মাঝখানে নিজ হাতে বাকি তেলগুলোর পরিমাণ লিখে বিভিন্ন দাম বসিয়ে দিয়েছেন।

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতার লায়েকুজ্জামান মনে করেছেন যেহেতু বর্তমানে তেলের দাম বাড়তির দিকে, কয়েকদিন পর রমজানে আরও বাড়বে সে কারণে বাড়তি লাভের আশায় তিনি তেল কিনে মজুত করেছিলেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লায়েকুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে পেলে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে অতীতেও তিনি এমন কাজ করেছেন কি-না, কিংবা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লায়েকুজ্জামান কোনো ব্যবসায়ী নন, ডিলারও নন। প্রাথমিকভাবে এটি তার ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য বলেই মনে হয়েছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে তিনি তেল মজুত করেছেন। ৫১২ লিটার তেল মজুদ করা ফৌজদারি অপরাধ, এটি সঙ্কট সৃষ্টির অপপ্রয়াস।

৪০ লিটার তেল এক দোকান থেকে কিনেছেন, বাকিগুলো কোথা থেকে কীভাবে সরবরাহ করেছেন তা জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষি মার্কেটের ওই ব্যবসায়ী কেন একজনের কাছে একবারে ৪০ লিটার তেল বিক্রি করলেন এ বিষয়ে ব্যবসায়ীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। এছাড়া ভোজ্যতেলের এই সঙ্কট সৃষ্টি করতে ব্যবসায়িক পর্যায়ে কেউ মজুতদারি করছে কিনা, প্রতিনিয়ত মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমরা যখনই সংবাদ পাব অভিযান পরিচালনা করব।

গত ৬ মার্চ থেকে ৬ দিনে লায়েকুজ্জামান বিপুল পরিমাণ এই তেল মজুত করেছেন জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ৪০ লিটারের বাইরে বাকি তেলগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন এ বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। কারণ অন্য জায়গা থেকে কিনলে সেটার রশিদ থাকতো।

জনসাধারণকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এ ধরনের মজুতদারি করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: কৃষি কর্মকর্তা

আরও খবর



বয়স্ক ভাতার আওতায় আসছেন আরও ২ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই লাখ বৃদ্ধি করে ৬০ লাখ এক হাজার জনে উন্নীত করা হবে এবং এ বাবদ চার হাজার ৩৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এছাড়া, ভাতাপ্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর সংখ্যা বিদ্যমান ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন থেকে বৃদ্ধি করে ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জনে উন্নীত করারও প্রস্তাব দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা ছিল।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সকল শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা ২০২১-২২ অর্থবছরে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া, তাদের আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১ হাজার ৫৭টি বীর নিবাস নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।


আরও খবর



দুই বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৬৪৮ কোটি টাকা: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই বছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে বোর্ড মিটিং শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে এই সেতুর সুফল ভোগ করছি। গত দুই বছরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ ও ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। যেখান থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকারও বেশি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অর্থ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৯শ ৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুন ৭ম ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩শ ১৪ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থবিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

পদ্মাসেতুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। দুই বছর আগে আজকের এই দিনে আমাদের অনেক প্রতীক্ষিত সেতু পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। নিজের টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে বসানো হলো পেসমেকার

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় এ তথ্য জানিয়েছেন ডা. জাহিদ।

তিনি বলেন, ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ধরা পড়েছিল। সেখানে একটা স্টেন্টও (রিং) লাগানো ছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুক্ষণ আগে তার হার্টে পেসমেকার বসানো হয়েছে।

পেসমেকার হলো হৃৎস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে হৃদপেশিতে পাঠায় এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

যখন হৃদপিণ্ডের নিজস্ব পেসমেকার বা এসএ নোড যথেষ্ট পরিমাণে বা গতিতে ইমপাল্স তৈরি করতে পারে না বা হৃদপিণ্ডের তড়িৎ পরিবহনের রাস্তা আটকে যায়, তখন হৃদপিণ্ডের গতি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হলো পেসমেকারের প্রাথমিক কাজ, যাতে হৃদপিণ্ড ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

গত শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতেও গ্রামে লোডশেডিংয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জ্যৈষ্ঠ গড়িয়ে আষাঢ়ের দিন শুরু হলেও গরম কমছে না। ঝড়সহ বৃষ্টির শঙ্কাও আছে চলতি মাসে। এর মধ্যে এ সপ্তাহে ঈদের ছুটিতেও বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপরও জ্বালানি ঘাটতি এবং অপেক্ষাকৃত নাজুক সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বা সকল গ্রাহকের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের মতো বড় ছুটির সময় সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা কমে। চাহিদা কম থাকায় উত্পাদন ও সরবরাহে তেমন ঘাটতি থাকে না। তবে এখন ছুটির দিনেও ঘাটতি থাকছে। গ্রামে সেই ঘাটতি আরও বেশি। ছুটির সময়ে বাণিজ্য ও শিল্পে কমে যাওয়া গ্যাস-বিদ্যুতের চাহিদা আবাসিকে দিয়ে সাধারণ লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিল্পে-বাণিজ্যে বেঁচে যাওয়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দিয়ে লোডশেডিং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৬ হাজার ৩৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন ও আমদানির সক্ষমতা রয়েছে। গত মঙ্গলবার সাবস্টেশন পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ১৯ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ। সরবরাহ করা হয় ১৫ হাজার ১৫৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। অর্থাৎ লোডশেড বা ঘাটতি ছিল ৮৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি। আর সাবস্টেশন পর্যায়ের চেয়ে গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদার বিপরীতে লোডশেডিং আরও বেশি।

পিডিবির হিসেব মতে, গত মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি ২৮৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলে। কুমিল্লা ও ঢাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। এ দিন রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশাল অঞ্চলে কোনো লোডশেডিং হয়নি বলে পিডিবির দৈনিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ বিভাগগুলোর ছয়টি জেলার প্রতিনিধিরা ঐ দিন জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় তিন থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেড হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন গ্রাহকরাও।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি কমবেশি ঐ গত মঙ্গলবারের মতো চলছে। আসন্ন ঈদে সরকারি ছুটির সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিচালনা করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। রাজধানীতে বিদ্যুৎ ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। ঐ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রামের চেয়ে রাজধানীসহ শহরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের শীর্ষ অংশের নীতি সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে শহরে তেমন না হলেও গ্রামের মানুষের লোডশেডিং থেকে এখনই মুক্তি মেলার আশা নেই।

স্থানীয় জ্বালানির পর্যাপ্ত সংস্থান না থাকায় দেশের বিদ্যুৎ উত্পাদন অনেকটাই আমদানি-নির্ভর। এখন মার্কিন ডলার এবং দেশীয় টাকারও প্রয়োজনীয় পরিমাণ জোগান নেই। তাই এলএনজি (গ্যাস) এবং জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বেসরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদনকারীদের বিপুল বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন চিত্রটা দাঁড়িয়েছেঅর্থের অভাবে জ্বালানির সরবরাহে ঘাটতি। তাই বিদ্যুতের উত্পাদন ও বিতরণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের ছুটির সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে যত বেশি বৃষ্টি হবে বিদ্যুতের চাহিদা তত কমবে। চাহিদা কমায় লোডশেডিংও কমবে।

পিডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস পড়ে রয়েছে। দুইটি এলএনজি টার্মিনালও সমানতালে চালু রাখা যাচ্ছে না কারিগরি দুর্বলতা এবং জ্বালানির অভাবে।


আরও খবর



মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হল হিজাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাজিকিস্তানে হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করে আইন পাস হয়েছে। দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষে আইনটি পাস হয়। এ ছাড়া আইনটির মাধ্যমে ঈদ উদ্‌যাপনেও বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।

এশিয়া প্লাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ জুন) মজলিসি মিলির ১৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিলটি উত্থাপন করা হলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।

আইনে হিজাবকে এলিয়েন পোশাক বলে উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে ঈদ উদ্‌যাপনকে বিদেশি সংস্কৃতি বলা হয়। আর দেশটি তা সমর্থন করতে পারে না বলেও যুক্তি তুলে ধরা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, শিশুরা ঈদ উদ্‌যাপনে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে না। দেশটিতে তা ইদগারদাক নামে পরিচিত। মূলত শিশুরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সড়ক ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে অভিবাদন জানায়।

এর আগে তাজিকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ মজলিসি নমোয়ানদাগন ৮ জুন হিজাব ও ইদগারদাক নিষিদ্ধ করার বিলটি অনুমোদন করে।

মজলিসি মিলি প্রেস সেন্টার বলছে, অধিবেশনে ছুটির দিন, ঐতিহ্য ও আচার-অনুষ্ঠান, সন্তান লালনপালনে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, পিতামাতার দায়িত্ব সংক্রান্ত দেশের আইনের সংশোধনীকে সমর্থন করা হয়েছে।

আইনটি মূলত হিজাব, ইসলামিক হেড স্কার্ফ ও ইসলামিক পোশাকের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী ধরনকে লক্ষ করে প্রণীত। বলা হচ্ছে, এসব পোশাক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাজিকিস্তানে আসতে শুরু করে এবং দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের কর্মকর্তারা এ পোশাক ধারণকারীদের ইসলামিক চরমপন্থিদের সঙ্গে তুলনা করছেন।

তাজিকিস্তান মধ্য এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এর উত্তরে কিরগিজস্তান, উত্তরে ও পশ্চিমে উজবেকিস্তান, পূর্বে গণচীন এবং দক্ষিণে আফগানিস্তান। দুশান্‌বে দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

দেশটির ৯৬.৪ শতাংশ অধিবাসী মুসলমান। তাজিকিস্তানে ২০০৯ সালে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর মধ্যে তাজিকিস্তানকে আলাদা করে তুলেছে। তবে তাজিকিস্তানে অন্য যেকোনো ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

বাকিদের মধ্যে অর্থোডক্স, প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও ইহুদি রয়েছে। তাজিকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোকে নিবন্ধন করতে হয়। এই নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল উপাসনার জন্য একত্রিত হতে পারে না। এর ব্যতিক্রম করলে বড় অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি তাদের উপাসনাস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়।


আরও খবর